দক্ষিন কোরিয়া গিয়েছি কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনবো না তা কি হয়? দেশে বসে তো চাইনিজ ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে কিনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। কেনাডা, অষ্ট্রেলিয়া সহ কয়েকটি দেশ ভ্রমন করে অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, ঐ সমস্ত দেশেও চাইনিজ ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় হয়, তবে অবশ্যই তা সরকারের দেয়া নির্ধারিত গুনগত মান অনুযায়ী হতে হয়। যে কারণে একই প্রডাক্টের দাম আমাদের দেশে কম, অন্য দেশে বেশি। আমাদের দেশে বিক্রিত চাইনিজ প্রডাক্টের গুনগত মান কোন পর্যায়ে আছে এতেই বুঝা যায়।
কোরিয়ার তৈরী মোবাইল সেট কেনার জন্য সফর সঙ্গী এবং সিউলে চাকরী করেন এমন একজনকে নিয়ে চলে গেলাম ইয়াংসান ইলেকট্রনিক মার্কেটে। বিশাল এলাকা জুড়ে মার্কেট। যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স এর সবচেয়ে বড় মার্কেট এটিই। সমস্ত ভবন গুলোই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এর পণ্য বিক্রয়ের বড় ছোট মার্কেট। একদিনে সব দেখা সম্ভব নয় ভেবে আপাতত মোবাইল কেনার দিকেই গেলাম।
বিশাল মার্কেটের দু ধারে সারি সারি মোবাইলের দোকান। দু একটি দোকানে ঢুকছি, কিছু সেট নাড়াচাড়া করে আবার বের হয়ে আসছি। একটি দোকানের সাইনবোর্ডের দিকে চোখ আঁটকে গেল।
বিসমিল্লাহ্ ডট কম। অন্য দোকানগুলোর চেয়ে একটু বেশিই ক্রেতার ভিড় এখানে। বিসমিল্লাহ্ বলে এখানেই ঢুকে পড়লাম। ৬-৭ জন ক্রেতা বিভিন্ন মডেলের মোবাইল, ট্যাব দেখছেন। বাইরের সাইনবোর্ড এবং ভিতরের আরবী লেখা দেখে বুঝলাম যে অন্তত একটি মুসলিম দোকানে এসেছি। ছোট খাট একজন লোক একসাথে সবাইকেই মোবাইলের কনফিগারেশন, মূল্য বলে যাচ্ছেন, কখনো ইংরেজীতে, কখনো আরবিতে হাসি হাসি মুখে। ফর্সা এবং কিছুটা লালচে চেহারা,মায়াবী চোখ, সেভ করেননি অন্তত দুই/তিন দিন। একবার তাকিয়ে দেখলেন আমাদের দিকে। আবার মনোনিবেশ করলেন ক্রেতাদের দিকে। কোরিয়ান তো নয়ই, বুঝতে পারছিলামনা কোন দেশের লোক। একবার মনে হল পাকিস্তানি, পাকিস্তানি হলে এ দোকান হতে কিনবো না। আফগানরাতো আরো লম্বা হবার কথা, ইরানী, ইরাকী নয় তো? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মনে মনে মিলাচ্ছি কোন দেশের হতে পারেন? দুষ্ট বুদ্ধি এলো মাথায়, সেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়ে চলে গেলাম। স্পষ্ট এবং কিছুটা জোর দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে বললাম ' ক্যামুন আছুইন ভাইজান ? '
চমকে আমার দিকে তাকালেন উনি, বললেন ' জি ভাল আছি আলাহামদুলিল্লাহ, আপনি কেমন আছেন? আপনার সাথে সবাইকে বিদায় দিয়ে কথা বলবো, বসুন কফি খান। '
আচ্ছা ঠিকাছে বসলাম 🙂 বলে বসে পড়লাম। ট্রিক্স এ কাজ দিছে, নইলে কতক্ষণ তার সাথে ইস্পিশাল ইংরেজীতে ভ্যাগর ভ্যাগর করতে হইত। পরিচয়ের পরে না হয় বুঝতো আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমার সাথের দুজন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে। দোকানের এক সেলস ম্যানকে বললাম, ভাই কফিতে চিনি দিয়েন আলাদা করে।
সব ক্রেতাকে সন্তষ্ট করে বিদায় দিয়ে আমাদের সামনা সামনি হলেন এবার। নাম বললেন কিম আবদুল্লাহ।
* ঘটনা কি ভাইজান, কিম লাগাইলেন যে নামের আগে?
# আমি কোরিয়ান নাগরিক। নাগরিকত্ব পেয়ে কিম হয়েছি 🙂
খুবই আন্তরিক একজন মানুষ। ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন সিউলে। কোরিয়ান একজন হয়ে গিয়েছেন।
আন্তরিক ভাবেই বললেন কোন সেট ভাল, কোনটা কম ভাল। সিউলে যিনি জব করেন জহুর ভাই, তাঁর ইন্টারে পড়ুয়া দুই ভাগনির জন্য নিলেন দুটো সামস্যাং ট্যাব, যা আমাকেই বহন করে নিয়ে আসতে হয়েছে। সফর সঙ্গী হারুন আর রশিদ কিনলো দুটো সামস্যাং মোবাইল। আর আমি কিনলাম একটি ট্যাব এবং HTC মোবাইল, HTC সেট কিম আবদুল্লাহ ভাই নিজেই নিতে বললেন আমাকে। আলাপ এবং আমাদের ভাললাগার সূত্রে অন্যান্য দোকান থেকে বেশ কম মূল্যই নিলেন আমাদের কাছ থেকে। আমাদের কথা বার্তায় উনি এতই মুগ্ধ যে আবার দেখা হবার কথা জানালেন। তাকেও আমাদের ভাল লেগেছে। বিদেশ বিভুঁইয়ে এমন একজন আন্তরিক মানুষ পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।
কেনাকাটা শেষ করে একটি সেলফিও তুললাম তাঁর সাথে। ব্লগ যে ফেইসবুক না এটা জেনেও নিজের ফটো আপলোডাইলাম 🙂
কাহিনী এখানেই শেষ হতে পারতো, কিন্তু হলো না। পরিচয়ের পরে দুই দিন ছিলাম আরো সিউলে। প্রতিদিন ফোন দিতেন উনি, কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা জানতে চাইতেন। দেশে ফেরার পূর্বের রাত ১ টায় ফোন দিলেন, আসবেন আমাদের হোটেলে। রাত একটা হচ্ছে আমাদের দেশের রাত দশটা। আমার শরীর এবং মন তো রাত দশটার মতই। বললাম চলে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসলেন। প্রচন্ড পরিশ্রমী মানুষ। মোবাইলের দোকানের মালিক তিনিই। ইয়াংসান এলাকায় তাঁর আর একটি দোকান আছে। পজেশন সহই মালিক তিনি। ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা আছে সিউলে। আছে সাপ্লাইয়ের ব্যবসা। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের অনেক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তিনি সরবরাহ করেছেন। কেমিকেলস রপ্তানিরকারক তিনি। একসাথে বিজনেস করারও প্রস্তাব দিলেন। বললেন ' ইকরাম ভাই, ভাল লাগার মানুষের সংখ্যা কম এই জগতে, কেন জানিনা আপনাকে ভাল লেগেছে আমার।' খুব আগ্রহ নিয়ে বলায় তাঁকে সরাসরি না করতে পারিনি। বলেছি ভেবে দেখি ভাই।
প্রতি বছর ঈদ দেশে করেন। চট্টগ্রাম এর মানুষ। কোরিয়ান কিম হলেও দেশকে ভোলেননি। দেশের রাজনীতির কথা বললেন। দেশকে নিয়ে তাঁর ব্যাকুলতা আমাকেও মুগ্ধ করেছে। কথা বলতে বলতে কখন ভোরের আলো ফুটে উঠেছে কেউই খেয়াল করিনি। শেষ কফির কাপে চুমুক দিয়ে স্বপ্ল সময়ের পরিচিত আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠা সোফায় এলানো সাদামনের মানুষটি বিদায় নিলেন আমাদের কাছ হতে।
আমি দেশে আসার পরেও প্রতিদিন কথা হয়। ঈদের পূর্বে তিনি দেশে এসেই ফোন দিলেন আমাকে। ইমোতে কথা হয় প্রায় রোজ। ভাল থাকুন প্রিয় মানুষ
কিম আবদুল্লাহ ভাইজান -{@
Thumbnails managed by ThumbPress
৫৮টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
দেশ ঘুরলে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, সবই বৃদ্ধি পায়। লিখুন ভাইয়া, না লিখলে আমি এই সব জানব কোথা থেকে। ভালো থাকুক কিম এবং সকল প্রবাসী ভাইয়েরা।
জিসান শা ইকরাম
লিখবো ধীরে ধীরে,
কিম ভাই আজকে চলে যাচ্ছেন আবার কোরিয়ায়।
আবু খায়ের আনিছ
শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
আমার এখানেও লেখার সেঞ্চুরীর জন্য শুভেচ্ছা আপনাকে।
ব্লগার সজীব
ছাত্র জীবনে মহা দুষ্ট ছিলেন মনে হয়। ছাত্র জীবনের কিছু স্মৃতি ঝাতি জানতে চায় :p ভ্রমণ কালে এমন আন্তরিক মানুষ পাওয়া আসলেই ভাগ্যের। কিভাবে বললেন কেমুন আছেন ভাইজান? যদি না মিলে যেতো? কিম আবদুল্লাহ ভাইজান যে একজন ভাল মানুষ তা ওনার চেহারাতেই বোঝা যায়। ভাল থাকুক ভাইজান -{@
জিসান শা ইকরাম
তা কিছুটা ছিলাম অবশ্য, তবে ঝাতিকে জানাইতে চাচ্ছি না 🙂
বিদেশে দেশী মানুষ আস্থা এনে দেয়,
তাঁর মুভমেন্ট এবং উচ্চারন কিছুটা আমাদের দেশের মত ছিল,
মিলে না গেলে কি আর হত, কেউ তো আর বুঝত্ না………
ভাইজানে আজ চলে যাচ্ছেন কোরিয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা বেশ মজা পেলাম। তবে একটি লাইনে আমার খানিকটা “কিন্তু” জেগেছে মনে। “বাইরের সাইনবোর্ড এবং ভিতরের আরবী লেখা দেখে বুঝলাম যে অন্তত একটি মুসলিম দোকানে এসেছি।” এখানে “অন্তত” শব্দটায় বেশ খটকা লাগছে। তা নইলে “ক্যামুন আছুইন ভাইজান ?” 😀
কত্তোদিন পর লিখলে! জানোই তো ভ্রমণ কাহিনী অনেক প্রিয় আমার। শোনো গতকাল যে ট্যাক্সিতে এলাম ভদ্রলোক ইথিওপিয়ার। কিন্তু ছিলেন দিল্লীতে। আমায় জিজ্ঞাসা করলেন কোথাকার? আমিও জানতে চাইলাম, বললেন অনুমান করো। বললাম বুঝতে পারছি না। বললেন উনি নাকি ভারতের কেরালার। বললাম অসম্ভব। বললো কেন অসম্ভব? বললাম তোমার চুল। হেসে বললেন আসলে উনি ইথিওপিয়ার, উনার তরুণকাল কেটেছে ভারতে। জীবনে যদি আবার সুযোগ পান উনি নাকি ভারত গিয়ে থাকবেন। মজা হলো উনার নামও আব্দুল্লাহ। 🙂
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই। -{@
জিসান শা ইকরাম
ধারনাকে সংক্ষেপে এনেছি, বিসমিল্লাহ্ সাইনবোর্ডে এবং ভিতরে আরবি লেখায় এটি ধারনা করেছি, দোকানটা মুসলিমদের।
লোকটা কোন দেশের তা চিন্তা করেছি শুধু মুসলিম দেশ সমুহের।ভারতের কথাও মাথায় এসেছিল। উচ্চারনটা আমাদের দেশের মত ছিল বলে একটা চান্স নিয়েছি আরকি।
ও আচ্ছা উনি তাহলে ইথিওপিয়ার আবদুল্লাহ ভাইজান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কিছু মানুষ এমনই থাকে যাকে দেখে মনে হয় আত্মীয়ের আত্মীয়, এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোনা,
এমন একটি মানুষের গল্প শুনতে দেখতে ভালই লাগে,
আরও গাল লাগল এই জেনে প্রাণে-মনে এখনো দেশী হয়েই আছেন।
অটুট থাকুক এ প্রাণের বন্ধন।
জিসান শা ইকরাম
এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম,
অটুট থাকবে ভাইজানের সাথে প্রাণের বন্ধন।
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
কিছু মানুষ অনেক ভালো হয়।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, তবে এরা সংখ্যায় খুবই কম।
রিমি রুম্মান
কোরিয়ান নাগরিকত্ব পেলে যে কিম হতে হয় এইটা তো জানতাম না। কিম কি উনি স্বেচ্ছায় লাগিয়েছেন, নাকি বাধ্যতামূলক কে জানে ?
কিম ভাইকে শুভেচ্ছা। -{@
জিসান শা ইকরাম
উনি স্বেচ্ছায় লাগিয়েছেন, নামে একটা কোরিয়ান কোরিয়ান ভাব আনছেন, মিষ্টার কিম।
আজ ১ঃ৩০ এর ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিউল চলে গিয়েছেন ভাইজান।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার একটা কপাল বটে ভাইজান, যেখানে যান বন্ধুর মতো কাউকে না কাউকে পেয়েই যান। আব্দুল্লাহ ভাইজানের মধ্যে প্যাঁচঘোচ আছে বাইরে থেকে এমনই মনে হতে পারে, তবে আপনার সান্নিধ্যে ছিলেন তিনি, বা আছেন তাই আপনি বলতে পারবেন কেমন। অচেনা অজানা জায়গায় এভাবে রাত ১ টায় সংগ দিতে আসা মানুষ, নিশ্চয়ই ভালো মনেরই হবেন।
আমাদের জন্যে কিছু কেনেন নাই ভাইজান? সেলফি তোলার চান্স পাইলে কেউ ছাড়েনা দেখি। 🙂
জিসান শা ইকরাম
হুম, কপাল ভালোই আমার, তা বিশ্বের যেথায়ই যাই, সিউল থেকে মেলবোর্ন ভালবাসার মানুষ পেয়েই যাই 🙂
আবদুল্লাহ ভাইজানের মধ্যে প্যাচঘোচ নাই বলেই আমার মনে হয়, মানুষ দেখি আমি ভালভাবেই।
কিনেছি আপনাদের জন্য, প্রকাশ্যে দেয়া যাইত না,
সেলফির যুগ তো, সবাইই তোলে, আজকাল আবার আইফোনের প্রিজমার যুগ আরম্ভ হইছে -{@
শুন্য শুন্যালয়
প্রিজমা আবার কি জিনিস? আমি দেখি ম্যালা পেছনে। হুম দেখেছিলাম, মেলবোর্নে প্রিয় মানুষের তোলা ছবি আপনার। 🙂
আমি কোন দেশেই তো যাইনাই, তবে বাংলাদেশে গেলে আমিও ভালোবাসার মানুষ পাবো, হুম্ম হুম।
জিসান শা ইকরাম
প্রিজমা চিনেন না! ফেইসবুকে তো প্রিজমার ফটো দিয়ে ফাটিয়ে দিচ্ছে সবাই। ফটো এডিট সফট প্রিজমা। যারা প্রিজমা ফটো দেয়া, তাদের আইফোন আছে, আর আইফোন থাকে ধনীদের। আমার আইফোন নাই, তাই আমি গরীব, প্রিজমাও নাই।
বাংলাদেশে আসলে তো ভালবাসার মানুষ পাবেনই, মা বাবা ভাই, বোন কত্ত ভালবাসার মানুষ থাকে দেশে 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
প্রিজমা আবার কি জিনিস? একটু বুগাইয়া দিলে বুগতে পারতাম আমিও 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ধুর প্রিজমা ভাল্লাগেনাই একটুও। এর চাইতে পিকস স্টুডিওতে স্কেচ হয় আরো অনেক সুন্দর। সবাই হুজুগে নাঁচে। মাঝে মাঝে গরীব হওয়া কিন্তু ভালো, হাতে কএকখান এন্ড্রয়েড থাকলেও নিজেরে লোকজন আজকাল গরীব বলে, তাও এক প্রিজমার লইজ্ঞা! আমি কিন্তুক ম্যালা বড়লোক, এন্ড্রয়েড, আইপ্যাড সব আছে 🙂
হ, মা বাবা বোনের কথাই তো বুঝাইলাম, আপনি আবার অন্যকিছু বুঝছিলেন নাকি? ;?
জিসান শা ইকরাম
@ ইলিয়াস মাসুদ ভাই, প্রিজমা হচ্ছে আইফোনের একটি ফটো এডিট সফট।
ছবি গুলো আসে অত্যন্ত চড়া রঙের, দেশের রিক্সা পেইন্টে যেমন চড়া রঙ থাকে তেমন।
জিসান শা ইকরাম
শুন্য আপনি আই ফোন আর এন্ড্রয়েড দুটোরই মালেকিন,
গাছের তলারটাও আপনার, উপরেরটাও আপনার 😀
না না আমি অন্য কিছু বুঝাইনি, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা — এই আরকি 🙂
মৌনতা রিতু
একখানাা ট্যাব আনলেই তো হইত। যাকগে সে কথা।
লোকটির উদরতায় মন ভরে গেল। আসলে আমিও শুনেছিলাম চায়নারা তিন ধরনের মানের পন্য তৈরি করে। সেই মতেই তারা দেশ হিসেবে পন্য রপ্তানি করে।
এতোদিন পরে লিখলেন ভাইয়া।
🙁
জিসান শা ইকরাম
আপনার ট্যাব লাগলে বললেই হইত।
হ্যাঁ চায়নাদের যথেষ্ঠ ভাল মানের প্রডাক্ট আছে, যা আমাদের দেশে আনেননা ব্যাবসায়ীরা।
ভাইজান আজ চলে গিয়েছেন ঈদ করে।
লিখতে চাইছিলাম ভ্রমণ নিয়ে পরপরই, কিন্তু গুলশান এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।
শুভ কামনা। -{@
অনিকেত নন্দিনী
“ক্যামুন আছেন ভাইজান?” আইডিয়াখান জব্বর লাগলো! (y)
দ্যাশ বিদ্যাশে এইরাম বন্ধুত্বসুলভ লোকজন পাইতে হইলেও কপাল লাগে। বন্ধু তো বন্ধু তায় আবার দিনমান কাজ করার পর রাতভর আড্ডা দেয়া বন্ধু।
ঈদ সামনে রাইখ্যা এত্ত এত্ত কেনাকাটা হইলো, আমি কইলাম কিস্যুই পাই নাই। ক্যান যে কেউ আমারে গিফটায়না! ;(
অফটপিক ১। কিম আবদুল্লাহ্ সাহেবের লগে বিদেশি মুপাইলের ব্যবসা করলে আমারেও একখান কাজকর্ম দিয়েন বাহে, বহুত প্যারায় আছি। বর্তমান চাকুরি করাকালীন সময়ে মুপাইল হাতে লওয়া হারাম, ঐ কাজ করলে সারাক্ষণই মুপাইল হাতে থাকপে। :v
২। চামে তো ভালাই সেলফি আপ্লোডাইলেন তয় বেশি এডিটাইয়ালাইসেন আর কি! হজ্ঞল কিছু সাদা ফকফকা লাগদে আছে। :p
জিসান শা ইকরাম
কি শিক্ষকতা করেন বুঝি না, আছুইন কে ভুল করে লেখেন আছেন। শুদ্ধ হবে ‘ ক্যামুন আছুইন ভাইজান ‘। এমন শিক্ষক দিয়ে ঝাতি কি পাবে? ঈদ হইল আমার একটা লস প্রজেক্ট, টাকা পয়সা শুধু রফতানী হয়, আমদানী খুবই সামান্য। বিশাল বানিজ্য ঘাটতি। তাই ঘাটতি আর বৃদ্ধি করতে চাইনা বলে গিফট এর কথা ভুলে যাই 🙂
মোবাইলের ব্যবসা, ভাল বুদ্ধি দিলেন তো। এটা তো করা যায়, দেশে কোরিয়ান মোবাইলের চাহিদা আছে। এই ব্যবসা করলে আপনার চাকরী পাক্কা, তবে চাকরী পাবার পরে মোবাইল হাতে নিয়ে পরের মাসে জব ছেড়ে দেবেন কিনা এর নিশ্চয়তা কি?
ফটো অরিজিনাল, একটুও এডিট করা হয়নি।
অনিকেত নন্দিনী
ও আইচ্ছা, থুরি; “কেমুন আছুইন ভাইজান?” – এইবার হৈছে? 😀
শিক্ষকরাও মানুষ, রোবট না। তারা ল্যাখতে গিয়া ভুল করলেও লগে লগে তা মুইচ্ছ্যা ফেলায়া আবার ল্যাহে কিন্তু এইহানে মোছামুছির সুবিধা নাই বইল্ল্যা মাঝেমধ্যে এট্টু ঝালেমা হৈয়া যায় আর কি! :p
আপাতদৃষ্টিতে ঈদ আমার লাইজ্ঞ্যাও ব্যয়/ক্ষতি প্রকল্প তবে বেবাক্কের হাসিমুখ আর তাগোর মনের খুশি মিলাইয়া সব উসুল হৈয়া যায়। কাজেই পরবর্তীকালে মোর ব্যাফারডাও মাতায় রাইখ্যেন মনু। 😀
চারহি দিয়া খালি এউজ্ঞা মোবাইল ধরাইয়া দিলেই ঐবে? বেতন-বোনাস ঠিকমতন না দিলে ছাড়মু না তো কী করমু?
এডিটান নাই বুজলাম তয় বাত্তিবুত্তি মনে অয় বেশিই আছালে। তা কী বাত্তি জ্বালাইন্ন্যা আছালে? ফিলিপস? ;?
ইলিয়াস মাসুদ
খুব কম হলেও আছে এমন বাংলাদেশি পৃথিবীর নানা প্রান্তে,আব্দুল্লাহ ভাইয়ের জন্য শুভ কামনা,গল্প এমন ভাবে কৈছুন মনে হৈছুন আমি থাকছুন আপনাগো লগে……
জিসান শা ইকরাম
কিম ভাইজান এর লগে একজন দাড়াইয়া আছিল, এখন মনে হচ্ছে আপনি না তো !
কেমন সন্দেহ লাগতাছে 🙂
ধন্যবাদ মাসুদ ভাই,
ইলিয়াস মাসুদ
প্রায় কাছাকাছি,তয় আমি না……..
মুন চাই আপ্নারে নিয়ে এই দেশত ঘুরতাম…..
ভাল থাক্বেন ভাইয়া
জিসান শা ইকরাম
কোন দেশ বলুনতো, ভ্রমন আমার শখ, কিছুটা নেশাও।
অলিভার
দুষ্ট বুদ্ধি এলো মাথায়, সেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়ে চলে গেলাম। স্পষ্ট এবং কিছুটা জোর দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে বললাম ‘ ক্যামুন আছুইন ভাইজান ?’ :D) :D)
আইডিয়াটা জমা থাকল, কখনো সুযোগ হলে ব্যবহার করা যাবে।
ভ্রমণ কাহিনী হলেও লেখাটা মূলত আন্তরিকতার প্রকাশ। কিম আবদুল্লাহ ভাইজানের জন্যে শুভকামনা -{@
জিসান শা ইকরাম
ছাত্র জীবনের আইডিয়া এই বুড়ো বয়েসেও কাজে লেগেছে এটাই শান্তি।
ভ্রমনে গেলে আমার মানুষের কথা মনে থাকে স্থানের চেয়ে বেশি।
ভাল থাকুন অলিভার।
শুন্য শুন্যালয়
এই যে ভাইজান, ড্যাস ড্যাস ভাইয়াকে একটু বলেন, আমার অদেখা মন্তব্যে ইঞ্জা ভাইয়া এক মন্তব্য দিয়েছে, সেটা কিছুতেই সরছেনা। তাই সব জমা হয়ে গেছে। 🙁 কি পঁচা একটা ব্লগ :p
জিসান শা ইকরাম
বলে দিছিলাম ড্যাস ড্যাস ভাইকে, ঠিক হয়েছে না?
ইচ্ছে করে এমন পঁচা করেই নাকি বানিয়েছে এই ব্লগ 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ ঠিক হয়েছে, বাতাসের মাধ্যমে খবর পেয়েছি ড্যাস ড্যাস ভাই নিজে সময় নষ্ট করে, কষ্ট করে আমারে এই ঝামেলা থেকে মুক্ত করেছে, তারে আমার লম্বা একটা থ্যাংকস দিয়েন। 🙂
আমি পঁচা ব্লগ ভালো পাই। 🙂
জিসান শা ইকরাম
যাক মুশকিল আছান হইছে এতেই খুশি 🙂
ইঞ্জা
যাদের বিদেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বেশি তারাই শুধু জানতে পারেন সেই সব প্রবাসীরা কেমন আন্তরিক, যে আন্তরিকতা আমাদের দেশের যান্ত্রিক জীবনে খুব কমই দেখা যায়। আমার অভিজ্ঞতা সামান্য শেয়ার করি আপনার সাথে, ইতালির মিলান শহরে আমার হোটেলের পাশেই এক ভাইয়ের ছোট্ট ইমিটেশনের দোকান ছিল আর হটাৎ করেই পরিচয় আর সেই সুত্রেই জানলেন পাশের হোটেলেই আছি, সারাদিন কাজের ব্যস্থতা আর রাতের ডিনার সাপ্লাইয়ারের সাথে সেরে যখন অনেক রাতে ফিরে আসি হোটেলের সামনে দেখি দশ বারো জনের জঠলা আর আমাকে দেখে হই হই রই রই রব, সবাই এসে ঘিরে ধরেন আমাকে, প্রথমে ভয় পেলেও পরে সকালের পরিচিত ভদ্রলোককে দেখে ভয় কাটলো, সবাই আমাকে নিয়ে গেলো হোটেল রেস্টুরেন্টে আর সেকি জম্পেশ আড্ডা, পরেরদিন সকালে ছুটির দিন বলে সবাই হাজির যার যার বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, শেষ পর্যন্ত সবাইর বাসায় দুপুর রাতের দাওয়াত খাওয়া ছাড়া আসতেই পারলাম না। 🙂
আপনার কিম ভাইয়ের মতো প্রবাসী সকল ভাইকে আমার স্বশ্রদ্ধ সালাম আর শুভকামনা। 🙂
জিসান শা ইকরাম
ইঞ্জা ভাই, ইতালির কথা শুনে ভাল লাগলো।
প্রবাসের বাঙ্গালীরা দেশের কাউকে পেলে যেন চাঁদ হাতে পায়,
এদের আন্তরিকতার কথা ভোলা যায় না।
ইঞ্জা
ঠিক বলেছেন।
মিষ্টি জিন
এশিয়ার কয়েকটা নাক বোচাদের দেশে আমি থেকেছি। কিন্তু কোরিয়ায় কখন ও যাওয়া হয় নাই। তেমন একটা জানিও না এদের ব্যাপারে। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবো আশাকরি। মাঝে মাঝে বিদেশিদের সাথে যখন ইংলিশ বলেও কিছু বোঝাতে পারি না তখন দিব্বি বাংলা ঝেডে দেই এবং তাতে
কাজ ও হয় :p প্রমানিত ।
জিসান শা ইকরাম
আপনিও ভ্রম কাহিনী লিখে ফেলুন, আমরা সবাই বিদেশে না গিয়েও দেখি আপনার লেখার মাধ্যমে।
প্রবাসে ভাল থাকুন।
লীলাবতী
ক্যামুন আছুইন জিসান ভাইজান? মানুষে আজকাল একটু নকও দেয়না। কি দিনকাল আইল! জংগি হয়ে গেলাম নাকি?
আমার মোবাইল কই? কিমআবদুল্লাহ ভাইজানকে আহুভেচ্ছা। কিম ভাইয়াকে দেখাবেননা এই লেখা?
সেলফি দেখতে ভালই লাগছে 🙂
জিসান শা ইকরাম
বিজি থাকি খুব, নক দেয়ার টাইম কই?
নাউজুবিল্লাহ জঙ্গি হবেন কেন?
আপনার জন্য তো মোবাইল কিনি নাই, কিনেছি আমার জন্য আর আপনার ভাবির জন্য।
কিম ভাইকে লেখার লিংক দিয়েছি, সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
নাসির সারওয়ার
কিছু মানুষ দেখলেই কেমন জানি আপন আপন মনে হয়। আপনি সৌভাগ্যবান, এই মানুষদের সাথে আপনার দেখা হয় বেশী। আসলে ভালো মানুষগুলো ভালো মানুষই খুজেঁ পায়।
কিম নামের এই ভালো মানুষটাকে সোনেলায় দাওয়াত।
সহজ ভাষায় কত সুন্দর লেখা। কবেযে আমি এরকম লিখতে পারবো!
জিসান শা ইকরাম
আমি অবশ্যই সৌভাগ্যবান যে এই জীবনে বহু ভাল মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে।
লিংক পাঠিয়েছি কিম ভাইকে, শুভেচ্ছা দিছে সবাইকে।
এমন লেখা আপনার লিখতে হবেনা, এটি কোন ল্যাখা না, আজাইর্যা প্যাচাল 🙂
অপার্থিব
বাঙ্গালীর বিদেশে গেলে সাধারণত মন মানসিকতা উদার হয়। ভিন দেশীদের মধ্যে হঠাৎ বাংলাদেশী কাউকে পেলে তারা আপ্লুত হয়। লেখা ভাল লেগেছে।
জিসান শা ইকরাম
আপনার বিশ্লেষণ সত্যি, এমন উদারতার পরিচয় পেয়েছি আমি অনেক।
শুভ কামনা।
খেয়ালী মেয়ে
ভীনদেশে দেশীয় আন্তরিক কাউকে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার,,,
বাই দ্যা ওয়ে ক্যামুন আছুইন ভাইজান?
জিসান শা ইকরাম
আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার
ভাল আছি,
ক্যামুন আছুইন বুজান?
অনেক দিন পরে পরীকে দেখে ভাল লাগছে খুব -{@
খেয়ালী মেয়ে
আমিও ভালো আছি 🙂
জিসান শা ইকরাম
পরীর নতুন লেখা পড়তে চাই।
মোঃ মজিবর রহমান
এতো মাথায় কেমনে ধরে ভাইয়া।
আপনার ঘেলু ধার লইতে হবেই দেখছি।
ভাল লাগলো ভ্রমন আরও অনেক কিছু।
-{@
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আচ্ছা ঘিলু ধার নয়, ভারা দিতে রাজী আছি 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
ভাড়া লয়েনের টেকা পামু কই।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের অর্থমন্ত্রী আছে না?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কিম আব্দুল্লাহ ভাই
লেখার নাম করন ভাজরঙ্গি ভাইজানের মতো কিম আব্দুল্লাহ ভাই জান হতে পারত।সুন্দর অভিজ্ঞতা -{@
জিসান শা ইকরাম
ভজরঙ্গি ভাইজান! হা হা হা হা , হতে পারতো তা।