
স্বপ্নের অগোচরে ভেসে উঠে একটি নাম
কোটিপতি ড্রাইভার তোমায় হাজার সালাম।
শ্বেত শুভ্র পোষাকে তোমার অনেক ডাক নাম
কোটিপতি দাতা তুমি তোমার অনেক সুনাম।
পাড়ার মন্দির মসজিদে তুমি বড় দাতা
মানুষের বিপদে ছিলে তুমি বড় ত্রাতা।
বেরসিক পুলিশ দেয় তোমার কোমরে দড়ি
মিডিয়া চ্যানেল গুলি হাটে ভাঙে হাড়ি।
তোমার তদবিরে শ্রমিকের খুলে যেত কপাল
নগদ নারায়নে মনে হতো টাকা তুমি হালাল
লাইসেন্স ধারী হলে হতে তুমি রিক্রটিং এজেন্ট
তোমার বেলায় তুমি হলে দুর্নীতির দালাল।
তোমার উত্থান দেখে মানুষের চোখ উঠে কপালে
সমাজের কদর তোমার তুমি কেমন ড্রাইভার হলে ?
দরোজা খুলে দিয়ে মনিবকে দিতে তুমি সালাম
তুমি আজ ক্রোড়পতি তাই দাও ঈদ-ই সালাম।
প্রজন্ম ভাবে বসে ক্রোড়পতি হবে
লেখাপড়া বাদ দিয়ে ড্রাইভার হবে।
ড্রাইভারী করে যদি গাড়ী বাড়ি হয়
লেখাপড়া করে আর কেরানী নয়।
তুমি আজ বলে বেড়াও তুমি শুধু নও
শত সহস্র খুঁজে পাবে যদি চোখ বুলাও।
লাটির বাড়িতে যারা টাকা করেছিল সাদা
তারা ছিল মাফিয়া ডন দুর্নীতির দাদা।
সুসময়ের বন্ধু যারা ছিল তোমার পাশে
তোমার কোমরে দড়ি তাই তারা মুচকি হাসে।
পাপের বোঝা আজ ভারী হয়ে আসে
তোমার পরিণতি দেখে আজ বিধাতা ও হাসে।
কালো টাকা সাদা নয় বাজেয়াপ্ত হোক
দুর্নিতি আর নয় সচ্চতায় আনা হোক।
দুষিত পরিবেশ নয় আর নির্মল হোক
ঘৃণার আগুনে পুড়ে প্রায়শ্চিত্ত হোক।
২৪টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর যদি শতকোটি থাকে তাহলে তার উপরে আরো কি বেহাল দশা । ঘৃণা জানাই যারা জণসাধারণের সম্পদ কুক্ষিগত করছে ।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
কাদের নাম বেঁচে দালালী করেছে
নাকি কোন শ্রেনীর মানুষ তাকে ধরে স্বার্থ হাসিল করেছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার ————
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে
ছন্দে ছন্দে রচিত কবিতা দারুণ
আহা! সাদাসিধে ভদ্রলোক
দেখে যেন মনে হয় ভেজা বিড়াল
চমৎকার উপস্থাপন দাদা
ভালো থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু। এরকম শত সহস্র আছে।
এটাকে ঘুষ বলি আর বকশিষ বলি কিংবা দালালি
সব অবৈধ টাকা।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আর সরকারের জবাবদিহিতা কমে গেছে বলে মনে হয়।
সমসাময়িক পোস্ট। ভালো লাগলো
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু সরকার বলেন আর
মানুষের বিবেকের জবাবদিয়িতা বলুন
সব কমে গেছে। সবাই লোভে টাকার পিছনে ছোটে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
একদম ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
সরকার মুখে বলে জিরো টলারেন্স
ভিতরে দেয় চুরি কর কামায় জনতা দেবে ট্যাক্স
ভ্যাট দেয় ফকির মিসকিন খায় ধনীর দুলাল
মুখে বলে চোর ধর ভিতরে বলে মার খাও।
সবসালার খমতাবাদির একই ধান্দা খাও দাও ফুর্তি কর।
সময়যোগি দারুন। লিখেছেন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।
এ রকম শত সহস্র আছে। সেজন্য সবশেষে প্রস্তাবনা ও আছে।
তোমার তদবিরে শ্রমিকের খুলে যেত কপাল
নগদ নারায়নে মনে হতো টাকা তুমি হালাল
লাইসেন্স ধারী হলে হতে তুমি রিক্রটিং এজেন্ট
তোমার বেলায় তুমি হলে দুর্নীতির দালাল।
তুমি আজ বলে বেড়াও তুমি শুধু নও
শত সহস্র খুঁজে পাবে যদি চোখ বুলাও।
লাটির বাড়িতে যারা টাকা করেছিল সাদা
তারা ছিল মাফিয়া ডন দুর্নীতির দাদা।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
তবে সকলের বিচার নিজের নিকট। আমরা সৃষ্টিকর্তাকে মানলে তাকে হিসেব দিতেই হবেই হবে দাদা।
সবাইকে ফাঁকি দিলেও তাঁকে ফাকি দেওয়া সম্ভব নয়।
কামাল উদ্দিন
প্রজন্ম ভাবে বসে ক্রোড়পতি হবে
লেখাপড়া বাদ দিয়ে ড্রাইভার হবে।
ড্রাইভারী করে যদি গাড়ী বাড়ি হয়
লেখাপড়া করে আর কেরানী নয়।
…………দুর=দান্ত বলেছেন দাদা, ড্রাইভারি করাই ভালো।
সুপায়ন বড়ুয়া
সবার দ্বারা সব কাজ হয় না ভাই।
সবাই তো আর চুরি চামারি বাটপারি
করতে পারে না।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মোঃ খুরশীদ আলম
নীতি নৈতিকতা শূণ্যের কোঠায়! আমি এই আলোচিত ব্যক্তির অপরাধের পাশাপাশি তাদের অপরাধকে মূখ্য করে দেখি যারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এর বা এদের মতো লোকদের কাছে ধরা দেয়। ঘুষ কোন ঘুষখোর ঘুষদাতার বাসায় গিয়ে চায় না। বরং ঘুষ দাতারা ঘুষখোরকে তেল মালিশ করে কাজ হাসিলের জন্য। কতো কতো লোক আলোচিত ব্যক্তির পায়ের কাছে পড়ে থাকতো আজ তারাও নাক সিটকায়। যারা ঘুষ খায় তারা অপরাধি, দুর্নীতি করে যারা কালো টাকার মালিক হয় তারা অপরাধি কিন্তু এর নেপথ্য নায়কদেরকে ভুলে গেলে চলবে কেন?
চাকরীর বাজার দেখেন, আমরা মুখে নৈতিকতার কথা বলি। কিন্তুু চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে দেখবেন একটি পদের বিপরীতে হাজার দরখাস্ত পড়েছে। আবার যে কোন মূল্যে চাকরী পাওয়ার জন্য অবৈধ তদবিরকারীও কম নয়। ওদের বলতে শুনি “ টাকা কাকে দেব, যদি মেরে খায়, চাকরি না দেয়।” এর অর্থ হচ্ছে উৎকোচ দিতে রাজি যদি চাকরির নিশ্চয়তা পায়। ঘুষখোর ঘুষ খায় কিন্তু যারা ঘুষ দেয় তারা কোন রাজ্যের সাধু? এটা আমার জানা নাই।
উৎকোচ যদি আমরা না দেই, আমরা সাধারণ জনগন যদি শক্ত হয়ে বলি ঘুষ দেব না দেখি আমার কাজ কেমনে না হয়। এভাবে আমি, আপনি, আমরা সবাই যদি ঘুষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই আর জান গেলেও উৎকোচ না দেই তবে আলোচ্য ব্যক্তিদের কবর রচিত হবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে, সমাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তাই এক চোখা বিচার না করে মুদ্রার উভয় পাশ বিবেচনা করা উচিত। ধন্যবাদ, সুস্থ থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনার সাথে একমত পোষন করছি।
আপনি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
“তুমি আজ বলে বেড়াও তুমি শুধু নও
শত সহস্র খুঁজে পাবে যদি চোখ বুলাও।
লাটির বাড়িতে যারা টাকা করেছিল সাদা
তারা ছিল মাফিয়া ডন দুর্নীতির দাদা।”
তাই সব শেষে আমার প্রস্তাবনা ও আছে।
কালো টাকা সাদা নয় বাজেয়াপ্ত হোক
দুর্নিতি আর নয় সচ্চতায় আনা হোক।
দুষিত পরিবেশ নয় আর নির্মল হোক
ঘৃণার আগুনে পুড়ে প্রায়শ্চিত্ত হোক।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহের উপর কবিতাটি সময়পোযোগী হয়েছে। তবে এই সকল ড্রাইভারদের পিছনে লোকদের বের করতে হবে। নইলে যে লাউ সেই কদু।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
এটা হয়ত তারি অংশ বিশেষ।
কার ইন্ধনে বা সহযোগীতায় কাজ করেছে
তাও বের করার জন্য। এক ঢিলে শত পাখি মারার কৌশল ও হতে পারে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রতিটি সেক্টরে, প্রতিটি ধাপে দুর্নীতি, ঘুষখোর দের দৌরাত্ন্য।যে যেভাবে পারছে লুটেপুটে খাচ্ছে সাধারণ মানুষের হক।ভাবা যায় একজন গাড়িচালকের এই পরিমাণ সম্পত্তি! তাহলে উপরে যারা আছেন তাদের কি অবস্থা? বরাবরের মতই অসাধারণ লিখেছেন দাদা। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত দিদি।
৮২ সালের প্রোথিত বীজ কেমনে উৎপাটন হবে জানি না। আজ সরকার ০ টলারেন্স নীতিতে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। ড্রাইভার একটা প্রতীক মাত্র।
তাই প্রস্তাবনা ছিল।
কালো টাকা সাদা নয় বাজেয়াপ্ত হোক
দুর্নিতি আর নয় সচ্চতায় আনা হোক।
দুষিত পরিবেশ নয় আর নির্মল হোক
ঘৃণার আগুনে পুড়ে প্রায়শ্চিত্ত হোক।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা স
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর কাব্যিক উপস্থাপন।
এটি আমাদের দুর্ভাগ্যের প্রতিচ্ছবি।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন ভাই ৭৫ ও প্রোথিত শিকর
উপড়ানো বড় দায়। তাই প্রস্তাবনা ছিল।
কালো টাকা সাদা নয় বাজেয়াপ্ত হোক
দুর্নিতি আর নয় সচ্চতায় আনা হোক।
দুষিত পরিবেশ নয় আর নির্মল হোক
ঘৃণার আগুনে পুড়ে প্রায়শ্চিত্ত হোক।
ভাল থাকবেন ভাইজান। শুভ কামনা।
তৌহিদ
এদেশে এরকম লোকদের জন্য সমস্ত ভালো কাজগুলি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। টপ টু বটম প্রত্যেকের জবাবদিহিতা থাকলে আজ এ অবস্থা হতোনা।
চমৎকার লেখায় সত্য কিছু তেতো কথা ফুটে উঠেছে। ভালো লাগলো পড়ে।
শুভকামনা জানবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
তাই লেখার শেষে প্রস্তাবনা ছিল।
জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সব সম্পদ রাষ্টের অনুকুলে
বাজেয়াপ্ত করলে। সবাই সোজা হয়ে যাবে।
সাময়িক অর্থনীতি স্থবির হতে পারে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।