ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ হিংসুটে বদমায়েশ,স্বনিয়োজিত
বদ-নজরে কোতোয়াল, কেঁদেকেটে বিলাপ!
এমন শীত পেরিয়ে এসেছে/যাচ্ছে
সবুজের বনভূমি, সাধুতা ও মেধা নিয়েই।
শীত-যাতনার কথা ভুলে;
এই যে বিস্তীর্ণ সোনা সোনা-ধানের
হাতছানি কৃষকের ডেরায়।
আসন্ন উন্মুখ হৃদয় দীক্ষা নেয় দীক্ষা দেয় বদলে ফেলা সময়ের বসন্ত ডাকে।
পুরনো কালে নূতন করে কেউ কী শুনতে পাচ্ছি বসন্ত-ডাক?
বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের প্রগাঢ় প্রাণে?
সুবেহ সাদিকের কোকিল ডাকে জাঁকজমকের চাঁদমুখ বসন্ত আগমনী!!
ভালোবাসা-বাসির অকাল/আকাল/বৈধব্যে,
এ-ও-বা কম কীসে!!
১৮টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার কোকিলের ডাক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
সাবিনা ইয়াসমিন
নিন, এটা আপনার জন্য খুঁজে এনেছি 😉
সাহেব কহেন, চমৎকার! সে চমৎকার!
মোসাহেব বলে, “চমৎকার সে হতেই হবে যে!
হুজুরের মতে অমত কার?
সাহেব কহেন, কী চমৎকার,
বলতেই দাও, আহা হা!
মোসাহেব বলে, হুজুরের কথা শুনেই বুঝেছি,
বাহাহা বাহাহা বাহাহা!
সাহেব কহেন, কথাটা কি জান? সেদিন –
মোসাহেব বলে, জানি না আবার?
ঐ যে, কি বলে, যেদিন –
সাহেব কহেন, সেদিন বিকেলে
বৃষ্টিটা ছিল স্বল্প।
মোসাহেব বলে, আহা হা, শুনেছ?
কিবা অপরুপ গল্প!
সাহেব কহেন, আরে ম’লো! আগে
বলতেই দাও গোড়াটা!
মোসাহেব বলে, আহা-হা গোড়াটা! হুজুরের গোড়া!
এই, চুপ, চুপ ছোঁড়াটা!
সাহেব কহেন, কি বলছিলাম,
গোলমালে গেল গুলায়ে!
মোসাহেব বলে, হুজুরের মাথা! গুলাতেই হবে।
দিব কি হস্ত বুলায়ে?
সাহেব কহেন, শোনো না! সেদিন
সূর্য্য উঠেছে সকালে!
মোসাহেব বলে, সকালে সূর্য্য? আমরা কিন্তু
দেখি না কাঁদিলে কোঁকালে!
সাহেব কহেন, ভাবিলাম, যাই,
আসি খানিকটা বেড়ায়ে,
মোসাহেব বলে, অমন সকাল! যাবে কোথা বাবা,
হুজুরের চোখ এড়ায়ে!
সাহেব কহেন, হ’ল না বেড়ানো,
ঘরেই রহিনু বসিয়া!
মোসাহেব বলে, আগেই বলেছি! হুজুর কি চাষা,
বেড়াবেন হাল চষিয়া?
সাহেব কহেন, বসিয়া বসিয়া
পড়েছি কখন ঝিমায়ে!
মোসাহেব বলে, এই চুপ সব! হুজুর ঝিমান!
পাখা কর, ডাক নিমাইএ
সাহেব কহেন, ঝিমাইনি, কই
এই ত জেগেই রয়েছি!
মোসাহেব বলে, হুজুর জেগেই রয়েছেন, তা
আগেই সবারে কয়েছি!
সাহেব কহেন, জাগিয়া দেখিনু, জুটিয়াছে যত
হনুমান আর অপদেব!
হুজুরের চোখ, যাবে কোথা বাবা?
প্রণামিয়া কয় মোসাহেব।।
কাজী নজরুল ইসলাম
====
ছাইরাছ হেলাল
কপি-পেস্ট সুন্দর হইছে। চালু রাখুন।
ধন্যবাদ দিলাম।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সুন্দর আগমনী বার্তা — সুবেহ সাদিকের কোকিল ডাকে জাঁকজমকের চাঁদমুখ বসন্ত আগমনী!!
ভালোবাসা-বাসির অকাল/আকাল/বৈধব্যে,
এ-ও-বা কম কীসে!!
ছাইরাছ হেলাল
বসন্ত আসে কুহকের মত বছরান্তে, তবুও আসে, এটি ই শান্তনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
পুরাণ কালে নতুন বসন্তের আগমনী ডাক শোনার অনেকেই আছে,
তবে কেউ কেউ ইচ্ছে করে সে ডাক শুনতে চায় না,
কোকিল আসুক বসন্তের বার্তা নিয়ে অবশ্যই।
অপেক্ষায় থাকি আমরা,
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকি আর ফিৎনা নিয়ে এলেও বছরান্তে আমরা প্রকৃত বসন্তের অপেক্ষায় থাকি।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
তৌহিদ
বসন্তের কোকিল আর কোকিলের ডাক শোনা মানুষ কালভদ্রে দেখা দিলেও কিছু সময় নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় সেসব এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। কোকিলের কুহুতানে মুখরিত হোক স্বচ্ছ ভাবনাগুলো।
বসন্ত আসুক নতুনের আগমনী বার্তা নিয়ে। শুভকামনা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
কোকিলের ডাক সবার জন্য আসে না, এলেও শুনতে পায় না।
বসন্ত আমাদের আত্মীয় হয়ে দেখা দিক, আততায়ী না হলেই বাঁচি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আরজু মুক্তা
“আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়া দিলো রে মরার কোকিলে”—- এমন হলে মহা মুশকিল। কোকিল বসন্তের বারতা নিয়ে মহাসমারোহে আসুক।” বসন্ত জাগ্রত দুয়ারে “!
আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠুক পত্রপল্লব, কুঁড়ি, আর পাখির কলতান।
ছাইরাছ হেলাল
এমন বসন্ত সারা বছর নির্ঘুম রাখলেও না-বলছি না।
কল্পনা আর বাস্তবতা খুব রেশারেশি করে।
ভাল থাকবেন।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
বিশ্বস্ত আত্মার বন্ধনে ক্ষণে ক্ষণে কোকিল ডাকে
আর বসন্ত তো সারা বছরই।
মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা অন্তহীণ।
ছাইরাছ হেলাল
বিশুদ্ধ ডাকের কোকিল বিরলপ্রজ সময়ের যাঁতাকলে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বসন্ত এসেই গেছে বলে মনে হচ্ছে। এই আকালে যে ফাটাফাটি মন্তব্যের ছড়াছড়ি। আসুক বসন্ত অপেক্ষায় রইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনই ই নাই হয়ে আছেন!
কে আর কোথায় কাকে ফাটায়!!
অবশ্যই বসন্ত এসেছে, দাঁত মুখ খিঁচিয়ে।
নিয়মিত লিখতে শুরু করুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ হিংসুটে বদমায়েশ,স্বনিয়োজিত
বদ-নজরে কোতোয়াল শীতরে এভাবে উপমা বিশিষ্ট করলেন!! বসন্ত এসেই গেল কোকিল ডাকুক আর নাই ডাকুক। চমৎকার লাগলো কবিতা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম। শুভ সকাল ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
বসন্ত তলে তলে খুব খারাপ, উপরে বাসন্তী রঙ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়!!
সাবধানী শুভেচ্ছা আপনাকেও।