এক তট থেকে অন্য তটে ভিন্ন পথে, ভিন্ন-ভিন্ন পথে
গন্তব্যের অভিন্নতায় শুধুই অহেতুক ঘুরপাক,
সেই-ই এক থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়;
কেঁদো হিংসে আর অকৃতজ্ঞতার;
পিছু নেয়া অন্ধকার প্রহর-অভ্যন্তরে আবার-ও উঁকি দেয়,
পিছু নেয়, নিত্য নূতনের কুহক ছল, সেই পুরানোর পথেই;
বৃন্ত থেকে খসে পড়া কলি ফিরে যেতে পারে-না সেই ফেলে আসা বৃন্তে;
সুন্দর প্রত্যুষের মৈত্রীয় সুবাস আর ভেসে আসে না,
আলো-আধারের বাঁধা ডিঙিয়ে মগ্নতা ছড়ানো মাখামাখি-প্রাণের-আঁচলে;
প্রদীপ প্রান্তে স্পষ্ট ভেদ রেখা আগামীর বসন্তে বসন্তে।
শীত কী শুধুই আটপৌরে নির্বোধ আরামের/সাগর বিচ্ছিন্নতার/অহেতুক হাহাকারের
না-কী মানবীয় মাননীয় কৃতজ্ঞতা বোধের শ্রেষ্ঠত্বে!!
ভোরের শিশির চত্বরে সময়ের সন্ধ্যা ধেয়ে আসে বারে বারে
ফুলেদের বৃন্তে পাপড়িরা হাসে আলো-পাখা গজিয়ে স্বপ্ন-বাহিনীর সাথে,
আয়াসহীন নিমগ্নের এই দূর-স্বপন হেসে ওঠে কুয়াশা-ভোরের সূর্য সকালে।
ছবি নেটের।
২০টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ কবি দা অনেক শীতউষ্ণতার শুভেচ্ছা রইল
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম-পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অনন্য প্রকাশ
ছাইরাছ হেলাল
ব্লগে এমন করে মন্তব্য করা যায় না, ঠিক-ও না।
তৌহিদ
শীত ফিত এসব ব্যাপারনা ভাই, কাজের খাতিরে বেরোতেই হবে। তবে কস্টের ফল তেঁতো হলে মেজাজ বিগড়ে যায় এটাই স্বাভাবিক। তবে শীতের সকালে রোদ্দুর ওম আমার ভালোই লাগে।
শুভকামনা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
শীত উৎরে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের নিয়ম, কে কীভাবে, সেটি অন্য ভাবনা।
ভাল থাকবেন সবাইকে নিয়ে।
খাদিজাতুল কুবরা
আমার সাহস দুঃসাহসে রুপ নিচ্ছে ক্রমশঃ!
দোষ কিন্তু আমার নয়,
আপনার কবিতাটির সৌন্দর্য আমাকে জীর্ণ শীর্ণ শীত পেরিয়ে বসন্ত পর্যন্ত টেনে এনেছে।
বৃন্তচ্যুত ফুল রয়না অক্ষত,
তবুও সুষমা বিলায় পঁচে যাওয়ার আগ পর্যন্ত!
শীতই বয়ে আনে বার্তা মনের কোণে,
ঝরাপাতার মর্মরই শেষ শব্দ নয় আছে বসন্ত!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সোনেলার অতি প্রিয় কবি, আর কবিরা সাহসী-ই হয়/হবেও।
বসন্ত-ডাক আসেই, আমরা শুনি-ও, সারা দেয়ার ভাষা হয়ত আমাদের ভিন্ন-ভিন্ন।
নিরন্তর ভাল থাকবেন এই সোনেলায়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কুহকের ধ্রুম্রজালে , শীতের হিমেল হাওয়ায় আলসেমি ভর করে।
যুগের পর যুগ ধরে ঋতু বদলের ভেলায় শীত আসে , বসন্ত ও আসে, গ্রীষ্মের তাপদাহ আসে, বর্ষার দুরন্তপনায় প্রকৃতি হয়ে উঠে আমাদের আপনজন। বৃন্ত থেকে বিচ্যুতি ঘটেই নতুনের আগমনের বার্তায়, নতুনরে জায়গা দেবার হেতুতে।
চমৎকার কবিতা। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
শীতে হাড় কেঁপে গেলে বুঝতেন, কত ধানে কত চিড়ে !!
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
উপমার শৃঙ্খলে বেশ সাবলিল উপস্থাপন।
মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা অন্তহীণ।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সুন্দর প্রত্যুষের মৈত্রীয় সুবাস আর ভেসে আসে না,
আলো-আধারের বাঁধা ডিঙিয়ে মগ্নতা ছড়ানো মাখামাখির-প্রাণে-আঁচলে;
প্রদীপ প্রান্তে স্পষ্ট ভেদ রেখা আগামীর বসন্তে বসন্তে।***
উপমা সমৃদ্ধ সুন্দর কবিতা। শুভ সকাল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা শুধুই গাঢ় বসন্তের,
ভাল থাকুন আপনিও।
আরজু মুক্তা
শীত হাড় কাঁপানি ঠাণ্ডা দিয়ে কাবু করে ঠিকেই। আবার সোনালি রোদ দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, কতোটা উপকারি সে। টাটকা সবজি শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
জীবনটাও এমনি কষ্ট ও সুখ পালাক্রমে আসে। বুঝিয়ে দিয়ে যায় দুটোই দরকার।
ছাইরাছ হেলাল
শীত প্রেমিদের কত্ত সুবিধে, শীতের ডানায় বসে বসন্তের আগমনী গান গায়।
পালা চাই না, শুধুই বসন্ত চাই।
শীতের শুভেচ্ছা আপনাকে।
মোঃ মজিবর রহমান
কবি মশাই,
থাকে যদি মনবাসনা
শীতে কাপ্পীনা হৃদয়খানা
চঞ্চলো মন চঞ্চলা পথাখানা
ছুটে চলে দিকবিদিক জয়মালা।
ছুটে চলে শীত কি কর্দ্মাক্ত পথ
কাজেই পার হয় তড়িখড়ি মত
যায়না থেকে চলাতর পথ।
ছাইরাছ হেলাল
শীত আসে শীত যায় নিয়ম করে,
শুধু হাড়ের কাঁপনটুকু রেখে যায় সযতনে।
ভাল থাকবেন।
উর্বশী
প্রকৃতির ন্যায় জীবনের গতিপথ বদলাতে পারলেও প্রাপ্তির ছবি কিন্তু একই থাকে,কিছুটা ভিন্ন অনুসরণ মাত্র।
বেশ কিছুদিন পরেই অতি সুন্দর একটি লেখা পড়লাম।যেখানে সচারাচর উপলব্ধির পাশাপাশি কিছু দর্শনের ছোঁয়াও বলা যেতে পারে। লেখায় প্রতিটি লাইনেই বিশেষ ভাবার্থ করা যেতে পারে। এক কথায় বানী চিরন্তনী।
একজন সাধারণ পাঠক হিসাবে ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা সহ সালাম।
ছাইরাছ হেলাল
যে ভাবে যা-ই বলুন না কেন, বলুন,
আপনাকে কিন্তু অনিয়মিত ভাবেও লেখালেখিতে পাচ্ছি-না!!
আনন্দে থাকুন, যেথায় যেমন থাকুন।