
করোনা ভাইরাস vs চীন
সৃষ্টিকর্তার হুকুম হয়েছে,
চীনের মানুষ তোমরা আর অন্যায় করো না ।
আমি বরাবর একটা কথা বলে থাকি, পৃথিবীর সব সময় সমানুপাতিক গতিতে চলতে।
এই পথে চলতে গিয়ে ছোটখাটো সমস্যার সম্মুখীন হলে, পৃথিবী সৃষ্টিকর্তার নিকট আপিল করেন ।
স্রষ্টা তখন সুন্দর ব্যবস্থা করে, যাতে করে পৃথিবীর ভারসাম্য স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।
পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে আজ অবধি সৃষ্টিকর্তা এই কাজ করে আসছে। এর মানে হলো সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীটাকে আরো বেশ কিছুদিন গতিশীল রাখতে চান। পৃথিবী ধ্বংস করতে চাইলে এটা করতেন না ।
আমরা একটু পিছন ফিরে তাকালে দেখতে পাবো স্রষ্টার সুনিপুণ খেলা। পৃথিবীকে সমানুপাতিক অবস্থানে রাখার জন্য ছোটখাটো ধ্বংসের ঘটনা।
নীলনদে ফেরাউন , মশার কামড়ে নমরুদ, নূহ আলাহি ওয়াসাল্লাম এর মহা প্লাবন ।সব গুলো ঘটনা পৃথিবীকে গতিশীল রাখার জন্য।
অনেক দূরে মনে হচ্ছে, রাসুল সাঃ এর যুগে আরবদের অবস্থার দিকে একটু তাকান ।জাহেলিয়াতের যুগে মেয়েদের অবস্থান সবার নিচে ছিল। স্রষ্টা সেই জায়গা থেকে উঠিয়ে তাদের পায়ের নিচে জান্নাত বসিয়ে দিলেন।
অপরদিকে আবুজেহেলের বাড়ি এখনো জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে হাজীদের মলমূত্র সংগ্রহশালা হিসেবে।
আমাদের দেশের কথায় একটু চিন্তা করুন। প্রতিবছর ছোট-ছোট প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে। আমার কাছে মনে হয় এটা সম্পূর্ণ ধ্বংস রক্ষার্থে হালকা শাস্তি দিয়ে মাফ করে দেয়া মাত্র।অনেকটা বলা যায় গরু মেরে জুতা দান। আর এটা না করলে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি সব ধ্বংস হয়ে যেত।স্রষ্টা সব সময় সবকিছু সমান রাখেন।
পালনকর্তা আমাদেরকে খাবারের ব্যাপারে কত সুন্দর পথ দেখিয়ে দিলেন। হালাল ও হারাম বিচার-বিবেচনা করে ভক্ষণ করো অথচ চায়নারা সারা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট রুচিসম্পন্ন।তাদের কাছে সবকিছুই ভোগ যোগ্য। কোন ধরনের বাদ বিচার নেই।
পৃথিবী দেখলেন এই ভাবে চলতে দেওয়া যাবে না আর বেশি সুযোগ দেয়া যাবে না। তাহলে যে পৃথিবী তার সমানুপাতিক গতি হারিয়ে ফেলবে। তাই তো স্রষ্টার নিকট আপিল করলেন আর স্রষ্টা এই ভারসাম্য রক্ষা করার ব্যবস্থা করলেন।
আমি গবেষক নই, লোকমুখে কথিত গল্প করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে সামান্য প্রাণী বাঁদুড় থেকে। কতটুকু সত্য তা আমার কাছে জানা নেই তবে এটা সত্য এবং বাস্তবতার সাথে মিল আছে যে, চীনে সাধারণত পর্দা করা নিষিদ্ধ,হিজাব ব্যবহার নিষিদ্ধ তাই তো স্রষ্টা সেখানে মুখ ডেকে রাখার ব্যবস্থা করলেন।
মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক করলেন !
২০টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
আপনার কথা ঠিক আছে খাদ্যে হালাল হারাম এ কারনেই এসেছে।হ্যা আমরাই ক্রমশত পৃথিবীর ভারসম্যতাকে হুমকির মুখে দিচ্ছি।এ থেকে বাচতে এখনি আমাদের সতর্ক হতে হবে। দারুণ পর্যবেক্ষন।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয় মতামত প্রকাশের জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয়
সুরাইয়া পারভীন
বাহ্ দারুণ লিখেছেন।
হুম হালকা দুর্যোগ দিয়ে ভয় দেখিয়ে বড় শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করেই প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখেছেন।
নিরব সাগর
আমার কেন যেন তাই মনে হয়।
ইঞ্জা
দুঃখজনক, আপনার সাথে একমত হলাম ভাই।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই
নিরব সাগর
শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও।
ত্রিস্তান
এইতো ইতিপূর্বে চায়না নাকি ঘোষণা দিয়েছিলো ওরা পবিত্র কুরআন কে আধুনিকায়ন করবে !!! বাপরে কতো বড় সাহস, যাই হোক, এই মুহূর্তে আবেগ প্রবণ হওয়া যাবে না। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। চায়নিজ রা যদি অন্ধকারে থাকে তার দায় আমাদের ও আছে। কেননা মুসলিম হিসেবে প্রতিটি মুসলমান ই একেকজন দায়ী। তাদের কাছে ইসলাম কে তুলে ধরতে না পারাটাই আমাদের ব্যর্থতা। মহান আল্লাহ পাক সবাইকে ক্ষমা করে দিন। আমীন।
নিরব সাগর
আমাদের ব্যর্থতা থাকতে পারে, তবে ওরা কিন্তু অশিক্ষিত নয়। যা হোক সব মিলেই তো পৃথিবী।
ফয়জুল মহী
সুন্দর উপস্থাপন । বেশ ভালো লাগলো ।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয় প্রশংসা করার জন্য।
এস.জেড বাবু
গভীর চিন্তাশক্তি ভাইজান।
অপূর্ব সমন্বয় করলেন সৃষ্টি, স্রষ্টা আর চলমান রহস্যের।
হ্যাঁ, ভারসাম্য রক্ষা করতে দিয়েই বিধাতা এমনটা করছেন।
অল্প সময় আমি একটা চাইনিজ কমিউনিটির খুব কাছাকাছি ছিলাম, এটা সত্য যে ওদের বাছ/বিচার বলতে কোন কিছুই নেই, সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে এদের ধর্মের কোন ধর্ম (আগা/গোড়া) নেই। যদিও ভাষাগত দুর্বলতায় ওদের প্রতি আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা।
ভালো লাগলো লিখাটা।
নিরব সাগর
প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার প্রতি ।
আরজু মুক্তা
একদম ঠিক। ভারসাম্য দরকার।
নিরব সাগর
এইটা হলো স্রষ্টার সুনিপুন খেলা। সাম্য প্রতিষ্ঠা তাঁর সদ্বা কাম্য।
সঞ্জয় মালাকার
আপনার কথা ঠিক আছে খাদ্যে হালাল হারাম এ কারনেই এসেছে।
ভারসাম্য দরকার।
নিরব সাগর
প্রশংসা করার জন্য কৃতজ্ঞ প্রিয়।