সপ্তাহব্যাপী এক কোটি প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে আগামী ০৭ আগস্ট ২০২১ দেশে পরীক্ষামূলক একদিন করোনা ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হতে যাচ্ছে। টিকা মজুদ থাকা সাপেক্ষে আগামী ১৪ আগস্ট থেকে এই ক্যাম্পেইন প্রতিদিন নিয়মিত চলবে। টিকা প্রাপ্য সবাইকে এই টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এমন উদ্যোগ অবশ্যই আমরা সাধুবাদ জানাই।

তবে আমরা কোয়ান্টিটির পাশাপাশি কোয়ালিটিও মেইনটেইন করতে চাই। অর্থাৎ টিকা কেন্দ্রে গণমানুষের যতই ভিড় হোক আমরা চাই প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মী যেন অবশ্যই দক্ষতা এবং আন্তরিকতা দিয়ে এই কাজটি সুসম্পন্ন করেন। এরজন্য আমাদেরকেও তাদের সহযোগীতা করতে হবে।

এই কথাটি বলার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের স্বাস্থ্যখাতে জনবল কম। তবে এই জনবল দিয়েই কিন্তু আমরা প্রথম থেকেই করোনা মোকাবেলা করছি এবং নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সেবা দিয়ে আসছি। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ টিকাকেন্দ্রে সকল নিয়ম মেনে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা নিন। একটি সামান্য ভুল অনেক বড় ক্ষতির কারন হতে পারে।

যারা ধৈর্য নিয়ে মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তাদের কাছে যখন টিকা নিতে আসবেন যে বিষয়গুলি নিজে থেকেই বলবেন-

- আপনি টিকা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন কি না? কারন নানা ধরনের তথ্য, আলোচনা ও বিভ্রান্তি পাশ কাটিয়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অবশেষে স্বাস্থ্য বিভাগ আপাতত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও নিবন্ধন ছাড়া কাউকে টিকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখছে। ওই সিদ্ধান্ত ধরে আগামী শনিবার সারা দেশে শুরু হচ্ছে করোনার (কভিড-১৯) বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি।

শনিবার এক দিনে সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্রে ২০০ জন করে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এরপর সাত দিন এই কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। ১৪ আগস্ট থেকে পুরো কর্মসূচি আবার শুরু হবে। শনিবার শুধু বয়স্ক, অগ্রাধিকার পাওয়া প্রতিবন্ধী ও অসুস্থদের টিকা দেওয়া হবে।

- রেজিস্ট্রেশন করার পরে কেউ করোনা পজিটিভ হলে করোনা নেগেটিভ স্যাম্পল দেয়ার দিন থেকে ৬-৮ সপ্তাহ বিরতি নিয়ে তারপরে টিকা দিন।

- টিকা দেয়ার দিন হতে বিগত কিছুদিনের মধ্যে জ্বর, সর্দি হয়ে থাকলে টিকা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মীকে বিষয়টি অবহিত করুন। কারন, আপনার জ্বর হয়েছে ভালোও হয়ে গিয়েছেন, কিন্তু সেটি যে করোনা সংক্রমণ ছিলো তা পরীক্ষা না করার কারনে আপনি হয়তো নিজেও জানতেন না।

এছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন- এ্যাজমা, রক্তচাপ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস সহ প্রভৃতি অন্যকোন রোগের কোন ঔষধ গ্রহণ করছেন কিনা তাও স্বাস্থ্যকর্মীকে জানান।

কখনওই ভাববেননা যে আপনি টিকা দিতে পারবেন না বা আজ আপনার টিকা গ্রহণ সম্পন্ন না হলে পরবর্তীতে আর দিতে পারবেন না। টিকা আপনি পাবেনই। তবে সেটি যেন স্বাভাবিক প্রকৃয়ায় মাধ্যমে আপনি গ্রহণ করছেন সেদিকে বিশেষ দৃষ্টিপাত করুন।

- টিকা দেয়া হলে কেন্দ্রের পাশেই অন্তত আধাঘণ্টা বিশ্রাম নিন এরপরে বাসায় আসুন।

পরিশেষে একটি কথা, অনেক কাজের চাপে একজন স্বাস্থ্যকর্মীর পক্ষে উপরোক্ত বিষয়ের সবগুলোতে নিজর দিতে ভুলে যেতেই পারেন। তাই নিজ উদ্যোগেই সকল তথ্য দিয়ে তাদের সহযোগীতা করুন।

শুরু হচ্ছে মাঠপর্যায়ে করোনা টিকাদান কর্মসূচি

করোনা টিকাদান কার্যক্রমের সফলতা কামনা করছি।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ