করোনা ছুটির প্রথম দিনে

কামাল উদ্দিন ২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ০৫:১২:৪৬অপরাহ্ন সমসাময়িক ২২ মন্তব্য

২৬ তারিখ সারাদিন বাড়ি থেকে বের হইনি। অফিসের কিছু কাজ পেনডিং ছিল বলে বিকেল বেলা বের হলাম। বাড়ির সামনের রাস্তা দেখলাম লোকে লোকারণ্য। কাজ নেই তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। হাইওয়েতে উঠে দেখলাম শুনশান, দুয়েকটা বাইক ছাড়া কিছুই নজরে পড়লো না। অফিসের সামনের ডিসপেনসারিটা খোলা, মালিককে পেলাম পাশের কনফেকশনারী দোকানে। বুঝলাম বাংগালী কোয়েরান্টাইন এমনি হয়।

ভাবছিলাম পাশের চায়ের টং দোকানটা থেকে একটা চা খেয়ে অফিসে ঢুকে পড়বো। কিন্তু হায়! দোকানটা বন্ধ। অন্য সময় এই টং দোকানে জগতের সমস্ত আইনস্টাইন নিউটন আর্কিমিডিসদেরকে পাওয়া যায়, যারা চায়ের সাথে সাথে আমাদের মতো দীনহীনদের পৃথিবীর তাবৎ সমস্যার সমাধান নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন। সরকার যদি এই ডাউলোড না সাডডাউন কি যেন নাম, এটা যদি না দিতো। আমি নিশ্চিৎ বিশেষজ্ঞরা (বিশেষ+অজ্ঞ) করোনাকে ঝেটিয়ে বিদায় করার একটা ব্যবস্থা করে ফেলতো এই সময়ে। অবশ্য সরকারের ডাউনলোড থেরাপির আগেই ওনাদের মতো কিছু আর্কিমিডিসদের মাধ্যমে থানকুনি পাতা ছাড়াও করোনার বিরুদ্ধ ভাইরাস আবিস্কারের ফর্মুলটা অনলাইনে ব্যপক প্রচার পেয়ে গেছে।

যাক এসব নিয়ে বেশী না ভেবে অফিসে ঢুকে পড়াটাই মনে হয় শ্রেয় হলো। দেশে কোন হরতাল অবরোধ নাই অনেক দিন হলো। পুলিশ ভাইদের জীবন হয়ে গেছিল একেবারে নিরামিষ। দীর্ঘদিন পরে করোনার উছিলায় তাদের অভুক্ত লাঠি খোঁজ পেয়েছে জনগনের সেই পুরনো পশ্চাদদেশ! করোনা বিদায় হওয়াটা বড় কোন ব্যাপার না, ওনাদের প্র‌েক্টিসটা তো সেরে নেয়া গেল। ওনাদের প্রেক্টিসটা আর দীর্ঘায়িত করার সুযোগ না দিয়ে আমি অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়লাম।

ছবিঃ গুগুল মামুর বদান্যতায়

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ