আমার জীবনে বড় বড় এমন কোন ইচ্ছে কখনওই ছিলোনা যেটা পূরণ না হবার কারনে খুব বেশী কষ্ট পেতে হয়েছে। কারন এই ছোট্ট সময়ে না চাইতেই বিধাতা আমাকে যা কিছু দিয়েছেন তাতেই আমি খুশি। হয়তো এতটুকু পাবার যোগ্যতাও আমার ছিলোনা তবুও তিনি দয়াপরবশ হয়ে দিয়েছেন।

ছোটছোট অনেক ইচ্ছে কিছুদিন আগেও মনে পুষে রেখেছিলাম। ভাবতাম যদি সুযোগ আসে তাহলে সেসব ইচ্ছে পূরণ করবো। করোনার এই বিষণ্ণ সময় ঠিকঠাক পার হতে পারলে হয়তো সে সুযোগ আসবে।

তবে সে সুযোগ যদি আর নাও আসে তাতেও কোন দুঃখ নেই। কারন আমার চেয়ে অনেক অসুখী মানুষ চারপাশে দেখছি যারা একবেলা খাবারের জন্য দ্বারেদ্বারে ঘুরছে। কত মায়ের কোল খালি হতে দেখছি, কত বাবাকে নিজ হাতে তার শিশু সন্তানকে  শেষবারের মত বুকে জড়িয়ে কবরে শোয়াতে দেখছি। তাদের সেই বেদনাময় অশ্রুর কাছে আমার পূরণ না হওয়া ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ইচ্ছেগুলো কিছুই নয়।

করোনায় ঘরবন্দি দরিদ্র অসহায়দের সাহায্যের জন্য সরকারি ত্রাণ লুট করছে অনেকেই। ধরাও পড়ছে, শাস্তিও হচ্ছে তাদের। তবে সেসব লুটেরাদের ভীড়ে এমন কিছু মানুষের আত্মত্যাগের খবরে নিজের মনেই প্রশ্ন জাগে- এসব কি সত্যি?

মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ীর কামার খাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হালদার করোনা দূর্যোগে নিজের ৭২ শতাংশ জমি বিক্রি করা ৪৫ লাখ টাকা বিলিয়ে দিচ্ছেন অসহায় মানুষদের মাঝে। উপহারের মধ্যে ১০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি পেয়াজ, লবন, মসুরের ডাল এবং একটি করে সাবান রয়েছে। তিনি গত কিছুদিন ধরে তার এই উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ঘরে ঘরে।

গণমাধ্যমে, ফেসবুকে অনলাইনে কোন ডাক্তার বহিঃস্কৃত হলেন আর কে বা কারা ত্রাণ লুট করছে শুধু এসব খবর না প্রকাশ করে পজিটিভ খবরও প্রকাশ করুন। যারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, পুলিশ যারা নিজেদের উজার করে মানবসেবায় নিয়োজিত করেছেন, অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ যারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বধর্মী এবং অন্যধর্মের মানুষের দাফনকাজ করছেন, সৎকার করছেন তাদের কথাও বলুন। দেখবেন অন্যরা অনুপ্রেরণা পাবেন।

মনে বিশ্বাস রাখুন- একদিন আমরাও করোনাকে জয় করবো।

৩৭৪জন ৩৭৪জন
0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ