এমন একটা সময় পার করছি সাধারণ জ্বর-সর্দিতেও ভীত হতে হচ্ছে। গত ক'দিন থেকে চরম এক অস্থিরতা ভর করেছে মনে। গরম পানি খাচ্ছি, গারগল করছি। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাচ্ছি কিন্তু অজানা এক ভয়ে বিপি হাই হয়ে আছে। তবে আলহামদুলিল্লাহ! আপনাদের দোয়ায় আজ একটু ভালো আছি। জ্বর কমেছে, গলা ব্যথাও খুব একটা নেই। আশাকরি দু'একদিনের মধ্যেই সেরে যাবে।

যারা খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা। যারা খোঁজ নিতে পারেননি তাদেরকে জন্যেও অনেক ভালোবাসা। আমি জানি আমাকে সবাই ভালোবাসেন আপনারা।

তীব্র মাথা ব্যাথা, সর্দি নিয়েই রোজা পালন করছি। কিছুই ভালো লাগছেনা। শহরে লকডাউন চলছে। আজ বিকেলে ঘর থেকে বেড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে গেটের বাইরে উঁকি দিতেই দেখি পুলিশের ভয়ে মাস্ক পড়া একজনকে মাস্ক হাতে নিয়েই দৌড়াচ্ছে।বেচারা সেটা মুখে পড়ার সময়ও পায়নি।

শহরে নিয়ম মেনে ইফতারি বেচাকেনার জন্য প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। একদিকে রাস্তায় বের হলে পুলিশ দাবড়ানি দিচ্ছে আবার জনগন ইফতারি কেনার জন্য মেইনরোড দিয়ে না গিয়ে অলিগলি দিয়ে জটলা করে ইফতারি কিনতেও যাচ্ছে।

মজার বিষয় হলো এত দৌড়ের উপর থেকেও ইফতারির দোকানে গিয়ে কি সুন্দর তিনফুট দূরত্বে ভদ্রবাবুর মত সবাই লাইন ধরে কিউ মেইনটেইন করছে। হাউ সুইট!

আজ ফেসবুকে কিছু ছবি দেখে মনে খটকা লাগলো। অনেক নেতা নেত্রীর ধান কাটার ছবিতে ফেসবুক ছয়লাব। যারা জানেওনা এ বছর ধানের মণ কত করে তাদেরকেও দেখছি ধানক্ষেতে ধান কাটতে। এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক মন্তব্য পড়লাম। তবে এত বিরুপ মনোভাব প্রকাশ না করে ব্যাপারটাকে আসলে দুইভাবে নেয়া যায়-

এক - গ্রামের ছেলে, এখন নেতা হয়েছে। শেষ কবে তার ধানক্ষেতে যাবার সময় হয়েছিল মনে নেই। ধানকাটা শ্রমিকের অভাব পূরণ করতে এই সুযোগে সেও কাস্তে হাতে নিয়ে ধানকাটতে ক্ষেতে নেমে পড়েছে।

দুই - শহরের মানুষ যে জীবনেও ধানক্ষেতে পা মাড়ায়নি সেও এই সুযোগে ধানক্ষেতে হেঁটে আসলো। যারা ধান কাটছে (সে কাঁচা ধানই হোক কিংবা পাঁকা) তাদের সাথে দু'একটা সেলফি নিলো। তারা সে ছবি ফেসবুকে দিলেও তাতে কিইবা এসে যায়!

চলুন আমরা নিজেরাও অন্তত একজন ধানচাষীকে সাহায্য করি। কি, করোনাভয় উপেক্ষা করে ধানক্ষেতে যাবেন?

বি পজিটিভ!!

ধানকাটা এবং ছবিতোলা নিয়ে একটা গল্প মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। দেখি সময় করে লিখে ফেলবো।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ