আমার ধূসর/ছাইরঙা আকাশেও
পড়েছে কালো মেঘের আস্তরণ।
এই তো এখনই তা বৃষ্টি হয়ে ঝরবে,
আমার শুষ্ক রুক্ষ পৃথিবীকে ভিজাবে,
ধূলোমাখা উতপ্ত পথকে করবে সু-শীতল।
পড়ি
পড়ছি
পড়বো
করেও কেনো যে পড়ছে না এখনও?
হয়তো এখনও সময় হয়নি বৃষ্টির স্রোতে-
ভাসাতে পৃথিবীর বুক।
এই পড়ছে....
পড়ছে......
ইয়াহু পড়েছে...!
গুরুম গুরুম শব্দে মেঘের নূপুর বাজছে
টুপুর টাপুর ছন্দে সুর তুলিয়ে গান গাইছে
সুরের তালে কোমর দুলিয়ে বৃষ্টিমেয়ে নাচছে
বৃষ্টির শীতল স্পর্শে গাছের নিস্তেজ পাতারা-
হয়ে উঠেছে সতেজ প্রাণবন্ত।
ইশ্! চড়ুই দুটো ভিজছে যে
এই অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে-
একে অন্যের গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আহা! ভিজছিস কেনো তোরা?
শরীর খারাপ করবে যে, ঘরে ফিরে যা
কি হলো তোরা অমন মিটমিটিয়ে হাসছিস কেনো?
তুমি না বড্ড বেরসিক!
বৃষ্টির এমন মন মাতানো ছন্দে ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে?
তুমিও আসো না ভিজবে আমাদের সাথে।
নাহ বাবা আমি ভিজবো না,
শেষে অসুখ করলে কেলেঙ্কারির শেষ থাকবে না। জানিস তো করোনাকাল চলছে।
তবে তুমি থাকো ঘরে,
আমরাই ভিজি মনের সুখে!
তোদের যা খুশি তাই কর গিয়ে।

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ