
বৃষ্টির ঝিলিক-জল
একাকী দাঁড়িয়ে থাকা ডুমুর গাছটি
আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে-না,
ডুমুর গাছটি-ও আমকে মনে রেখেছে
তাও ভাবনায় আসছে-না,
তবুও কেন যেন এই ডুমুরের কথাই
সারাক্ষণ আবৃত করে রাখে খসখসে অনুভবে।
জড়ো করে রাখা মেঘেদের দেশে
বৃষ্টি ঝিলিকে ছুটে আসা কাঁপা-জল
সোমত্ত-নক্ষত্র-ফুলের মত ভেসে বেড়ায়
চৈত্রের কুয়াশা ভেদ করে;
বয়ে যাওয়া বাতাসে নেই বসন্ত ঘ্রাণ
আছে কিছু ফেলে যাওয়া চিহ্ন,
বৃথাই খুঁজে-খুঁজে হয়রান সেই ডুমুর-ছায়া
হারিয়ে যাওয়া চিরকালের মত;
মৃত্যু-তৃষ্ণা ঢেকে যায় স্বর্গীয় সৌন্দর্যে
করোনাকালে।
ছবি কিন্তু নেটের।
৩৮টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“মৃত্যু-তৃষ্ণা ঢেকে যায় স্বর্গীয় সৌন্দর্যে
করোনাকালে।”
এই করোনা কালটা বিষন্নতায় ভরে তুলছে দেহ তনু মন।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এই করোনাকালে আমরা সুন্দর-সবুজ-পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি।
বিশেষ ধন্যবাদ, ভাই।
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার লেখা।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে করোনা থেকে রক্ষা করুন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
শুভ কামনা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও নিরাপদে থেকে ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
করোনা কালে আমরা সবাই স্বর্গীয় সৌন্দর্য উপভোগের অপেক্ষায় আছি যদি বেঁচে থাকি। ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
আমরা আবার সবাইকে নিয়ে বেঁচে যাব এ প্রার্থনা সর্বক্ষণের।
আপনিও ভাল থাকবেন।
ফয়জুল মহী
নান্দনিক উপস্থাপন
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
বৃথাই কেনো খোঁজা তারে
যা গিয়েছে হারিয়ে চিরতরে,
এই করোনাকালের করোনা বিভিষীকা-
কেটে গিয়ে যদি থাকি বেঁচে
মৃত্যু-তৃষ্ণা ঢেকে দেওয়া সেই স্বর্গীয় সৌন্দর্য
উপভোগে সবাই থাকবো প্রাণপনে।
যা হয় তা মঙ্গলের জন্য ই হয়। যা হবে তা মঙ্গলের জন্যই হবে। এটুকু আশা পোষণ করতেই পারি আমরা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন্তব্যটি আবার পড়ে দেখুন।
এটি অনেক ভাল ছিল।
অবশ্যই আমরা স্বর্গ-সৌন্দর্যের অপেক্ষায় থাকবো।
ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
ওমা এটা এমন হলো কেনো?
উপভোগ করবো সবাই মনে প্রাণে লিখতে চেয়েছিলাম।
টাইপ করার স্পেস দিলে আলাদা শব্দ আসে অনেক সময়। খেয়াল করিনি
সুরাইয়া পারভীন
সবাই বলে তো আমি নাকি তিনটা ভূত পালি 😛😛
ছাইরাছ হেলাল
তিন তিন টা, কী করে সামলান কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
শিউর ভূতের কারবার।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ সুরাইয়া, চমৎকার হয়েছে। এটা আরেকটু বড় করে আলাদা পোস্ট দেয়া যেতো। খুব ভালো হয়েছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভাবি এত চমৎকার কী করে লেখে!!
এস.জেড বাবু
ডুমুরের ফুল দেখলে একটা ছবি তুলে দিয়েন-
আমার সংগ্রহে নাই তো তাই।
লিখা ভালো হয়েছে,
বিজ্ঞ জনের মতো মন্তব্য করতে ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে-
আল্লাহ মাফ করবেন- অবশ্যই।
আশাটুকুও আছে।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে পারছি! করোনা ফ্যাক্ট!
ডুমুরের ফুল খুঁজছেন!!
চাইলে মাঝে মধ্যে ইট্টু বিজ্ঞ ভাব নেয়া যেতেই পারে;
তাঁর কাছেই সকল প্রার্থনা।
ভাল থাকুন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
মৃত্যু-তৃষ্ণা ঢেকে যায় স্বর্গীয় সৌন্দর্যে
করোনাকালে।
যথার্থ বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
“বয়ে যাওয়া বাতাসে নেই বসন্ত ঘ্রাণ
আছে কিছু ফেলে যাওয়া চিহ্ন”
——আপনার কবিতায় কিন্তু আমি ঠিকই বসন্তঘ্রাণ পাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ঘ্রাণেন্দ্রিয় দেখছি খুব-ই সক্রিয়।
ভাল থাকতেই হবে এ সময়ে।
কামাল উদ্দিন
করোনার এই সময়ে আপনি আমাদের ভালোই ফাঁকি দিচ্ছেন বড় ভাই। লটকনের ছবি দিয়ে ডুমুরের গান গাইতাছেন। গতকালকের মতোই 😀
ছাইরাছ হেলাল
আরে নাহ!! চোখ রগড়ে ভাল করে দেখুন তাজা ডুমুর।
করোনা ফ্যাক্ট বুঝতে হবে।
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
নরসিংদীর লটকন দেখা চোখ, এতো কচলাইলাম, যেই লাউ হেই কদু 😀
ছাইরাছ হেলাল
বুঝছি, ডুমুর কে লটকন ভেবে চালিয়ে দিয়েছেন এতদিন!!
তৌহিদ
ডুমুরের ফুল আদৌ কেউ কখনো দেখেছে কি? বৃথাই খোঁজার চেষ্টা? করোনা সময়ে বিষণ্ণতা ভর করছে মনে। একটু আশার বাণী শোনান ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
যা নেই/হয়না তা খুঁজে কী লাভ,
সান্তনা বিশাল, বিধাতা এখন ও বহাল তবিয়াতে আমাদের সবাইকে টিকিয়ে রেখেছেন।
ভাল থাকবেন।
রেহানা বীথি
কেটে যাক করোনাকাল, আমরা আবার সবুজে লুটোপুটি খেলি হেসে হেসে। এ বিষাদ আর ভালো লাগছে না ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
কায় মন বাক্যে বিধাতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাই করি।
আমরা যেন সবাই ভাল থাকি।
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, এই লেখা বুঝতে আমি ব্যর্থ। ( বলছিনা অন্যগুলা খুব বুঝি)
কেন বুঝলাম না?!
মনে হচ্ছে আমি এই প্রথম ডুমুর দেখেছি। আগে দেখেছি কিনা তাও মনে পড়ছে না। আর ডুমুরের ফুল! ওটা গাছে ধরে কিনা তাই নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। হায়! করোনা,,, সব এলোমেলো করে দিলো। নয়তো এই বসন্তে কত-শত মালা গেঁথে ফেলতাম 🙁
দয়া করিয়া ইহার তরজমা পূঙ্খানুপুঙ্খ রুপে বুঝাইয়া দিয়া আমায় ধন্য করুন, প্লিইইইইইজ
ছাইরাছ হেলাল
এই তুলা তুলা ল্যাহা আপনি বুঝতে পারছেন না!! এ ভারী অন্যায্য কথা!!
এ লেখায় তো ফুল-টুলের কথা লিখি নাই, তা ক্যামনে চলে এলো! করোনাকাল বলে কথা!!
ডুমুর দেখতে/খেতে খুব-ই উপাদেও।
তবে আপনি দামী কথা বলেছেন, মালা-টালা সবাই নিতে/গাথতে/সইতে পারবে না। দারুণ কিছু লেখালেখি অবশ্যই মিস করেছি।
বিধাতা চাইলে বিনা বসন্তেও বসন্ত-লেখা লিখতে পারবো/পারবেন বলেই মনে করি। লিখেছিলাম কত কত বসন্ত-ক্থা সবার সাথে সবাইকেই নিয়ে, এই তো নিকট অতীতে।
আপনি বরং একখানি তরজমা লিখে এ যাত্রা আমাদের বাঁচিয়ে দিন। প্লিজ লাগে।
লেখা কৈ? দশটি লেখা দিন গুনে গুনে।
সাবিনা ইয়াসমিন
মাত্র দশ!! হয়ে যাবে, আর দুটো দিলেই। এখন আটে পৌঁছে গেছিতো 🙂
তাড়াতাড়ি শেষ করুন, দশে দশ হয়ে গেলেই আপনার নাম গুরুরাজ রেখে দিবো,, সাক্ষী থাকবে করোনা 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, করোনায় তো আপনার বুদ্ধি বেশ খোলতাই হচ্ছে!!
লেখা কৈ!
সাবিনা ইয়াসমিন
আমার বুদ্ধি খুলতে দেখে আপনি চোখ বন্ধ করে ফেলছেন তাইনা? এই যে কমেন্ট গুলো দিচ্ছি এগুলো কি আমার এ্যাসিস্ট্যান্ট লিখেছে? ভালো করে চোখ খুলে দেখুন মহারাজ, কমেন্ট মানে লেখা গুলো আমিই টাইপ করেছি 😒😒
ছাইরাছ হেলাল
ছেলে-ভোলানো গান গেয়ে পার পেয়ে যাবেন!
এমনটি যেন ভেবে বসবেন না!!
দ্রুত!!!!
জিসান শা ইকরাম
কোনো কিছুই চিরকালের মত হারিয়ে যায় না,
ফিরে ফিরে আসে সব,
ছাইরাছ হেলাল
ফিরে হয়ত আসে, তবে তা ভিন্ন রূপে।