
অপেক্ষা হেম পেয়ালার
হেম-পেয়ালা হাতে অপেক্ষায় আছি
কখন হুকুম হবে, ‘পান করো আকণ্ঠ’,
তথাস্তু বলে বিনা বাক্য ব্যয়ে শুষে নেব সবটুকু,
এরপর অপেক্ষা সামান্য-মত,
ক্রম-নিস্তেজতার, পা থেকে উর্ধাঙ্গে;
সামাজিক শীত শেষে এখনের জল-বিছানা,
রেশমী চুলের নক্সাদার ডাইনী, ধোয়া ওঠা
বাঘের দুধের চা, ঘাই হরিণী শিকারের গল্প,
একটু একটি করে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের সাক্ষী,
আর গোধূলীতে উড়ে যাওয়া ঝাঁক ঝাঁক বক পক্ষি,
আহ্লাদিত সারারাতের হেঁয়ালি ঝড়,
ঘড়ির নগ্নতায় অজগর সমুদ্রে ভেসে যাবে।
ধুপছায়ার পেন্সিলে আঁকা দৈব বাণীর অপেক্ষা করি,
‘এবারের মত ছেড়ে দিচ্ছি, সাবধান করে’।
২৮টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“ধুপছায়ার পেন্সিলে আঁকা দৈব বাণীর অপেক্ষা করি,
‘এবারের মত ছেড়ে দিচ্ছি, সাবধান করে’। “
হেম পেয়ালাকে ছেড়ে দিলেও
করোনা কি ছাড়বে কাউকে ?
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে করোনাকেই হেম-পেয়ালা বলছি।
বিধতা আমাদের ছেড়ে না দিলে আমরা বাঁচতে পারব না।
ভাল থাকবেন আপনি।
সুরাইয়া পারভীন
না চাইলেও হেম নামক করোনা হাতে নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছি সবাই। কখন ডাক আসবে? আর ডাক এলে বিনা বাক্যে সবটুকু হেম পান করতে হবে। আর তারপর অনিচ্ছা সত্ত্বেও মৃত্যু কোলে মাথা রাখতে হবে।
এই তো জীবন,ক্ষ
তবুও কেনো করি মোরা
নির্বোধের মতো বৃথাই আস্ফালন
ছাইরাছ হেলাল
কতটা অনিশ্চিত এ জীবন, অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে আছে ঘাতক।
তবুও এ সামান্য জীবন নিয়েই আমাদের বড়াই, অহংকার!
ভাল থাকবেন আপনি।
সুরাইয়া পারভীন
আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া
সাবধানে থাকবেন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
রেশমী চুলের নক্সাদার ডাইনী, বাঘের দুধের চা, সামাজিক শীত শেষে জল-বিছানা, ঘড়ির নগ্নতায় অজগর ভেসে যাবে -অন্যরকম বর্ণনায় হারিয়ে গেলাম এই আতংকের মধ্যে ও। সত্যিই কি এবারের মতো ছেড়ে দেবে করোনা? দৈববাণী কবে আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ ভাইয়া শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কবি চোখ/মন বলেই সব কিছু সৌন্সর্যে থাকে।
দৈব বাণীর জন্য শুধুই অপেক্ষা। আর তাঁর ক্ষমা প্রার্থনাই আমাদের কাজ।
আপনি ভাল থাকবেন।
ফয়জুল মহী
নান্দনিক উপস্থাপন
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
“ধুপছায়ার পেন্সিলে আঁকা দৈব বাণীর অপেক্ষ করি,
‘এবারের মত ছেড়ে দিচ্ছি, সাবধান করে’।”
————-বিধাতা যেন কবির এই আর্তি শোনে।
ছাইরাছ হেলাল
আর্তি জানানো ছাড়া এই অসহায় মুহূর্তে আর কী-ই-বা করার আছে।
নিরাপদে থাকুন।
তৌহিদ
করোনা কাউকে ছেড়ে কথা কইছেনা। মনের অতৃপ্ত ইচ্ছেগুলো মনে হয় অগোচরেই থেকে যাবে। পূরণ আর হবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আশা হারাই না, আল্লাহ অবশ্য-ই আমাদের রক্ষা করবেন।
ভাল থাকুন।
সঞ্জয় মালাকার
ধুপছায়ার পেন্সিলে আঁকা দৈব বাণীর অপেক্ষ করি,
‘এবারের মত ছেড়ে দিচ্ছি, সাবধান করে’।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
হেম পেয়ালাটা কি বড় ভাই, সব মিলিয়ে মহা জটিল কবিতা। এই জন্যই কাকবাসী হইতে মুন্চায় 😀
ছাইরাছ হেলাল
বিষের পেয়ালা, প্রতীকী অর্থে, করোনা,
ধুর! কাকেরা ভাল না।
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
এই করোনাময় সময়ে কাকেরা সত্যিই ভালো নেই। ওদের নাকি খাবারের সংকট চলছে।
ছাইরাছ হেলাল
সংকট শুরু হলে তা সবার জন্য ই হয়, কাকেরা তার ব্যাতিক্রম নয় মটেই।
তাদের দিকেও তাকাতে হবে দয়ালু চোখে।
ধন্যবাদ।
রেহানা বীথি
‘এবারের মতো ছেড়ে দিচ্ছি, সাবধান করে’ — ভেসে আসুক এ দৈববাণী, মুক্ত হই আমরা, হয়তো সাবধানও হবো।
ছাইরাছ হেলাল
যবাদ।সেই দৈব বাণীর আক্ষেপ-অপেক্ষা সবার-ই।
আপনি ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
কবে যে ছেড়ে দেবে, বা আদৌ কি ছেড়ে দেবে? কে জানে।
শুধুই অপেক্ষা,
ছাইরাছ হেলাল
শুধুই অপেক্ষা।
সাবিনা ইয়াসমিন
জন্মের পর মূহুর্ত থেকেই হেমলক ধরিয়ে দেয়া হয় নাগালের মধ্যে। তারপর প্রত্যেক চাঁদের হিসেবে বিন্দু-বিন্দু ঢালা হতে থাকে কন্ঠের সরুগলিতে। ভাব নিয়ে থাকি, এইতো গিলছি-গিলে নিবো। এক সময় ধরা পড়ে যাই নির্জলা প্রতারণায়। সব জোর করে গিলিয়ে দেবার পর ঘোষণা আসে মুক্তি অথবা শান্তির। অপেক্ষা ফুরোয় প্রতারকের।
যেভাবে আলাপ শুরু করেছেন, শান্তিতে মরার ফুরসৎ পাচ্ছিনা মহারাজ 🙁
ছাইরাছ হেলাল
লুকিয়ে বলা কথাটি আপনি সুন্দর/কঠিন করে তুলে এনে দক্ষতা/সক্ষমতার পরিচয় আবার দিলেন। ধন্যবাদ, জ্বি।
মুক্তি আমরা চাই এবং তা হয়ত পাই বা পাবো- ও। কিন্তু যন্ত্রণাটুকু শুধুই আমাদের, একান্ত-ই নিজের নিজের।
মরা! তা শান্তিতে বা অশান্তিতে, যাতেই হোক না কেন, মরার অনুমতি তো আপনাকে দেয়া হয়নি, হবেও- না।
নিরাপদে থাকুন,
হ্যাঁ, কি যেন বলেছিলাম! লেখা কৈ!
সাবিনা ইয়াসমিন
ধুপছায়ার পেন্সিলে আঁকা দৈব বাণীর অপেক্ষ করি,
অপেক্ষ না অপেক্ষা?
ছাইরাছ হেলাল
ভুল ছিল, ঠিক করে দিয়েছি।
বলে দিলে সত্যি উপকৃত হই, চালু রাখুন, এমনটি;
আবার ও ধন্যবাদ।।