করোনাকালে ঘরে থাকা (আড্ডা পোস্ট)

ইঞ্জা ১৫ মে ২০২০, শুক্রবার, ০১:২৭:০৭অপরাহ্ন আড্ডা ৫৩ মন্তব্য

প্রিয় বল্গারবৃন্দ কেমন আছেন আপনারা এই করোনাকালে, জীবনে এমন বিপদসংকুল জীবন হয়তো আমরা আর দেখিনি, আমার পুরা পরিবারের ঘুম এখন হারাম হয়েছে অনেকটাই, আগে ছুটিতে আমি দুপুরের পর ভাত ঘুম দিতাম যা অজানা কারণে উদাও হয়ে গেছে, রাতে ঘুম আসেনা, যাও আসে সেহেরির পর, সেই ঘুমেই আমার দিনের দশটা এগারোটা।

সারাদিন চেষ্টা করি আপনাদের ভাবী বাচ্চাদের সাথে হাসি তামশায় দিন পার করতে, কখনো কখনো খুনসুটি করি সবার সাথে, মাঝে মাঝে অনলাইনে গেইম খেলি নিজেদের মধ্যে, আমার চেষ্টাটা হলো কেউ যেন বিষন্নতায় না ভুগে।

 

সকাল থেকে বিকেল সন্ধ্যা ভাই বোনদের খোঁজ খবর নিই, কি অবস্থা জানতে চাই তাদের, মাঝে মাঝে কিছু উপদেশ দিই এই সময় কি করতে হবে না হবে, কি কি খাওয়া উচিত বা অনুচিত এইসব আর কি।

 

বিকেল বা সন্ধ্যায় লিখার চেষ্টা করি, কারো কারো লেখা পড়িও, অনেক সময় কমেন্ট করি, অনেক সময় করিনা। 

সময়টা যেন কাটতে চাইনা, কেমন যেন বিষন্নতায় ঘিরে ধরছে কিন্তু আমি এই বিষন্নতাকে পাত্তা দিতে চাইনা, ধুর করে লুডু ওয়ার্ল্ড গেইম খেলি অনলাইনে, নাহয় অন্য গেইম, আমাকে এবং আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে নতুন পৃথীবিকে দেখার জন্য। 

 

বন্ধু ব্লগারগণ, আপনাদের সময় কেমন চলছে এই করোনাকালে, আসুন না বিনিময় করি আমাদের সময়টা, কারো কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞেস করুন, আমি ডাক্তার নাহলেও টেকনিক্যাল অনেক কিছুই জানি এবং জানার চেষ্টা করি। 

 

আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সকল ব্লগার ভাই বোন, দাদা, দিদিদের এই আড্ডায় জয়েন করার জন্য। 

 

আজকের গুগল ডুডলও আছে কিভাবে করোনার চিকিৎসা নিবেন ঘরে থেকে তার ভিডিও ছেড়েছে, দেখতে ভুলবেন না। 

 

অপেক্ষায় রইলাম।

 

ছবিঃ গুগল।

0 Shares

৫৩টি মন্তব্য

  • রেহানা বীথি

    ভাইয়া, কঠিন সময় পার করছি। কোনও কিছুতেই মন বসছে না। আগে ফেসবুক কিংবা ব্লগে পড়ার চেষ্টা করতাম সবার লেখা, এখন সেই ইচ্ছেটাও কমে গেছে অনেক। নির্ঘুম রাত কাটছে প্রায়ই। তারওপর রোজা। কয়েকদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লাম। মনে হল যেন নিঃশ্বাস আটকে গেছে, চাপ ধরা ব্যথা বুকে এবং পিঠে। আমার বড় বোনকে ফোন করলাম, গ্যাসের ওষুধ দিলো। খেয়ে সুস্থ আছি অনেকটা।
    এক অসহনীয় সময়। জানি না কোথায় এর শেষ! দোয়া করবেন ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে।

    • ইঞ্জা

      আপু এ সমস্যার জন্য কিছু নিয়ম বাতলে দিচ্ছি, আপনি প্রতিদিন রাত ১১টার মধ্যে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করুন, ঘুম আসবেনা জানি, এরপরেও বলবো নিজেকে বলুন “যা হওয়ার হবে, আল্লাহ ভরসা”, এরপর ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত উল্টা গুনতে শুরু করুন, আমি নিশ্চিত ঘুম আসবেই, আমিই উপকার পেয়েছি।
      দুপুরে ভাত ঘুম দিন যাস্ট আধা ঘন্টার, যাকে বলে শর্ট ন্যাপ, ঘুম না আসলে চুপচাপ ঘুমের ভান করে চোখ বন্ধ করে ঘুমান বা ভান করুন, এতে শরীর মন চাঙ্গা হয়ে যাবে।
      আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমীন।

  • নাজমুল হুদা

    আমি মানসিক অস্থিরতায় দিন কাটাচ্ছি। বাড়িতে যেতে পারি নাই, ঢাকায় আছি। বাড়ির কথাও মনে পড়ে বারবার। আব্বার কথা বেশি মনে পড়ে তখন মনটা খারাপ হয়ে যায় ইচ্ছা করে বাড়িতে উড়াল দিয়ে চলে যেতে।

    সারাদিন রুমে শুয়ে বসে ফেইসবুকিং করে দিন কাটাচ্ছি। পড়াশোনাও ভালো লাগে না। বাড়িতে যেতে চাইছিলাম তখন শুনি বাড়িতে গেলে নাকি পাড়া পড়শি রুক্ষ আচরণ করবে যদিও পরিবার বারবার বলতেছে বাড়িতে যেতে। এই সময় আর্থিক, মানসিক যন্ত্রণা বয়ে চলছি। আমি ফ্যামিলির একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান পড়াশোনা ও যাবতীয় কার্যক্রমে দখল যাচ্ছে। বেঁচে থাকলে জীবনেও ভুলবো না এমন পরিস্থিতি। কাকি ও চাচাত ভাইদের উৎসাহ আর যত্নে ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

  • তৌহিদ

    আমার সময় এভাবেই কাটছে আপনার মত। রাতে সেহেরি খেয়ে ঘুমাই, ঘুম থেকে উঠে সংসারের টুকটাক কাজ সেরে গোসল সেরে নামাজ। এরপর অনলাইনে কিছু সময় কাটিয়ে রেস্ট নিতে নিতেই আছর পেরিয়ে মাগরিব। ইফতার করে সবার সাথে গল্পগুজব করতে করতেই এশা তারাবির নামাজ। ফেসবুকে, ব্লগ, রাতের খাবার টিভি এর মাঝেই লেখালিখি এসব করেই দিন পার হচ্ছে।

    মন্দ কাটছেনা সময়।

  • প্রদীপ চক্রবর্তী

    মানসিকভাবে ভালো নেই দাদা।
    বাবা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত আর ঠাকুমাও বার্ধক্যজনিত না রোগে আক্রান্ত।
    বাবা সবসময় আমাদের আনন্দ আর ফুর্তিতে আমাদের রাখেন। রাত্রিবেলা সবাই মিলে বাবার সাথে লুডু কখনো ক্যারাম খেলি কখনো দশ পঁচিশ খেলি। আর ইদানিং দিনের বেলা ফলের গাছ ও কিছু ফুলের চারা এসব মাঝেমধ্যে দেখাশোনা করা।
    আর অবসর হলে উপন্যাস গল্প পড়ি তা একেবারেই কম বলতে চলে।
    সমাগত পরিস্থিতিতে কিছুই ভালো লাগছে না। তবুও ভালো থাকার জন্য এই ফুল গাছ ফল গাছ দেখাশোনা করি। আর প্রকৃতিকে নিয়ে ভাবনা।
    তারমধ্য গতকাল থেকে আইডিতে সমস্যা আপনাকে সকালবেলা বলেছিলাম কিভাবে কী করতে হয় বলেছিলেন।
    এ নিয়ে একটু চিন্তায় আছি।
    এছাড়া আত্মীয়স্বজন কেমন আছেন তাঁদের খোঁজখবর নিয়ে থাকি।
    .
    জানিনা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে থেকে কবে আমরা উঠে দাঁড়াবো।
    সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুক।
    শুভকামনা দাদা।
    ভালো থাকুন।

    • ইঞ্জা

      দাদা, প্রথমেই বলবো বাবা এবং ঠাকুর মাকে খেয়াল রাখুন, এই সময়টা উনাদের জন্য বিশেষ ভাবে খারাপ।
      আপনার প্রকৃতি নিয়ে থাকাটা আমার ভালো লেগেছে, আমরা তো ঢাকাতে এইসব পাইনা, অবশ্য চট্টগ্রামে গেলে তো দারুণ সময় কাটতো।
      আইডির সমস্যাটা সাময়িক, নিশ্চয় তিন দিনের ব্যান খেয়েছেন, নোটিফিকেশনে কি লেখা আছে দেখেছেন কি?
      এই সময় ভুলেও আইডি ঘাটতে যাবেন না, যদি লাইক কমেন্ট, পোস্ট করতে যান উল্টো ব্যানের সময় বাড়িয়ে দেবে।
      ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন।

  • ছাইরাছ হেলাল

    কঠিন সময় অবশ্যই, যা আমরা ইচ্ছেয় বা নিতান্ত অনিচ্ছেয় পার করে যাচ্ছি।
    ভালই হলো আপনার এখানে এসে সবাই সবার কাটানো দিন-কালের আলাপ-সালাপ জুড়ে যাব, আন্নদ-বেদনার সঙ্গী হয়ে।

    আমি নিভৃতচারী অতি নিয়ম-নিষ্ঠ জীবনের মানুষ, আমার জন্য শাপে-বর হয়েছে, অনেক অনেক পড়া জমা হয়ে ছিল,
    কিছুটা তার কিনারা করতে পেরেছি, আরা লেখালিখি এমনিতেও করি, এখন ও তা জারি আছে, তুমুল ভাবে।
    তবে অজানা একটি আশংকা কিছুতেই এড়াতে পারছি না। এই তো, কিছু পৃথিবী-শ্রেষ্ঠ মুভি, কালের বিচারে, আবার দেখলাম,
    দেখবো আরও কিছু।

  • ইসিয়াক

    ঘরের মধ্যে থেকে থেকে বিরক্তি ধরে গেলো।
    এদিকে কদিন আর ঘরে বসে থাকতে পারবো সেটাও ভাববার।
    বেশ চিন্তা হয়। সামনে কি আছে কে জানে?আমি অবশ্য এই সময়টুকু গান শুনে ,বই পড়ে ,ছবি দেখে আর কিছু লেখা লিখি করে কাটানোর চেষ্টা করছি।
    সামনের মাস থেকে আমাদের ইস্কুল হয়তো অন লাইন ক্লাস শুরু করবে। তার জন্যও কিছু ভিডিও তৈরি করছি।
    শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

  • হালিম নজরুল

    ব্যক্তিগতভাবে আমি ভীষণ ব্যস্ত একজন মানুষ, কাজ ছাড়া একমুহুর্তও থাকতে পারি না। কিন্তু করোনা সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। প্রায় দেড়মাসের ঘরবন্দী থাকার পর এখন প্রতিদিন সাহস করে দুই-এক ঘন্টার জন্য বের হই। সেহরির পর ঘুম। একটু পড়ি। তারপর গোসল ও নামাজ পড়ে আবার একটা ঘুম। ঘুমশেষে আবার নামাজ পড়ে ফেসবুক-সোনেলা। তারপর ইফতার শেষে আবার পড়াশোনা, সোনেলা- ফেসবুক। আবার নামাজ। তারপর পড়াশোনা ও লেখালেখির চেষ্টা। তারপর আবার বালিশে আশ্রয়। এসবের মাঝে মাঝে ফোনে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথোপকথন। এভাবেই কেটে যাচ্ছে সময়।

  • সুরাইয়া পারভীন

    আমার বরাবরই ঘুম নেই বললেই চলে। ইদানিং একদম উধাও হয়েছে। এ জন্য আরও বেশি চোখের যন্ত্রণায় ভুগছি। সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে শুয়ে পড়ি। ঘুমাতে ঘুমাতে পাঁচ টা বেজে যায়। পাঁচটা থেকে সাড়ে এগারোটা বারোটা পর্যন্ত চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি। ঐ সময় দশ বিশ পর পর মেয়ে এসে ডাকে। আম্মু খেতে দাও, আম্মু গোসল দিয়ে দাও, আম্মু বাইরে যাবো, আম্মু বড়আম্মার বাসায় যাবো, আম্মু আন্টির বাসায় যাবো। চোখ বন্ধ করেই উঠে খেতে দিই কথা বলি, গোসল করে দিই। তারপর টুকটাক কাজ শেষ করে গোসল করি, নামাজ পড়ি, কুরআন পড়ি। তিনটা বেজে যায়। তারপর কিছু লেখার চেষ্টা করি। আসরের নামাজ পরে রান্নাঘরে ঢুকে। ইফতার পর্যন্ত রান্না ঘরেই কাটে। মাগরিবের নামাজ পড়ে ভোরের জন্য তরকারি রান্না করে রাখি। এশার নামাজ তারাবীহ নামাজ পড়ে একটু লুডু খেলি অনলাইনে। এই তো বন্দী জীবন

  • এস.জেড বাবু

    রেগুলার কর্মচারীদের মধ্যে চারজন টানা রেখে দিয়েছি বাসায়। শর্ত একটাই, যতদিন মহামারি আশংকা থাকবে, ছুটি পাবে না কেউই।
    এমনিতেও নিয়মের বাইরে পাইকারী কিছু মালামাল ডেলিভারি দেয়া হয় / দিতে হয়। বাসা আর শোরুমগুলি একই এরিয়ায় হওয়াতেই হয়ত লকডাউন থাকাতেও এই সুযোগটা কাজে লাগানো যাচ্ছে। গোডাউনগুলো বাড়ির ভেতরে সামনের অংশে। তাছাড়া বকেয়া লেন-দেন কন্টিনিউ রাখতে যেয়ে রেগুলার পাইকারদের সাথে সম্পর্কটা রেগুলার রাখা অতি জরুরী, বেঁচে থাকলে ওদের নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।
    বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে কমার্শিয়াল এলাকায় শখ করে গেল বছর একটা পুকুর কেটেছিলাম, ইচ্ছে ছিলো যখন ভরাট করবো তখন ওই অংশে সরাসরি কোনও কন্সট্রাকশন করবো। ততদিন পুকুরের স্বাধ মিটিয়ে নেয়া। মাছও আছে অনেক, বড়শিতে চমৎকার সাইজের দেশি তেলাপিয়া আর কারফিউ ধরা হয় প্রতিদিনই।
    আজকাল মূল সময় কাটছে ওখানেই। লাউ, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, কইডা গাছগুলি মাঁচা ছুঁই ছুঁই করছে। প্রতিদিন ওদের যত্ন নিই। বলতে পারেন কোন লতা কত ইঞ্চি লম্বা হয়েছে বলতে পারি। ইউটিউব দেখে দেখে আর বৃষ্টির সিজন হওয়ার কারণে গাছগুলি চোখে পড়ার মতো গতি নিয়ে বেড়ে উঠছে। পেঁপে গাছ লাগিয়েছি প্রায় শখানেক। কিছু চারা নষ্ট হলেও অধিকাংশই টিকে গেছে প্রথম ধাক্কায়। গোটা বিশেক বিভিন্ন প্রকার লেবু গাছ, দশটা পেয়ারা গাছ, দুইটা নিম, দুইটা অর্জুন, একটা করে আমলকি, হরতকি, বহেরা, আনার, কামরাঙ্গা, লটকন, শরিফা, বেল গাছগুলি নতুন খুঁড়ি মেলেছে। মা মাঝে মধ্যে নিচে এসে রোদের মধ্যে কাজ করতে দেখলেই বকাঝকা করতে থাকে। আবার কোথায় কোথায় এই সিজনের সব্জি লাগানো যায় সে জায়গা ও চিহ্নিত করে দেখিয়ে দেয়।

    সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ফোন কলে অর্ডার নিয়ে মালামাল পাঠানোর পর থেকে বাকি সারাদিন চারটা ছেলে শখের কৃষিতে পুরুদস্তুর কৃষকের মতো সময় দিচ্ছে আমার সাথে।

    অনেকাংশেই নিজের এরিয়ায় আবদ্ধ থাকলেও একেবারে ঘরবন্দি হতে হয়নি এটা একরকম সৌভাগ্য। সবুজের প্রতি টান বেড়ে গেছে এই কয়দিনে। একটা একটা গাছের সামনে দাড়িয়ে স্বপ্ন দেখি- একদিন এই গাছ এতো লম্বা হবে, ফুল আসবে, ফল হবে।

    লকডাউন / করোনাকাল জীবনে প্রথমবারের মতো শিক্ষা দিয়ে গেল- সবুজে আনন্দ আছে। এতোদিনে আন্দাজ করতে পারি, আমরা প্রচন্ডভাবে নিষেধ করলেও এবং ব্যাবসার হাজার রকম ঝামেলা ফেলে- আমার মরহুম বাবা অসুস্থ হওয়ার দুই দিন আগ পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার দুরে আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিজেদের পুকুর, মাছ আর গাছের পিছনে সময় ব্যায় করতেন।
    সবুজ প্রকৃতি সত্যি মানুষকে কাছে টানে, ওখানেও প্রেম আছে।

    একদিন হয়ত সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে, একদিন হয়ত আমিও থাকবো না- একদিন হয়ত ওখানটায় কন্সট্রাকশন হবে। ছেলে-মেয়েদের কেউ হয়ত সেদিন ওখানটায় এক একটা গাছ কাটতে কাটতে মনের অজান্তে মায়া করে বলবে- “দাদার মতো বাবাও গাছের জন্য পাগল হয়েছিলেন- নইলে এমন বাজার এলাকায় কেউ পুকুর কাটে আর গাছ লাগায়___!!

  • সঞ্জয় মালাকার

    আমি মানসিক অস্থিরতায় দিন কাটাচ্ছি।
    বন্দী দশায় ডাইনির হাতে জিম্মি
    আতংকে আতংকিত মানব সৃষ্টি,
    আমি এক হতভাগা প্রবাস ঘরে
    দেখছি আকুলতার দৃষ্টি।
    মাতা পিতা ভাই বোনে, দেখিনি বহুদিন
    কখন কি হয় এই নিয়ে ভাবি সারাদিন।

    ভালো থাকবেন ভাইজান, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।

  • কামাল উদ্দিন

    প্রথম আলো ব্লগে যখন ব্লগিং করতাম তখন শুক্রবারের আড্ডা নামে একটা পোষ্ট দিতাম আমি, বেশ জমজমাট ছিলো। আড্ডা দিলে মনটা ফ্রেস হয়, তাই মাজে মাঝে এমন আড্ডা পোষ্ট দিলে মন্দ হয় না।

      • কামাল উদ্দিন

        আমরা ওখানে আরো একটা আয়োজন করতাম আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হতো যে অমুক দিন অমুক ব্লগার হট সিটে বসবে। ঐ ব্লগারের সমস্ত বায়োডাটা সম্বলিত পোষ্টে ব্লগার সারাদিন উপস্থিত থেকে সবার সব রকম প্রশ্নের জবাব দিতেন। এভাবে একজন ব্লগারের সমস্য কিছু অন্যদের জানা হয়ে যায়। ওটা ও কিন্তু খুবই মজার। এমনও দেখা গেছে একজন ব্লগারই হট সিটে বসা ব্লগারকে শতাধিক প্রশ্ন করে ফেলেছে।

  • বন্যা লিপি

    আমি কেমনে দিন কাটাই আর কইলাম না।উপরে রেহানা বিথী আপু, সুপর্না ছোটদি, সুরাইয়া যা বর্ননা দিলেন! এরপর আর আমি কিছু না বলি।
    তবে এটুকু বলি, দিনশেষে দুই ছেলের খুনসুটি দেখে দেখে হাসতে হাসতে কাটে বেশ।আগে প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি লেগে থাকতো। ছোটটার প্যান্ট শার্ট জুতা পরে বড়টা হয়ত বাইরে বের হতো, এসে চিল্লাচিল্লি করতো আমার সাথে, আম্মু, এহন কেমনডা লাগে কও দেহি, ভাইয়ার কি লাজ লজ্জা মোডেও নাই, এত্ত নিষেধ করার পরও আমারডা পরবোই পরবো ক্যা?????

    সেই চিল্লাচিল্লি ভুইল্লা এখন তারা বেয়াই বেয়াইর মতো আচরন করে। ইহা দেখি আমি চুপচাপ মুখ টিপে হেসে হেসে।
    আর ওইযে একটা কথা বলছেন না ভাইজান!!
    যা হবার হবে সব আল্লাহ্ ভরসা।
    শুরু থেকেই আমি এই এক ভাবনা নিয়ে বাড়তি ভাবনা দূরে রেখে ঘরের কাজগুলো করে যাচ্ছি।সাহায্যকারী নেই বিধায় কষ্টটা বেশিই হচ্ছে আমার। যেহেতু আমার নানা রকম রোগ আগে থেকেই আছে। তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে নির্ঘুমের।
    কিচ্ছু করার নেই ওই বিষয়ে।
    সবার জন্য মঙ্গল কামনা।

  • জিসান শা ইকরাম

    করোনার জন্য সারাক্ষনই বাসায়ই থাকি। রোজার কারনে আমার সব কিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।
    রাত একটার পরে সাধারণত বেডে যাই। আড়াইটায় উঠতে হবে সেহেরির জন্য, এজন্য আর ঘুমই আসে না।
    সেহেরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমুতে যাই সকাল পাঁচটায়। ঘুম থেকে জাগি দুপুর একটার দিকে।
    অর্থাৎ রাতে জাগি, দিনে ঘুমাই।

    ভালো থাকবেন ভাইজান।
    শুভ কামনা।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ