ভয়াবহ করুণ চিৎকার

সুরাইয়া পারভীন ১২ অক্টোবর ২০২০, সোমবার, ০৫:২৯:৫৫অপরাহ্ন অণুগল্প ১৮ মন্তব্য

ইদানিং কিচ্ছু মনে থাকছে না। ভাবছি এক করছি আরেক। কিছুদিন থেকেই ভাবছি রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা বইটি পড়বো। এইটা শুনে আশ্চর্য লাগছে তাই না! এতো দিনেও শেষের কবিতা পড়া হয়ে উঠেনি? ব্যাপারটা কিন্তু একদমই তা নয়। বেশ কয়েক বার পড়েছি কিন্তু কেনো জানি এই উপন্যাসের কোনো ঘটনায় আমার মনে নেই। কেনো যে কিছুতেই মনে করতে পারি না গল্পের থিমটা। অথচ স্মরণ শক্তি দুর্দান্ত আমার। কোনো বই একবার পড়লে তা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ঘটনা গুলো বলতে পারি। শুধু শেষের কবিতার কোনো ঘটনা কেনো যে মনে থাকে না বুঝে উঠতেই পারি না। যখন বুকসেলফে চোখ যায় তখনই ভাবি আজ পড়বোই। খানিক পর আবার ভুলে যাই। এভাবেই চলছে দিনকাল।

 

আজ তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গেছে। হাতে যা যা কাজ ছিল করে বইটি নিলাম। বিছানায় এসে আধ-শোয়া হয়ে বইটি পড়তে শুরু করলাম। সময় মধ্যদুপুর। দুটো পাতা পড়েছি মাত্র ঠিক তখনই নিদ্রা দেবী এসে আলতো চুমু এঁকে দিলো দুচোখে। আহ্! পরম শান্তিতে চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে এলো। ঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন নয় তখনও। নিদ্রালু চোখ। চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। যেনো মধ্যদুপুরে অমাবস্যার ঘোর অমানিশা। একটা পরিত্যক্ত প্রসাদ। প্রাসাদের চারপাশটা জুড়ে খাঁ খাঁ করছে সুনসান নীরবতা! বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত জনমানব শূন্য নির্জন নিস্তব্ধ প্রাসাদ দেখে গা ছমছম করে উঠবে যে কারোই। অদ্ভুত ভয়ে শিউরে উঠলাম। যেনো কোনো বিপদের আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছে বারংবার। বিবর্ণ বিধ্বস্ত ভাঙাচোরা প্রাসাদের ভেতর থেকে ভেসে এলো একটি চিৎকারের আওয়াজ। ভয়াবহ করুণ সে আওয়াজ। বাঁচাও আমাকে বাঁচাও। বাঁচতে দাও….

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ