কম্পাংক হীন শব্দের জালে

আসমাউল ৯ ডিসেম্বর ২০১৩, সোমবার, ১১:২৬:২০অপরাহ্ন বিবিধ ৮ মন্তব্য

বাড়ির পিছনের দেবদারু গাছ হতে পাখিটা ডেকে উঠলো;
কাক ঘুমে চিমটিতে চিত্ত জাগিয়ে দেওয়া প্রেয়সীর
ক্ষণিক বিস্ময় ,ভয়,আর প্রণয় অনুরাগের মত।
গোধূলি বেলায় ওর আনাগোনা বেশী।
আচেনা পাখি, কোনদিন দেখিনি ওকে।
তবে মনের রং তুলিতে ওকে একেছি অনেকবার
কখনো ঘিয়ে রঙে কখনোবা কচি কলার পাতা রঙে,
মাঝে মাঝে সাত থেকে সাতশো রঙে রাঙ্গিয়েছি ওকে
কিংবা মেহেদী পাতায়,গাড় করতে দিয়েছি হিমোগ্লোবিন এর ছোঁয়া।

সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে বেলকনিতে গিয়ে বসি
ঘাড়ের উপর দিয়ে সাদা চাদর,একটা খাতা আর পেন্সিলটা নিয়ে।
ভেসে আসা বেলি হাস্নাহেনার ব্যাপনে বিস্তৃত গন্ধ
সাথে বাড়ির পাশের লেকে পানকৌড়ির অস্পষ্ট শব্দ হতে
দু একটি শব্দ আমার খাতায় জমতে শুরু করেছে ।
ঠিক তক্ষনি অচেনা পাখি,দেবদারুর ডালে থাকা প্রিয় সঙ্গী
কড়া নেড়ে আগমনি বার্তা জানিয়ে ভাগিয়ে দিলো সব গন্ধ,স্পর্শ,দৃশ্যপট।
কেঁপে উঠে ঠোট দুটো
সারা সন্ধ্যা জুড়ে
মধ্য রাত জুড়ে
রাতের শেষ অবধি
আমি আর পাখি, পাখি আর আমি।
স্মৃতির বিস্তৃতিতে ভেসে ম্যানগ্রোভ বনে,
শহরের অলিতে গলিতে,নদীর মোহনায়
চাঁদের আলোয় চিকচিক চাহিনি বালুর উপর হেঁটে হেঁটে
কম্পাংক হীন শব্দের জালে জড়িয়ে আমি আর আচেনা পাখি।
একটা মহাকাব্য,
একটা উপন্যাস,
একটা অসমাপ্ত চিঠি।
সাদা খাতায় শব্দের সম্ভারে,কম্পনহীন কম্পাংকের ভিড়ে আমি দেখি শুভ সকাল।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ