কবে ফিরিব মোর গাঁয়ে-
ব্যাঁকা মেঠ-পথ ধরে হাঁটিব কবে,
শিঁশির ভেজা ঘাঁস পায়ের সাথে মিশে-
কবে হবে একাকার।
রাস্তার ধারে বরুই গাছে ঝাকুনি দিয়ে-
বকুনি শুনিবো কবে,
দলবেঁধে ঝিলের মাঝে-মাছ ধরিব কবে,
কাঁদা ছুড়াছুড়ি করে-সারা দেহে কাঁদায় ভরিব কবে।
কবে নিব ঐ মাঁটির গন্ধ নিশ্বাসের সাথে।
শেষ বিকালে;
কানামাছি-গোল্লাছুট-দাঁড়িযাবান্ধা; আবার খেলিব কবে,
সন্ধ্যায় দেরিতে ফিরিলে-মায়ের সেই মিষ্টি বকুনি,
আবার শুনিবো কবে।
জীবনের তাগিদে শহরের বুকে রহিয়াছি-বহুদিন,
তবুও;
বৃক্ষে ভরা আমার সেই ছোট্ট গাঁয়ের কথা-
পারিনা ভূলিতে।
হে মোর স্রষ্টা-
এ দেহের শেষ নিশ্বাস যেন পায় মোর গাঁয়ের,
এ দেহে যেন ঢাকা থাকে আমার গাঁয়ের মাঁটি দিয়ে।
১০টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জীবনের তাগিদে শহরের বুকে রহিয়াছি-বহুদিন,
তবুও;
বৃক্ষে ভরা আমার সেই ছোট্ট গাঁয়ের কথা-
পারিনা ভূলিতে। এটুকু খুব ভালো লাগলো। গ্রামকে ভোলা যায় না। সুন্দর কবিতা। ভালো থাকবেন
শাহিন বিন রফিক
আপু, চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির প্রকাশ
অনেক শুভ কামনা রইল কবি দা
শাহিন বিন রফিক
আপনাকেও আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা।
ফয়জুল মহী
অনুপম, অতুলনীয় লেখা।
শাহিন বিন রফিক
আপনার মন্তব্যটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
মনটাকে নষ্ট্যালজিক করে তোলে ভাই, পুরোনো দিন গুলি কতোটা যে মধুর ছিল তা মনে পড়ে যায়……..ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম কবি।
শাহিন বিন রফিক
যতই বয়স বাড়তাছে ততই যেন স্মৃতির কাছে ফিরে যাচ্ছি।
ফেলে আসা দিনগুলি কি করে ভুলি
ওখানে যে লুকিয়ে আমার অস্তিত্বের চাবিকাটি।
কামাল উদ্দিন
হুমম, ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
বৃক্ষে ভরা আমার সেই ছোট্ট গাঁয়ের কথা-
পারিনা ভূলিতে।