১.
একটি পাখি বনে থাকে
তার কাশবন প্রিয়, বাশ বন প্রিয়, ঘাস বন প্রিয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে অন্যায় কাজ
একটি বনের পাখি বন্ধী করে রাখা,
তাকে উড়তে না দেওয়া, তাকে গাইতে না দেওয়া।
তার হৃদয় হাজার কোটি ভাড়াটে খুনির থেকে পাশন্ড,
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও নিষ্ঠুর, নির্দয়
এক টুকরা ছোট্ট হিরা থেকেও শক্ত,
বিশাল পাথরের থেকেও স্পন্দনহীন
যে একটি বনের পাখি বন্ধী করে রাখে,
উড়তে দেয়না, গাইতে দেয়না।
২.
পাখি তুমি বেচে আছ
লোহার খাচায় বন্ধী হয়ে
আশায় আছো মুক্তি পাবে
উড়ে যাবে আকাশ ছুয়ে
সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে
আসবে যে এক নতুন দেশে।
বন বাগানের বন্ধু পাবে
গাইবে যে গান সুরে সুরে
মরা কাঠের পোকার খোজে
উড়ে যাবে অনেক দুরে।
সকাল বেলা ঘুম ভাংগাবে
ঘুমিয়ে থাকা অলস যত
পাবে নতুন দিনের আলো
সূর্য কবে লাগবে কত?
৩.
আকাশ আজ শূন্যতা অনুভব করে
কেউ একজন উড়ে বেড়ায়না
গায়ে ভর করে।
কে সে? কোথা সে থাকে?
কেন আসেনা
নির্জন কোন বাকে?
৪.
হাজার পাখি বন্ধী হয়ে আছে
আমি তাদের একজন
তারা আমার বন্ধু,
তারা আমার ভাই
শুধু তারাই বুঝবে আমার ব্যাথা
আমি কি চাই।
শুধু তারাই বুঝবে লোহার খাচা কি
কত ভয়ংকর, কত নিষ্ঠুর!
কিন্তু আমি কপাল পোড়া
আমি অপয়া,
আমি আমার ভাই বন্ধুদের সাথেও দেখা করতে পারিনা,
দুঃখের কথা খুলে বলতে পারিনা।
কারন, আমি যে বন্ধী
আলাদা একটা খাঁচায়!
৯টি মন্তব্য
আবু জাকারিয়া
একটা সমস্যার কারনে ঠিকমত ব্লগে আসতে পারিনা।
আশা করি মাস খানেক পর নিয়মিত হব।
খসড়া
ভাল লাগল।
আবু জাকারিয়া
ধন্যবাদ #খসড়া
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
বেশ ভালো। শুভেচ্ছা রইলো।
আবু জাকারিয়া
ধন্যবাদ। আশা করি ভূলগুলোও ধরিয়ে দেবেন।
জিসান শা ইকরাম
ভালো লিখেছেন।
আবু জাকারিয়া
আপনাকে ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
সবগুলোই সুন্দর। পাখিকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা কোনভাবেই মানতে পারিনা।
ভাইয়া শব্দটি বন্দী, বন্ধী নয়। শব্দটা শুধু আপনাকে নয়, অনেককেই ভুল করতে দেখি।
আমার ছেলে একটা পাখি চেয়েছিল খাঁচায় পুষবে বলে, আমি দিইনি। আপনার লেখার মতো করেই তাকে বুঝিয়েছি, সব বন্ধুদের কাছ থেকে তুমি তাকে আলাদা করে দেবে? শুনে আমার ছেলে বলে, তাহলে তুমি পাখির আত্মিয় স্বজন বন্ধুবান্ধব সব সহ অনেকগুলো পাখি নিয়ে আসো আমি পুষবো 🙂
প্রহেলিকা
সাবলীল উপস্থাপনা ভালো লেগেছে, লেখার থিমটি চমৎকার যদিও কাব্যময়তার কিছুটা অভাববোধ করেছি তবে তা ঠিক হয়ে যাবে ধীরে ধীরে। পড়তে গিয়ে হোচট খাইনি সেটিই সার্থকতা। ভালো লাগা জানবেন শুভকামনা।