আধার-সকালে হিমেলের গুঁড়ি-গুঁড়ি/ঝিরি-ঝিরি বৃষ্টিতে
কবিতা হেঁটে যাচ্ছে কুটিপাটি হাসি চেপে,
এড়িয়ে যাবার ছল/ভান করে!

**সিলি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তীর-ছোড়া -চোখে তাকিয়ে, ডাকি,
এইইইইইইইইই কবিতা, ভিজে লেপ্টে আছো তো;
বেশ দেখাচ্ছো/দেখছি কিন্তু, থেমে যাও-না একটু,
বাণ ছুড়ে চোখে চোখ রাখি; হৃদয়ে হৃদয়;

*ছিছিছি, এ নিবির-আলো-বেলার দীঘল সকালে
এমন করে, কেউ দেখে/বলে না-কী!
কবিদের এই বিশ্রী স্বভাব, মুহূর্তে লটকে যাবে/লটকে ফেলবে,
দেখছি ঢের এসব, সুবিধে হবে-না/দেবো-ও-না,
বৃষ্টি ধরে এসেছে, গেলাম এবারে।

**(পথ আগলে দাঁড়িয়ে)যদি যেতে না দেই,
এই নাও আতরদানি, সুরমাদানি, পানের বটুয়া, গ্রাচুইটি,
চিনেমাটির বাসনকোসন আর বাংলাদেশ ব্যাংক,
সব দিতে চাই, দিয়ে-ও দিচ্ছি;

*ভিক্ষুক সমিতির প্রধানের মত কাঁচুমাচু তেলচুকচুকে নিবেদন
দেখেছি প্রচুর, কাছে ডেকে আড়ালে আবডালে/জনসম্মুখে
ফাউন্টেনপেনের তীব্র খোঁচায় অনুবাদ করে দিতে চায়
কবিতার প্রতিটি ভাঁজের পুরোটাই, নৃশংস গরিমাতে,
নিষেধের-না মেনে-টেনে;

*সেবারের গন মন্বন্তরের কালে এসেছিল হীন-বীর্য, দুষ্প্রবৃত্তি,
হারামজাদা, নিচু-মনা, লম্পট, লোল জিহ্বার জিম্মাদার কবিকুল,
বলেছিল খরা-প্রবণ নিষ্ফলা জমিতে বীজ ফেলে/বুনে
ফসলের বাণ বইয়ে দেবে,
আস্তাকুড়-পরিণতি দেখেছি/দেখেছে সবাই;

**(বাপ্রে, এ তো বহু ঘাটের জল/পানি খাওয়া কুহকের কলহ-বিশারদ)
কবি-টবি কিচ্ছু না (আমি), কবিতা-পথে উঁকিঝুঁকি দেই-নি,
দেব-ও-না কোনদিন, লেখা-ফেখা দূর-নাস্তি,
এই দেখ বুক পকেটে ভরপেট কালি-ওয়ালা কলম-ও নেই,
যুদ্ধ-টুদ্ধ শিখি-ই-নি, গেরিলা বা সম্মুখ (দিব্যি দিচ্ছি),
এই দ্যাখো সাদাটে বেলুন, আঙ্গুলে ওড়াচ্ছি;

*এমন তুরীয় প্রত্নদিনে চলো-যাই, উলানবাটর;

**শান্তি, শান্তি, শান্তি; ধনুকে ঠিকঠাক এঁটে যাবে তীর এবার!

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ