কেমন জানি বেমানান মনে হয় নিজেকে
জীবনের এই নীড়ে
শ্বাসের বোঝা টেনে নিতে নিতে কোনো একদিন ধপ্পাস
তারপর সবকিছু সুনসান, আহ শান্তি!
নিশ্চুপ শামুকের মতো গুটিয়ে গাঢ় ঘুমে--
ঋণগ্রস্ত হয়ে বৃক্ষের কাছে আর কেন?
শুনতে বুঝি ভালো লাগছে না এই সব গল্প-কথা?
এতো আনন্দ নিয়ে কি করতে চাও হে জীবন?
এই দেখো, বসে আছি মহাসিন্ধুর ঠিক এপারেই।
সুন্দর এক জীবনের কাছে যাবার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ছক্কড়ও।
এখানে এই ম্রিয়মাণতার কাছে নিঃশ্বাস একটি মিথ্যের উপর দাঁড়িয়ে;
বোঝার ক্ষমতার বাইরে থেকে এসে ঝুলিতে ঢেলে দেয়া জন্ম নেবার দিনের উপহার।
বড্ড ম্লায়মান এ পথ এখন।
কয়েকটি হাড় কেবল অন্তেষ্টিযাত্রায় বাক্সবন্দী
শরীরের কাঁটাছেঁড়া জায়গাগুলো অযত্নের স্টিচ-এ
চামড়াগুলো কোনোরকমে আটকে থাকবে
(মৃতদেহের নাম থাকে না, লাশ পরিচয়ের জন্যে কসমেটিক সার্জারীও হয়না)
তারপর ক্রিমেটোরিয়ামে-----
ছাই-ভস্ম হয়ে মিলিয়ে গেলে
একটি কবিতার জন্ম হবে,
নাম -- আহা বড়ো ভালো মানুষ ছিলেন!
হ্যামিল্টন, কানাডা
২২ আগষ্ট, ২০১৫ ইং।
**দুটো ছবি-ই নোভাষ্কশিয়ার ছোট্ট শহর এন্টিগোনিশে তোলা। এ ছবি দুটো অবশ্য আইপড দিয়ে, গান শুনে হাঁটতে হাঁটতে একা অজানার পথে একটি বিকেলে। আমি জানি লেখাটি কারুর ভালো লাগবে না, কারণ আমি মৃত্যুর কথা ভাবিনা কিংবা লিখিওনা। জীবন আনন্দের। কিন্তু আজ লিখেছি প্রচন্ড রাগ করে আর প্রবল জেদ নিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি আনন্দ নিয়ে ফিরবো, একটু শান্ত করার চেষ্টা করি। সবাই ভালো থাকুন। -{@ (3
Thumbnails managed by ThumbPress
৪৬টি মন্তব্য
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ শ্বাসের বোঝা টেনে নিতে নিতে কোনো একদিন ধপ্পাস
তারপর সবকিছু সুনসান, আহ শান্তি! -{@
শেষে কি আসলেই শন্তি না অন্য কিছু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তা তো জানিনা। শান্তি নাকি অশান্তি। যে পরিমাণে মৃত্যু সম্পর্কীয় লেখা পড়ি, তাতে তো শান্তি বলেই মনে হয়। তা নইলে এতো মৃত্যুর আবাহন কেন? ;?
শুন্য শুন্যালয়
কেউ চলে গেলে আমরা তাকে ছিল বানিয়ে দিই কেন? আছে নয় কেন? শরীরের মূল্যটা কি এতই বেশি!!! মাঝে মাঝে এই অনুভূতিরও প্রয়োজন আছে আপু, নইলে যে আপনাকে আমরা ভুলেই যাব নীলাপু কে।
এখানে এই ম্রিয়মাণতার কাছে নিঃশ্বাস একটি মিথ্যের উপর দাঁড়িয়ে; না এ মিথ্যে নয়, মৃত্যুর মতোই সত্য এবং সুন্দর।
শান্ত করবার জন্য তো আমি আছিই আপু, আপনি কই চললেন?
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই আপু মরে গেলেই একটা মানুষ কি করে লাশ হয়ে যায়, ভাবি আমি।
তুমি কি জাদু জানো আপু? মন একেবারে শান্ত আর ফকফকে 😀
আছি, আছি। যাবো কোথায়? যাবার অনেক দেরী আছে, অতো সহজে মুক্তি দেবো না তোমাদেরকে। \|/
ছাইরাছ হেলাল
আসলে চলে যাওয়া মানে চলে যাওয়া নয়, ফিরে ফিরে ও আসা।
আমরা জীবনের মাঝেই ফিরে আসবো বারে বারে ভীষন ভাবে, ভালোবাসবো ভালোবাসা।
নাহ, এ লেখায় আমি মন্তব্যের ভাষা হারাচ্ছি। এমন করে ভাবতেও চাই না।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবি ভাই আপনার কি হয়েছে বলুন তো! ভাষা হারাচ্ছেন, আবার মন্তব্য মুঁছছেন?
তবে যা মন্তব্য করলেন, সেটায় আমি হতবাক! 😮
আপনার মন্তব্যে জীবনকে ভালোবাসা, জীবনের কাছে ফিরে আসা এসব কথা তো আমি বলি!
আপনার কাছে তো শুধু মৃত্যুর লেখা।
দেখুন ভাই এমন লেখা আমি লিখিনা। কিন্তু এমন ভাইরাস ছড়িয়েছেন যে লিখেই ফেললাম।
আবার বলবেন না যেনো নকল করেছি। শেষে আবার বিপদে পড়তে হবে। :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনার শূন্য আপ্পুই তো এ সব শুরু করেছে, কৈ তাকে তো কিছু বলতে
দেখলাম না।
সব থেকে বেশি ভালুবাসার কথা আমিই ল্যাখি, এটি মনে রাখতেই হবে।
ওরে বাব্বা, আপনি করবেন নকল!! আপনার নাম শুনলেই নকল পালিয়ে বাঁচবে।
আর নয় মৃত্যু। শুধুই গেবনের জয় গান।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি, তাও ভালোবাসা!!! 😮 😮 😮
আপনার হার্টের কি অবস্থা? (-3
শুন্য আপু এখন নেই এখানে, উনাকে টানছেন কেন? :@
আপনি আবার জীবনের গান!!!
দেখি সময় কি বলে! ;?
ছাইরাছ হেলাল
সময় কথা বলবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় কথা বলবে না, ডাক্তার দু’দিনের জন্য কাজে যেতে না করলো। মনে হচ্ছে আপনার অভিশাপ। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এবার থেকে সাবধানে ধামকি-ধুমকি দেবেন।
তবে আপনার আসু সুস্থতা অবশ্যই কামনা করছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধামকি-ধুমকি সাবধানে দেবো কেন?
আপনি তো সুবিধার মানুষ না! :@
আপনার অভিশাপে ব্যথা আবার আপনিই সুস্থতা কামনা করছেন!!! 😮
মারাত্মক মানুষ হে আপনি ;?
আবু খায়ের আনিছ
সময় ফুরিয়ে গেলে শুধুই ছবি হয়ে দেয়ালে ঝুলে
আত্মাহীন একটা মানুষ, যতক্ষন আছে দেয়ালে
চোখের সামনে পড়ে, মনে হয় ছিল এই একদিন এই সংসারে।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব সুন্দর বলেছেন। কবিতা লিখে ফেলুন। (y)
আবু খায়ের আনিছ
সেটাই ত পারি না আপু। কবিতাটা ঠিক আমার জন্য না আর আমিও কবিতার জন্য না। কবিতা পড়তে ভালোবাসি,আর যখন পড়ি তখন ভাবি এই রকম দুয়েকটা কবিতা যদি আমিও লিখতে পারতাম। কবিতাটা আমাকে দিয়ে হয় না, ওটা বরং আপনাদের কাজ আপনারাই করুন, আমি পড়ে যাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
হবে হবে। এই যে লিখলেন মন্তব্যে? কবিতা আর কি এমন?
জিসান শা ইকরাম
তারপর ক্রিমেটোরিয়ামে—–
ছাই-ভস্ম হয়ে মিলিয়ে গেলে
একটি কবিতার জন্ম হবে,
নাম — আহা বড়ো ভালো মানুষ ছিলেন!……… চরম সত্যকে কিভাবে এত সুন্দর ভাবে প্রকাশ করো?
কবিতা ভালো লেগেছে।
রাগ আর জেদের সাথে আমাদের কি সম্পর্ক?
আমরা তোমার অতি আপনজন
এখানে থেকেই শান্ত হওঁ।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা চরম সত্য কিভাবে আসে জানো? রাগ করলে। রাগ করে দেখো(আমার সাথে না কিন্তু), লেখার মোড়ই বদলে যাবে। বোঝাতে পারলাম? :p
শুন্য শুন্যালয়
কএকটা শব্দে চোখ আঁটকে গেলো।। এই আপু আজ কি তোমার জন্মদিন?
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আজ না। তবে জন্মদিনের গিফট এই লেখাটার একটু আগেই পেলাম। তারপরই তো লিখলাম। 😀
তুমি তো সাঙ্ঘাতিক! 😮
লাভ ইয়্যু -{@ (3
অরণ্য
“এতো আনন্দ নিয়ে কি করতে চাও হে জীবন?” (y)
বলতে ইচ্ছে করছে
“শেষ হাসিটা যাতে হেসে যেতে পারো তুমি।” 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
হাসিটা পেয়ে গেলাম। 😀
তবে শেষ হাসি নয় কিন্তু। :p
অরুনি মায়া
দেহের মৃত্যু সেতো একবার ই হয়। যা দুনিয়া দেখে।
কিন্তু মনের মৃত্যু বারবার হয়, সে খবর বলতো কজনে রাখে?
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব সত্যি। মরে গেলে আহা রে, বেঁচে থাকতে কারুর কোনো খবর পাওয়া যায়না।
ধন্যবাদ আপনাকে অরুনি মায়া। -{@
অরুনি মায়া
অভিনন্দন আপনাকে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@
ইমন
মানুষ মরে গেলে পচে যায়না। তোমার কবিতার ভাষায় ভালো মানুষ হয়ে যায় আপু। ভালো লেগেছে কবিতাটা।
সার্মরর্ম, ঐ ” আহা বড়ো ভালো মানুষ ছিলেন! ” :c
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া সবা্র এতো ভালোবাসা পাচ্ছি কেন?
আমি তো নির্বাক হয়ে যাচ্ছি। -{@
খেয়ালী মেয়ে
ছাই-ভস্ম হয়ে মিলিয়ে গেলে
একটি কবিতার জন্ম হবে,
নাম — আহা বড়ো ভালো মানুষ ছিলেন! (y)
ফিরে আসো তাড়াতাড়ি আনন্দ নিয়ে..
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু আমার আনন্দকে ভারী করে রাখিনা, রাগ-কষ্টকে পাত্তা কম দিই। তাই ফিরে এলাম।
সেই আমি, একই আনন্দ-হাসি-দুষ্টুমী আর পাগলামী নিয়ে। 😀 \|/
খেয়ালী মেয়ে
আপু এমনটাই থেকো সবসময় -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু রে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। অসহ্য বিরক্তিকর।
মেহেরী তাজ
ভালো। ১২ কলা পূর্ণ হইছে। এখন আর ৪ কলা বাকি। প্লিজ জিজ্ঞেস করবেন না তারা কারা। ভেবে দেখেন।
খুব তারাতারি আমার চেনা সেই নীলা আপুকে ফেরত চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু তা চার কলাগুলো কি কি? তাড়াতাড়ি বলো। অপেক্ষা করছি। ;?
মেহেরী তাজ
চার কলা কি কি নয়। বলেন কে কে?
শেষ মেশ আপনিও।হুম সবাই তো লিখছে আপনিই বা বাদ কেনো থাকবেন?
তাই বলেছি। 🙁
আনন্দ নিয়ে ফিরুন। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কার অভিশাপ লাগলো কে জানে! এখন আরোও কতো কলা যে ঘাড়ে চাপবে। ;(
তানজির খান
কেমন জানি সাদামাটা লেগেছে। আপি, আপনাকে খুঁজে পাইনি কবিতায়। তবে চরম সত্য উঠে এসেছে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমার আপি নেইতো এখানে ভাইয়া। রাগ আর জেদের লেখায় তোমার আপিকে পাবে কি করে?
সীমান্ত উন্মাদ
আপু মৃত্য অনিবার্য এবং শাশ্বত সত্য, তাই আমার কাছে মনে হয় মৃত্যু ভাবনাটা স্বাভাবিক, কারন মরতে যেহেতু হবেই তাই দায়িত্বগুলো পালন করার একটা তাগিদ থাকে।
আপনার লিখায় আমি সেই সত্যের উপলব্দি পেয়েছি। জীবন সুন্দর, কিন্তু প্রতিটি জীবিত প্রানির জন্য মৃত্যু সত্য এবং শেষ অধ্যায়।
তবে আপনার লিখায় প্রকৃতি আর জীবন পাই, আজ একটু ভিন্ন কিছু পেলাম, তবে আপনি জীবন নিয়ে বেশি লিখেন আপু, কারন প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে হুমকির মাঝে বসবাস তার থেকে একটু স্বস্তি পাই, জীবন নিয়ে লিখাগুলোয়।
অনেক অনেক শুভকামনা জানিবেন, নিরন্তর-নিরবধী। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া রাগের লেখা। আমার রাগ-জেদটা একটু বেশী কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী নয়। তাই ফিরেছি আমার এই দাঁতি নিয়েই 😀
লীলাবতী
ইহা হয় একটি রাগত এবং মেজাজ খারাপ যুক্ত লেখা 😀 এমন লেখা আমরা চাইনা।ভালোবাসা আর আনন্দের লেখা চাই -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আসছি ভালোবাসার শ্রাদ্ধ নিয়ে। অপেক্ষা করুন দিদি। :p
ব্লগার সজীব
লীলাবতী বলেছেনঃ ইহা হয় একটি রাগত এবং মেজাজ খারাপ যুক্ত লেখা 😀 এমন লেখা আমরা চাইনা।ভালোবাসা আর আনন্দের লেখা চাই -{@ (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া মেজাজকে আপাতত ফ্লাশ করে ফেলেছি। তাই নিশ্চিন্ত আনন্দ আর ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেবো। তবে ভালোবাসার শ্রাদ্ধ যদি করি, আপত্তি আছে? 😀
নীতেশ বড়ুয়া
:@
নীলাঞ্জনা নীলা
😀 :D)