: হ্যালো ! কে বলছেন ?
: আমি !
: আমি কে? নাম কি?
: আলিফ।
: চিনলাম না। তো এতো সকালে? কোন দরকার?
: আপনি কিন্তু ভালো কবিতা লিখেন!
: সেটা জানাবার প্রয়োজন আছে কি? প্রশংসা ভালো লাগে না। আপনি মোবাইল নং পেলেন কীভাবে?
: আপনার বাবা আর আমার বাবার প্রতিদিন দেখা হয় সুরভি উদ্যানে। মর্নিং ওয়াকের পার্টনার। ওখানেই বন্ধুত্ব।
: সে তো ওনাদের বন্ধুত্ব। আপনার আর আমার সাথে তো নয়।
: না মানে। আপনার বাবা কাল আমাদের বাসায় এসেছিলেন। কথায় কথায় বিয়ে নিয়ে কথা উঠলো। উনি পাত্র হিসেবে আমায় পছন্দ করেছেন।
: আমাকে তো বাবা কিছু বলেননি? কিন্তু মোবাইল নং?
: আপনার বাবা মোবাইল দিয়েছিলেন ছবি দেখতে। আমি চুরি করে আপনার মোবাইল নং নিয়েছি। তারপর, ফেসবুক আইডিও দেখলাম।
: এতোদূর এগিয়েছেন? আইডি দেখে কী বুঝলেন?
: গত ২৫ তারিখের একটা পোস্টে একটা ছেলের সঙ্গে সেলফি দেখলাম ! উনি কি আপনার বয়ফ্রেন্ড?
: ছবি থাকতেই পারে। তাই বলে বয়ফ্রেন্ড আখ্যায়িত করা !! শোনেন, বাবাকে বলবো এই রকম ছেলে আমার পছন্দ নয়। জাজমেন্টাল। উফ্!
: আরে, শোনেন? প্রশ্ন তো করতেই পারি।
” আমি তোমার নামে একটা
আকাশ কিনতে চাই।
তারপর একটা সাইনবোর্ডে লিখে দিবো
এখানে পাখিদের ওড়াওড়ি, ঘুড়ি ওড়ানো
কিংবা দানব উড়োজাহাজ উড়বে না।
ইচ্ছে হলেই নামিয়ে নামবো
নীলাকাশ, জোসনা, কিংবা খরতাপ।
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে
সূর্যকে বলবো ” সূর্যাস্ত নামিয়ে দাও। ”
তারপর কফির সাথে চলবে খুনসুটি ও কবিতা।
: এটা তো আমার কবিতা ! সুন্দর আবৃত্তি করেছেন।
: আরও অনেকগুলো মুখস্থ করেছি।
: আপনি তো ডাক্তার! এতো সময় কীভাবে পেলেন?
: যার কিছু সব কিছু ভালো লাগে, ঐ যে গলার কালো তিলটি, ঠোঁটের স্মিত হাসি, কিংবা গোলাপি ড্রেসের প্রোফাইল পিক — তার কবিতা ভালো না লেগে যায়?
: কবিতা চর্চা করি মাত্র। কেউ আমার কবিতা এতো ভালোবাসে এই প্রথম জানলাম।
: আপনি কীভাবে জানলেন আমি ডাক্তার ?
: আপনার মতো —- বাবা মায়ের আলাপ লুকিয়ে শুনে ফেলেছি। এফসিপিএস করছেন। অথচ বিয়ে করেননি এখনও?
: মনের মতো পেতে গেলে, একটু দেরি তো হয়ই।
: পেলেন বুঝি ?
: হুম। হেলাল হাফিজ, নির্মলেন্দু গুণের কবিতার বই নিয়ে কাল বাসায় আসবো।
: বাহবা ! পছন্দগুলো ও জানেন দেখছি। সাথে সমরেশের “বাবলি” ও থাক।
আমি কী গোলাপি রঙের ড্রেসে থাকবো?
: সে কী আর বলতে হয় ?
: রাখি।
: আমি অপেক্ষায়…..
২৪টি মন্তব্য
নবকুমার দাস
বাহ্, চমৎকার লাগলো দিদিভাই ।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ দাদা
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতি প্রকাশ কবি মুক্তা আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
আরজু মুক্তা
শুভকামনা জানবেন
রোকসানা খন্দকার রুকু
কথোপকথন সুন্দর হয়েছে। কবিতা কবি আর তাদের প্রেম ভালোই জমেছে। চলতে থাকুক এমন ভালোবাসার কথোপকথন। শুভ কামনা🥰🥰
আরজু মুক্তা
হা হা। চলুক তাহলে।
শুভকামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ কথোপকথনে রোমান্টিক আবহ এতো চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে সত্যিই বিমোহিত হয়ে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। চলুক এমন কিছু কথোপকথন। এমন প্রেমিক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। নিরন্তর শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
আরজু মুক্তা
সেটাই তো। এমন প্রেমিক কয়জন পায়?
একটু ব্যতিক্রম দিলাম।
শুভকামনা দিদি।
ছাইরাছ হেলাল
এত সহজে পটে/পটানো যায়!!
যদিও গল্পে/গপ্পে কুন ব্যাপার না!! চালু থাকুক।
অনুগল্প কৈ!!
আরজু মুক্তা
কথার ফুলঝুড়ি।
অনুগল্প থাকছে এরপর। তারপর থাকবে নতুন একটা বিষয় নিয়ে আমার প্যাঁচাল ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে। সাথে থাকুন। আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমার মাথার মুকুট, লেখার গতি।
শুভকামনা সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
শান্তি শান্তি কথার ফুলঝুড়িতে!!
পপি তালুকদার
অপেক্ষা…………………………………………………পরে? বেশ ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল।
আরজু মুক্তা
হা হা। ভালো লাগলেই লেখা সার্থক।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
বাহ, চমৎকার প্রেমময় কথোপকথন। শুভ কামনা আপা।
আরজু মুক্তা
শুভেচ্ছা অফুরন্ত।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শুভ কামনা ।
বন্যা লিপি
ইনস্পায়ার্ড হইলাম তো! এরকম টেলিফোনালাপ দারুন জমে ক্ষীর। কোথা থেকে শুরু আর কোথা গিয়ে অপেক্ষার প্রতিশ্রুতি এসে অধিকার দখল করে নেয়! দুই পক্ষই যখন আগে থেকে গোরায় নিশ্চিন্তের গেরোতে গিট্ঠু দিয়ে রেখেছেন, পটে যেতে আর দেরি কিসের? শাব্দিক গঠন ভালো হয়েছে। চলুক কথোপকথনের রেল জার্নি।শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
শুধু ক্ষীর? ক্ষীরমোহন বলা যায়।
চলুক এমন লেখা। এ্যা জার্নি বাই বাহারি ঢংয়ের কথোপকথন।
ভালোবাসা অবিরাম।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সুন্দর লেগেছে কথোপকথন।
বেশ হৃদয়গ্রাহী।
মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা অন্তহীণ।
আরজু মুক্তা
আপনাদের ভালো লাগাই আমার লেখার প্রাণচাঞ্চল্য।
শুভকামনা
জিসান শা ইকরাম
ওয়াও, অনেক সুন্দর হইছে।
শুধু কথোপকথন দিয়ে গল্প লেখা আমার খুবই পছন্দের একটি বিষয়।
গল্পটা একদম সত্যির মতো উপস্থাপিত হয়েছে।
এমন গল্প আরো চাই।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আমারও কথোপকথন খুব ভালো লাগে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। অবশ্যই আমি আরও লিখবো।
শুভকামনা সবসময়
তৌহিদ
রোমান্টিসিজম নিয়ে লেখা কথোপকথনরত গল্পের পাত্রপাত্রীর এমন উচ্ছ্বাসিত গল্প পড়তে ভালোই লাগে আমার। এটিও তেমন একটি লেখা।
দেখা হবার পরের ইতিহাস নিয়ে শিঘ্রই আসবেন কিন্তু।
শুভকামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
বাপরে, আপনারও ভালো লেগেছে। আমারে আর পায় কে? আর একটা দ্রুত রেডি করবো।
শুভকামনা ভাই