ডেকেছে কঙ্কাবতী কফি খেতে, আনন্দ আতিশয্যে আগে গিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা, বসে বসে বা পায়চারীতে অপেক্ষা-প্রহর গুনতে থাকা, এটা –ওটা খাওয়া। অনন্ত সময়ের জগদ্দল পাথর ঠেলে ঠেলে হাপিত্যেশ করা, শেকড় গজিয়ে বটগাছ, ঝুড়ির আড়ালে প্রায় আড়াল হওয়া।
ফেসবুক হাতালে মন্দ হয় না, ফাঁকা বাক্সে উঁকিঝুঁকি দেয়া!! পকেট হাতড়ে দেখি হাওয়া হাওয়া,
আনিনি ওখানা!!
হঠাৎ বয়ে গেল যেন জ্বীনবাতাসের হাওয়া, আচমকা ঠাণ্ডায় হাঁসফাঁস, ও কিছু না, পকেট হাতড়ে তুলে নেই কাগজ কলম, আচ্ছা কার্টুন আঁকলে কেমন হয়, নিজেকে নিজে!! আরে কার্টুন কোথায়!!
এ দেখছি মামদো ভূত!!
আচমকা টেকো মাথায় চাটি খেয়ে চমকে তাকাই,
উরিব্বাস!! ঝর্ণার রিনিঝিনিতে শুনতে পাই
“I am in disguise” বাবা-সোনা;
কফি চাই, কফি চাই, বরফ কফি চাই। ওয়েটার জানায়, এখানে নাকি তা নেই!!
নেমে আসি চিপা রাস্তায় একাকী, যানজটে অস্থির সবাই, দু’রিক্সার গিট্টু, একটির সামনের চাকা অন্যটির পাশের চাকায়, খুলছে না কিছুতেই, দু’টিতে মুখোমুখি, অচেনা অপরিচিত দু’জনা, একটু পরেই ‘বাবুর’ মুখে হেসে উঠল দু’দিকের ডিজিটাল মেলবন্ধনে!!
গুট্টু খুলে গেলে এক লাফে রাস্তা পাড় হয়ে টং দোকানে,
মামা, আগুন আগুন চা দেও, এক কাপ, দু’কাপ, না পুরাই তিন কাপ, আগুন গরম;
চা মামা তাকায়, এদিক-ওদিক;
************************************************************************
‘অনুনয়’ যে কোথায় লাগাই!!!!!
৪৬টি মন্তব্য
নীহারিকা জান্নাত
তাহলে কি হলো ব্যাপারটা? খালি পকেটে কফি খেতে যাওয়া?
আর শেষে গরম চা……. 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার খানা কী দাঁড়াল সেটি তো আপনি বলবেন!!
আবার পড়ুন, আনন্দ নিন, অনেক মজার এটি,
আমি বলে দিলে আনন্দটুকু মাটিহয়ে যাবে।
মিষ্টি জিন
কংকাবতির সাথে কফি খেতে গিয়েও ফেইসবুকিং!! বাহ বাহ :c
কফির বদলে শেষ মেস জুটলো টং দোকানের চা, তাও তিন কাপ। খারাপ না।
জুটলো যে তাই ভাগ্যি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কফি না জুটলেও বাবা-সোনাটুকু একদম কম না,
সবার কপালে সব জোটে না,
ফেসবুকিং আর করা হইল কৈ!! বক্স তো ফকফকা, সাথেই তো থাকে না,
চা-মামাই আপন!!
প্রহেলিকা
যাক ভয় পেয়েছিলাম গিট্টুতে লেখক না আবার পেঁচিয়েই যা যুগ যুগান্তরের জন্য। আহা গিট্টু যদি না লাগতো তাহলে বাবুদের এমন মেলবন্ধন দেখা হতো না কোনোকালে। গরম তিন বা তিনশ কাপের বিকল্প নেই তখন।
এতোদিকে না তাকালেই কি নয় কবি? না দেখার ভান ধরলেও মন্দ হয় না। আর অনুনয়ের কথা বলছেন? ডেল কর্ণেগীর একটা লাইন মনে পড়ল, “আমরা স্ট্রবেরী খেতে পছন্দ করি বটে তবে আমাদের পছন্দের স্ট্রবেরী দিয়ে মাছ ধরতে না যাওয়াই ভালো। মাছ ধরতে হবে তাদের পছন্দের খাবার দিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
সাধ করে কী দেখি!! রাস্তা বন্ধ, অগত্যা যা পাই তা খাই এমন অবস্থা,
বন্ধচোখে থাকা ঠিক না,
ঠাণ্ডা কফি যখন কপালে জুটল না, তখন গরম চা খেয়ে শোধ নিলাম।
আপনাকে তো খুবই এলেমদার মনে হচ্ছে, মাছের চার ঠিক ভাবে ফেলছেন তো?
বড়শী আর ছিপের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ফাৎনার কথা মনে করাতে হবে না আপনাকে।
প্রহেলিকা
দুধের স্বাদ ঘোলায় মেটাতে সবাই পারে না, আপনি পারেন। আমরা অধম দেখিলেও না দেখার ভান করি অন্যকেও উৎসাহিত করি। শেয়ালের লেজ কাটা গল্পের দিকে নিলে হবে না কিন্তু কবি। তা অনুনয়ের ফল পাচ্ছেন দেখা যাচ্ছে কিন্তু। গিট্টু যেন থেমে না থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
ঘোলময় জীবন,
দাওয়াত কফির, খেতে হয় আগুন চা,
বোনাস দর্শক হিশেবে ডিজিটাল বাবু দেখা,
অনুনয় তো কাজেই লাগানোর সুযোগ পেলাম না।
আপনি মাষ্টার জুইতের না।
প্রহেলিকা
সবাই যদি জুইতের হয় তাইলে ক্যামনে কি! তবে একটা বিষয়ে কনফিউজড, ডাইনী থেকে কঙ্কাবতী তে চোখ তা ঠিক আছে কিন্তু এও কোনো অনুনয়ের চারা নাতো? মাছ ধরার মত আর কি। ডাইনী ডেকে কাজ না হওয়াতে এবার কঙ্কাবতী ডেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে নাতো? মোক্ষমতায় হাত পড়লে কবিকে নীরবতা পালন করতে হয় জানি।
ছাইরাছ হেলাল
আরে এতো অনুনয়ের ট্রায়েল দিলাম, আপনার ভেজষ গুন চেখে দেখছি, অন্য কিছু না।
ডাইনিদের অবস্থান নড়নড়ে না, তারা খুব আপন।
নিতাই বাবু
তারপর চা’ পান করা হয়েছে কিনা জানতে ইচ্ছে করে। জানাবেন মন্তব্যের বাক্সে।
ছাইরাছ হেলাল
তিন কাপ আগুন-গরম চা খেতে হয়েছে।
প্রহেলিকা
ট্রায়েলের সুফল দেখা যাচ্ছে। এভাবে ট্রায়েল চালু রাখুন এতে করে লেখা লিখতে অসুবিধা হবার কথা নয়। কীবোর্ডে হাত রাখলেইই হবে।
ছাইরাছ হেলাল
হায়রে, অভাগা কী-বোর্ড সব লেখা যদি লিখতে পারত তাহলে কত কিছুই না লিখতে পারত,
যা লেখা হয়নি আজও।
প্রহেলিকা
আরো লিখলেও হবে না বা হলেও এখনের মতোই মনে হবে। মধ্যরাতে ঝুম নিরবতার মাঝে ডাহুকের ডাক শুনেছেন কখনো? ডাহুকের ডাক সেই নিরবতাকে খানখান করে ভেঙে দেয় না। ডাহুকের সে ডাককেও নিরবতারই অংশ মনে হয়। লেখাকেও এমনি মনে হয়। যতই লিখি তা যেন কিছু না বলারই অংশ।
ছাইরাছ হেলাল
চিরন্তন অপারগতা নিয়ে খুব সুন্দর বলেছেন,
কী যেন লেখা হলোনা এটি থেকেই যায়,
ভাল কথা,
কঙ্কাবতী কিন্তু ডাইনি-ই!! (আবার পড়ুন)
প্রহেলিকা
হু দেখলামতো কি ভুত টুত এর পেছনে যে লাগলেন। কুবিরাজ ধরলে মন্দ হয় না। নিজে লাগ্লেন না আপনাকে পেছনে লাগাইলো তা ভাবনার বিষয় থেকেই যায়
ছাইরাছ হেলাল
আসলে শেকস্পীয়রের ম্যাকবেথ পড়তে গিয়ে এই ডাইনি-ভাব চলে এসেছে,
এখন শেষের পথে, টূকটাক থাকবে মাঝে মাঝে।
ইকরাম মাহমুদ
আহারে!! যে জন্য আগে ভাগে গিয়ে বসে থেকে……
কফি তো দূরের কথা চা জুটলো কিনা!!
ছাইরাছ হেলাল
সব-সময় ঠিক-ঠাক ভাবে সবকিছু জোটা সত্যি কঠিন,
তাতে যতই আগে-ভাগে গিয়ে বসে থাকি-না কেন;
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবির বই ফেলে আসলেন? এটা কিছুতেই ঠিক হয়নি।
কফির বদলে চা, বেশ মজার কিন্তু! যাক তার মানে কঙ্কাবতীর সাথে রিক্সার সাথে রিক্সার গিট্টু মন্দ কাটেনি সময়টা। কি বলেন!
বুঝতে পারছি খুব মজার। :D) :D) :D) :D)
তবে মনে হয় মন্তব্যটা আমি নিজেই বুঝলাম না, কে জানে আপনি বুঝবেন নাকি! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
মামদো ভুত-তো সাথেই, তাই কার্টুন আর টেনে লাভ কী।
শুনুন মন দিয়ে,
মধুর অপেক্ষার যন্ত্রণার শেষে ঝগড়া করে কফি না খেতে চলে যাওয়া,
রিক্সার গিট্টু মানে আবার মিলিত হওয়ার সম্ভবনা।
শেষে মেজাজ খারাপ করে চা খাওয়া,
বুঝিনা স্লোগান দিলে খবর আছে কিন্তু।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি খবর করবেন বলেন শুনি! “বুঝি নাই!” 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দাঁত খুব সুন্দর।
নীলাঞ্জনা নীলা
😀
ছাইরাছ হেলাল
হুস, হুস, এইডা আবার কী!!
শুন্য শুন্যালয়
এ মনেহয় সেই আম্মু -আব্বু ডাকের প্রাক প্রস্তুতি। তাও বা কী করে বলি বাবা -সোনা আর আব্বু তো একই অতএব প্রস্তুতি নয় পুরোদমে ঝাপিয়ে পড়া।
রাস্তাঘাটে ওরকম গিট্টু তো হরদম লাগে আজকাল, তা দেখে মাথা গরম করে তিন কাপ চা খাওয়া কী ঠিক?
বিল দেবে কে বাবা -সোনা? পকেট তো হাওয়া হাওয়া 😀
ছাইরাছ হেলাল
ধরা দিয়ে দিলেন!!
বাবা-সোনার লিঙ্গান্তর করতে পারিনি জুৎসই ভাবে, আম্মু-মনি, আম্মাজান, আম্মিজান,
আম্মুটা কোনটাই লাগসই হচ্ছে না, তাই অপেক্ষা করতেই আছি, কেউ গুছিয়ে দিয়ে সাহায্য করলে অহেতুক শ্রমটুকু বেঁচে যায়!
ডিজিটাল যুগে গিট্টু লাগা-ছোটা ব্যাপার না, ম্যাংগো পিপল রাস্তায় আঁটকে পড়ে সময়ক্ষেপণ করে শুধু দেখে যায় দেখে যায়।
কী আর করা, কপালে ঠাণ্ডা কফি না জুটলে চা-ই সই!
ভাবছি পেত্নী বা ডাইনিদের কাছে বিটকয়েনের বায়না ধরবো,
ওরা না বলে ফিরিয়ে দেবে না। আপনজন বলে কথা!!
অরণ্য
“I am in disguise” বাবা-সোনা। 😀
বেশ ধরা খাইছেন মনে হচ্ছে। কখনও কখনও আমরা ধরা খেতেই ভালোবাসি। ব্যাপারনা; গরম চা আরেক কাপ হবে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ধরা খাইছি, আরও কত খামু ঠিক নেই, খাইতেই থাকমু,
খুব ‘ভাইটামিন’ তা –তো বুঝতেই পারছেন!!
বায়রনিক শুভ্র
কফি খুব মারাত্মক জিনিস ।
ছাইরাছ হেলাল
তেমন মারত্মক না, খায় তো!!
মেহেরী তাজ
কফি খান নাই কেনো?? ;? মানিব্যাগ ছেড়ে আসছেন? ;?
তাইলে ৩ তিন কাপ চায়ের দাম? সে দিবে কে?
রিক্সার গিট্টু? চালক গুলা পাগলা আছে, এমন অসময়ে কেউ গিট্টু লাগায়? আরে আরে আপনি রিক্সাই কেনো? আপনি না মানিব্যাগ ফেলে আসছেন? রিক্সা ভাড়া দিবে কে?
ইয়ে আপনি কি মানিব্যাগ ফেলে আসছেন না ফোন? নাকি দুটাই!? ;?
ছন্দের ফিরতে আরো সময় লাগবে বুঝছি! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
গরম কফি খাই না, ঠাণ্ডা কফি নাই, তাই না খেয়ে রাগ করে চলে আসছি,
লেখায় মানিব্যাগের কিছু নেই,
আমি রিক্সায় না, রাস্তায় যানজটে আঁটকে হেঁটে রাস্তা পার হতে পারছিলাম না,
ছন্দে ফেরা কোন ব্যাপার না, একটু মন্তব্য ও উত্তর পড়ে আসতে হবে,
কিছু ফেলে আসিনি,
চায়ের দাম ভুতেরা দিয়ে দেবে।
মেহেরী তাজ
ওরে আল্লাহ। এতো পুরাই 69। আপনি বলেছেন ৬ আমি বুঝেছি ৯। আরও মনোযোগী হতে হবে বুঝেছি।
ছাইরাছ হেলাল
বেশি- না, আর অল্প একটু মনযোগী হলেই হবে!!
ইঞ্জা
আহারে কঙ্কাবতীরর কারণে শেষমেশ ছিলা চাঁন্দিতে চাটি, কফির বদলে টং দোকানের চা, এরেই কয় ফাটা কপাল ভাইজান। ;?
ছাইরাছ হেলাল
ভাই ঠিকই বলছেন, কপালের নাম গোপাল,গাই কিনলে কী জানি হয়!!
ইঞ্জা
কিনেই দেখুন, না দেখলে বুঝবেন কি করে। :p
ছাইরাছ হেলাল
দিল্লি কা লাড্ডুর কথা বলছেন!!
আবু খায়ের আনিছ
অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতে চায় না, প্রহর শেষ করতে এত আয়োজন। বাহ বাহ
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত আয়োজনেও শেষ রক্ষা হয়নি,
মৌনতা রিতু
গিট্টুতে আমার মাথা ঘুরানি দিচ্ছে। বৃষ্টি থেমেছে যাই স্কুলে।
কফিটা না হয় বাইরেই খেয়ে নিব। তবে আমি কিন্তু পার্স সাথেই নিব।
ছাইরাছ হেলাল
খেতে থাকুন, খেতে থাকুন।
পার্স সাথে না থাকলেও। মাথা সাবধান।
গাজী বুরহান
হ্যাপি গিট্টুর মেলবন্ধন!
ভাবছিলাম গুট্টু লেগে থাকবে আদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত।
ছাইরাছ হেলাল
সব গিট্টু আজীবনের জন্য হয় না, বাঁক-বদল হয়-ই।