
“পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম বন্ধুর খবর পাইলাম না”
“মহেশখালীর পান এর খিলি তারে বানাই খাওইতাম”
খুব জনপ্রিয় এই গান কিংবা নানা ছন্দের মধ্যে দেশের জনপ্রিয়্ একটি খাবারের নাম রয়েছে সেটা হলো অতি পরিচিত প্রচলিত খাবার পান।পান নিয়ে আছে নানা ছন্দ আছে জনপ্রিয় গান। দিন বদলাইছে৷ সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে প্রচলিত ধরন তবে সেই প্রাচীন কাল হতে আজ অবধি এর জনপ্রিয়তা একি রকম রয়েছে। বনেদিয়ানা মোঘল আমল থেকে শুরু করে বাংলার সর্বশেষ নবাব সিরাজ-উদ- দৌলা পর্যন্ত সবারই ছিলো আজও তার রসিয়ে পান খাওয়ার প্রচলন।খাবারের পরে পান দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন বাঙ্গালী জাতির প্রাচীন ঐতিহ্য।
# ## সুপরিচিত এই খাবার পান যার বৈজ্ঞানিক নাম “পাইপার বিটল” আর সংস্কৃত ভাষায় “ভূজঙ্গলতা পত্র” অহমিয়া ভাষায় এর নাম “তাম্বূল ” বাংলা ও হিন্দি ভাষায় “পান” বলে পরিচিত। পান সংস্কৃত পর্ণ যার অর্থ “পাতা” এটা সুপারি ও অন্যান্য মসলার সাথে সংমিশ্রনের একটি প্রস্তুতি প্রত্নতাত্ত্বিক, ভাষাতাত্ত্বিক এবং উদ্ভিদ্বিদ্যা সংক্রান্ত প্রমানের উপর ভিত্তি করে পান চিবানো অস্টোনেশিয়ানের সাথে জোরালোভাবে জড়িত,অনেক ক্ষেত্রে ফিলিপাইনের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।পান চিবানোর প্রাচীনতম দ্ব্যর্থহীন প্রমান ফিলিপাইনের।
সারা পৃথিবীতে প্রায় আট কোটি বর্গকিলোমিটার এলাকায় পানের চাষ হয়ে।দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া,পূর্ব এশিয়া প্রধানত তাইওয়ান এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে পান ব্যবহৃত হয়। তবে ভরতে এবং বাংলাদেশ এর চাষাবাদের প্রচলন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
খাবার ছাড়াও ঔষধ তৈরি এবং হিন্দু ধর্মের পূজাপার্বনে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।পুরান অনুসারে দেবতা ও অসুর সমুদ্র মন্থন করার পরে যখন অমৃত উঠে আসে তখন কয়েক ফোঁটা অমৃত পাতালে নাগরাজ্যে গিয়ে পড়ে আর সেখান থেকে এক লতার জন্ম হয়। যে কারনে এ-ই লতাকে পুরাণে নাগবল্লী বলা হয়।ধন্বন্তরি পান পাতার ঔষধ গুন জানতে পারেন।পরবর্তী কালে ও-ই লতার পাতাই “পান” পাতা হিসাবে পরিচিত হয়।
#~# পান চাষ পদ্ধতি এক বিশেষ রকমের যা “বরজ” নামে পরিচিত । এই বরজ হল ভালো ভাবে ঘেরা ও উপরে ছাউনি দেওয়া বিশেষ ভাবে প্রস্তুত একটি ঘর।পান চাষে সাধারনত অন্যান্য ফসলের ন্যায় অনেক সমস্যা রয়েছে তাই এ-র চাষাবাদে যত্নশীল হতে হয়।
সাধারনত উঁচু অবস্থানের জল নিকাশি যুক্ত দোযাশ বলা এঁটেল দোঁয়াশ মাটি পান চাষের জন্য উপযুক্ত। জমির পি.এইচ ৬.৫–৭.৫থাকা৷ বাঞ্ছনীয়। নোনা বা ক্ষার জাতিয় মাটি পান চাষের জন্য৷ ছায়াযুুক্ত আর্দ্র্র্র বা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া৷ ও রসযুক্ত মাটি পান চাষের উপযুক্ত।বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৫০০-১৭৫০ এবং তাপমাত্রা ১0০-৪০সেলসিয়াস এই ফসলের জন্য৷ প্রয়োজন।বরজের উচ্চতা ২মি বেশি হওয়া উচিত।।
# #পানের রয়েছে নানা নানা জাত যেমনঃ–বাংলা পান, সাঁচি, মিঠা, কর্পূর, গ্যাচ, উজানী,মাঘী,দেশী,বরিশাল ও ঝালি প্রভৃতি
## পানের রয়েছে কিছু উপকারী গুন।চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে,পান বলকারক,কামোদ্দীপক, রাতকানা রোগের নিরাময়ের সহায়ক। এছাড়া মুখের দুগর্ন্ধ দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায় ও উকুননাশক হিসাবে কাজ করে। সুপারিশে রয়েছে জীবানু নাশক,কৃমিনাশক শক্তি।চুনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, রক্ত পরিষ্কার শক্তি তবে সেটা যদি ঝিনুকের চুন হয়।
তবে পানের কিছু অপকারিতা রয়েছে যেমন :- মাথা ঘোরা, ঘাম বের হওয়া ইত্যাদি।অনেক অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানি,রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।আবার মাত্রা অতিরিক্ত পান খেলে মুখে, জিহবায়, গ্রাসনালিতে এবং পাকস্থলিতে ক্যান্সার হয়।চুনের ক্ষার পিওথলিতে পাথর এবংসুপারিতে নেশা তৈরি করে থাকে।
# #পান বাংলাদেশের একটি অর্থকারি ফসল।বিয়ে -শাদিসহ বিভিন্ন উৎসবে পানের খুব চাহিদা রয়েছে বিধায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পানের চাষ করা হয়।দেশের বরিশাল,চট্রগ্রাম,রাজশাহী, যশোর, জামালপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে পান চাষ করা হয়।এই পান বাংলাদেশ হতে ভারত,সৌদি -আরব,আরব-আমিরাত,ইংল্যান্ড, ইতালি,জার্মানি সহ এশিয়া, ইউরোপের অনেক দেশে পান রফতানি করা হয়।
বাংলাদেশের মহেশখালি পানের যেমন পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা আছে তেমনি ভাবে বরিশালের পানের গুনগত মানের জন্য এর রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও চাহিদা।সেই প্রাচীনকাল হতে এখানে পান চাষ করা হয়।বরিশালের গৌরনদী,আগৈলঝাড়া,বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ব্যাপক পান চাষ করা হয়।ঢাকা- বরিশালের মহাসড়কের দুপাশে দেখাযায় সারি সারি পানের বরজ এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ও পানের বরজ দেখা যায়।বরিশালের পান সাধারণত মিষ্টি পাতা বড়ো ও বোঁটা মাজারি হওয়ায় এর বেশ কদর রয়েছে।।
বাটা জোর,ইচলাদি,মহিলারা সহ ৫টি বাজারে সপ্তাহে শনিবার, রবি,মঙ্গলবার বুধবার বড়ো আকারে পানের হাট বসে। বছরের পরে বছর এই নিয়ম চলে আসছে।বরিশালের পান রাজধানী ঢাকা সহ সিলেট,মৌলভীবাজার, চৌমুহনী,আখাউড়া সহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে।
হাটে পান গুলো করে বিড়ায় সাজানো হয়।হাটে ৭২টি পাতার সংযোজনে এক বিড়া করে পানের আঁটি কলা পাতায় তৈরি অস্থায়ী সাজিতে সাজিয়ে কখন ও আবার ২শ বা ৫শ বিড়া এক সাথে করে বাধাঁ হয়। সাধারনত বিড়ার দাম২৫- ৭০ টাকা কখন বিশেষ করে মৌসুমে ৫-৭ করে বিড়ার দাম নেমে আসে।
বরিশালে অনেক পান ব্যবসায়ী দেশে পান ব্যবসার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে।গৌরনদীর মোবারক ভুইয়া পান ব্যবসায়ী হিসাবে অনেক পরিচিত।
##পান একটি উপকারী পাতা। নানা ঔষধী গুনে গুণান্বিত এ-ই পাতা।ঔষধী গুন ছাড়াও পান চিবানোর মাধ্যমে ঠোঁট লাল করা যার রয়েছে অনেক জনপ্রিয়তা যা গানের মাধ্যমে বা ছন্দের মাধ্যমে বহুযুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত।
তথ্যসূত্রঃ- উইকিপিডিয়া, নিজ অভিজ্ঞতা
ছবিঃ- গুগল
২৯টি মন্তব্য
তৌহিদ
ভিন্নধর্মী পোষ্ট দিলেন আপু। পানের এতশত বৃত্তান্ত জানতামই না। আমাদের বাসাতেও পানের গাছ আছে, লকলকিয়ে আমের গাছে উঠে যাচ্ছে এর ডালপালা।
বরিশালের পান খেতে হবে একবার। ভালো থাকুন আপু।
পপি তালুকদার
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।হা অবশ্যই একবার হলেও বরিশালের পান খাওয়া উচিত।পান খাওয়ার নিমন্ত্রণ রইল। শুভ রাত্রি।
তৌহিদ
নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম আপু। ধন্যবাদ অশেষ।
মোঃ মজিবর রহমান
কেন তৌহিদ ভাই লাল্মনিরহাটের পান কিন্তু সরাসরি খাওয়া যায় এটা আপনাদের অঞ্চলের অসাধারণ গুণ।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অনেক কিছু জানলাম যা অজানা ছিল।
ঐতিহ্যের ধারক হয়ে থাকুন লেখাটি।
মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা নিরন্তর।
পপি তালুকদার
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর বিষয়ে পোস্ট করেছেন অনেক শুভেচ্ছা রইল
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমার বাবা ভীষন পান খেতেন। মাও খান। কাজের বুবু সে তো সারাদিন চাবায়। মাঝে মাঝে আমিও সবার সাথে ঠোঁট লাল করি। পান উপকারী যদি জর্দা খাওয়া না হয়। বাঙালি খাবার দাবার মানেই শেষে পান। অনঅন্যরকম করে জানতে পারলাম ভালো লাগলো।😍😍
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ।খাবার পরে পান এ এক প্রাচীন ধারা।আমি ও মাঝে মাঝে একটু খাই বৈকি।
বন্যা লিপি
আপনি বরিশালের মানুষ? বরিশালের পান আমার মোটেও পছন্দ না। উজিরপুর,বাটাজোড়, মাহিলারা, লক্ষনকাঠি, গৌরনদী, শিকারপুর এদিকটা আমার নানাবাড়ি, ফুপুবাড়ি,খালাবাড়ি পরেছে। আমি নিজে ঝালকাঠির মেয়ে। মেজো ফুপুর শশুড়বাড়ি পানের বরজ আছে।। বরিশালের পান আমার কাছে ঝাল লাগে। আড়ষ্ট হয়ে যায় জিহ্বা। রাজশাহীর পান না হলে আমার চলেই না। টাঙাইলের পানও খুব মজা। চাচাতো বোন থাকে ওখানে।
পান নিয়ে গবেষণালব্ধ পোষ্ট ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পপি তালুকদার
অসংখ্য ধন্যবাদ।হুম আমি বরিশালের মেয়ে।হতে পারে আপনার ভালো লাগেনি তবে আমার যেটা আছে সেটাকে তো আমার ভালো বলতে হবে তাই না।ভাগ্যে থাকলে রাজশাহীর পান অবশ্যই খাবো।ভালো থাকবেন।
বন্যা লিপি
আমার যেটা আছে সেটা আমার ভালোই বলতে হবে!!! ভালো না লাগলেও! আমি তো মনে করি এটাই আমার স্বাতন্ত্রতা। আমি বাপু ২৫/২৭ বছর ধরে পানখোর। বিধায় আমি এখন পান বিষেশজ্ঞ বলতে পারেন। আপনি যে পানের ছবি দিয়েছেন ফিচারে, এটা দেখেই বলে দিচ্ছি, এটা ঝালপান। ওটা মুখে দিলেই মুখ জ্বলে উঠবে ঝালে। তবে যে পানের শিরা গুলো স্পষ্ট এবং বোটা গুলো সাধারনত অপেক্ষাকৃত একটু মোটা আর লম্বাটে হয়, সেগুলো খুব কম উৎপন্ন হয়। হলেও সচরাচর পাওয়াও যায়না। আমার আব্বা আম্মা যখন পান খেতেন ( সে বহুবছর আগের কথা) আব্বা বেছে বেছে দামী আর ওই পানগুলো কিনতেন। ব আমি যখন আসক্ত হতে শুরু করেছি, তখন আমি ঢাকা। এখানে বরিশালের পান তেমন পাওয়া যায়না। রাজশাহীর পানটাই বেশি ব্যাবহৃত। আর এটা খেতে খেতে এত অভ্যস্থ্য হয়ে গেছি যে এখন বরিশালের পানে গালে ছালি পরে।বরিশালের মেয়ে বলে যে আমি বদনাম করবো আমার জিনিসের, তা কিন্তু না। যেটা। ভুল বোঝার অবকাশ নেই।।
ধন্যবাদ।
পপি তালুকদার
আপু আমি পান বিশেষজ্ঞ নই।আমি যেহেতু বরিশাল ছাড়া অন্য জায়গার পান খাই নি তাই ব্যাপক বলতে পারি না।তবে আপনি বরিশালের “মহাণলী” পান টি খেয়ে দেখতে পারেন এটার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক খেতেএ ভালো ও মিষ্টি।ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
পান নিয়ে তথ্য বহুল লেখা। অনেক বিষয় জানা গেল। ধন্যবাদ।
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শুভ কামনা , আপনিও ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
যতো অপকারিতা-ই থাকুক না কেন, তাম্বুল রসে রাঙানো মুখ
আমার দেশের ঐতিহ্য হয়েই আছে।
অনেক জানলাম আপনার লেখা থেকে।
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ।তাতো বটেই পান ছাড়া বাঙ্গালীর চলে না।
আরজু মুক্তা
মাথা ব্যথা উঠলে একটা মিষ্টি পান খেতেই হয়। তাই বলে অভ্যস্ত নই। ভালো লাগে রিচ ফুডের পরে। আমাদের ঐদিকে অর্থাৎ রংপুরেও পানের চাষ হয়। বাবা মায়ের সেই লালটুকটুকে মুখটা এখনও মনে পরে।
পান নিয়ে কথকতা ভালো লাগলো।
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ।তা ঠিক রিচ ফুডের পরে পান না খেলে চলে না।
জিসান শা ইকরাম
পান সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম, উপকারিতা, অপকারিতাও।
মাঝে মাঝে পান খেতাম কোনো অনুষ্ঠানে। পান এর অভ্যাস কখনো হয়নি।
আম্মা এখনো পান খান। দাদিজান এর খুব সুন্দর পানের কৌটো ছিলো পিতলের। নীচে পান থাকতো, উপরে কতগুলো ছোট ছোট কৌটোর মত থাকতো বিভিন্ন পান মসলা থাকতো তাতে। সবার উপরে আর একটি ঢাকনা থাকতো, উপরের ঢাকনার সাথে ছিলো একটি হ্যান্ডেল। এখনো চোখের সামনে ভাসে তা।
পান এর দেশের মানুষ আপনি, পোষ্ট পড়েই বুঝা যাচ্ছে।
প্রতিবেদন এর মত সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বিভিন্ন বিষয়ে এমন পোষ্ট আরো চাই।
শুভ কামনা।
পপি তালুকদার
আমার লেখা আপনার স্মৃতিচরন করাতে পেরে খুব আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।নিশ্চয়ই চেষ্টা থাকবে।আপনার মন্তব্য মনকে উৎসাহিত করে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ দিদি পান নিয়ে বিস্তর লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পোষ্টটি খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক কিছু জানলাম। আমার পিসিরা সব পানখোর বলতে যা বলে তাই ছিল, এখন একজন বেঁচে আছেন আর সবাই ওপাড়ে চলে গেছে। আমার ঠাকুরমার মুখের পান খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। বাবা-মা খেত বাবা এখন আর খায় না। প্রায় শতবর্ষী দিদিমা এখনও খায়। পানের অভ্যাস করিনি দাঁত নষ্ট হয়ে যাবার ভয়ে আগে সুযোগ পেলেই খেতাম। চমৎকার পোস্ট দিদি। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম। শুভ সকাল
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ দিদি।আমি কদাচিত পান খাই তবে ভালো লাগে।ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
পানের পরিচয় অতি পুরান। পান একসময় গ্রামে মুরুব্বীরা খেতেন । খাওয়ার পর পান চিবানো একটি নেশা বা অভ্যাস যায় বলি না কেন পানের অনেক গুণ রয়েছে। ধন্যবাদ পানের উপর একটি লিখার জন্য।
পপি তালুকদার
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শামীনুল হক হীরা
দারুণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন সম্মানিত।।
কোন কথা হবেনা সেটা নিয়ে, পানের অনেক উপকারিতা লিখেছেন তবে তার সাথে জর্দা খায় তখন কি আর পানের উপকারিতা থাকে,তকন সেটা বিষ হয়ে যায়।আর খালি পান তো আর কেউ খায়না।হাঃ হাঃ হাঃ।।জর্দা পান থেকে বিরত থাকুন।
খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল পাতায় ভালো থাকবেন সবসময় সপরিবারে।
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ।শুধু পানের উপকারিতা আছে তা ঠিক কিন্তু সবাই মজা করে নানা মসলায় খেয়ে থাকে আর সেটাই সমস্যা। আপনিও ভাল থাকবেন।