ঘুম থেকে জেগে উঠি, হতে পারে ভাত-ঘুম বা শেষ প্রহরের
আওয়াজহীন ভাবে খুট শব্দে হুট করে খুলে যাওয়া স্মৃতি থেকে বিস্মৃতিতে;
ভাবি, কিছু একটা বা কিছুটা লিখে ফেলবো, ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে একটানে;

এই হেঁটে আসা এক পশলা বৃষ্টিতে, ভ্যাপসা তাপ-দাহে, বৃষ্টির ভেজা-ভেজা
ঠোঁটের গভীর বিষণ্ণ গাঢ় চুম্বন এড়িয়ে, এক মুঠো বাছাই শব্দ ঝংকারে;
প্রয়োগ দক্ষতাকে ফাঁকি দিয়ে/পাশ কাটিয়ে, হোক না কিছু এলেবেলের
সুগভীর উচ্চারণে, নিঝ্‌ঝুম নীরবতার একাকীত্বকে একটু উপেক্ষায় রেখে
ছত্রে ছত্রে স্বরবর্ণে ও ব্যঞ্জনে, পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া শব্দদের গায়ে গা লাগিয়ে;

থমকে না-দাঁড়িয়ে অস্তিত্ব থেকে অনস্তিত্বে, কাল্পনিক বা সত্য-সত্য দেও-দানো-দৈত্য
বা শ্মশান ডাইনির আক্ষেপ-অপেক্ষা বা উপেক্ষা বা প্রশংসার কিচিরমিচির
আত্মীয় অনাত্মীয়ের মত, মৃদু-হাওয়া-বৃষ্টির হৃদয় ব্যঞ্জনায় কিছু না কিছু তো লিখতেই হয়
একটু বৃষ্টি নির্দেশনা মেনে, হতে পারে তা দৈবক্রম সংবেদ সংবেদনা, তিতি বিরক্ততা এড়িয়ে;

খাঁটি হস্তাক্ষর দেখে দৈবক্রমে কেউ চিনে নেবে/চিনে ফেলবে!এই এমন অসম্ভব ভাবনার
পক্ষপাতহীন ভান/ভাবনা শব্দ-লেখায় আঁকা কী সত্যি-ই সম্ভব? কী যে লিখলাম/লিখি
কোনটি সত্যি বা কোনটি সত্যি-না ভাব/ভাবনার হস্তাক্ষর বিবেচনায় স্বাক্ষর জালিয়াতির মতই
অধরা, শর্ত সাপেক্ষতায় ত্রুটি যুক্ত প্রকাশ ভঙ্গি তা তো পাল্টে যায় না, যাবেও না;
আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুমের লেখ্য চিত্রলেখার গ্রাহ্যতায় খুবই অনুপস্থিত এখন-ও, এবারেও।

সুন্দর অসুন্দরের এই আপাত আত্ম-নিমগ্নতা, আত্মকেন্দ্রিকতা আমি-তুমি বোধের অলীক
ভাব ভাবনা, ভালোবাসা-বাসির কথার-কথা কথার-ভেতর কথা-উঠতে বসতে ঘুমুতে
জানান চালু থাকে সফল অসফল বৃত্তান্ত-ভাবনা;
বানানো/কাল্পনিক স্মৃতিক্ষরতা স্মৃতিজড়তা স্মৃতিময়তা আমি-র তুমি-র কাব্যিক কাতর ধ্বনি,
আমি-বোধ তুমি-বোধ এর এই দার্শনিক দার্শনিকতায় বিশ্বাস আসে-না,আসে-নাই,
কাঙ্ক্ষিত শব্দে শব্দদের সম্মোহন মোহগ্রস্ততা এড়ানোর কূটতর্ক এখন অর্থহীন বাগ্মীতা!!

তার থেকে এই –ই ভাল শান্ত কৃতজ্ঞতার বৃষ্টি ছুঁয়ে আবার ঘুমোই পাশ ফিরে,
একটি না লেখা কবিতার মত, কিন্তু একটু সৌন্দর্য-জল বিনা কে বা কতক্ষণ বাঁচতে পারে?

0 Shares

৩০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ