আমাদের চলতি পথে প্রায়শ দেখা যায় রোগী পরিবহণকারী এ্যাম্বুলেন্সকে অন্যান্য গাড়িগুলো এগিয়ে যাওয়ার জন্য পথ করে দেয়না। কেউ সাইড দিতে চায়না। আমরা জানিনা ওখানে কে আছে ! সন্তান প্রসবা মা, অগ্নিদগ্ধ মানুষ, মুমূর্ষু বা মৃত্যুপথ যাত্রী রোগী।  নাকি বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি বা অতিমারি করোনা আক্রান্ত অক্সিজেনের ছটফট করা কোনো মানুষ। আমাদের কারো মনেই কেন জানি দয়ার উদ্রেক হয়না।  উদ্রেক হয়না করুণার।  সবাই ছুটতে চায় সবার আগে। সবাইকে পেছনে ফেলে তা জীপ কার ট্রাক বাস হউক বা সি এন জি অটো রিক্সা মোটর রিক্সা বা পেডেল রিক্সা  হোক ! বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আমাদের জীবনে এনে দিয়েছে গতি আর নিয়ে গেছে আবেগ অনুভূতি সহানুভূতি সহমর্মিতা।

আমরা বিভিন্ন ধরণের পাশবিক নিষ্ঠুর মারামারি, হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ, বাহু প্রদর্শনী  দেখতে দেখতে আমাদের ভেতরের মানবিক, নৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধ এবং রীতিনীতি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে, ভোতা হয়ে যাচ্ছে। আবার উল্টো ধরণের ঘটনা ঘটছে যা জঘন্য, দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেতও বটে। যেমন অনেক সময় রোগী ছাড়া অনেক এ্যাম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে যানবাহনকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। ইদানীং আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি বেশ কিছু ব্যাক্তিগত গাড়িতে /বিশেষ করে জীপে ও মাইক্রোতে নিষিদ্ধ (আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং এ্যাম্বুলেন্সের জন্য নির্ধারিত সাইরেন হর্ন ) লাগিয়ে বীরদর্পে মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের বোকা বানিয়ে টেক্কা দিয়ে বা ওভারটেকিং করে চলে যায়।  যাওয়ার পর দেখা যায় এসব যানবাহনগুলো এ্যাম্বুলেন্স বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নয়।  ফলে বিভ্রান্ত হয়ে বা ইচ্ছাকৃতভাবে রোগীবাহী গাড়িকে সাইড দেয়া হয়না।  ভুলে গেলে চলবে না রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সচেতন জন সাধারণের উপরও বর্তায়। এ দায় থেকে আমি আপনি কেউ মুক্ত নই।

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

 

0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ