এলোমেলো ভাবনা

সাজেদুল হক ৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ০৪:১৪:৫৬পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১২ মন্তব্য
  • এইতো সেদিন কি করতে যে পুরনো গুদামঘরে হানা দিলাম।এখন তো অবস্থা বেগতিক। সকাল নাই সন্ধ্যা নাই যতসব আজগুবি আচরণ। সেদিন না হয় আষাঢ়ে গল্প খুঁজছিলাম।তাই বলে প্রতিনিয়ত শ্রাবণ -আশ্বিন-কার্তিকের গল্পও হাজির হবে ।তাও সময় অসময় নাই। সকাল দুপুর রাত যখন ইচ্ছা তখন। এমনকি বাথরুম পযর্ন্ত সারতে দেয় না।মহা মুশকিল! আরও মুশকিলের কথা হলো ভাবনার খোড়াক হয়ে, যে বা যারাই আসে ঠিকঠাক সমাদর না পাইলে আবার গোস্ সা করে। পরে যখন ডাকি আর আসে না। রাগে যে চুল ছিড়ঁবো তারও উপায় নাই। আরে এতো অসবুর হইলে কি চলে।সংসার করতে দিবা তো,নাকি তা-ও দিবা না।
  •  
  • একটা সময় নিয়া রাতের বেলা বসি।সারাদিনই যদি মোবাইল নিয়া থাকি বউ ভাববে নতুন করে কি শুরু হলো। মুশকিল এখানেও।এখন তো আর খাতা কলমের যুগ নাই।যা কিছু সব নোটপ্যাডে।ঝামেলা কম আছে, কাটাকাটি বা মোছামুছির সুবিধা বেশি। কিন্তু দিনে যারা দরজায় এসেছিলো,দরজা খুলিনি বলে আর আসছে না।জানালা দিয়ে এসে জানিয়ে গেল, নিজের সুবিধা মতো ডাকলেই হলো, আমাদের আর কাজকাম নাই।এখন ঘুমাও,আমরা ঘুমাচ্ছি।আরে বুঝতেই চাইছে না ঘুমেই কি সমাধান?সব ঘুমেই কি আর সুবিধা পাওয়া যায়। আমার এক বন্ধু না হয় পেতো।খুব কাছের বন্ধু সে,মস্ত অফিসার এখন।নাম বলা যাচ্ছে না সঙ্গত কারণে। পড়ালেখা কালীন সময়ে কারণে অকারণে হল ছেঁড়ে কোথাও না কোথাও যেতে হতো ।বন্ধুটি বাসে উঠার কিছু সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়তো। সে এমন ঘুম ডাকলেও সাড়া মেলা ভার।কন্ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে চলে গেলে পাশে বসা আরেক বন্ধু ডেকে বলতো,'বন্ধু ওঠো!বিপদ কেটেঁ গেছে'।তখন তার ঘুম ভেঙে যেতো।
  • বুঝতেই পারছেন। আহ্ সে প্রানের বন্ধুটি এখন প্রচন্ডরকম হাতখোলা, দিলখোলা। তার কাছে এখন কেউ গেলে নিজে ড্রাইভ করে আবার পৌছেঁ দিয়ে যায়।সময় মানুষকে কিভাবে বাদলায়। আচরণগত এবং অর্থনৈতিকভাবেও। কারো জীবদ্দশায় কারো বা মরনের পরে।মৃত্যুর পরে যখন অর্থনৈতিক সফলতা আসে তাতে আর কি আসে যায়। 
  • যেমনটা ঘটেছিল ওলন্দাজ তথা নেদারল্যান্ডসের অসাধারণ প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী ভ্যান গগ আর ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম বিশ্বসাহিত্যেরও সেরা কবি  বোদলেয়ার(শার্ল বোদলেয়ার) এর বেলায়। জীবিত অবস্থায় এই দু'জনেরই চরম দ্রারিদ্রতায় দিন কাটে।অর্থকষ্ট, স্বীকৃতি না পাওয়া ইত্যাদি নানা কারণে মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ভ্যান গগ নিজের পেটে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।আর মৃত্যুর পর তাঁর একেকটা ছবি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে (কোনো কোনো ছবি ৮২.৫ মিলিয়ন ডলার করে) বিক্রি হয়।আর আরেক কৃত্তিমান বোদলেয়ারের শুধু সুইসাইড নোট বিক্রি হয় সোয়া দুই কোটি টাকায়।
  • @ Shajedul Hoque 
0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ