এলোমেলো কিছু কথা…**বিশ**

নীলাঞ্জনা নীলা ১৪ নভেম্বর ২০১৬, সোমবার, ০৬:৩৫:০৬পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২০ মন্তব্য

গতকাল ১১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদমামা...
গতকাল ১১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদমামা...

নিঃসীম শূণ্যতা কিংবা আনন্দ ভরা উচ্ছ্বলতা সবকিছুকে আপন করে নিতে জানে ওই আকাশ। ভরা বর্ষায় তার বুকে ধূসর-কালো মেঘকে যেমন জড়িয়ে নেয়, তেমনি প্রখর রৌদ্র গায়ে মেখে চৈত্রের দুপুরকে উত্তপ্ত করেও দেয়। শুধু কি তাই? শরতের তুলো তুলো মেঘ আর হেমন্তের ঝিলিক দেয়া সোনালী আলোয় ঘাসের ডগা চিকচিক করে আকাশের বুক থেকে ঝরে পড়া সূর্যকিরণচ্ছটায়। এই আকাশই অন্ধকার গায়ে মেখে হাজার তারার আলোয় বিরহ-যন্ত্রণায় কাতর করে, আবার আনন্দ ছড়িয়ে দেয় মেঘকে সরিয়ে দিয়ে চাঁদকে প্রকাশিত করে। এতো কথা বলছি, কারণ একটাই, আকাশ আমার বড়ো প্রিয়। কেউ যদি বলে চাঁদনী রাত চাই নাকি আকাশের বুকে তারাদের টানানো সামিয়ানা? আমি তারা-নক্ষত্রদের কথাই বলবো। কারণ ওই আবছা আলো-অন্ধকারে ঢাকা আকাশকে বড়ো আপন লাগে। জীবনটা যে শুধু চাঁদনী রাত নয়, তারার আলো মাখানো রাতও।

সেই ছোট্টবেলা থেকেই নীল আকাশের সাথে আমার কথোপকথন। বলতে গেলে জীবনের প্রথম প্রেম আমার নীল আকাশ। আর নীলাকাশের সবচেয়ে সুন্দর রূপ দেখা যেতো শরৎ কালে। যদিও এখন আর সেই ঋতু বৈচিত্র্য কোথায়! যখন বড়ো হলাম, আস্তে আস্তে রাতের আকাশও আপন হতে লাগলো। বন্ধুদের প্রিয় ছিলো শুক্লপক্ষ, আর আমার কৃষ্ণপক্ষ। কারণ একটাই অজস্র তারাদের আলো খেলা করতো মাথার ওপর। শমশেরনগর চা' বাগান জানে আমার সন্ধ্যা থেকে রাত কিভাবে কাটতো। বাগান মাঠে সন্ধ্যা পার করে রাত নয়টা পর্যন্ত আড্ডা চলতো। আমি, কুমকুম আপা, রীতা, শম্পা (মাঝে-মধ্যে) আর অন্যান্য বাসা থেকে চাচী, কাকীমনি, আন্টিরা অনেকেই। তবে আসরটা আমার জোরেই বসতো। ঢাকা বা সিলেট চলে গেলে ওই আসর বসতো না। মোটামুটি প্রায় সকলেই আমার অপেক্ষায় থাকতো। যাক সেসব কথা। কুমকুম আপার সবচেয়ে আনন্দের সময় যেদিন আকাশে চাঁদ উঠতো। আমায় বলতো, "তুই কি রে চাঁদের আলোর প্রতি টান নেই?" অনেকেই অবাক হতো। আজও চাঁদের প্রতি আমার আকর্ষণ কম, যতোটা টান ওই তারাদের প্রতি। কতো কতো তারা-নক্ষত্রের নাম যে জেনেছিলাম "ভোরের কাগজ" পত্রিকা থেকে। একটা কলামই থাকতো কোথায়, কোনদিকে কোন তারা-নক্ষত্রকে দেখা যাবে। বিশৃঙ্খলভাবে ছড়ানো ওই তারাদের মধ্যে যে একধরণের শৃঙ্খলা আছে সেসব জেনেছিলাম পত্রিকা থেকেই। তবে এখন আর তেমনভাবে মনে নেই। যে কয়েকটি মনের ভেতরে জায়গা করে নিয়েছে, সেসবের কথাই বলি। যাদের গল্প করতে যাচ্ছি, এদেরকে কিন্তু খালি চোখেই দেখা যায়।

প্রত্যেকেই একটি তারার সাথে পরিচিত সেটি হলো "সন্ধ্যাতারা", ভোরবেলায় যাকে "ধ্রুবতারা" বলা হয়। এই ধ্রুবতারাই পথ দেখায়, তাই একে পথপ্রদর্শক বলা হয়ে থাকে। সেই আদিকাল থেকে পথিকদের দিক নির্দেশ করতো ধ্রুবতারা। তারপর সবচেয়ে পরিচিত নক্ষত্রমন্ডলি হলো "সপ্তর্ষীমন্ডল", সাতটি তারার সমাহার, একটা বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে ঝুলে আছে আকাশের গায়ে। এসব ভূগোল থেকে জেনেছিলাম। প্রতিটি তারার একেকটির নাম সাতজন ঋষির নামে, সেটা প্রথম জেনেছিলাম আমার বরিশালের মায়ের(আমার নানী/দিদিমা) থেকে। কি অদ্ভূত, অষ্টম শ্রেণী পাশ করা একজন মানুষের এতো জ্ঞান কিভাবে হয়! ছোট্ট একটা দূরবীণ কিনেছিলাম, ওই তারাদের দেখার জন্য। অতো দূরের তারাগুলো আমায় ছুঁয়ে দিতো, সে যে কি শিহরণ, বলে বোঝাতে পারবোনা। যেদিন প্রথম "কালপুরুষ" দেখি, কেমন একটা অনুরণন মনের গহীনে। সবচেয়ে বেশী উজ্জ্বল নক্ষত্রের সমাহার এই কালপুরুষে। এমনভাবে নক্ষত্রগুলো সাজানো দেখে মনে হয় একজন যোদ্ধা দাঁড়িয়ে আছে একহাতে ঢাল আর অন্যহাতে তলোয়ার নিয়ে। কালপুরুষ চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কোমরের তিনটি উজ্জ্বল নক্ষত্র যা দেখতে একটি সরল রেখার মতো। আমি নিশ্চিত যেসব মেয়েরা কালপুরুষ দেখবে, তার প্রেমে পড়তে বাধ্য। কুমকুম আপা, রীতা, ভারতী এমনকি রুমাকে যেদিন প্রথম দেখাই ওরা প্রত্যেকেই ভালোবেসে ফেলেছিলো। দেখলেই একজন ব্যক্তিত্ত্ববান পুরুষের মতো মনে হয়। তারপর আসি "ক্যাসিওপিয়া" নক্ষত্রমন্ডলের কথায়। দেখতে একেবারে ইংরেজী "M" অথবা "W"-এর মতো লাগে। চেনা খুবই সহজ। এর অবস্থান উত্তর আকাশে। এই হ্যামিল্টনে আসার পর আমার সাথে দু'বার ক্যাসিওপিয়া আর কালপুরুষের দেখা হয়েছিলো। মাঝে-মধ্যে দেখতে এমনও লাগে যেনো চেয়ারে বসে থাকা এক মহিলা। কমলা রঙের একটি নক্ষত্র আছে ওটার নাম "রোহিনী।" রোহিনীকে চেনা কঠিন না, তার রঙ-ই তাকে চিনিয়ে দেয়। "সেভেন সিস্টারস" নামে একটি তারকাপুঞ্জ আছে, বাংলায় একে বলে "কৃত্তিকা।" আর এটি-ই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের উজ্জ্বল তারকাপুঞ্জ। আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম "অভিজিৎ", ইংরেজীতে "Vega" বলা হয়ে থাকে। একসময় একেই "ধ্রুবতারা" হিসেবে ধারণা করা হয়েছিলো। বহুবছর আগে পড়েছিলাম অভিজিৎ নক্ষত্রের মৃত্যু এক বিলিয়ন বছরের মধ্যে হবে। সত্যি বলতে কি আমার অসম্ভব প্রিয় একটি তারা এটি। শরৎ কালেই অসাধারণ সব তারকাদের দেখা মেলে। অভিজিৎকে চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় মধ্য আকাশে ঠিক মাথার উপরেই তিনটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকে ত্রিভুজ আকৃতির মতো দেখা যায়, সবচেয়ে উজ্জ্বল যে নক্ষত্রটি ওটি-ই অভিজিৎ। এবারে আসি "পেগাসাস" নক্ষত্রের কথায়। শরৎকালেই আকাশে দেখা যায় একে। এটির আকৃতি চতুর্ভূজ। সহজেই চোখে পড়ে এই বিশাল মন্ডলিটি। "এন্ড্রোমেডা" নামটি কি পরিচিত লাগছে না? এই পেগাসাসের সাথেই সংযুক্ত এন্ড্রোমেডা নামে আরেকটি নক্ষত্র মন্ডলি। আরোও অনেক আছে, কিন্তু স্মরণশক্তি আমায় আর সঙ্গ দিচ্ছেনা। একটা কথা বলে রাখি যারা তারা-নক্ষত্র ভালোবাসেন, দেখার প্রকৃত সময় কিন্তু এখন। আকাশের একটা মানচিত্র নিয়ে রাতে খোলা আকাশের নীচে বসুন, অবাক হয়ে যাবেন কতো দূর থেকে আলো বিলিয়ে যাচ্ছে কোথাকার কোন এক পৃথিবীকে।

এতো নক্ষত্রের গল্প আজই কেন? সন্ধ্যার সময় বাস থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছি, আকাশে বিশাল বড়ো চাঁদ আর এতোটাই অন্যরকম দেখতে, মনে পড়ে গেলো এই ১৪ নভেম্বর তারিখেই তো "সুপারমুন" দেখা যাবে আকাশে। ওইদিনই পৃথিবীর সর্বোচ্চ কাছে চলে আসবে চাঁদ। এর আগেও যে এসেছিলো কাছে, তারচেয়েও আরোও অনেক কাছে। সেই কবে আটষট্টি বছর আগে ১৯৪৮ সালে পৃথিবীর খুব কাছে থেকে এর উজ্জ্বলরূপ দেখা গিয়েছিলো, শুধু তাই নয় আকৃতিতেও বিশাল ছিলো। আমরা ভাগ্যবান যে এমনই আরেক রূপ দেখতে পাবো এই ১৪ নভেম্বর তারিখে। তারপর আবার চাঁদের এমন রূপ দেখা যাবে আঠারো বছর পরে ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে। আগেও বলেছি চাঁদের চেয়ে নক্ষত্র আমার প্রিয় বেশী, কিন্তু সুপারমুন না দেখে পারবো না। পৃথিবীর এতো কাছে চাঁদ কেমন করে আলো ছড়ায়, তাকে তো দেখতেই হবে। যদিও ২০৩৪ সালে আসবে আবার কাছে, কিন্তু আমি যে ভবিষ্যতের চেয়ে বর্তমানে বিশ্বাস রাখি বেশী।

আকাশ তুমি কি কথা বলো!
নিঃসীম শূণ্যতায় কোন আলো মাখো গায়ে?
দিনের শুরু থেকে শেষ কতো রূপে জড়িয়ে নাও নিজেকে
মেঘের চাদরে আর সন্ধ্যা থেকে ভোররাত
তোমার বুকে তারা-নক্ষত্ররা হরেক রকম কারুকার্য আঁকে
মুগ্ধতা লেপ্টে থাকে তোমায় জুড়ে।
নীল আকাশ আমার এতো প্রেম কেন তোমার বুকে?
সমস্ত আবেগ দিয়ে জাপটে ধরে রাখতে চাই নিজের কাছে,
সে কি জানো?
ও আকাশ তুমি কি আমার কথা শুনতে পাও?

আকাশ ভিন্ন রূপে, ভিন্ন রঙে...
আকাশ ভিন্ন রূপে, ভিন্ন রঙে...

 

হ্যামিল্টন, কানাডা
১১ নভেম্বর, ২০১৬ ইং।

এলোমেলো কিছু কথা (দীপান্বিতা)…**উনিশ**

2 Shares

২০টি মন্তব্য

  • ছাইরাছ হেলাল

    ভয় লাগে, তবে নীলাকাশ কেউ ইজারা নিয়েছে এটা ভাবতে চাই না, আর কেউ নিয়েছে এটা ভাবাও
    একদম ঠিক না,
    তবে আকাশপ্রেম মন্দ না, আর নীলাকাশ হলে ভালই জমে!
    এত্ত নামধাম সইতে পারমু না কিন্তু,
    আলোমাখা আকাশী কথার ভাগ আরও পেলে মন্দ হয়না, লেডিগুরু(কবি)!

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      নীলাকাশ ইজারা নেয়ার কথা আমিও ভাবতে পারিনা, এবং চাইওনা। 😀
      তবে তারা-নক্ষত্রদের ইজারা নিতে ইচ্ছুক। কারণ নামধাম মুখস্থ করানোর জন্য ইজারা নিয়ে একটা ইস্কুল খুলবো। ভর্তি ফি হিসেবে কুবিরাজ ভাই আপনাকে দিতে হবে সহজ কুবিতা। তা নইলে আপনার কুবিতা “বয়(ছেলে)কট(ধরা)” হিসেবে পরিগণিত হবে। 😀

  • অরুনি মায়া অনু

    একই আকাশের কত রূপ। কখনো চাঁদের হাসিতে ভাসে কখনো তারার প্রদীপে হাসে। অনেক বছর আগে আকাশ জুড়ে তারা দেখতাম রাত জেগে জেগে। কিন্তু এখন আর সেই তারা হারিয়ে যেতে বসেছে। খুঁজে খুঁজে একটা দুইটা তারা দেখা যায়। হয়ত অস্বচ্ছ বাতাসের কারণে। তবে চাঁদ জাগা আকাশও আমার খুব প্রিয়। ছোটবেলায় আমারও আসর ছিল বাড়ির মানুষদের সাথে। এখন কিছুই নেই।
    সুন্দর লিখেছেন আপু।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আমি এখনও একই আছি সেই আগেরই মতো। এক্সিডেন্টের পর যদিও রাতের বেলা সেভাবে বের হইনা, কিন্তু বের হলে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারাদের খুঁজি। আর এখানে যাদের নাম দিলাম, এখনও তাদেরকে আকাশের পেয়ে যাই।

      বাড়ীর মানুষদের সাথে আসর বসালেই পারেন। তাদের কাছে বদলাতে নেই, কারণ দিনশেষে তারাই আশ্রয়। এ কথাটা আমি সবসময় বলি সবাইকে।

      ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

  • শাহানা আক্তার

    সত্যি বলতে আকাশকে নিয়ে এভাবে কখনোই ভাবিনি আমি…সাধারণ ভাবে চাঁদ জোছনা এসবই প্রিয় আমার। লেখাটি পড়ে এতোটাই মুগ্ধ হয়েছি যে তারকাদের প্রেমে পড়ে গেলাম আমিও। এখন থেকে হয়তো নিয়মিতই তারা খুঁজবো আকাশে আর একটু একটু করে তাদের পরিচয়ও জানতে চেষ্টা করবো

  • ইঞ্জা

    আপু সত্যি বলছি আমিও তারাদের পাগল ভক্ত, এই তারাদের দেখার জন্য আমি সুদূর নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত গিয়েছিলাম, শুনেছিলাম সেখানকার পাহাড় থেকে তারাদের কাছ থেকে দেখা যায় আর কোন এক কারণে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলাম নিউজিল্যান্ডে আর ওখানে গিয়ে তারা দেখবোনা তা কি করে হয়, ভোর রাত চারটায় ফিরে এসেছিলাম তারাদের মিলনমেলা দেখে, আজ আবার খুব ইচ্ছে করছে তারাদের দেখতে কিন্তু এই ঢাকায় তা কিভাবে সম্ভব, আফসোস। 🙁

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      হ্যান্ডপাম্প ভাই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা সৌন্দর্য আমাদের শমশেরনগর চা’ বাগান মাঠের উপরের আকাশ আর নীচের সবুজ ঘাস। কতো কতো তারা দেখেছি বিভিন্ন দেশের আকাশে, নাহ মন ভরেনি। নিউজিল্যান্ড না, একবার কোনো গ্রামে যাবেন আর এই হেমন্তের সর্ষে ক্ষেতে দাঁড়িয়ে রাতের আকাশ দেখুন। নিউজিল্যান্ড হেরে যাবে। কিংবা মাঝ পদ্মা নদীতে গিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে দেখুন তো, তারা-নক্ষত্ররা টিপটিপ করে জ্বলছে-নিভছে। যেনো লুকোচুরী খেলছে।

      হুম ঢাকার আকাশ অট্টালিকায় ঢাকা। আমি আগে সংসদে চলে যেতাম, শুধু তারা-নক্ষত্র দেখার জন্য।

  • রিমি রুম্মান

    আকাশ নিয়ে এমন একটি লেখা আমি যে কেন লিখতে পারি না !
    মাঝে মাঝে ড্রাইভ করার সময় মনে হয় যেন চাঁদটা আমার সাথে সাথে যাচ্ছে। কি যে অদ্ভুত এক অনুভূতি !
    খুব উপভোগ করি সময়টা।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      রিমি আপু তুমি তো জীবনের কথা লেখো, যা আমি লিখতে পারিনা। ইস আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। 🙁
      স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম লং ড্রাইভে যাবো নিজে গাড়ী চালিয়ে, চালানোর আগেই গাড়ী-ই আমায় চালিয়ে নিলো। 😀

      তবে সময় এখনও যায়নি, কোনো একদিনের পূর্ণতার অপেক্ষায়… 🙂

      ভালো থেকো। -{@

  • মিষ্টি জিন

    এই আপু তুমি তারাদের ব্যাপারে এত কিছু জান?
    আকাশ আমার ভীষন পছন্দের। দিন বা রাতের আকাশ,যাই হোক না কেন ।
    চাঁদের সাথে আমার বহুদিনের সখ্যতা। আমরা দুজন দুজনকে বেশ ভালভাবেই চিনি।মাঝে মাঝে তো মাঝ রাতে মুখে আলো ফেলে চাদ আমার ঘুম ভাংগিয়ে দেয়।
    শরতে আকাশের যে রূপ দেখা যায়,তা বছরের অন্য সব ঋতুতে মেলা ভার।
    ছোট বেলা মা বলতেন মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে রাতের আকাশে তারাদের মাঝে আমি আমার মাকে খুজে ফিরি।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      মা আকাশের তারা হয়ে ঠিক দেখছেন নিজের মেয়েকে। এই যে মেয়েটা মন খারাপ করে আছে, মায়েরও মন খারাপ হচ্ছে। মিষ্টি আপু তোমার হাসি দেখেই মা হেসে ওঠেন ঝিলিক দিয়ে।

      মিষ্টি আপু কই বেশী জানি! তবে একসময় অনেক জানতাম। চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারতাম কোথায় কোন তারা। সব ভুলে গেছি। যে কয়েকটির কথা মনের গভীরে থেকে গেছে, তাদেরই গল্প করলাম।

      ভালো থেকো। -{@

  • মৌনতা রিতু

    তারা দেখা শিখাইছে আমাকে মেমন সোনা। মেমন আমার যখন প্রথম মহাবিশ্বের চ্যাপ্টারটা পেল। তখনই দেখলাম প্রথম রিডিং পড়তেই ওর চোখেমুখ ঝিলিক দিয়ে উঠছে। ওর আগ্রহ দেখে ওকে কিনে দিলাম কিছু বই। আমার ফুফাত ভাই একটা সেমিনারে গিয়েছিল নাসায়। আসার সময় ওর জন্য নিয়ে এসছে কিছু বই। মা ছেলে রাতে কখনো সখনো বসে আকাশ দেখে শিখে নেই ওর কাছে কিছু। খুব আগ্রহ তার।
    দোয়া করো আপু। ভাল থেকো। -{@

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      মেমন সোনার মহাকাশ প্রীতির কথা বলেছো তুমি। ও যেনো ওর স্বপ্নকে ছুঁতে পারে সেই আশীর্বাদ রইলো শান্ত-সুন্দরী। ওকে বলো ওর একটা পাগলী মাসী আছে আকাশ-নক্ষত্র দেখতে খুব ভালোবাসে। মহাকাশে গেলে আমাকেও যেনো নিয়ে যায়।

      আচ্ছা নাসায় গিয়েছিলো তোমার ফুফাতো ভাই? আমার বোন কিন্তু নাসায় আছে। আবার গেলে আমাকে জানিও।

      এই মেয়ে এতো ভাব নিয়েছো কেন? লেখা দাও। আমাদের শুন্য আপু যে কোথায় গেলো! মিস করছি খুব, ভালো লাগছে না। 🙁

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ

Thumbnails managed by ThumbPress