করোনা নামে আর কোন কিছু লিখব না ভাবছিলাম।
কারণ মতের অমিল হলে মানুষ যে কত জঘন্য ভাবে আক্রমণ করতে পারে বন্ধু তালিকা থেকে যাদের সাথে এক টেবিলে নাওয়া খাওয়া হত কত স্বপ্ন বুনতাম। তাদের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ একসাথে আক্রমন করে। তারা চিহ্নিত গ্রুপ তাদের কারনে “মহারানী চোর “ কবিতাটি এক সময় প্রত্যাহার করেছি ফেইস বুক থেকে। এবার কিন্তু প্রত্যাহার করিনি। সে বিষয়টা পরে আসছি। কিন্তু দু:খটা অন্য জায়গায় আমরা যারা সেকুলার বা স্বাধীন মতের বিশ্বাষ করি তারা কিন্তু পাশে ছিল না বরং একটা নিরপেক্ষতার নামে সেই পক্ষ নিল। যাক বিষয়টা পরে আসছি।

আজ লিখার সাহস পেলাম এইজন্য গতকাল করোনা জয়ীদের লাইভ প্রোগ্রাম দেখলাম। ATN News র সাংবাদিক যার কারনে পুরো অফিস লকডাউন ছিল। তিনি সুস্থ হলেন বলেন মনোবল না হারাতে। করোনা কিছুই করতে পারবেনা যদি অন্য জটিল রোগ না থাকে। তার স্ত্রী শুরু থেকে হসপিটালে থেকে সেবা দিয়ে গেছেন তিনি করেনা পজেটিভ হয় নি। সাথে সাথে ডাক্তাররা করতালি দিয়ে একযোগে ২১ জন রোগীকে সুস্থ করে রিলিজ দিয়েছেন।

বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পর্যন্ত ৫৯ তম দিনে দেশে মোট শনাক্ত এগারো হাজার ছাড়িয়েছে। আজ মারা গেছেন ১ জন সহ ১৮৩ জন।
সুস্থ আজ ১৯৩ সহ ১৪০০ জন

এবার আসুন আমরা করোনাভাইরাস থেকে একটু অন্য একটি রোগের খোঁজ খবর নিয়ে আসি। যক্ষ্মা এর সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়ায়। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বললে কিংবা গান গাইলেও এ ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন গড়ে ৯৭৮ জন এবং মারা যান ১২৯ জন। এ হিসেবে গত ৫৮ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজারের কিছু কম বা বেশি মানুষ, আর মারা গেছেন হয়তো সাড়ে ছয় ৬৫০০ মানুষ।

আর পুরো বিশ্বে ২০১৮ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি মানুষ। মারা গেছেন প্রায় ১৫ লাখ। আপনারা অবশ্যই জানেন, যক্ষ্মা চিকিৎসায় ভালো হয়। বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে এর চিকিৎসা দিয়ে থাকে।

যক্ষ্মার মত একটি মরণব্যধি মোকাবিলা করে আমরা টিকে আছি, তাহলে কেন করোনাভাইরাসে আমাদের ভয়? কারন শুরু থেকে মিডিয়া আর ফেইস বুক নামক এটম বোমা। প্রতিদিন হসপিটালের ছবি আর মৃত্যু সংখ্যা আর অমানবিক ছবি পোস্ট করে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। ফলে ডাক্তার ছিল না মানুষের পাশে। রোগীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডাক্তারদের আক্রান্ত করলো।

সময়ের সাহসী সন্তানেরা ঘরে বসে থাকে না বলে সবাই এগিয়ে আসছে।
ডাক্তার পুলিস সেনা ছাত্র রাজনৈতিক দল, সেচ্ছাসেবী সবাই বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

1. পাশাপাশি বসে নেই ওৎ পেতে থাকা দেশ রক্ষার নামে শান্তিকমিটির দোষররা। যারা আমার মা বোনকে পাক সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল।
2. গনস্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের সহযোগীতায় রেপিড কীট বানালেন যদিও তারা পরিবর্তন করে নিয়ন কানুন তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা করতে না দিয়ে উন্মুক্ত করে দাঁতের মাজনের মতো পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানান সবাইকে। শিবিরের সাবেক সভাপতিকে পাশে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জনগনের মনোবল ভাঙার রাজনীতি করা শুরু করলেন।
3. আমার অপরাধ মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানানো। যাক অবশেষে তারা রাজী হলেন ৩য় পক্ষের মাধ্যমে টেষ্ট করার জন্য। আমি সাফল্য কামনা করি। যদিও এখনো পর্যন্ত তারা পরীক্ষার জন্য সেম্পল হস্তান্তর করেনি কিন্তু ২য় বারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এলেন মান্না গং দের নিয়ে।
4. একি কায়দায় এই অসময়ে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে তারা উঠে পড়ে লাগলেন । যারা ১ টাকার বিনিময়ে দুস্থদের খাবার দেন।

যাক সরকার একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। যুদ্ধে নানা কৌশল থাকতে পারে। কোন রাস্ট্র বা দেশ অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন থাকতে পারে না। আস্তে আস্তে লকডাউন শিথিল করা শুরু করলেন।
কারন দুর্ভিক্ষে মানুষের মৃত্যু থেকে দেশ ও জাতি যাতে রক্ষা পায়।
নারায়ন গঞ্জের পুলিস অফিসার সেদিন মিডিয়ায় জানালেন সেখানে ছোট বড় ৩০০০ মতো শিল্প প্রতিষ্টান ছিল। সেখানে ১৩০ টির মতো জরুরী সাপ্লাই চেইনের প্রতিষ্টান খোলা ছিল। আমরা যারা লকডাউনে গৃহবন্দী আছি তাদের জন্য।

এখন আসুন লকডাউন কতদিন চলবে। ২০২১ র আগে ভ্যাকসিন আসবে না ১৬ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন দিতে কতদিন লাগবে ? ততদিন কি লকডাউন চলতে পারবে? না কি সম্ভব ? আর তাই এই করোনা নিয়েই চলতে হবে বেঁচে থাকতে হবে

এদেশ ইউরোপ আমেরিকার মতো ঠান্ডা দেশ নয়। যারা মদ আর চুমা দেয়া সভ্যতার একটি অংশ। ফাস্ট ফুড খেয়ে যারা অভ্যস্ত। তারা BCG টীকা দেয় নাই।
তারা আক্রান্ত হবেই মারা ও যাবে।

এখন করোনা নিয়ে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হলে কি করা উচিত।

1. ব্যায়াম করতে হবে ৩০ মিনিট
2. মানসিক প্রশান্তি থাকতে হবে
3. পর্যাপ্ত ঘুম।
4. শরীরে রোদ লাগানো।

বাদ দিতে হবে।
1. A/C , ফাস্ট ফুড, মিষ্টি , লবন নিয়ন্ত্রন করতে হবে।

গ্রহণ করতে হবে।
1. প্রচুর পানি, গরম জলে গারগল, কুষুম গরম পানি, লেবু , টক জাতীয় ফল।

সবশেষে বলি ক্ষুদ্র ব্যবসাহীদের ঈদ সামগ্রী বিক্রয় করার জন্য দোকান পাট খুলবে। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। মানুষ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনবেন। সাবধান যাতে সাবেটাজ বা বুমেরাং না হয়।

সবশেষে বলি।

1. যারা এদেশ স্বাধীন হবেনা ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন।
2. ৯৮ সালে ২ কোটি মানুষ মরবে বলেছিল

তাদের পরামর্শ নিলে দেশ স্বাধীন হত না আর ২ কোটি লোক ও বাঁচতো না। আশা করি করোনা যুদ্ধে ও আমরা জয়ী হব।

হংকং এর বন্ধুদের মতো বলি অফিস বাসা থেকে কাজ করতে বলার পরও ওরা সাব ওয়েতে করে অফিস করে যায়। বলে আমরা সার্স মোকাবেলা করেছি। করোনা আমাদের কিছুই করতে পারবে না।

তাই আমাদের ও করোনা মোকাবেলা করে বাঁচতে হবে। আমরা রোদে পোড়া ঝরে ভিজা মানুষ। গৃহবন্দী থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে মরার ছেয়ে যুদ্ধ করে বাঁচবো। তাই বলি।

এখন করোনা কাল সাধু তুমি সাবধান !

0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ