এক ঘরকুনো চড়ুই

খাদিজাতুল কুবরা ৩১ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ০২:১৫:১৫অপরাহ্ন কবিতা ১৫ মন্তব্য

বনমালী তুমি ভয় পেয়ো না,

কারুর হার যদি হয় কারুর জয়ের সূচনা,

সহস্রবার সয়ে যাবে শব্দ বাণের শূল, শুনবেনা কেউ যাতনার মূর্চ্ছনা!

এ-ই তো জীবন কেউ দেনা কেউ পাওনা।

 

লৌহ প্রস্তরীভূত প্রহরীর এ জীবন আমৃত্যু কেউ ছুঁতে পারবেনা ।

প্রাণের দাওয়ায় ছটফটিয়ে মরে ঘরকুনো চড়ুই তবুও তার বাহির-পানে যাওয়া মানা।

সে যে আজানুলম্বিত স্বভাবের শিকল পরিহিত।

 

তুমি হতে পারো মহাপুরুষ,  সাধু- সন্ন্যাসী কৈলাশ তোমার আস্তানা।

বিংশ শতাব্দীর বিনোদিনী তোমার পথ আগলে দাঁড়াবেনা।

 

ভয় নেই বনমালী,

নন্দনকাননে সাফল্য ফুল ফোটাবে তোমা বিনা,

বিপনী বিতান গড়ে তুলবে নগরীর হাঁটে।

সাজাবেনা ভানু ঠাকুরের অভিসারীয় পশরা।

 

বনমালী!

বন্ধু আমার,

গন্ধমে ভয় তোমার পাছে স্বর্গ হাতছাড়া হয়।

হাত-পা ছড়িয়ে তুমি ঈশ্বরের সাধনা করো;

ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন বিনোদিনীর যপমাল্যে এই প্রার্থনা সদায়।

 

হতে পারে মন পোড়া গন্ধে অসহিষ্ণু হবে শ্বাসনালী;

বাতাসে প্রবঞ্চনার সীসা মেশানো রবে,

আততায়ীর ঘাঁটি হবে মন শহরের অলিগলি।

 

ছাই রঙ্গা বদনে সইলোনা যখন রঙের মাদুলি।

একরতি জীবন সে-ও তো ব্যাঙের আদুলি।

কেটে যাবে ঠিকই আঁধারের হাত ধরে,

উঠবেনা চাঁদের ফালি।

 

তুমি ভয় পেওনা বনমালী।

ডাঙ্গার বাঘ ও নই জলের কুমির ও নই।

আমি এই একবিংশ শতাব্দীর বিনোদিনী।

একলা পাড়ি দিতে পারি মহাশূন্য / পাতালপুরী।

৫৫১জন ৩৬৯জন
0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ