সুনসান নিরবতা, হঠাৎ একটা কাক চিৎকার করে উঠলো তারস্বরে
ফিরে তাকালাম গাছের ঢালে বিরস মনে
এই সময়ে কাক ডাকা অনাকাঙ্ক্ষিতই বটে, হয়ত বিড়াল দেখে ভয় পেয়েছে
মাথা ঘুরিয়ে নিয়ে আবার আনমনা হয়ে গেলাম, ফিরে গেলাম স্মৃতির পাতায়
বসে ছিলাম দুজন ঐ কাঁঠালচাপার তলে, আমার হাতের তালুতে বিলি কাটছিলে
বলছিলে কবে আমাদের বিয়ে হবে, আমাদের সংসার হবে
আমি বলেছিলাম চলো এখনই বিয়ে করে আসি
তুমি আৎকে উঠে বলেছিলে, এখন কেন, আগে তুমি নিজ পায়ে তো দাঁড়াও
আসলে আমার নিজ পায়ে দাঁড়ানোর বিষয় না, সমস্যা ছিলো তোমার মনে, যা এখন বুঝি।
চশমাটা খুলে রেখে উঠে দাঁড়ালাম, ঢক ঢক করে পানি খেলাম
ইচ্ছে করছে ধাই করে লাথি কসি, মাথাটা ব্যাথা করছে
চলে গেলাম দোতালার নিজ রুমে, বাকার্ডির বোতলে চিপি খুলে কিছু গলায় ঢেলে দিলাম,
খালি বোতলটা ছুড়ে ভাঙতে গিয়ে নিজেকে নিবৃত করলাম
দোষ কি বোতলের, যদি কপালেই কিছু না সয়।
মনে মনে বলি, তোমার দোষ নেই সজনী, দোষ আমি করেছি তোমাকে না চিনে
যদি চিনতাম তাহলে আমি কি এমন হতাম??
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
মানুষ চেনা বড় কঠিন,
মানুষদের মাঝে নারীদের চেনা তো আরো কঠিন 🙂
লেখায় বোতল এসে যায় প্রায়ই, ঘটনা কি ভাইসাব? 🙂
লেখা ভাল হৈসে।
ইঞ্জা
হা হা হা হা, এইটি হলো একাকিত্বর কথা, রাগ অভিমান সব এসে যায়, সাভাবিক ভাবে বোতল আসতেই পারে, কিন্তু ভাববেন না ইচ্ছে করেই এনেছি, দরকার ছিলো তাই এসে গেছে ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
নিজের সাথে কথোপকথন হোক তা একাকীত্বের, ভালই লাগল।
আমরা-তো নিজেকেই নিজে চিনতে পারছি না, তাই অন্যেরা-ও অচেনায় রয়ে যায়।
ইঞ্জা
একাকীত্ব জীবনে অনেক কিছুই বিষময় হয়, নিজেকেই চেনা দায় হয়ে যায় ভাইজান আর বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় নিজে নিজেকে না চেনার খেসারত দিচ্ছি আমরা।
সৈয়দ আলী উল আমিন
লেখাটি আমার খুব লেগেছে— গতকাল ও পড়েছি আজ ও তাই আবার পড়লাম।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই, একাকীত্বের জীবনে সময় আসে যখন সবই বিষময় মনে হয়, তারই কিছু আনার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।
মৌনতা রিতু
ভাইজু, লেখাটা আর দুই তিনবার পড়লে গোছানো যেতো আরো। যেহেতু ভাইজু আমার গল্প লেখে বেশ তাই বলেছি। মেয়াদের মন বোঝা মুশকিল, তা না হয় মানলাম। কিন্তু পুরুষ ;?
অনুগল্পে স্মৃতিচারন ভাল লেগেছে। কিন্তু স্মৃতিচারনে গলা ভেজানো ঠিক না।
ইঞ্জা
প্রিয় আপু, লেখাটিতে আমি একাকীত্বের জীবন কখনো বিষময় হতে পারে তা বোঝাতে চেয়েছি, যখন নিজের জীবনটাকেও মানুষ ঘৃণা করে, এ স্মৃতিচারণ নয় আপু, বোতলটা এসেছে নিজ (লেখার মানুষটি) রাগের প্রতিফলনের উদ্দেশ্যে।
নীহারিকা
আহা, শেষ পর্যন্ত বিয়ে আর হলো না? মেয়েরা ছেলেদের থেকে তাড়াতাড়িই ম্যাচিওর হয়ে যায় তাই বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেয় তারা যা তার সমবয়সী ছেলেটি ভাবতে পারে না। এটাকে অন্য কিছু ভাবা ঠিক না।
লেখা ভালো হয়েছে।
ইঞ্জা
এ অন্য কিছু নয় দাদী, শুধু নিজের (লেখার নায়ক) প্রতি বিতৃষ্ণা, মেয়েরা অল্পতেই ম্যাচিওর হওয়ার বিষয় নয় দাদী, বিষয়টি হলো ছলনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া আপনি আরেকটু মনোযোগ দিয়ে যদি লিখতেন, কেন জানি মনে হচ্ছে খুব বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন!
তবে এও কিন্তু মন্দ হয়নি। ভালো লেগেছে।
ইঞ্জা
আপু ইচ্ছেই হয়নি মনোযোগ দিই, মন খারাপ ছিলো বলে এফবিতে এই লেখাটা লিখেছিলাম, এলোমেলো ভাবনার লেখা বলেই এমন হয়েছে। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
মন ভালো হয়েছে তো এখন? তাহলে সুন্দর একটা গল্প দিয়ে ফেলুন তো!
ইঞ্জা
😀
আপু প্লট খুজছি এখনো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মেয়েরা কেন যে নিজ পায়ে দাঁড়ানো ছেলে চায়! যেন নিজেদের পা নেই। তবে হুটহাট করে বিয়ে করলেই কী হয়! 🙂 কবিতার আদলে অনুগল্প, ভাবনাটা কিন্তু বেশ ভালো। ট্রাই করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পারিনা যে। ভালো লেগেছে ভাইয়া।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, মেয়েরা অনেক বাস্তববাদী, আবার কিছু মেয়ে আছে, প্রেম করবে একজনের সাথে আর বিয়ে করে অন্যকে, প্রেমটা হয় টাইমপাস।
আপু এমন কিছুনা, এই লেখাটি ছিলো এলোমেলো চিন্তার ফসল, মানে টাইমপাস। :p