কারো দেখা মিলুক বা না-মিলুক
কেউ উঁকি দিক বা না-দিক
সূর্যদুহিতা হয়ে,
কী এমন আসে-যায়!!
দু’একটি বুনো-ফুল সুরভিত প্রেম মেলে পথ আগলে দাঁড়াবে না
কথোপকথনের ছলে, দুদ্দার করে, আচমকা প্রাণদ-উচ্ছলতায়
সব কিছু ফেলে-টেলে, নীরবতার পবিত্র সুগন্ধি তেল পুড়িয়ে
হেসে ফেলবে-না, তা ভাবি না,
উষ্ণতার বরফ-খণ্ডখানি ছুঁড়ে দেবে কাছ-দূরত্ব থেকে,
প্রলম্বিত প্রণয়ের ক্ষীণ দূরতম ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরা ধ্বনীবৃষ্টিতে
অবিরত অনবরত, এমন-ই ভাবি
এ রহস্য-দ্বীপের.অভয়ারণ্যে;
তাকাতাকি করি, হাসাহাসিও, ভেদ-অভেদের রেখা ভুলে
নিজেকে নিজে,
ঠিক-ঠাক মত, মন যেমন চায়, ঐ মন-ও।
শেষের শেষ পথটি দেখে ফেলেছি অনতিদূরেই,
ইচ্ছে অনিচ্ছাতেই
বা সুনিশ্চিত কোন এক মানানসই মোক্ষম চক্করে নজরবন্দী হই।
সুতীক্ষ্ণ কাঠির খোঁচায়, নিপুণ ঠোঁটে চেটেপুটে ঝিনুক খুঁটে খেতে দেখেছি
আলগা পোশাকে দু’পাটি দাঁত ফাঁক করে হাসতে হাসতে, সংলগ্নও হয়েছে,
নিঃসীম প্রান্তরে জল-লাগা পাতাদের ফাঁক গলে আসা মোহন আলোয়-ও
বিশ্বস্ত থেকেছি অসংখ্য পাশবদলেও,
লাজুক হরিণীর হেঁটে যাওয়া দেখতে দেখতে প্রেত-মদিরায়
ঢোক গিলে গিলে ভোরের আলো মেখেছি।
লুটপাট হই-নি, হবো-ও না,
লুটে নেব শুধুই নিজেকে-ই, নিজে;
*****************************************************************************
প্রহেলিকাকে
২৬টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
প্রতিজ্ঞা, পন কোনো?
ছাইরাছ হেলাল
কোন প্রতিজ্ঞা না, অবস্থান মাত্র।
শুন্য শুন্যালয়
সূর্যদুহিতা উঁকি না দিলে যে অনেক কিছুই যায় আসে তা কিন্তু আমরা পরের প্যারাতেই বুঝে গেছি। সুগন্ধি তেল ফুরিয়ে হাসবে না, তা ভাবছিনা। অর্থাৎ “আমার মনের কোণের বাইরে, আমি জানলা খুলে ক্ষনে ক্ষনে চাইরে”
রহস্যদ্বীপে সবই সম্ভব, এখানে চেনা নিজেও অচেনা হতে কতোক্ষন। নিজেকে লুটতে গিয়ে কখন লুটপাট হবেন তার কিন্তু ঠিক নেই। শুনেছিলাম কোথায় যেন বন্ধক দিয়ে এসেছিলেন নিজকে, অতএব লোটালুটি সাবধান।
উৎসর্গ জায়গামতোই হইছে, এইসব বোঝা আমাদের কম্ম নহে।
ছাইরাছ হেলাল
“আমার মনের কোণের বাইরে, আমি জানলা খুলে ক্ষণে ক্ষণে খুনের কথা ভাবতে চাইরে”
বললেই হলো সব জানেন!!
দূহিতারা বদের বদ, এদেরকে আপনি কিছুই করতারবেন্না!!
লুটেরাদের আর কাম-কাইজ নেই, ভাঙ্গারী লুটবে!!
বন্ধক দেই, বন্ধক নেই, বান্ধা পরি না,
অবশ্য সোনেলায় বান্ধা পড়ছি;
উৎসর্গ!! ইয়ে মানে মোরা ইট্টু ল্যাহা-লিহি করি আরকি!!
প্রহেলিকা
শব্দরা পীড়া দেয়, তুমুল পীড়া দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় চিতায় পুড়ে শব্দেরা সোনা হয়েছে। মন্তব্যের উত্তরে বলেছিলাম
রোদবিছানো দীঘল পথ ধরে
কারা কারা যেন সারাদিন হাঁটা শেষে-
সন্ধ্যায় ফিরে আসে লোবান কুটিরে,
একগাল হেসে দরোজা শুধায়,
কেন বারে বারে ফিরে আসো বলতো, মায়া টানে?
-হারানো কিছুই ফিরে আসে না, আমিও আসিনি।
তোমরা যাকে বলো মায়া টান, আমি বলি অভ্যেস!
যদি এমনি হয় তাহলে সূর্যদুহিতার কিছু যায় না আসারই কথা।
নতুন করে আরো জুড়ে দিলেন? তাও নিলাম। যত খুশি আরো জুড়ুন, এ তৃষ্ণা নিবারণের নয়। লেখকদের এই সুবিধে, যখন যেখানে খুশি নামিয়ে ফেলতে পারে হুটহাট। সমস্যা আমাদেরই। শেষের শেষ পথটি এখনি দেখে ফেলেছেন? পথ বাতলে দিলে মন্দ হতো না।
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন, খুব সাবধান কিন্তু, সোনা ভেবে কয়লা তুলবেন না যেন!!
জামা-কাপড় নষ্ট,
আরও আছে জুড়লাম না, তবে জুড়বো কোথাও না কোথাও, এখানেও জুড়ে যেতে পারে,
———————————-
রোদবিছানো দীঘল পথের ধার ধরে
কে-যেন সারাদিন হেঁটে-হেঁটে হাঁটে
শেষেসন্ধ্যায় ফিরে ফিরে আসে লোবান-উষ্ণ কুটিরে,
একমুখ মিটিমিটি হাসি হেসে দরোজা শুধায়,
কেন আসো ফিরে, বারে বারে, মায়া টানে?
-হারানো কিছুই আর ফিরে আসে না, আমিও আসিনি।
আসবোও-না,
তোমরা যাকে মনে-ভাব মায়া টান,
আমি বলি নিছক এক বুনো অভ্যেস!
বাতাসে বাতাসি গেরোর এই জগৎ-সংসারে
গমকে-ঠমকে প্রণয়-প্রায়াণে বলি
সখি, তুমি আমার হইলে-না, আমার হইবেও- না;
——————————
দেখবেন বলে বসবেন-না যেন আপনি লিখেছেন,
বা কেঊ একজন নকল-ফকল করেছে,
খোল-নলচে কিন্তু কিচ্ছু থাকবে না, এর-পর।
(কিছু কাজ বাকী আছে), লেখা নষ্ট করার কী দেখলেন এখুনি!!
প্রহেলিকা
আরো কাজ বাকী আছে? কন কি?
সোনা ভেবে কয়লা তোলার যুগ শেষ সেই কবে। স্মার্টফোনের যুগে ডর ভয় দেখাইয়েন না। কয়লায় ডরে না বীর।
ছাইরাছ হেলাল
সাবধান, কয়লা কিন্তু ময়লা।
নীলাঞ্জনা নীলা
পুরোনো কয়েকটি লাইন এইমাত্র পেলাম। মনে হলো মন্তব্য হিসেবে মন্দ হবেনা। হয়তো মিলে যেতে পারে, আবার না-ও,
তবুও দিতে দোষ কি? কুবিরাজ ভাই মিলেছে কি, না আমি নিজেই আউলা হয়ে আছি, বলবেন নিরপেক্ষভাবে। ওক্কে? 😀
স্বৈরাচারী কবি-আত্মায় আধুনিক ঘুমেরা স্বপ্ন দেখেনা
বরং বোধের ক্ষয়িষ্ণুতা চেপে ধরে কান্না করে কবিতার শব্দাবলী
আর অন্যদিকে নিঃস্বার্থ কবিদের কাগজের রাজপথে কলমের পা চলে
ক্লান্তি ছেয়ে যায়,
ঘুম আসে চুপিচুপি,
শব্দ শয্যায় অক্ষরেরা নিশ্চিন্তে শরীর রাখে;
ওদিকে একা একা পুরোটা নদী শুকায়, কেউ দেখার থাকেনা।
ছাইরাছ হেলাল
পুরনো জিনিস দেবেন ক্যা!!
ঐ যে হাতে-গরম কিচ্ছু নেই!!
লেডিজী, আমি তো আপনার পক্ষে!! নিরপেক্ষ হওয়ার চান্সই নেই,
স্বৈরাচারীণি হলে যা হয় আরকি!!
সব ধুধু মরু-সাগর।
এ্যাত চ্যাতলেন ক্যা!! লেখা দেখি গড়িয়ে নামছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অসহ্য! চ্যাতলাম কই? বরং আপনার মন্তব্য পড়ার পর নিজের মাথার চুল টাইন্যা ছিঁড়তে ইচ্ছা করতাছে। ^:^
আপনি যে আমার পক্ষে সেইটা না বললেও আমি ভালো কইরাই জানি। সেইজন্যই তো কইলাম নিরপেক্ষ হইয়া যদি পারেন কইয়েন। কিন্তু আপনার কওয়ন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের “লিটল বয়” হয়ে আমারেই খতম করার চেষ্টা করবে, ভাবি নাই। ;(
ছাইরাছ হেলাল
আপনার চুল অবশিষ্ট আছে তা জানা ছিল না!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনেক আগেই শেষ হয়েছে, এখন ‘বিগ বয়ের’ প্রস্তুতি নিন!!
বরাবর-ই আপনার পক্ষে।
নীহারিকা
হুম, হুটপাট না করাই ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক বলছেন এবারে,
হুটহাট করাই যাবে না কোন ভাবে।
মৌনতা রিতু
নিজেকে লুটি বলেই নিজেকে হারাই। দিশেহারা হই বার বার।
ভাল থেকে উত্তম উত্তম থেকেও আরো কিছু।
ছাইরাছ হেলাল
দিশেহারা হওয়া চলবে না,
আবু খায়ের আনিছ
শেষের শেষ ও দেখে ফেলেছেন?
ছাইরাছ হেলাল
আবছা হলে দেখতে পাচ্ছিতো!
মেহেরী তাজ
“কিচ্ছু বুঝিনি” এটা বলা ভালো দেখায় না। তাই কিছুই বলছি না।
শুধু “শেষের শেষ পথ” কথাটা পছন্দ হইছে…… ;(
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার-না, ভূত!!
প্রহেলিকা
গ্যাপ চালু আছে! ডুবুরী হলেন কবে কে জানে।
ছাইরাছ হেলাল
ধ্যাত মশাই, আপনি কৈ কৈ থাকেন!
প্রহেলিকা
আপনি কাকে কি বলেন?? আমি এখানে ছিলাম আছিও। লাপাত্তা হওয়া ঠিক না। গ্যাপ সইতে পারুম না
ছাইরাছ হেলাল
মনে থাকলে হয়, আপনার।
প্রহেলিকা
মনে থাকেতো অবশ্যই। ঝাপি কাত করা হোক
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা,