ব্যাগ হাতে স্টেশনের বাইরে আসা মাত্র সিএনজি ওয়ালারা যেভাবে ডাকা শুরু করলো যেন পারলে ঘার ধরে সিএনজিতে উঠিয়ে নেয়। কই যাবেন? কই যাবেন? আসেন, ব্যাগ দেন, এমন অত্যাচারে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। আরে ভাই আমি যাবনা, আমার সিএনজি দরকার হলে আমি নিজেই তো ডাকবো আপনাদের। না আমি হেঁটে যাবো, সিএনজি দরকার নেই, আমি রিক্সায় যাবো। ভাই, মামা সিএনজি লাগবে শুনতে শুনতে মহা বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত এক সিএনজিতে উঠেই গেলাম। শালার সিএনজি এবার তোমাকে দেখতে হয়।
কই যাবেন?
এইত সামনে নাক বরাবর।
নাক বরাবর তো শেষ, এখন ডান না বামে?
জানিনা কোনদিকে।
মানে কি?
আমি আপনার বাসায় যাবো, আমি কি আপনার বাসা চিনি?
এই মিয়া মশকারা করেন?
না কিসের মশকরা? আমি আপনার বাসায় যাবো, এত আদর করে ডেকে যখন সিএনজিতে উঠিয়েছেন, আপনার বাসায়ই নিয়ে যান।
খ্যাস করে ব্রেক করে উচ্চস্বরে ড্রাইভার, আপনি আসলে কই যাবেন মামা?
বলেছিনা আমি আপনার বাসায় যাবো। ঢাকায় নতুন এসেছি, আপনার বাসায় গিয়ে খেয়ে দেয়ে থাকার স্থান খুঁজতে যাবো।
ড্রাইভার সামনের বাম পাশের দরজা খুলে নেমে এলেন, নামার পূর্বে খটখট করে পিছনের দরজার সিটিকানি খুলে ফেলে দরজা খুলে চিৎকার করে বলতে থাকলেন, নামেন আপনি এক্ষুনি নামেন। চিৎকারে পথচারীদের হালকা ভীড়। তাঁদের শুনিয়ে বললাম' চাচা এইটা তুমি কি বলছো? আমাকে যেন চিনছ না তুমি। আরে আব্বা তোমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে তো, চাচীকে সহ তোমাকে আজকেই নিয়ে যেতে বলেছে। আমাকে নিতে পাঠিয়েছে। তোমার জমি তোমাকে ফিরিয়ে দেবে।'' উৎসুক লোক কমে যেতে লাগলো। চাচা ভাতিজার কথার মধ্যে তারা থেকে কি করবে? অসহায় সিএনজি ওয়ালা উঠে বসলেন তার আসনে। উল্টো দিকে ফিরে অনুনয় বিনয় করলেন, মামা মাফ করে দেন, আমি তো কোন ক্ষতি করিনি।
চোখের ইশারায় তাঁকে এগিয়ে যেতে বললাম। আমার মুখের সারল্য বা যে কোন কারনেই হোক তিনি সত্যি সত্যি নিয়ে গেলেন তার বাসায়। মজা লাগছিল আমার, শেষ দেখেই ছাড়ব এর। দরজায় করা ঝাঁকুনি দিয়ে ডাক দিলেন ময়না,দরজা খোল।
দরজা খুলে গেলো, খোলা দরজা যেন হাসছে। অপুর্ব সুন্দর এক মুখ, ময়না............
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এখানে থামলো! শেষ নাকি?
ব্লগার সজীব
কিছু কি থেমে যায়? চলমান ভাইয়া।
আবু খায়ের আনিছ
জামালপুর, টাঙ্গাইলের দিকে গেলে এই টানাটানি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ব্যাগ নিয়ে বাস হেলপারদের সেই যুদ্ধে যাত্রী যাবে না এলো বুঝা মুশকিল।
যাইহোক ময়নার মুখ দেখেই গল্প শেষ?
ব্লগার সজীব
এটি আসলেই বিরক্তিকর ভাইয়া। গল্প চলবে, আর এক পর্বে শেষ।
আবু খায়ের আনিছ
অপেক্ষা সেই পর্বের।
ছাইরাছ হেলাল
ময়নার সাথে আবার কী কারবার, এলোই বা কোত্থেকে বুঝলাম না,
সি এন জি ছাড়া এখন আমাদের চলেই না।
ব্লগার সজীব
কারবার তো আছেই ভাইয়া। সিএনজি চালকদের মাইর দেয়া দরকার মাঝে মাঝে।
মৌনতা রিতু
সি এন জি এর ড্রাইভারের সাথে এমন মশকরা! এ দেখি ম্যালা সাহস।
বুঝবওয়ানে একটা পর ময়নার হাতে ঝাড়ুর বাড়ি খাইয়া।
এতদিন ক্যন সজিব ভাই আসে নাই এই কথা আর জিগামু না। গোস্সা হইছি।
ব্লগার সজীব
ময়না আমার উপর গোস্যা করতেই পারেনা আপু 🙂 জিজ্ঞেস করে লজ্জা দিবেননা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া এসব ঠিক না। খুব রাগ করেছি, লেখা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবোই না। :@
ব্লগার সজীব
নীলাদি আমি কি করছি? 🙁 প্লিজ লাগে দুইটু মন্তব্য করেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি করেছেন মানে??? এতোদিন কোথায় ছিলেন?
তার জন্য আমি কষ্ট পেয়েছি। আর অল্প একটু রাগ করেছিলাম।
আপনি জানেন আমি রম্য লেখা শুরু করেছি তাও আপনাকে গুরু মেনে? এখন গুরু-ই যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে শিষ্য হয়ে আমার কেমন লাগবে আপনি-ই বলুন। 🙁
ব্লগার সজীব
আমি আপনার গুরু!!!!!!! ^:^ শেষ পর্যন্ত একথাও আমাকে শুনতে হলো 🙁
নিহারীকা জান্নাত
আপনাকে এত ডাকাডকি করে? আর আমি যেতে চাইলে বলে, “যাবো না”, না হয় এমন ভাড়া চায় যে চোখে পানি চলে আসে। আবার মিটারে যাবার কথা বললেতো এমনভাবে তাকায় যেন মস্ত অপরাধ করে ফেলেছি। কিন্ত কথা হলো দরজা খুলেই গল্প শেষ? অবশ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ছোট গল্প এমন হয় যে পড়া শেষ হলে মনে হবে শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।
ব্লগার সজীব
খুব সকালে গাবতলি বাসস্ট্যান্ডে এমন হয়েছিল আমার সাথে আপু। গল্প শেষ হয়নি, চলবে আর এক পর্ব।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দরি ময়না
মন ধরেছে বায়না
হাপানি চুপানি সি এন যি ওয়ালাকে!!!!!
ব্লগার সজীব
ময়না আসলেই সুন্দরী ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
তাই ধরেছি কাছে আয়না।
শুন্য শুন্যালয়
সজু আর গল্প? আজ মনেহয় সূর্য্যই ওঠে নাই, কিংবা চাঁদ উঠে বসে আছে। কিন্তু গল্পে সজু স্টাইল বলবৎ আছে। 🙂
ময়না কী চাচী নাকি চাচাতো বোন? একটা হইলেই হইলো, সুন্দরী বলে কথা। 😀
গল্পের মধ্যে গল্পের গন্ধ পাচ্ছি, নিশ্চয়ই আছে আরো কিছু! জলদি জলদি!
কিন্তু ঘটনা হলো সজু বাইয়া এদ্দিন ছিলো কই? পাত্রি খোঁজায় ব্যস্ত? 🙂
ব্লগার সজীব
চাঁদ উঠে বসে আছে 🙂 সজু আড়ালে ছিল, এবার সামনে আসিল। ময়না চাচাতো বোন, গল্পের পল্প আছে 🙂
নাসির সারওয়ার
সিএনজি ওয়ালা্টা ভালো মানুষ।
যাত্রি সাহেব বেজায় ত্যাঁদড়।
আর লেখক সাহেব ভালো (ভুয়াও হতে পারে) লিখিয়ে – পারলেনা রুমকি নাটকের মত দর্শকদের হাতে ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছে। এই ময়না নিয়ে কত কি যে হতে পারে………।
ব্লগার সজীব
সজুরা কিছুটা এমনই হয় ভাইয়া 🙂 ভাল আইডিয়া তো, পাঠকদের কাছে প্রশ্ন করা যেতে পারত সমাপ্তি কি হতে পারে?
দীপংকর চন্দ
তারপর??
সাবলীল লেখায় ভালো লাগা রেখে গেলাম। সাথে কৌতূহল
অনেক ভালো থাকবেন।
শুভকামনা। সবসময়।
ব্লগার সজীব
তার কিছু পর আছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিষ্টি জিন
বুঝে নিতে হবে নাকি ডট ডট মানে চলমান?
যেমন সিএনজি ওয়ালা তেমন তার যাত্রী।
দেখি ময়নার মা খাবার দেয় কিনা!!
ব্লগার সজীব
বুঝে নিলে ভালুই হতো আপু। খাবার দেবেনা আমাকে! কি যে বলেন আপু 🙂
রুম্পা রুমানা
এরপর কি হলো ? পড়তে চাই । তাড়াতাড়ি লেখো ভাই।
ব্লগার সজীব
আপু পরের পর্ব দ্রুতই দেব।
শাহানা আক্তার
তারপরের গল্পটুকু জানার বেশ ইচ্ছা জেগেছে…জানবো নিশ্চয়ই…
ব্লগার সজীব
নিশ্চয়ই জানবেন আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অপুর্ব সুন্দর এক মুখ, ময়না……
পরেরটা দেখতে খুব মজা লাগে হে
কাহিনী এ ভাবে থামিয়ে দিলেন কেনো?পাঠক কি কষ্ট পায়নি।সুন্দর -{@
ব্লগার সজীব
পরের পর্ব দ্রুতই দিয়ে দেব ভাইয়া।
নীরা সাদীয়া
হাহাহাঃ, আপনার প্রতিটি লেখায় থাকে এ ধরনের কিছু রসিকতার ছোঁয়া। আপনি কি সত্যিই এরকম কিনা তা জানি না। মজা পাই খুব এমন চরিত্রের চিত্র অঙ্কন করার ফলে।
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ আপু। আমি এমনই, যেমনটি আমার লেখায় দেখেন। চিঠি প্রকাশের পরে শেষ পর্ব পড়বেন আশাকরি।