
ঘোরাফেরার নেশাটা আমার অনেক পুরোনো। সুযোগ পেলেই বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে ঝুম বৃষ্টির আলিঙ্গনে মনের ভেতর সজীবতার সৃজন করি। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে। সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার “একদিনের ভ্রমণ আর কিছু ছবি” নামক সিরিজটা শুরু করতে চাচ্ছি, আপনাদের ভালো লাগলে এটা চালিয়ে যাবো, অন্যথায় এটাই এই সিরিজের শেষ পোষ্ট।
(কয়েদিন আগে নৌকা ভ্রমণে বের হয়েছিলাম সারাদিনের জন্য তার কিছু ছবি নিয়েই আজকের পোষ্ট)
(২) বৃষ্টি ভেজা একজন জেলে।
(৩) পারাপার।
(৪) মাটির পাতিল নিয়ে কোথায় চলছে কে জানে?
(৫/৬) নদী, নৌকা, জেলে।
(৭/৮) ড্রেজার চালিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালি তুলে বোঝাই করা হচ্ছে কার্গো বোট।
(৯) এমন পাল তোলা নৌকাগুলো এখন কিছুটা দূর্লভ হয়ে গেছে।
(১০) আগে ভাটিয়ালি সুর তুলে মাঝিরা এমন নৌকাগুলো বেয়ে যেতো, এখন শুধু ইঞ্জিনের গানই শুনা যায়।
(১১) প্রায় ছয় ঘন্টা ট্রলার চলার পর আমরা দেখা পাইলাম ভৈরব ব্রীজের।
(১২) আশুগঞ্জ সার কারখানা।
(১৩) সার কারখানার পাশ ঘেষে চলে যাচ্ছে একটা ছোট লঞ্চ।
(১৪) ভৈরব ব্রীজের নিচে। দুটো রেল ব্রীজ চলে গেছে চট্টগ্রাম আর সব থেকে বাম পাশেরটা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের গাড়ি চলার ব্রীজ।
(১৫) এক সময় আমাদের ট্রলার থামলো ভৈরবের ঘাটে।
(১৬) ভৈরবে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর পানিতে কিছুটা দাপাদাপি করে ফিরতি পথ ধরলাম।
(১৭) ভৈরবের ঠিক উল্টো পাড়েই আশুগঞ্জ শহর।
(১৮) পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, ব্রীজের অবকাঠামোটাই শুধু দৃশ্যমান।
(১৯) বৃষ্টি থেকে বাচতে বাপ বেটা এক ছাতার নিচে।
(২০) এক সময় পশ্চিমাকাশে মেঘনা নদীর ঐ পাড়ে সূর্য্যটা হেলে পড়লো, আমাদের গন্তব্য দূরে বলে ট্রলার ছুটিয়েছিলো দ্বিগুণ গতিতে।
২৬টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
প্রতিটি ছবিই সুন্দর। মন কেড়ে নেবার মতন। তবে আমার মতে প্রতিটি ছবির পিছনের গল্প বর্ননা দিলে লেখাটি আরো প্রানবন্ত হতো।
শুভ কামনা রইলো।
কামাল উদ্দিন
কয়েকদিন আগে ফেজবুকে পড়েছিলাম পাগলিটা মা হয়েছে বাবা হয়নি কেউ। তারই বাস্তব চিত্র আপনার গল্পে ফুটে উঠেছে আপু, যা আমাদের সমাজের একটা অন্ধকার দিক। গল্পটা পড়ে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেলো, জানিনা আমরা কবে মানুষ হবো।
শামীম চৌধুরী
কামাল ভাই,
আপনার মন্তব্যটা বোধগম্য হলো না।
মনে হচ্ছে wrong window. 😂
কামাল উদ্দিন
অবশ্যই অবশ্যই রং রং রং
আসলে আমি এই ব্লগের পোষ্টে মন্তব্য লিখতে পারি না। অন্য কোথাও লিখে কপিপেষ্ট করে এখানে দেই। অন্য একটা পোষ্টের মন্তব্য এটা, তারপরের মন্তব্যটা হয়তো কপি হয়নি পেষ্ট করতে গিয়ে আগেরটাই চলে এসেছে, দুঃখিত আমি।
শামীম চৌধুরী
নাহ ঠিক আছে। বুঝতে পেরেছি বলেই আপনাকে রিমান্ড দেয়া।
ভাল থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
আমার জীবনের প্রথম রিমান্ড 🙂
কামাল উদ্দিন
আমার পুরো পোষ্টের বক্তব্য কিন্তু একটাই বড় ভাই, নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে ভ্রমণ।
আরজু মুক্তা
সব ছবি সুন্দর হয়েছে।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, শুভ কামনা জানবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
সবাই ফুটবল দলের মতো একি পোষাকে
বাপ পোলা মিলে নদী ভ্রমন ভালই লাগে
সাথে যদি থাকে ক্যামেরা অসাধারন ছবির সমাহারে
ভালই লাগলো। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা, ভ্রমণ ছবি তোলা আর ব্লগ এগুলো আমার নেশা, ব্যবসা বানিজ্য করে পেটের ভাত যোগানোর পেশাটার কারণে নেশার সময়টা খুব একটা মিলে না। যখন মিলে যায় তখন নিজেকে মনে হয় রাজা। আমার এই পোষ্টকে তাই বলা যায় রাজার পোষ্ট 😛
……………….শুভ কামনা জানবেন সব সময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই একশোতে একশো। আপনার ছবি বরাবরই অন্যরকম সুন্দর। বাপ বেটা তো আলাদা করা যাচ্ছে না। 🤭🤭 অবশ্যই এটা চালিয়ে যাবার অনুরোধ করছি ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, এমন মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই বরাবরই। আশা করছি আমার এই সিরিজ নিয়ে সামনে আগাতে পারবো……..শুভ সকাল।
সুরাইয়া পারভীন
সবগুলো ছবিই চমৎকার। আর ভ্রমণ গল্প পড়ে আর ছবি গুলো দেখে অনেকটায় দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই আমি। তাই এই সিরিজ হলে খুবই ভালো হবে
আগাম ধন্যবাদ জানাচ্ছি কিন্তু
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় ভাইয়া
কামাল উদ্দিন
গোলের স্বাদ দুধে যখন মিটবে তখন আমি আর বসে কেন? এবার এই সিরিজকে এগিয়ে নেবার পালা………ভালো থাকবেন আপু।
ফয়জুল মহী
হৃদয় ছোঁয়া , মন উৎফুল্ল হলো ।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
রঙ্গীন পালের নৌকার ছবি সবসময়ই আমাকে টানে।
কামাল উদ্দিন
জোড়া তালি মার্কা পাল হলে আরো বেশী সুন্দর লাগে, শুভ সকাল বড় ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার————
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ লিটন ভাই, শুভ কামনা সব সময়।
আলমগীর সরকার লিটন
জ্বি আপনাকেউ
তৌহিদ
আপনার ছবির সাথে আমিও কিছুসময় ভ্রমনের আনন্দ লাভ করলাম। চমৎকার সব ছবি।
ভালো থাকুন ভাই।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই, আপনিও ভালো থাকুন সব সময়।
হালিম নজরুল
আপনার ভ্রমণকাহিনী সবসময়ই অসাধারণ হয়। খুব ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন নজরুল ভাই