বই
বরেণ্য
অনুগ্রহ করুন,
শুধু একবার-ই বলুন,
রকমারিতে দু’টো বই ই
পাব কিনা, হ্যাঁ কিম্বা না-তে-ই;
জানতে চাই।
***************************************************
সবুজের অরণ্য
সোনালী সূর্য হাসুক
প্রভাত-দিগন্তের পুরোটা বুক জুড়ে,
বুকে জড়িয়ে;
পাখিরা মেলুক বিস্তর ডানা
ওই –ই বিঘৎ অরণ্যের সবুজে।
*************************************************
পাতা কুড়োনি
ঝরাপাতা কুড়োবে! একদম সাফ –সূরত হয়ে যাবে!
তা বেজায় উঁচু বেড়া পেরুলে কী করে তাই ভাবছি,
ঝেরে-পুছে নিয়ে যাও, মানা নেই,
ঝাড়ুটি কিন্তু রেখে যেও মনে করে, যত্ন করে,
**************************************************************
জল চাই একটুখানি
চৈতী কৃষকের হাপিত্যেশ
জল চাই, একটু জল,
উষ্ণতায় সামান্য হলেও,
বীজ পুঁতব;
দু’এক ফোটা হলেই সই,
ভালোবেসে,
৪৫টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
লেখার কি ছিঁড়ি! এই নাহলে লেখক। কোনো কথা ছাড়াই প্রিয়তে।
কোন দুটো বই, তা জানিতে পারিলে না হয় বলিতাম।
“অরণ্যের সবুজে” বাহ বাহ! সবুজ অরণ্য যখন বলা হয় তখন একটি অরণ্য চোখে ভাসে। সবুজ অরণ্যে পাখিরা ডানা মেলে। কিন্তু দৃশ্যকল্পটা ব্যাপক ঠেকে যখন বলা হয় অরণ্যের সবুজে। সবুজ জুড়ে পাখিদের আনাগোনা। ভাবতেই ভাল লাগে।
বেড়া পেরিয়ে এসেই যখন পড়েছে তখন রাগঢাকের বদলে ঝাড়ুর ফেলে যাবার অনুনয় বিস্ময়কর। ঝরা পাতারা নিয়ম করে ঝরবেই। কুড়োনি হিসেবে আবারো বেড়া ডিঙিয়ে আনার গোপন অভিপ্রায় এ। সরাসরি বলা যায় না সবকিছু সরাসরি।
কে যেন বলেছিল, ভালবাসা ভাল নয়? স্মৃতিশক্তি এতো দূর্বল নয় কিন্তু ভুলে যাইয়েন না।
ছাইরাছ হেলাল
লেখক কই!! ল্যাখক বলুন।
আমি নিজেই তো জানিনা, ঐ বই কোন বই!!
এবারে আপনি একদম বুলস আই হিট করে ফেলেছেন,
সীমাহীন সবুজ অরণ্য বোঝাতেই অমন করে বলা,
সব সময়ই বলি, ভালোবাসা আসলেই বিভ্রম!! মায়াও বলা যায়, মরীচিকাও বলা যায়।
ঝরা পাতা কুড়োতেও দেবেন-না দেখছি!!
প্রহেলিকা
ঝরা পাতা কুড়োবেন এটাতো কোনো সমস্যা দেখছি না। পাতা ঝরা বন্ধ হয়ে গেলে তখন কি হবে? শীত পেরিয়ে গেলেই যে ঝড়ার বদলে নতুন পাতা গজাবে! যাইহোক লেখাটি কিন্তু বেশ টেনেছে আমাকে।
ছাইরাছ হেলাল
আমি কুড়োলাম কখন!!
অন্য মানুষ কুড়োয়, ঝরাপাতা কখনো ফুড়োয় না, আময়িক বিরতী দেয় মাত্র,
টানাটানিও ভাল কাজ না!! মনে রাখতে হবে।
প্রহেলিকা
না মানে বলছিলাম, বিরতি সাইবার ক্ষমতা আপনার থাকলেও আমাদের যে নেই সেটিতো আপনার বোঝা দরকার। যদি কুড়োতে না আসে আমরা লেখা পাবো কিভাবে? পোষ্ট ফ্লাডিং এর শাস্তি কি বেশি ভয়ংকর নাকি? অপরাধ আপনি করতে পারেন। সাথেই আছি।
ছাইরাছ হেলাল
আইন সবার জন্য সুমান!!
অপরাধের উস্কানি দেওয়াও অপরাধ সমতুল্য,
ধৈর্যশীলদের সবাই না-পছন্দ করে, তবুও ধৈর্যই ধৈর্য!!
প্রহেলিকা
ধৈর্য্য ধরে কিছু পেয়েছি বলে মনে হয় না, অধৈর্যই সই। উস্কানি কাজে লাগলো মন্দ হতো না। দোষ আপনারই দিচ্ছি, বাড়ায় টারায় দিলে ক্ষতি কি !!
প্রহেলিকা
প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে প্রহেলিকাকে দেখে আমি খুশি।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা!! প্রথম মন্তব্যকারীকে তো খুব জুইতের মনে হচ্ছে না,
সে তো কয়লা কুড়োচ্ছে!!
মুরুব্বীরা বকে দিলে তখন কিন্তু ট্যাঁ-ফোঁ করা যাবে না,
প্রহেলিকা
প্রহেলিকা নিরীহ প্রাণী, তাকে বকা টকা দিয়েন না। ছেড়ে দেন বেচারা কেঁদে বাচুক(চন্দ্রবিন্দুহীন বাঁচা)।
ছাইরাছ হেলাল
বেচে বেচে বাচুক, বাঁচুক।
প্রহেলিকা
আপনার সবুজ অরণ্যের মতোই টানে হাওড়। হাওড়ে যাব।
যদি কখনো ফিরে যাই হাওরের কাছেই যাব,
সাড়ি সাড়ি হিজলের কাছে; বন্ধ চোখে
প্রথম রাত্রিতেই মেতে উঠে জলসঙ্গমে
চুকিয়ে ফেলবো সঞ্চিত সকল ঘুমের হিসাব।
ছাইরাছ হেলাল
হুট করে এর উত্তর দেয়া যায় না, ঠিকও না।
মোঃ মজিবর রহমান
জল চাই একটুখানি
চৈতী কৃষকের হাপিত্যেশ
একটু খানি কেন উদর পুরেই পান করুন । ফসল চাইলেই পাবেন তা না মন প্রান উজাড় করে চান তবেই…………।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, এরপর থেকে বেশি করে চাইতেই হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
(y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কিন্তু বুঝিনা, তাই ব্যবহারেও যাই না।
নীহারিকা
হ্যা লিখতে হয় এভাবে। এইতো বুঝেছেন। তাইতো আজকের লেখাগুলো বুঝতে পেরেছি 🙂
এভাবেই লিখতে থাকুন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী,জ্বী,
আদেশ শিরোধার্য,
কিন্তু কথা হলো এত্ত কুঠিন লেখা আপনি কী করে বুঝে ফেললেন
ইহা আমার বোধগম্যের উপ্রে দিচ্ছে যাচ্ছে,
আমি কিন্তু এই ল্যাহার কিছুই বুঝতারিনাই!!
নীহারিকা
আপনার না বুঝলেও চলবে। আমার মত পাঠক বুঝলেই চলবে। কম বুদ্ধির পাঠকের কাছে মাঝে মইধ্যে ল্যাখা বোধগম্য করাও কিন্ত ল্যাখকের দায়িত্ব।
বুঝছেন নি? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
গুরুদায়িত্ব বর্তায়ে দিলেন!!
কৈ যাই!!
মৌনতা রিতু
আচ্ছা! তো সাফ সূরত হয়েই পাতা কুড়োতে যেতে হবে।
তাও যেতে হবে উঁচু বেড়া ডিঙ্গিয়ে।
চৈত্রের দুপুরে কৃষকের দু’ফোটা জলে তৃষ্ণা মিটবে?
ফসল খেলে উঠুক মাঠ জুড়ে। নয়ন ভরে চেয়ে থাকব সবুজে সবুজে।
বাহ! বাহ! বাহ!
ছাইরাছ হেলাল
জল যেখানে বাড়ন্ত সেখানে দু’ফোটাই অনেক ফোটা,
তাও-তো পাওয়া যাচ্ছে না।
ফলুক ফসল যত খুশি,
ব্লগার সজীব
তিনটি বইই পাওয়া যাবে, চিন্তা করিবেন না মোটেই। আমরা পাঠকের চাহিদানুযায়ী বই লেখিয়ে থাকি। আর কোনো বিষয় নেই? তবে শর্ত হচ্ছে প্রতিটি বই কমপক্ষে একশত কপি কিনতে হবে। প্রতিকপির মূল্য দুইশত পঞ্চাশ টাকা মাত্র 🙂 লেখার যে কত আইডিয়া!
ছাইরাছ হেলাল
আমার বই-ই লাগবে না,
চাহিদানুযায়ী লিখিয়ে তা আবার গিলিয়েও দ্যান!!
আইডিয়া যখন মুফতে পাওয়া যায় তখন আর চিন্তা কী!!
প্রহেলিকা
”একটু দাঁড়াই”
এবার একটু বসা যায় না?
ছাইরাছ হেলাল
বসা যাবে-না কেন!! বসা-ই-তো উচিৎ, দাঁড়ানোর পরে,
কিন্তু এরপর ঘুম আসলেই যত সমস্যা!!
প্রহেলিকা
যারা হুটহাট লেখালুখা নামাতে পারে তাদের কাছে সমস্যা আবার কোনো সমস্যা নাকি? জানা ছিলো না তো! অনেক কিছুই জানি না দেখছি। এবার সত্যি করে বলুনতো, শব্দের পীড়া নিয়ে ঘুমিয়েছেন কখনো? পেরেছেন?
ছাইরাছ হেলাল
আমরা পারি বা না পারি তাতে পীড়ার কিছু আসে যায় না, আর এ পীড়ন একবার চালু হলে আর বন্ধ হবার নয়, এখানেও বিরতী আছে, সাময়িক,
পীড়া শুধু পীড়া দেয় না, আনন্দপীড়াও দেয়,
প্রহেলিকা
পীড়াকে আনন্দপীড়া করে নিতে কজন জানে বলুন। আপনি বোদ্ধা বলেই জানেন। সাময়িক বিরতি মানতে বলছেন?
সবারটার জন্য কিন্তু এমন করি না বরং পালিয়ে বাঁচি।
অফটপিকঃ খালিমুখে আর কতক্ষণ, ব্লগে কি বাঘদুধের না হোক;সোলেমানী চায়ের ব্যবস্থাও নেই?
ছাইরাছ হেলাল
কালকে পর্যন্ত অপেক্ষা, বুঝতে পারি সবই,
পড়ব, পড়াব,
নাহ, চা-ফা কিচ্ছু হবে না, বাঘ-বুঘ দূর্মূল্য,
ভাগুন, ভাগি।
প্রহেলিকা
ভাগবেন আর কদ্দুর, সকালের হাঁটাপথে হাঁটতে ভুল না হয় যেন।
ছাইরাছ হেলাল
সে পথ এখন সূতিকাগার, নো মিস।
নীলাঞ্জনা নীলা
এত্তো সহজ লেখা পড়িনা, তাই জানিনা বই রকমারিতে পাওয়া যাবে কিনা!
তবে ভাভু বাইয়া বলেছেন পাওয়া যাবে। একশ কপি কিনে নিতে হবে। প্রতি কপি আড়াইশ টাকা। অবশ্য আমাকে কমিশন দিলে আরো কমে কিনিয়ে দিতে পারবো। রাজি থাকলে প্রতিমন্তব্য করতে হবেনা। :p
এবারে অন্য কথায় আসি, ভেবেছিলাম সবার মন্তব্য দেখে নিজেও মন্তব্য করবো। বাপ্রে মন্তব্য তো সব মাথার উপ্রে দিয়া গেলো। উঁচু বেড়া ডিঙ্গানো সহজ এর থেকে। চৈত্র মাসকে দেখলাম।
“যখন বিদায়-বাঁশির সুরে সুরে
শুকনো পাতা যাবে উড়ে
সঙ্গে কে র’বি।’
‘আমি রব, উদাস হব ওগো উদাসী,
আমি তরুণ করবী’।”——-কেন এই গানটার কথাই মনে পড়লো? ;? কুবিরাজ ভাই নিন গানটা শুনুন। https://www.youtube.com/watch?v=XwpcQKtb9Tc 😀
ছাইরাছ হেলাল
বন্যেরা বনে সুন্দর,
কেউ কেউ বেড়ায়!!
উদাস হই যাইতে মুন চায়, গান শুনে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
যান যান ঘুইরা আসেন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
কৈ যাই কেমনে যাই!!
বেড়া তো বাইতে পারি না,
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আপনি এত্তো কঠিন করেও লিখতে পারেন? তাইলে সহজ করে লেখা কি দরকার! এভাবেই লিখুন। আমি এরুপ কঠিন লেখা বুঝতে পারি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা আইচ্ছা কিছু কঠিন এবার থেকে থাকবেই,
আহা, আগে বলবেন্না!!
মিষ্টি জিন
ডাইনির ভূত মাথা থেকে নেমেছে তাহলে !!!
এত ভাল কবিতা লেখি তো আমার মজা করাটাই বরবাদ কর দিলেন।
এত ভালো ভালো না। :p
ছাইরাছ হেলাল
মজা চালু রাখেন,
জ্বীন-জ্বুনগুলা মাঝে মধ্যে চাপা-চুপা পড়ে,
কোম্মে যে জামু!!
বনুবাস লইতে মুঞ্চায়!!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
যেমন বিজ্ঞ লেখক
তেমনিই বিজ্ঞ পাঠকমহল
আমি সেখানে কেবল
দর্শক ছাড়া কিছুই নই। -{@ -{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
ল্যাখক বিজ্ঞ না,
পাঠক লক্ষ্মী- বিজ্ঞ-জ্ঞানী!!
শুন্য শুন্যালয়
একটু নয়, সেই থেকে দাঁড়িয়েই আছে। এমন লেখার সামনে বসতে সংকোচ হচ্ছে।
*******
প্রয়োজনের সাথে ভালোবাসা? দুটো দুই মেরুর হলোনা?
*******
পাতাকুড়োনিরা সাথে ঝাড়ু রাখে বলেই জানতাম। এখানে দেখছি কবি অপেক্ষায় ছিলো। বেঁড়ায় যে ফাঁক ছিলো তা আর না বলি।
*******
প্রত্যয় সুন্দর
*******
রকমারিতে ঝকমারি ছাড়া বই থাকেনা। অতএব “না”
ছাইরাছ হেলাল
এ মন্তব্যের উত্তর দেয়া খুব কঠিন, ভয় পাইছি ভাইয়া।
ম্যালা ল্যাহাপড়া করা লাগবে।
পাতা কুড়োনিদের ঝাড়ু থাকে তা ঠিক, তবে ফাঁকতালে অন্যের ঝাড়ুর দিকেও চোখ রাখে,
বেড়ায় ফাঁক থাকতে হয় না, উড়ুক্কু হয়ে এসে পড়ে!!