
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত উহান শহর এখন মৃত্যুপুরিই বলা যায়, যেখানে রাস্তাঘাটে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের লাশ রাস্তাঘাটে পড়ে আছে, চিন সরকার উহান সহ প্রায় এগারোটি শহরকে ব্লক করে দিয়েছে যেন ভাইরাস এর বাইরে যেতে না পারে, শুধু কি তাই?
এইসব শহর জুড়ে খাবারের দোকান, শপিংমল, যাতায়াত ব্যবস্থা, নিত্য ব্যবহার্য পানি সব বন্ধ করে দিয়েছে যেন ভাইরাস আক্রান্ত না হয় মানুষ।
করোনা ভাইরাস এক মহামারী হিসাবে দেখা দিয়েছে, গবেষকরা বলছেন, ” এই ভাইরাসে প্রায় ছয় কোটি মানুষ মারা যেতে পারে এইবার, যদিনা এই ভাইরাসকে রুখে দেওয়া না যায়”।
এই পর্যন্ত চিন সরকারের হিসাব অনুযায়ী এগারো হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে লক্ষাধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মানুষ মারা গিয়েছে ছয়শোরও অধিক মানুষ, যা বেসরকারি ভাবে আরও বেশি।
এইদিকে চিন সরকার উহান শহরেই দুই দিনে ১০০০ বেড সজ্জিত এক হাসপাতাল বানিয়ে ফেলেছে, যার জন্য পাঁচশোরও অধিক নির্মাণ শ্রমিক নিয়োজিত ছিলো এই হাসপাতাল নির্মানে, আজকের দিনে বিশজনের অধিক মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে রোগমুক্ত হয়েছে, এর অর্থ হলো, এই রোগ থেকে মুক্তির পথ বের হচ্ছে, আশা করা যায় দ্রুতই এর ভেকসিন পাওয়া যাবে।
এই দিকে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে, তার মধ্যে অগ্রগামী হলো ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া তো এক দ্বীপ আলাদা করে রেখেছে যেন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে সেই দ্বীপে কোয়ারেন্টিনে রাখতে পারে, যাতে ভাইরাস আক্রান্ত হলে সেই ভাইরাস যেন মূল ভূখন্ডে আসতে না পারে।
এই দিকে বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক কাঠি বাড়া, উনারা গতকালই তিনশো বারোজন ছাত্রকে উহান থেকে নিয়ে এসেছেন, এইজন্য বাংলাদেশ সরকারকে বাহবা জানানো উচিত, কিন্তু বাহবা জানাতে পারছিনা বলে দুঃখিত।
উনারা সেই তিনশো বারোজনকে এনে কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন বিখ্যাত কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র হাজি ক্যাম্পে।
বুঝেন অবস্থা?
সেই তিনশো বারোজন ছাত্রকে হাজি ক্যাম্পে রেখেছেন কিভাবে তা জানলে আপনারাই দুঃখে পড়ে যাবেন, তাদেরকে বাহান্ন জন করে এক একটা ঘরে ফ্লোরিং করে রেখেছে, যেন গরু গাধাদের রাখা হয়েছে, এ বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এরচেয়ে এইসব ছাত্ররা উহানে আরও ভালো ছিলো।
এখন হবে কি?
আল্লাহ্ না করুক, এই তিনশো বারোজনের মধ্যে একজনেরও যদি এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে এই তিনশো বারোজনই এখন আক্রান্ত হবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, আবার এর মধ্য থেকে যদি একজন আক্রান্ত যদি ওখান থেকে পালিয়ে যায়, তাহলে তো সব কেঁচে গুন্ডুস হবে সব।
কেমন, মনে করুন আক্রান্ত একজন পালিয়ে বাড়ি ফিরে এলো, তাহলে ওর সাথে সাথে ভাইরাস তার ফ্যামিলি, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় অনাত্মীয় সবাইকে ভাইরাস আক্রান্ত করবে, আবার ও যাদের ভাইরাস আক্রান্ত করেছে, তারাও চক্রবৃদ্ধি হারে অন্যদের আক্রান্ত করবে, এইভাবেই এই দেশের সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে, এই দেশের সাড়ে সতেরো কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে কত সময় লাগবে তা চিন্তা করে দেখুন একবার।
আমি দোষারোপ করবো সরকারকে, শুধু মাত্র তাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য, সবাই জানে এই ভাইরাসের কোন ভেকসিন নাই, তাহলে সরকারের কার কি স্বার্থ ছিলো যে এই মরণব্যাধিকে দাওয়াত দিয়ে এই দেশে আনার জন্য?
সত্যি আমি আতংকিত, আমি যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুদূতকে দেখতে পাচ্ছি, আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি, দয়া করে প্রতিটি ছাত্রকে আলাদা করে রাখুন যেন তা অন্যদের আক্রান্ত করতে না পারে, সাথে হাজি ক্যাম্প ও তার আশেপাশের এলাকাকে দ্রুত কর্ডন করে ফেলুন, যেন একজন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিই যেন বাইরে বেরুতে না পারে, সাথে সাথে অত্র এলাকার কেউ যেন হাজি ক্যাম্পের আসেপাশে ভিড়তে না পারে।
সাথে সাথে আপনারা ধর্মমত নির্বিশেষে সবাই দোয়া, প্রার্থনার সাথে সাথে নিজেরাও সঠিক নিয়মে মাস্ক পড়ুন, সারাক্ষণ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।
নিজে বাঁচুন, সাথে অন্যকেও বাঁচান, মনে রাখবেন সাবধানের মাইর নাই।
সমাপ্ত।।
২৮টি মন্তব্য
ত্রিস্তান
আমাদের সরকার কখনোই বুদ্ধি বিবেক কে অগ্রাধিকার দেয় নি, কার পরামর্শে ওদেরকে এখানে রাখা হলো? কে নেবে এই দায়?
ইঞ্জা
দায় নেওয়ার সময় দেখবেন কেউ নাই, ওরা এতো নির্বোধ হয় কি করে, আমি আশ্চর্য হই।
মনির হোসেন মমি
আমাদের ভাবিয়ে তুলছে ক্রমশত এ-ই করোনা ভাইরাসটির আগ্রাসন। ঠিক হয়নি সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার। এ-ই বিষয়টায় সরকারের এখনো উদাসনীয়তার নীতিতে আছেন নতুবা এ ভাইরাস সনাক্তকরনের স্থান কেবল মাত্র একটি এটা ভাবা যায় না।যাদের ফেরত এনেছেন তাদের মাঝেও জ্বর দেখা দিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ লেখা।সরকারের টনক নড়া উচিত।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই, এ যেন মৃত্যুকে দাওয়াত দিয়ে আবা হয়েছে।
ফয়জুল মহী
মাতৃভূমি সালাম তোমাকে ।
ইঞ্জা
মাতৃভূমিকে কি আমরা রক্ষা করতে পারবো এইবার?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এ আর নতুন কি। সরকারের নির্বুদ্ধিতার আরেকটি প্রমাণ পাওয়া গেল। তারা সবাইকে দেখালো তারা কত ভালো কাজ করেছে। আগুনে ঘি ঢালা আর কি। যাও নিরাপদ থাকতো বাইরে এখন সেটাও কতটা সম্ভব হয় দেখার বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া এভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সবার কাছে
ইঞ্জা
দুঃখ তো এখানেই, সামান্য বাহবা পাওয়ার আশাই সরকার যে কি বিপদ ডেকে আনলো তা অনুধাবন করে আমি শংকিত।
ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
কোরোনা ভাইরাস নিয়ে যথাযথ যুক্তিযুক্ত তুলে ধরেছেন শ্রদ্ধেয় দাদা। শুনেছি এই মরণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য সারবিশ্ব এখন গণচীনকে দায়ী করছে। তাঁরাই নাকি এই রোগ আবিষ্কার করতে গিয়ে গবেষণাগার থেকে সংক্রামক বাইরে ঢেলে দিয়েছে। তাহলে এরজন্য এখন দায়ী শুধু গণচীন।
প্রার্থনা করি
মহান সৃষ্টিকর্তা যেন এই মরণঘাতী রোগ থেকে সবাইকে রক্ষা করে।
ইঞ্জা
দাদা কে করেছে, কে কাকে দায়ী করছে তা এখন বিবেচ্য নয় দাদা, এখন সৃষ্টিকর্তায় পারেন আমাদের রক্ষা করতে।
তৌহিদ
এই দিকে বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক কাঠি বাড়া!!!
বাংলাদেশসহ অনেক দেশই তাদের মানুষদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যা ভালো দিক। অথচ বাংলাদেশ অন্যন্য দেশের মত পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা রাখেনি। টিভি পত্রপত্রিকায় নিউজ দেখে হতাশ হয়েছি।
জনবহুল ঢাকাকে করোনার এটমবোম বানিয়ে দেশের অন্যন্য মানুষকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে আমার মনে হয়। এরা চীনেই ভালো থাকতো, এদেশে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা নেই। কেন যে আসতে গেলো!! অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করছেন।
দারুণ লিখেছেন দাদা।
ইঞ্জা
সত্যি তাই, আসলেই হতাশ হয়েছি আমরা, ধন্যবাদ ভাই।
আরজু মুক্তা
সরকারের নির্বুদ্ধিতার প্রশংসা না করে পাচ্ছি না!!!
ইঞ্জা
একদম যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন আপু।
সুরাইয়া পারভীন
কি আর করার সরকারের নির্বুদ্ধিতার দায় কাঁধে নিয়ে অজস্র প্রাণ ঝরে যাবে? যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা না দিতে পারে তবে কেনো তাদের ফিরিয়ে আনার কী দরকার ছিলো?
সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত আপু, সরকারের নির্বুদ্ধিতার খেসারত হয়ত আমাদেরকেই দিতে হবে। 😣
ছাইরাছ হেলাল
খুব-ই আতঙ্ক বোধ করছি।
যদিও ঢাকা থেকে বহু দূরের গ্রামে থাকি তাও।
চিনেও আপন জন আছে, যোগাযোগ রাখছি নিয়মিত।
সময়োচিত চিন্তার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।
ইঞ্জা
আতংক এখন শুধু ঢাকায় নয় ভাইজান, পুরা দেশটাই এখন বিপদের মধ্যে আছে, এরপরেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি রক্ষা করে।
দোয়া রাখবেন ভাইজান।
ধন্যবাদ।
ইসিয়াক
খুব আতঙ্কজনক পরিস্থিতি।
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
ইঞ্জা
আমীন,
সুম্মা আমীন।
সুপায়ন বড়ুয়া
করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশদ তুলে ধরার জন্য
ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সরকার আমাদের সন্তানকে উদ্ধার করেছেন ও
তাদের যথাযত সুরক্ষার ব্যাবস্থা করবেন
এটাই কাম্য। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা, আমরা সবাই চাই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
সঞ্জয় মালাকার
খুব-ই আতঙ্ক বোধ করছি ভাইজান।
এ আর নতুন কি। সরকারের নির্বুদ্ধিতার আরেকটি প্রমাণ পাওয়া গেল।
ভালো থাকুন সব সময় আপনার জন্য শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অবিরত ভাই।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা অফুরান।
জিসান শা ইকরাম
প্রার্থনা করি, আমাদের দেশে যেন এই ভাইরাস না ছড়ায়। মহামারি লেগে যাবে তাহলে।
থুথু কফ ফেলে একেবারে শেষ করে দেবে আক্রান্তরা।
চীন থেকে এদের না আনাই ভাল ছিল, আমার খুব কাছের এক বন্ধুর মেয়ে চীনে আছে, সমস্ত ছাত্র ছাত্রীকে হোস্টেল থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। ডাইনিং এ গিয়ে সুধু খাবার খাচ্ছে তারা।
আল্লাহ রহম করুক আমাদের।
ইঞ্জা
ভাইজান, বেশ আতংকজনক পরিস্থিতিতে আছি, বুঝিনা সরকার কিভাবে এই ঘটনা করলো, আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন, আমীন।
সাদিয়া শারমীন
আল্লাহ সবার উপর রহমত নাযিল করুক। যে আশংকা সবাই করছে তা যেন না ঘটে। সবাই সুস্থ থাকুক। সে কামনাই করি।
ইঞ্জা
আমীন।