শব্দের মালা গাঁথব বলে
চলে এলাম এই বৃক্ষের ছায়া হিমশীতলে,
পাশে এই ছোট্ট দীঘি, বুকে তার শাপলা গন্ধ,
আমার তাকানোতে হেসে বলছে,'তোমার কলমের কাগজবুকে বসে যাই একটুখানি।'
আমি বললাম 'তোমার জন্য মেলে রাখা ঐ সবুজ পাতায় দেখ দু'টো প্রজাপতি,
বোঝ তুমি ওদের কথা? একটু শোনাও তো আমায় দেখি'।
শব্দের যাদু নেই আমার, নেই কোনো অন্তমিল, নেই কোনো ছন্দ!
শব্দেরা বোবা কালা নয়, জড়ও নয়। তবু আমার খাতার বুকে, নড়েচড়ে কখনো বসে না।
শব্দের ওঠাবসা, খুনসুটি, দুষ্টমি নীলার খাতায় মানায় দারুণ,
শূন্য নাম হলেও, শূন্য নয় খাতা তার, শব্দেরা শূন্যালয়ে নেচে চলে আসে।
খাতার বুকে পাথরের মতো ভারী ও নিথর হয়ে পড়ে থাকে।
আজ এখানে একান্তে দীঘির শাপলা, পদ্ম, পদ্ম পাতার ফড়িং জোড়ার নাচুনি্র মাঝে শব্দেরা আজ ভিন্ন অস্তিত্বের কথা বলে।
এই যে ছায়ার মায়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেবদারু গাছগুলো, ওরাও মৌনতায় শব্দঅস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।
মেঘের রঙের নানামাত্রিক শব্দ।
কখনো কালো গম্ভীর গর্জে ওঠে,
কখনো সাদা ঐ শুভ্র মেঘের বুকে ছুটে বেড়ানো নীল নীল নীলাদ্রি শান্ত আকাশ।
প্রকৃতির এই শীতল ছায়ার মাঝে, এই গাছের মোড়ায় বসে পায়ের তলে শুষ্ক তৃণখণ্ড ও শুঁকনো পাতার মরমর ভেঙ্গে যায়ার শব্দে আলস্যের গহবর থেকে জেগে উঠি।
.
দীঘির জলের আয়নায় মুখটা কেমন!
দেখি, প্রকৃতির মায়াময় ভুবনে কখনো অশ্রু উজ্জল।
****************************************
এই লেখাটি জিসান ভাইয়ার গাছের গুঁড়িতে, দেবদারুর ছায়াতলে বসে লেখা।
ধন্যবাদ জিসান ভাই।
উৎসর্গঃ সোনেলার সোনালী তাজকে -{@
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আরে এ দেখছি আত্মীয় আত্মীয় লেখা!
পিচ্চি ভূত(এখন বড়) আছর করে ফেলেছে!!
ঘাড় সামালকে ভাই।
আপনিও কবি? কবিদের কিন্তু দেখলেই হেসে দেই!!
ছোঁয়াচ থেকে যদি এমন ছবি আর লেখা পাওয়া যায় তাহলে ছোঁয়াচই ভাল।
লিখুন। লিখুন। প্রাণ-মন দিয়ে লিখুন,
মৌনতা রিতু
কেন ঘাড় সামলাবেন ! আইতাছি দাঁড়ান।
জিসান শা ইকরাম
আমার গাছের গুঁড়িতে, দেবদারুর ছায়াতলে বসে লেখা মানে? কবে আসলেন আপনি?
জানলাম না তো ;?
মৌনতা রিতু
আপনি ছিলেন না। সেই ফাঁকেই বসেছিলাম। কেয়ারটেকার বেচারা আমাকে দেখে মায়া করল, বলল, বসেন। চাও খাওয়াইল।
জিসান শা ইকরাম
তাই? নিজের পরিচয় দিতেন সোনা মনু, তাহলে দেখতেন আপ্যায়ন কাকে বলে।
কারো তোলা ফটো দেখে এমন আবেগ দিয়ে কিছু লিখে ফেলা খুবই গর্বের।
ছবি তোলাই সার্থক হয়ে যায়। যদিও আমি ফটোগ্রাফার নই।
ছবি দেখে শব্দরা বল্গাহীন হয়ে বের হয়ে এসেছে,
হাসছে, গাইছে সুন্দর গান,
ভাললাগা সব কিছুতেই।
শুন্য শুন্যালয়ের মন্তব্যে – শেষে কিন্তু আনন্দ থাকলেই ভাল হত।
এটি কি আওনন্দাশ্রু? কারো মুখে হাসি আনন্দে, চোখে পানির ফোটা?
মৌনতা রিতু
ইচ্ছে করেই দেই নাই। ঐ যে বললাম একান্তে থাকতে চাইছিলাম। কেয়ারটেকারকে যদি বোলতাম, আমি জিসিন ভাইয়ের সোনা মনু বোন। ও তো অস্থির হইয়া যাইত। ওখানে বসে অনেক লিখে ফেলেছি। আবোল তাবোল।
শব্দ বলল এইবার ঘরে যাও। কালকে আবার যেতে বলেছে। তয় চুরি করে যামু। কাওরে কমু না। আনিছ ভাইরে নিমু, আমি ওর দিদি আপু হই।
আবু খায়ের আনিছ
উহুঁ, না গেলে দেখি আর হচ্ছে না, আমিও যাব। যদি কলম থেকে একটু কালি বের হয় লিখার জন্য।
মৌনতা রিতু
চলেন যাই। শব্দ তো আমায় ধরা দেয় না। আপনি মালা গাথবেন আমরা শুনব।
আবু খায়ের আনিছ
আমি রাজী, ভাইয়া যে বাগান করেছে না দেখলে অতৃপ্ত থেকে যাবে নয়ন।
মৌনতা রিতু
তাই তো বললাম চলেন যাই। বড় বোনদের পাশে যদি এমন ভাইরা থাকে কে আর শব্দ নিয়ে পালায়!
ফেব্রয়ারীতে চলেন যাই।
আবু খায়ের আনিছ
আমি রাজি আপু। বোনদের সাথে ঘোরাঘুরি করার আনন্দটাও পেয়ে যাব তাহলে জীবনে।
মৌনতা রিতু
অবশ্যই, আমার ভাই বলে কথা। দুলাভাইরা এই এক যায়গাতে কুপোকাত। শালা থাকলে দুলাভাইরা একেবারে স্পিকটি নট।
মিষ্টি জিন
গাছের গুডির ছবিটা দেখে একটু আশ্চয্য হয়েছিলাম।
এত সুন্দর জায়গায় একলা একলা গেলেন
আমাকে বললে আমিও যেতাম
মানুঁষ কেমনে যে এত সুন্দর করে লেখে ;?
মৌনতা রিতু
ওরে আললাহ্ এইটা সুন্দর লেখা ! কল্পনায় যতসব আবোল আর তাবোল কল্পনা!
ধন্যবাদ আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু এটা একটা কথা হলো? নানার ওই ছায়ায় আমায় না নিয়ে গেলে? 🙁
কি করে পারলে এমন করে যেতে? ;(
যাও শাস্তি দিলাম না। :p
কারণ জানতে চাও? এতো সুন্দর কবিতা কোথায় পেতাম তুমি যদি না যেতে ওখানে? প্রতিটি ছবিতা(ছবি+কবিতা) অসাধারণ।
চরম মুগ্ধতা। -{@
মৌনতা রিতু
চরম মুগ্ধতা ! চলো যাই। ঐ নীলামায় ।
শুন্য শুন্যালয়
সব কবিতা তাহলে অই জায়গা বুঝে গহবর থেকে জেগে ওঠে? দারুন তো! ভিন্ন অস্তিত্বের কথা আপনার প্রতিটি লাইনে লাইনে আজ অনুভব করতে পারছি আমরা, অই প্রকৃতির ড্রয়িংরুম, দেবদারু গাছে, শাপলার দিঘী সব উদাসীনতা শব্দে আমাদের মুগ্ধ করলো। কোনদিন কী যেতে পারবো? না গেলেও ক্ষতি নেই। কল্পনার সৌন্দর্য্যের গাঢ়ত্বও বেশি।
অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে লেখা আপু। পিচ্চিটাকে উৎসর্গ করেছেন, তখন আমিও ভাগ পাবো, ও আমাকে সব দিয়ে দেবে বলেছে।
আপু আমার কোন খাতাই যে নেই 🙁 থাকলে আপনার মতো করে চেষ্টা করতাম, পারি বা না পারি। -{@
মৌনতা রিতু
তোমার কথাই তো বলেছি। তোমার খাতা শূন্য কোথায় !
কল্পনার শক্তি অনেক। এখানে বাস্তবতার কঠিনতা নেই।
চলে এসো। চলো মাতি শব্দের আড্ডায়।
শুন্য শুন্যালয়
চলে এসো বললে আমার যে খুব খারাপ লাগে! কত কত দূরররররররররররর———–
মৌনতা রিতু
কোথায় তুমি দূরে। গতকালই তো কতক্ষন আড্ডা দিলাম।
আমি তো তোমার পাশেই ছিলাম।
খেয়ালী মেয়ে
বাহ!! বেশ লিখেছেন তো (y)
এতো সুন্দর জায়গা, একবার যেতে হবে দেখছি ;?
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। চলুন যাই। চেনাজানাও হবে।
ইলিয়াস মাসুদ
জিসান ভাইয়ের এই জায়গাটা আমাকেও অনেক টানে
খুব সুন্দর লেখা আপু তেমন সুন্দর সব ছবি
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
মেহেরী তাজ
ভাবী এমন একটা পোষ্ট আমায় উৎসর্গ করলেন? সেই আনন্দে দুদিন ধরে নেচেই যাচ্ছি নেচেই যাচ্ছি! \|/
অনেক গুলা লাভু লাভু লাভু ভাবী! (3
পোষ্টে শুন্য আপু আর নীলা আপুর কথা বলা তাই না?
মৌনতা রিতু
হ্যাঁ, দেখনা, এই দুজন আমার আর হেলাল ভাই এর শব্দ আগেই নিয়ে নেয়।
তাই তো দেখলাম, বন্দুক নিয়ে গাড়ি নিয়ে, নাচতে নাচতে আনিছ ভাই এর সাথে সজীবকে কিডন্যাপ করলে।
ভাগ্য ভাল গেছিলাম।
মেহেরী তাজ
আমি কাওকে কিডনাপ করি নাই! সজীব কে পাচ্ছিলাম না! তাই গেলাম ওকে খুঁজতে। ভাবী আপনি না আসলে আসলেই সমস্যা হয়ে যেতো! কিন্তু আপনি খবর পাইছিলেন কেমনে?
মৌনতা রিতু
তোমার ভাই কইল, দেখ তোমার পিচ্চি ননদ কি করে বেড়াচ্ছে, বন্দুক হাতে নিয়ে।
আরে কি মজার ঘুম দিচ্ছিলাম, রুবা আপু, নীলা আপুর ফোন পেয়েই দৌড় দিলাম।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি আরো একবার পড়লাম আজ আপু। প্রথম অংশে শব্দ না খুঁজে পাওয়া, দ্বিতীয় অংশে শব্দকে পেয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়া কিন্তু শেষের অংশে দিঘীর জলের আয়নায় অশ্রুসজল প্রকৃতি কেন গো আপু? শব্দ পেয়ে আনন্দে নেচে উঠবে প্রকৃতি, ময়ুরের মতো নাঁচবে শব্দের রানী, বোঝা গেলো? (3
মৌনতা রিতু
বোঝা গেল। তাই তো শব্দ আজ পেখম মেলেছে।
নদীর পাড়ে আজ অনেকক্ষন বসে ছিলাম।
ইঞ্জা
চমৎকার কথামালায় শব্দগুলো গান গেয়ে গেল।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা জানবেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
একেই বলে কবি…লেখক আমরা গর্বিত।
যিনি ছবি দেখেই কবিতা লিখে ফেলেন তার কাছে শব্দরা এমনিই চলে আসবে।শুভ কামনা।
-{@
মৌনতা রিতু
তাই না ! অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার প্রজন্মের ঋণ শোধ লেখাটা তো কোনো তুলনায় নেই।
গাজী বুরহান
একটি মাত্র শব্দের জন্য কত শত সহস্র পথ পাড়ি দিয়ে আজ গাছের গুঁড়িতে!
মৌনতা রিতু
তবুও শব্দ বড়ই উদাসিন। কলমের আচড়ে বসে না এ খাতার বুকে।
ধন্যবাদ।