ঈশ্বরী

প্রদীপ চক্রবর্তী ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ১০:০৬:১২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৪ মন্তব্য

হেমন্তের প্রতি প্রহরে রজনীগন্ধার গন্ধ শহরজুড়ে নামলেও মুহূর্তের মধ্যে সে গন্ধ বরাদ্দ হয়ে যায় ল্যাম্পপোস্টের আলোতে।
এ নীলাদ্রির বুকে সেই কবে যে ঈশ্বর প্রেমের নিশানা উড়িয়ে দিয়েছিলেন তা আজ কিছু প্রেমিকের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
জানো প্রমি মানুষ নিতান্তটুকু প্রেমে পেলে ভাবে পাহাড়সম রাজন হতে। আসলে কিছু মানুষ জন্ম থেকে এসব প্রেমে জন্মান্ধ।
যে ছেলেটা বিপ্লবী মেয়ের হাত ধরে সমরে দাঁড়িয়ে গেয়েছিল বিজয়ের গান। গোটা কয়েক ছেলের মাঝে এই ছেলেটা ছিলো বিপ্লবী মেয়ের একবিংশ বিপ্লবী প্রেমিক।
পুরুষ প্রকৃতি বেশে,নারী সুবর্ণময়ী ষোড়শী রূপে। প্রেমের প্রতিমূর্তি প্রস্ফুটিত হয়েছিল সুবর্ণ রোদের কাঞ্চনজঙ্গা পাদদেশে।
প্রেম আসে আবার অনায়াসে চলে যায় কজন ধরে রেখেছে তার স্মৃতি? কাব্যরসে বনলতা আর প্রকৃতিতে জীবনানন্দ,সবুজের মাঝে হেমবর্ণ আঁচলে আজও প্রিয়তম ঈশ্বরী হয়ে আছে।
গোটা সংসারের চিঠি আজও বটবৃক্ষের কসে আবদ্ধ। প্রেমিক তৃণমূলে রাজপথের বিপ্লবী।
বাহুবন্ধনে প্রেমিকা তার ঈশ্বরী।
জানো প্রমি,
সৃষ্টির বুকে তুমি আমার কাছে প্রেমময়ী ঈশ্বরী। আমাদের কাছে প্রেম প্রতিমূর্তি স্বরূপ।
যে ল্যাম্পপোস্টের আলোকিত আলোতে আর রজনীগন্ধার সুশোভিত ঘ্রাণে তুমি আজও আমার কাছে আছো ষোড়শী রূপে।
তুমি খেয়ালি স্রোতে শেষ বিকেলের গোধূলি হলে আমি পোষালি রৌদ্রে তোমায় শুনাবো রাখালিয়া বাঁশির সুর।
শীত শুভ্র শীতল পরশে,
বাঁধিয়া রাখিও তোমারি মায়ার আঁচল বাঁধনে।
মৃগ কস্তূরী গন্ধে খুর পদচিহ্ন চাপে,
দেখা হবে ঈশ্বরী কুয়াশা ভেজা কাকডাকা ভোরে।

৪২৭জন ৩১৬জন
8 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ