পূর্ব প্রকাশের পর : 

দৃষ্টান্ত- ইবরাহীম আ. এর দু’য়া : মহান আল্লাহর প্রতি নবী ইবরাহীম আ. যে দু’য়া করেন তা সবিস্তারে বর্ণনা এসেছে সূরা ইবরাহীম-এ। “স্মরণ কর, ইবরাহীম বলেছিল : হে আমার রব! এই শহরকে নিরপদ করুন এবং আমার ও আমার পুত্রদেরকে মূর্তী পূজা হতে দূরে রাখুন হে আমার রব! এই সব মূর্তী বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে; সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে সেই আমার দলভূক্ত, কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য হলে আপনিতো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু হে আমাদের রব! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার গৃহের নিকট হে আমাদের রব! এ জন্য যে তারা যেন সালাত কায়েম করে, সুতরাং আপনি কিছু লোকের অন্তর ওদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং  ফলফলাদি দ্বারা তাদের রিযকের ব্যবস্থা করুন যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হে আমাদের রব! আপনিতো জানেন যা আমরা গোপন করি এবং যা আমরা প্রকাশ করি; আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন থাকে না সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইসমাইল ও ইসহাককে দান করেছেন আমার রব আবশ্যই প্রার্থনা শুনে থাকেন হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্যে হতেও, হে আমার রব! আমার প্রার্থনা কবুল করুন ”- সূরা ইবরাহিম, (আয়াত সংখ্যা- 35-40)

খেয়াল করলে দেখা যাবে, মহান নবী ইবরাহীম আ. আল্লাহর কাছে যাবতীয় অকল্যানকর ব্যবস্থা ও গায়েরুল্লাহ হতে মুক্ত থাকার জন্য প্রার্থনা করেছেন। পাশাপাশি নবী আ. এর দু’য়ায় মহান আল্লাহ সর্ববিষয়ে (প্রকাশ্য ‍ও অপ্রকাশ্য) জ্ঞানী তার স্বীকারোক্তিও এসে গেছে। পিতা-মাতা-সন্তান ও অনুসারীদের কল্যান চেয়ে তিনি দু’য়া করেছেন এবং মহান আল্লাহর অপার কৃপা বৃদ্ধ বয়সে তাকে সন্তান দানের ব্যাপারে  কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।

ইবরাহীম আ. এর দু’য়া হতে আমারা দু’য়া করার পথ-পদ্ধতি ও ধরণ শিখতে পাই। এবং এও আশ্বস্ত হতে পারি যে, মহান আল্লাহ অনেক দেরীতে হলেও তার  বান্দার প্রার্থনা আবশ্যই কবুল করেন। তাই প্রার্থনা বা দু’য়া করাকালীন অস্থির ও অধৈয্য হলে চলবে না রবং সুন্নত পদ্ধতিতে মাহান আল্লাহ পাকের নিকট কবুলিয়াতের মুহুর্তসমূহে নিরবচ্ছিন্নভাবে দু’য়া করে যেতে হবে। (আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদের তাওফিক দান করুন)

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ