এসো মৃত্যু,
করি ব্যবচ্ছেদ তোমাকেই, দুঃখের ডানায় ভর করে সুখের পায়রা উড়িয়ে। থরে থরে সাজানো মৃত্যুদের আর্তচিৎকার, মৃতদের কেন আবার ছেঁড়াখোঁড়া! প্রস্তুত ধবধবে নিথর শবটেবিল।
দেখ মৃত্যু,
কোন একদিন বিপুল নিঃসত্ত্ব নিঃসঙ্গতায় নিশি পাবে তোমাকেও। নিঁদে বা জাগরণে, গ্রীষ্মের বর্ষায় বা প্রবল একরোখা শীতে। দাঁতে খিল ফেলে গোঁ গোঁ শব্দ করে মুখে ফেনা তুলে মেরুদণ্ডে ধনুক এঁকে একটু নিঃশ্বাসের জন্য হাঁসফাঁস করবে আধো অজ্ঞানে। শুধুই দেখবো কাছে বা দূরে থেকে, কিচ্ছুটি করবো না। ঠায় দাঁড়িয়ে রবো স্থাণু হয়ে ঘাড় গোঁজ করে মটকা মেরে অথবা পরস্পরাশ্রয়ে এক বুক পানি জড়িয়ে বা খানিক ঝুঁকে খুউব পুরনো ছেড়া চামড়ার জুতো নাকে চেপে ছুমন্তরে জ্ঞান ফিরিয়ে দেব।
একবার শুধু চোখ রেখো, স্মৃতির স্বচ্ছ স্বপ্নবোবা চোখে, তবে জানতে চেও না ‘এখনও কি কবিতাকথা বল?’
নিটোল মৃত্যুর দু’চোখ গেলে নির্দ্বিধায় মুখে ফেলে দেব জাতিস্মরের মরণ বিষ।
মরণ রে তুহ মম শ্যাম সম।
আম্মা..................মেহজাবিন, তুই কই!!!!!!!!
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা কথা বলে
শ্বাসে কিংবা নিস্পন্দ শরীরে।
মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে ঘর বানিয়ে শীতল দেহকে
যত্ন করে রাখা হলেও,
কবি কথা বলে।
মৃত্যু তো বাঁচিয়ে তোলে কবিতা এবং প্রেম
সে কথা অজানা থাকে কেবলই অজানার কাছে।
কবি এবং কবিতা জানে এসব,
তাইতো ডুব-সাঁতারে পারঙ্গম শ্যামের বাঁশী
এবং মৃত্যু।
ছাইরাছ হেলাল
কবি কথা বলে বলুক, আমি কবিতার কথা বলি, মেহজাবিনের চোখ দেখি।
বাসুরিয়া নই, জদু-মধুর বাঁশিও বাজাতে পারিনি, সাঁতারু ও নই যে ডুব সাতারে পৌছে যাব
মেহজাবিনের চোরা বালিতে।
স্বভাব কবিদের কত্ত সুবিধে, কত সুন্দর লেখে!!
দ্বিধান্বিত বুকে সাধ জাগে কবিতার বুকে মাথা রেখে
পৌছে যাব মেহজাবিনের কাছে ঐ দূরের দেশে।
না ফেরার বেসে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঐ দূরের দেশে সবুজ কই!
নির্দিষ্ট সময়কালে চোখের পাতায় সবুজের স্পর্শ লাগে
ওখানে জল কই?
অনির্দিষ্টকাল জলের প্রবাহ তো ওই পলল ব-দ্বীপে।
ওখানেই বনলতা
সুরঞ্জনাদের বাস।
এই পলি মাটিতে চাষের ফসল বড়ো উর্বর,
এখানে যে নির্দিষ্টকালের জল কিংবা সবুজ নেই।
বাঁশীর সুরে এখনও ঝঙ্কৃত হয় মন।
মেহজাবিন ওই দেশে নেই।
পলিমাটির ওপর ওই যে পায়ের ছাপ,
নূপুরের শব্দ
কবি তো জানে তার পরিচয়।
মেহজাবিন এবার ডেকে নাও কবিকে
তার কবিতাময় কন্ঠ শুনতে।
ছাইরাছ হেলাল
কালা, বোবা অন্ধ সে
অলক্ষ্যে হাসে, তামাসা দেখে তামাসায় ফেলে
পাহারায় রাখে পাহারা দেয়
কান্নাহীন পাথর চোখে।
হৃদয়হীন প্রেতিনীর বেসে, শ্মশানের মরা খেকো ভুত সে,
শুনবে না কোরা কথা, কারো গান, দেখবে না সে
নিজ হৃদয় খুলে বকল্মা দেয়া নিজ প্রাণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবির খেরো খাতায় কি থাকে?
কেবলই কি কবিতা?
প্রশ্ন করিলো বাহিরের অন্ধকার।
উত্তর জানা নাই আমার,
কি করিবো, কোথায় মিলিবে সেই উত্তর?
চারিদিকে নাই, নাই রব ওঠে।
কর্ণে আসে প্রতিধ্বনি,
ফিরিয়া যাও,
ফিরিয়া যাও—-
এইখানে প্রত্যাখ্যান আছে,
কেহ আসন পাতিয়া কহিবে না,
‘আসন গ্রহণ করুন,
স্ব-কন্ঠের অক্ষর শুনাইবো, শুনুন।’
এই কবির কেবলই অহঙ্কার আছে।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতাদের অহংকার থাকে
খোপার সাজে থাকে অহংয়ের পালক
মেহজাবিনের ভনিতা নেই, নেই সাজ করার সাজ
সাজে না সে, বাজে না সে, শুধুই বাজায়
হাড় পুড়িয়ে পিন্ডি চটকিয়ে আঙ্গুল চেটেপুটে খায়।
খাক সে ,জন্মজন্মান্তরেও খেতে থাক,
থাক সুখের শান্তিতে।
কণ্ঠ বাঁধা আছে গভীর শ্রান্তিতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
খোলা চুলে রাত্রি জড়ায় অন্ধকার
মনের ভেতর ময়ূর তোলে পেখম
আবেগী কবির তাইতো এতো অহঙ্কার
বুঝিনা কিছু হচ্ছে যে এ কি ভ্রম!
জিসান শা ইকরাম
মৃত্যুর কথা পড়তে পড়তে মৃত্যু ভীতিই উধাও হয়ে গেছে
মৃত্যু তো অনেক সুন্দর দেখছি—–
ছাইরাছ হেলাল
এমন প্রেম-প্রীতিতে মৃত্যু ভীতির ভুত ও পালিয়ে বাঁচবে।
মেহেরী তাজ
মৃত্যু ও দেখি আপনার কবিতা পড়ে মজা পাবে।
কই গেলো আপনার মেহেজাবীন???
ছাইরাছ হেলাল
মৃত্যু মজা পেলে মন্দ হয় না।
আমিও তো তাঁকেই খুঁজছি। আপনার সাথে দেখা হলেও জানিয়ে দিবেন।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা তাকে জানিয়ে দেবো নিশ্চিত থাকুন।
আজিম
মেহজাবিন! এটাই তাহলে আপনার সব!
ছাইরাছ হেলাল
খুব কঠিন এ প্রশ্ন, উত্তর দেয়া যাচ্ছে না। আরও লেখা পড়া করতে হবে।
মিথুন
ভয় পাচ্ছি খুব। বেঁচে থাকা মৃত্যুর কাটাছেড়া করতে কতটা হিম্মত আর ক্রুয়েলিটি চাই, ভাবছি। শিরোনামটা ইচ্ছে মৃত্যু কেন, কেউ কি একটু বুঝিয়ে বলবে?
পরস্পরাশ্রয়ে এক বুক পানি জড়িয়ে, এটুকু সব আকর্ষন টেনে নিল।
এ কেমন আত্মহত্যা জানিনা। তবে একবার হলেও জানতে তো চাই-ই ‘এখনও কি কবিতাকথা বল?’
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ভয় পাচ্ছেন ভেবে দুঃখিত, মৃত্যুকে নিয়ে নিরীক্ষা করার হিম্মত বুড়োদের থাকার কথা না।
নেই ও, তবে তাকে ভালোবাসার খুব ইচ্ছে আছে তাও বোঝাতে চেয়েছি। পারিনি হয়ত। অবশ্য পারার
মত সিদ্ধহস্ত না, তাও জানি। তবুও ইচ্ছেদমন হাতে নেই, তাই আকুতিই শেষ ভরসা।
কবিতাকথা তোলা রয়েছে শুধুই মেহজাবিনের জন্য।
মিথুন
পারতে হলে পড়তে হবে, আমার মত গন্ডমূর্খ হলে আরো আরো পড়তে হবে। শুরুতক না হলেও শেষতক বুঝতে পেরেছি বলেই মনে হচ্ছে। মেহজাবিনের প্রেমিককে দোষ দেব এমন বোকা আমি নই। কি আর করার। মেহজাবিন আর আপনি, আপনারা আপনারাই। আমরা শুধু জেনে গেলাম আমাদের জানার বাইরেও রয়ে গেছে কত্তো কত্তো কিছু……
ছাইরাছ হেলাল
জানার শেষ নেই,তাই নিজে বেশি জানার চেষ্টা করিও না।
আপনি কবি, কোন সে দুঃখ যে আপনি গণ্ডমূর্খ হয়ে পড়বেন! কবিরা তা হয় না।
আমরা তো আমরা আর হলো কৈ? তাহলে কী আর এত শত অনুনয়-বিনয় করতে হয়।
পাত্তাই দিচ্ছে না দেখে কত কাঁদাকাটা।
ভাই আপনারা কবি মানুষ এ সুগভীর অতলান্তিক যন্ত্রণা আপনাদের বুঝতে পারার কথা না।
আপনাদের চারিদিকে সবুজের মেলা, ফুল-পাখির চির বসন্ত।
সে সুখ সবার নয়। অনুরাগের রাগে সুখের সুখে থাকুন।
খেয়ালী মেয়ে
শব্দ টেবিলে মৃত্যুর ব্যবচ্ছেদ, আপনি পারেনও বটে…….
নিঃসঙ্গতা কি মৃত্যুকেও গ্রাস করে ;?
এবার কি একটু পরিষ্কার করে মেহজাবিনকে নিয়ে লিখবেন?–খুব যে জানতে ইচ্ছে করছে মেহজাবিনকে……….
ছাইরাছ হেলাল
শব টেবিলে না ওঠালে ব্যবচ্ছেদ হবে কীভাবে!
ঘুমের ঘোরে বোবা ভুতে (নিশি পাওয়া) পেলে যা হয় তার বর্ণনা দিয়েছি।
মৃত্যুকে বোবা ভুতের থেকে কী করে রক্ষা করা হবে তা বলার চেষ্টা করেছি।
মেহজাবিন একটি চরিত্র, সে লেখকের লেখায় আসে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। এগুলো সে সিরিজের অংশ।
যা আপনি পড়ে পড়ে এসেছে।
আরও আসবে আপনি লক্ষ রাখতে পারেন। প্রতিটি ই আলাদা।
লম্বা সময় ধরে পড়ছেন, ধন্যবাদ দিলাম।
খেয়ালী মেয়ে
প্রতিটা লেখাই আলাদা–আর এজন্যই মেহজাবিনকে জানতে ইচ্ছে করছে—একটা চরিত্র কেনো প্রতিটা লেখায় আসছে, তাও আলাদাভাবে–কে এই মেহজাবিন?–কি তার রহস্য?….
ছাইরাছ হেলাল
সাথে আছেন, থাকুন আর ও।
ভালোলাগার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আগাম।
স্বপ্ন
‘খুউব পুরনো ছেড়া চামড়ার জুতো নাকে চেপে ছুমন্তরে জ্ঞান ফিরিয়ে দেব।’……… হাসলাম এক চোট।গুরুগম্ভীর কথার এটি কেমন কথা ! ^:^ মৃত্যুকে ভালোবাসা কঠিন খুব।
ছাইরাছ হেলাল
বেহুশ হলে জুতো শুঁকিয়ে জ্ঞান ফেরানোর একটি পদ্ধতি পুরানো কাল থেকে চালু আছে,
সেটির প্রয়োগ করার কথা বলেছি।
মৃত্যুকে নিয়ে নাড়াচাড়া করা কঠিন বৈকি।
জিসান শা ইকরাম
মেহজাবিন আপনার লেখায় আসলেই লেখাগুলো ভিন্ন রকম গুরুত্ব বহন করে।
জানতে হবে মেহজাবিনকে………
ছাইরাছ হেলাল
মানস পটে আঁকা মেহজাবিনের ছবি থেকে বিস্মৃত হওয়া বা এড়িয়ে যেতে পারিনা/পারিনি,
তাই ফিরে আসে সে বারেবারে, লেখায় দৃশ্যমান থাকুক বা না থাকুক।
তাঁর কথা জানাতে বা জানতে পারব কি না জানিনা।
আর নিজের লেখার ভাল বা মন্দের কথা ভেবে লিখি না। যখন যা মনে আসে লিখে ফেলি।
অপ্রকাশিত থাকে অনেক বেশি। হারিয়ে ও ফেলি। ইচ্ছায় বা ইনিচ্ছায়।
সীমান্ত উন্মাদ
মেহজাবিন মামী অনেক ভাগ্যবান, এতো কঠিন কঠিন শব্দের কবিতা উৎসর্গ পায়।
উন্মাদ তো একটু মজা করলাম।
তবে আপনার লিখার বিষয় যাই হোক না কেন, আনন্দ হোক, কষ্ট হোক কিংবা মৃত্যু শব্দের ব্যাবহার এবং আবেগের প্রয়োগ হয় চমৎকার। তাই অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
মজা করতে সমস্যা নেই।
যা মনে আসে তাই লিখি, ভাল মন্দের ভাবনা নেই।
শব সময় পড়েন মন দিয়ে, দেখতে ভালই লাগে।
শুন্য শুন্যালয়
ভালোবাসায় ব্যবচ্ছেদ আসবেই। ছিঁড়েখুড়ে কি পাও? দূর হতে মজা দেখো? খুব ভালোবাসলে শুনেছি সবাই ছুটে পালায়। মৃত্যু পালাবে নাতো!!
ভেবেছি, ভাবলাম, ভাবতেই আছি কে ভাগ্যবান? আপনি নাকি মেহজাবিন? নাকি এই আমরা? যাদের কাছে মৃত্যুর মায়াবী প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায়। কবিতাকথা, আমার কিবোর্ডও সাজেস্ট করছেনা এমন কোন কথা আছে কিনা। যারা বলে কি করে বলে। এমন মৃত্যুর জন্য জাতিস্মরের বিষই মধুর। বারবার যেন ফিরে আসে।
আপনি কেমন করে এমন ভাবেন? এমন লেখেন? আপনার মাথার ব্যবচ্ছেদ কেউ করতে চাইলে তাকে দোষ দেয়া ঠিক হবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
ছুটে পালানোর পথ রুদ্ধ করে দেব ভালোবেসে। এত্ত সহজে মৃত্যুকে ছেড়ে দেব না।
ভাগ্য শুধু মেহজাবিনের উপর ভর করেছে অন্ধ সেজে।
আপনার কিবোর্ড এর বাইরেও কোন শব্দ আছে বলে মনে হয় না। আমিও বলি যারা শোনে তারা
কীভাবে শোনে!!
ব্যবচ্ছেদকারীর পণ্ড শ্রমের দায় নিতে পারব না, নগদে গো-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
ভাইয়া, আপনার আদেশ মত লেখা দিয়ে দিলাম কিন্তু ‘রেডি থাকা’ উত্তরের জন্য আর কত অপেক্ষা করাবেন!
শুন্য শুন্যালয়
প্রশ্নের আগেই কি করে উত্তর রেডি থাকবে গো ভাইয়ো?
আমার কিবোর্ড বলে, ধুলোবালিতে খেলার মতো যাদের অপেক্ষা তাদের একটু অপেক্ষা করিয়ে রাখাই যায়। আমি লেখুড়ে নই, আর কবে বুঝবেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কী তা আর আমাদের নূতন করে বলতে হবে না।
অপেক্ষা! সে আমাদের আপনি করাতেই পারেন। তবে অনুগ্রহ করে বেশি বেশি
অপেক্ষা যেন না হয়।
লেখুড়ে!!
ব্লগার সজীব
মৃত্যু যতই আকর্ষনীয় হোক না কেন আমি স্বেচ্ছা মৃত্যুর মধ্যে নেই 😀
ছাইরাছ হেলাল
মৃত্যুর কিল কেউ এড়াতে পারে না। তাই ভালবাসতেই হয়।
নীতেশ বড়ুয়া
মৃত্যূ তুই এত্তোগুলা রোদ- মেহজাবীন রিপ্লাই দিছে হেলাল ভাইয়া :D)
ছাইরাছ হেলাল
মৃত্যু এত্তোগুলা দুষ্ট। আর মেহজাবিন খুব গুণ্ডা প্রকৃতির।