
আয়না। যা নিজেকেই দেখায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এবং তা সবসময় সুন্দরই দেখায়। নিজেকে আমরা কখনো অসুন্দর দেখিনা। তবে ধীরে ধীরে আয়নার মানুষটির চোখের নীচে কালি জমতে দেখা যায়, বাড়তে থাকে চামড়ার ভাজ, রোদে পুড়ে যাওয়া দাগ। সাদাকালোর চুল, ফেসক্রিম, লিপস্টিক অথবা পুরুষের আফটারশেভ। ভালোবাসি তবুও এই আয়নাকেই সবচাইতে বেশী।
নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে সত্যি বলেছি কখনো? অথবা মিথ্যে?
সত্য-মিথ্যের পরীক্ষায় আজ আয়নার সামনে ছেড়ে দিলাম আমাদের সোনেলা ব্লগের সবচাইতে জনপ্রিয় ব্লগার রিতু জাহান কে। সবচাইতে জনপ্রিয়! হ্যাঁ, কোন সন্দেহ! ভুলে যাইনি সেই ভোটাভুটির দিনগুলি।
সোনেলাকে কিছুটা ঝাঁকুনি দেবার প্রয়াসে আজ থেকে ব্লগে শুরু করতে যাচ্ছি 'আয়না'। আয়না হচ্ছে প্রশ্ন এবং উত্তরের খেলা। এ খেলায় প্রতি মাসে একজন ব্লগারকে নির্বাচন করে প্রশ্নের মুখোমুখি করা হবে। হ্যাঁ, একদম কাঠগড়ায়, ক্রসফায়ারে, প্রেম দিবি কিনা ক, মাইর হবে কিন্তু শব্দ হবেনা, ভেজা ফ্রাই, তোপের মুখে, গরম অথবা তপ্ত আসনে, জ্বলুনি সিটে, উদ্দিপ্ত অথবা আলোকিত আসনে, প্রশ্ন শৃংখলে, গরম তাওয়ায়, ছডরফডর আসনে অথবা এই অধমের টি টকে।
শুরুতে আয়নার কিছু নিয়মাবলী বলে নেই---
*প্রতিমাসে আয়নায় একজন করে ব্লগার নির্বাচিত হবে। এ মাসের আয়নার প্রশ্ন- উত্তর পর্বেই নির্বাচিত হবে পরের পর্বে কে বসতে যাচ্ছেন।
*আয়না মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রাত ১১.৫৯ থেকে শুরু করে শনিবার রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত চলবে। এই দুদিনে আপনারা যে কেউ যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন ব্লগারকে। ব্যাক্তিগত থেকে সামাজিক, রাজনৈতিক অথবা আপনার যেটা জানতে ইচ্ছে করে। ব্লগার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য থাকবেনা, তিনি চাইলে তার একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেন এবং সকল ব্লগারদেরকেও অনুরোধ থাকবে তারা যেন পূর্ন সম্মান রেখেই প্রশ্ন করেন।
প্রশ্ন এবং উত্তর যতোটা ইন্টারএকটিভ এবং মজাদার করা যায়, ততোটাই আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করি।
*প্রতিমাসে ভিন্ন ভিন্ন ব্লগার আয়না সংক্রান্ত পোস্টটি লিখবেন নির্বাচিত ব্লগারকে নিয়ে।
আমি একজন অতিকায় বুড়ো ব্লগার বলে শুরু করে দিলাম, এরপর থেকে অন্যরা। কেউ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পরের পোস্ট দিতে রাজি হলে এখানেই জানিয়ে দেবেন।
অ:ক: আয়না নামটি দিয়েছেন আমাদের অতি প্রিয় ব্লগার আগুন রঙের শিমূল। এবং আমি জানি আমার সাথে আপনারা সবাই এই নামটি শুনেই পছন্দ করে ফেলেছেন।
শুরু করা যাক আয়নায় রিতু জাহান। ১...২...৩...
Thumbnails managed by ThumbPress
১৪৯টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথমেই রিতু জাহানকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। রিতু- রিতু জাহান- আমার নীলকুরিঞ্জী। তোমাকে আমি চিনেছি/ জেনেছি সোনেলার উঠোনে। তোমার পরিচিতি পেয়েছি তোমার লেখনীতে। অনেক প্রশ্ন করার আছে তোমাকে, সবার আগে প্রথম প্রশ্নটির উত্তর দাও।
লেখা-লেখি শুরু করেছিলে কবে থেকে ? প্রেরনায় কে ছিলেন ? প্রথম লেখা ছিলো কোনটি ?
রিতু জাহান
তোমার জন্য অনেক অনেক ভালবাসা।
এ উঠনের একজন সদস্য হয়ে তোমাদের পেয়েছি সত্যিই আমি ভাগ্যবতী।
মূলত কবিতা লিখতাম স্কুল জীবন থেকে। কিন্তু, সেরকম করে কখনোই তা প্রকাশ করা হয়নি।
অসঙ্গতি কোনো কিছু দেখলে তাও লিখতাম।
প্রথম লেখা কোনটা আসলে এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না সোনা।
পরিবার থেকে তখন প্রেরণায় আসলেই কেউ ছিলো না। কারণ, অনেক বিষয়ে বাসায় খুব কড়াকড়ি ছিলো। তবে, এ বয়সে এসে লেখার সাহস পাই তোমাদের সবার খসড়া ভাইয়া আপু, মানে আমার রুনা ভাবি ও জিসান ভাইয়ার উৎসাহে লেখা শুরু।
এ দুজন মানুষের ঋণ কখনো শোধ করার মতো না আসলে।
সাবিনা ইয়াসমিন
যদি তোমাকে চোখ বন্ধ করে প্রিয় মানুষদের মুখ দেখতে বলা হয়, তাহলে সবার আগে কার মুখ ভেসে উঠে? কেন?
রিতু জাহান
এখন সবার আগে মেমনের মুখটা ভেসে ওঠে। কি করছে, খেয়েছে তো!
রিতু জাহান
আমি তোমার নীলকুরিঞ্জি!! কি চমৎকার বললে😘😘 অনেএএএক ভালবাসা নিও
জিসান শা ইকরাম
সোনেলা ব্লগ ইতিহাসে আজ রিতু জাহান নামটি ভালোভাবেই স্থান করে নিলো। এমন ধরনের পোষ্ট আজ প্রথম। আর প্রথম পোষ্টেই পাঠকের ভোটে নির্বাচিত সোনেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগার আয়নার সামনে এসেছেন।
এইসব বিবেচনায় আপনার বর্তমান অনুভুতি কি?
শুভ কামনা।
রিতু জাহান
কিছু কিছু অনুভূতি আমি কখনোই প্রকাশ করতে পারি না।
এজন্য অনেকেরই আমার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ থেকে যায়। আমার যে ছবিটা শুন্য এখানে দিয়েছে, এ ছবিটায় একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের হাসি ফুটে উঠেছে। এ ছবি তোলার মুহূর্তটাও ছিলো সেরকম।
আমি সকলের ভালবাসার কাছে ঋণী। প্রচন্ডরকম ভাবে ঋণী।
ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সে জন্য।
জিসান শা ইকরাম
পোষ্ট দাতা শুন্য শুন্যালয়, সোনেলাকে এগিয়ে নেয়ার আপনার অবদান কতটা আমরা সবাই জানি।
সোনেলা ব্লগ কর্তৃপক্ষ, সমস্ত ব্লগার তথা সোনেলা পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই ধরনের পোষ্ট আপনাকেই মানায়। কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন এই পোষ্টটি।
আয়নায় নিজকে দেখা চলুক,
শুভ কামনা।
রিতু জাহান
শুণ্যের জন্য এত্তগুলা আদর।
শুন্য শুন্যালয়
অভিনন্দন, প্রথম ব্লগার হিসাবে আয়নায় অংশগ্রহণের জন্য।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা নাও। একজন নারী, একজন স্ত্রী, একজন মা এরপরেও তুমি একজন লেখক, যা তোমার শক্তিমত্তা প্রকাশ করছে।
নারী হিসাবে একজন নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা কতোটা জরুরি মনে করো? নারীদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলতে বললে কী কী বলতে চাইবে?
রিতু জাহান
তোমার জন্য অনেক অনেক ভালবাসা রইলো।
একজন নারী হিসেবে একজন নারীর স্বাবলম্বিতার প্রয়োজন খুব বেশি।
আমাদের দেশে কেনো যে কোনো দেশের জন্য এটা প্রয়োজন। আর স্বাবলম্বিতা তার পায়ের নীচের মাটি শক্ত করে তাকে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে থাকার জন্য।
আত্মসম্মানবোধ একটা বড় জিনিস। আমাতের দেশের অধিকাংশ নারীদের তা নেই। সংসারের অমলিন খসড়া খাতাকে গোছানোর প্রচেষ্টায় আমরা প্রতিনিয়ত নিজের মনকে নিজেরাই শান্তনা দেই একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, এমন করে করে একসময় কবরে যাওয়ার সময়ই হয়ে যায়। অথচ ঠিক আর কিছুই হয় না।
আসলে আমাদের সামাজিক এ প্রেক্ষাপটের জন্য আমরা নারীরাই দায়ী। আমরাই চাই না আমাদের কোনো পরিবর্তন।
আমরা তথাকথিত একঘেয়েমি সমাজটাকে ভাঙতে চাই না। যেখানে একজন পুরুষ চাইলেই নারীকে তার দাসী মনে করে।
আমরা ধরেই নেই এটা তো চিরচারিত নিয়ম। চলে আসছে যুগ থেকে যুগে। এরকম সহ্য ধৈর্যের এক জীবন চলে সংসার নামক ঘরে। যেখানে অধিকাংশ নারী মানেই দাসী। যেখানে নারী প্রতিনিয়ত নিজেকে মেরে ফেলে।
সেদিন একজন মহিলাকে ফোনে বলতে শুনলাম সে তার স্বামীকে বলছে, রাইস কুকারে কষ্ট করে ভাতটা উঠায়ে দিতে, র। কাপড়গুলো বুয়ার কাঁচা হলে মেলে দিতে। আরও টুকটাক কাজ। কারণ, আজ সে বাসায় থাকবে। আর মহিলাটি সারাদিন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুল ও কোচিং প্রাইভেটে থাকবে। বাচ্চার একটা ভালো ভবিষ্যতের জন্য। সবথেকে বড় কথা উনি ফোনে কথাটা বলে চারিদিকে তাকাতে লাগলেন। কেউ কেউ তো বলেই ফেলল,” কি বলেন এসব!’ মহিলা যেনো লজ্জাই পেলো। আমি বললাম, সমস্যা কি?’
স্বামী পুরুষটি বলে দিলো সে পারবে না। বাইরে খেয়ে নিবে। অথচ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক যায়গা থেকে অন্য একটি যায়গা বাচ্চাদের নিয়ে প্রাইভেট কোচিং যে কতোটা কষ্টকর তা শুধু সে মা ও সন্তানেরা জানে। মহিলাটিরও কিন্তু সারাদিন তেমন খাওয়া হবে না।
তো! এখানে তুমি কার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন দেখছো?
আমরা এখনো যখন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে চরমতম অত্যাচার করে শারীরিক ও মানসিক আমরাই বলি,’ আর একটু ধৈর্য্য ধরলেই বুঝি হতো!’
কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব হয়? হয় না।
আসলে এসবক্ষেত্রে তখন সম্পর্ক টিকলেও এক ছাদের নীচে আসলে দুইটা মাত্র প্রানীই বাস করে। আর সে সম্পর্কগুলো টেকে বা স্থিতি হয় কখন জানো, যখন সে পুরুষটির শরীরে ঠিক আর জোর থাকে না। ঐ যে বলে না, বয়ষ্ক পুরুষ হেলান দিতে চাই এক বিশ্বস্ত সঙ্গী, যার সামাজিক স্বীকৃতি আছে। কিন্তু তখন মন নামক সে অনুভূতির মৃত্যু হয়ে যায় কখন সে নারী জানেই না।
তাই অনেক ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হলে অন্তত পরিবারে নিত্য নিগ্রহগুলো সহ্য করতে হয় না।
আত্মসন্মানটা তো বাঁচে!!
অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা খুবই প্রয়োজন একজন নারীর। এর কোনো বিকল্প নেই।
শুন্য শুন্যালয়
দুঃখজনক ভাবে আমাদের দেশের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হলেও তাদের সাথে এমন হয়, উদাহরণ আছে হাজারো।
দরকার পরিপূর্ন সম্মানবোধ, যেটা তুমি বলেছ। নারীরা যদি তাদের ছেলে শিশুকে সঠিক শিক্ষা দিতো, তাহলে দৃশ্যটা পুরোটাই পাল্টে যেতো। কিন্তু নারী মা হয়ে গেলে চেহারাই পালটে চায়, তাদের মাতৃত্ব, তাদের আবেগ সবটাই আমাদের সমাজের এই অবস্থার জন্য দায়ী 🙁
রিতু জাহান
একদম। আমি আমার দুই সন্তানকে শিখানোর চেষ্টা করছি। বিশ্বাস রাখছি ওরা এর মান রাখবে।
মামুন চৌধুরী
রিতু জাহান
ব্লগের বিস্তির্ণ পথ হেটে বুঝলাম এ পথগুলির একজন পরিচিত মুখ রিতু জাহান। আমি বিষয়টাকে কিন্তু একটু অন্য ভাবে দেখতে চাই। প্রথমত একজন নারীকে নির্ধারণ করতে হবে তিনি মানুষ হিসাবে, না একজন নারী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। সবার ক্ষেত্রে হয় প্রযোজ্য নয়, নারীরা নিজেই বিশ্বাস করে না তিনি একজন মানুষ। তিনি মননে মানসিকতায় সব সময় নিজেকে নারীই মনে করেন। আগে নিজের বিশ্বাসটা পোক্ত করা খুব প্রয়োজন। আমি একজন মানুষ, নারী নয়। তারপর তার ভাবনাকে তার আশে পাশের মানুষগুলোকে বোঝাতে হবে। আমি নারী নই আমি একজন মানুষ।
আমি যতটা সহজে বললাম ততটা সহজ বা স্বাভাবিক পরিবেশ আমাদের সমাজে এখনও বিদ্যামান নয়। একটি মেয়ে স্কুল থেকে শুরু করে কর্মজীবন পরযন্ত তিনি বিভিন্ন সামাজিক অলিখিত প্রচলিত আইন দ্বারা বেষ্ঠিত। যেমন- কোন নারী রাস্তা দিয়ে যেতে ধরলে আমি বখাটে বলল না – সামাজিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ছুড়ে দেওযা নোংরা শব্দের মুখোমুখি হতে হয়। তিনি ধরে নিলাম সাহসী কিন্তু তার প্রতিবাদের কারনে সমাজের আমরাই বলে ফেলি হয়ত মেয়েটিই ভাল নয়।
চোরকে ল্যাম্পপোষ্টে বেধে মারার সময় উৎসুক জনতা মার থেকে বাচানোর জন্য আর দুঘা দেবার জন্য এগিয়ে যায়। এই অপসংস্কৃতি থেকে বেগম রোকেয়ারও অনেক আগে থেকে যুগে যুগে কেউ না কেউ এই অন্যায়গুলির প্রতিবাদ করতে যেয়ে কেউ হয়েছে দেশ ছাড়া। কেউ সমাজে খারাপ মেয়ের উপাধি নিয়ে আগামীর দিনগুলো কাটিয়ে দেয়। এর থেকে পরিত্রান পেতে হয়ত আরো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। আপনার লেখা ও মন্তব্য অনুপ্রেরনার জন্য যথেষ্ট । শুভ কামনা আপা আপনার জন্য। ভাল থাকবেন।
মাহমুদ আল মেহেদী
প্রথমেই রিতু আপুরে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আমরা সবাই অনেক খুশি, আয়নাতে প্রথমে আপনার মুখটা দেখতে পেয়ে।আপনাকে দেখি অবশ্য সবসময় আপনার লেখায় , যেখানে পরিচয় আপনার সাথে । না দেখেও যেন অনেক চেনা অনেক জানা। ধন্যবাদ শুন্য শুন্যালয়কে এমন একটা আয়োজন করে ব্লকটাকে প্রান দেবার জন্য । এখন আসা যাক প্রশ্নে, আমার প্রশ্ন হলো একজন লেখকের কি কি গুন থাকা সবচেয়ে জরুরি ? আরো অনেক কিছু জানার আছে আপনার কাছে কারন প্রিয় লেখকের কাছ থেকে জানবো না তো কার কাছ থেকে শিখবো , আসবো একটু পরে।
রিতু জাহান
আপনার জন্যও রইলো অনেক অনেক শুভকামনা। আপনারাই আমার এক আত্মার আত্মীয় হয়ে গেছেন।
একজন লেখকের প্রথম গুন যেটা থাকার প্রয়োজন তা হলো পাঠক হওয়া। আপনি ভালো একজন পাঠক না হলে ভালো লিখতেই পারবেন না।
পাঠক হওয়া জরুরি।
ভালো থাকুন ভাই। প্রশ্ন করুন।
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলার নুতন আয়োজনে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
‘লিখে কী হয়! এ শুধুই পণ্ডশ্রম’ এ প্রচলিত কথাটিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
রিতু জাহান
লিখে অন্তত নিজের মনকে বেঁধে রাখা যায় একটা উন্নত চিন্তাধারায়।
আসলে বেঁধে রাখা মানে মনকে নিয়ে যাওয়া যায় অনেক উঁচুতে। একটা লেখা, একটা বই মানুষকে সকল দুঃখ বেদনা থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারে।
লেখালেখি কখনোই পণ্ডশ্রম হতেই পারে না। পণ্ডশ্রম তাদের জন্য যারা লেখার মানই বোঝে না। জীবন বোঝে না। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা শব্দেরই প্রাণ আছে। সে লেখকের মাঝে প্রাণ ফিরিয়ে আনে, সেই সাথে পাঠকেরও।
মানুষের মস্তিষ্ককে অনেক উঁচুতে নিয়ে যেতে এবং মানুষকে মানুষ হিসেবে জানতে পড়তে হবে। আমরা একজন আর একজনের লেখা পড়ে এক মানুষ অন্য মানুষের মন মানসিকতা বুঝতে পারি।
অনেক সময় নিজেদের এ থেকে আমরা সংশোধন করি।
পড়ার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নাই।
ছাইরাছ হেলাল
পোষ্টের ধারণা উদ্ভাবনকারীকে সাধুবাদ! পরের পরের উপ্রে দিয়ে নিরীক্ষা চালালেন!
এর পরেরবার আপনাকেই চাচ্ছি এখানে।
শুন্য শুন্যালয়
পরেরবার একজন পুরুষ ব্লগারকে আনা হবে। কার মাথা বরাবর তীর যাবে বলা যাচ্ছেনা।
নিরীক্ষা আজীবন পরের উপ্রে দিয়েই হয়ে আসছে 🙂
রিতু জাহান
অপেক্ষায় আছি শুন্য
ছাইরাছ হেলাল
আমরাও অপেক্ষায়-ই থাকি।
ছাইরাছ হেলাল
তা এবারে নূতন কী কী বই সংগ্রহ করলেন,
আর কী কী পড়ে ফেললেন, তা ঝটপট করে বলে ফেলুন।
মাহমুদ আল মেহেদী
যে কোন লেখা আপনি চমৎকার করে শুরু করেন এবং শেষটা যে আরো চমৎকার , কিভাবে?
রিতু জাহান
এটা আসলে আপনাদের ভালবাসা ও দেখার দৃষ্টিভঙ্গি।
আপনাদের এমন ভালবাসায় উৎসাহে লিখতে ইচ্ছে করে প্রাণখুলে।
রিমি রুম্মান
নারী দিবসের শুভেচ্ছা, আপু। অভিনন্দন সোনেলা’র আয়নায়। আমার প্রশ্ন, ‘ জগত সংসারে একজন নারী হিসেবে নিজেকে কতোটুকু স্পেশাল ভাবো ?’ এবং কেন ?
তৌহিদ
‘আয়না ‘ এমন একটি বিষয় সোনেলায় শুরু হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। শুন্য শুন্যালয় আপু দারুন এক লিখনিতেতে যেন আড়মোড়া ভাঙালেন আমাদের সবার। নামকরণটাও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ জানবেন শুন্যালয়।
এবার আসি রিতু আপুর কাছে। আপু আসলেই অনেক জনপ্রিয় একজন লেখক। তার সাথে ব্লগে পরিচয় সাত আট মাস হবে। আমি দেখেছি তার লেখাগুলিতে সমসাময়িক বিষয় যেমন থাকে তেমনি বাস্তবতার নিরিখে লেখাগুলি পড়লে নিজে পাঠক হিসেবে যেমন খুশি হই তেমনি কিঞ্চিত হিংসাও হয় আমার। মনে হয় আহা আমি যদি এরকম লিখতে পারতাম!
রিতু আপু আপনার লেখায় এই যে বাস্তবতা, জীবনেযাপন আর সমসাময়িক বিষয় ফুটে উঠে এই আইডিয়া আপনি কার কাছ থেকে পেয়েছেন?
আর লেখালেখিরর ক্ষেত্রে সংসারের জীবন এবং লেখা এ দুটো বিষয়কে কিভাবে মেইনটেইন করেন?
আপনাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা রইলো।
তৌহিদ
দুঃখিত আমার লেখাটি ভুলবশত রিমি আপুর বক্সে এসে গেছে। আমি নতুন করে দিলাম।
রিতু জাহান
তোমাকেও নারী দিবসের শুভেচ্ছা রিমি আপু। ভালবাসা নিও আপু।
হুম, মেমন হওয়ার পর থেকে নিজেকে স্পেশাল ভাবতাম। ওর ছোটো ছোটো হাত ধরে ভাবতাম, আমি ওর মা!!
আর নিজস্বতায় যদি স্পেশাল ভাবার কথা বলো তাইলে বলব, নিজস্ব সত্ত্বায় আমি স্পেশাল।
যেমন তুমি স্পেশাল অবশ্যই তোমার নিজস্ব সত্ত্বায়।
মেহেরী তাজ
ভাবীজান অনেক প্রশ্ন আছে কোনটা যে আগে করবো সেটাই বুঝতেপারছি না। শুরু করা যাক…
১। তুমি বলেছিলে মংলা গিয়ে চিংড়ি খেয়ে আসতে হবে । কেনো ? তুমি নওগা এলে চিংড়ি খাওয়াইতে পারবে না? সেই চিংড়ি কবে খাবো?
২। হ্যা নওগার কথায় মনে পরলো এই মধ্যে দুইবার নওগা ঘুরে গেলে কিন্তু দেখা করলে না । কেনো?
বুবু তোমাকে ধন্যবাদ সুন্দর উদ্যোগের শুরুটার জন্য ।
রিতু জাহান
নওগাঁ তো যাই নাইরে সোনা। নওগাঁর সব এসছিলো সৈয়দপুরে৷ নওগাঁ গেলে তোকে জানাব না এটা তো হতেই পারে না।
আর চিংড়ির মালাইকারি তোকে এখানেই কি আমি খাওয়াতে পারি নারে বুড়ি?
চলে আয় যে কোনো সময়। পূর্ণ আবদারে।
মাহমুদ আল মেহেদী
আবেগ নিয়ে কিছু বইলেন আপু। বিদেশীদের নাকি আবেগ নাই তাই নাকি তারা এত উন্নত। আর আমাদের আবেগ বেশী তাই নাকি আমাদের এ অবস্থা।
রিতু জাহান
বিদেশীদের আবেগ নেই এ কথাটা ভুল। তাদেরও আবেগ আছে। তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য একটাই তারা গোড়ামি নামক জিনিসটাকে এড়িয়ে চলে।
যেমন ধরুন, একটা উদাহরণ দিয়ে যদি বলি, আমরা স্বপ্ন দেখি বাচ্চাকে প্রচুর পড়াশুনা করাব, তাদের ডক্টর বানাব, তারা চাঁদে যাবে, মঙ্গলে যাবে। কিন্তু এই আমরাই বার্ধক্য বা নিজেদের স্বার্থে আশাকরি এমনকি সন্তানদের উপর চাপিয়েই দেই যে, তারা তখন আমাদের দেখাশুনা করার জন্যই আমাদের কাছে থাকুক। সন্তানকে বিদেশে পড়তে দেই ঠিকই কিন্তু একসময় নিজেদের একাকিত্বর জন্য সন্তানদের উপর দোষ চাপাই। এটা চরমতম স্বার্থপরের মতো আচরণ করি আমরা। এটা আসলে আবেগ নয় এটা মূর্খতা।
আর ধর্মীয় আচার আচরনের কথা তো নাইই বললাম।
ইঞ্জা
আপু আপনাকে, শুন্য শুন্যালয় আপু সহ সোনেলার সকল নারীকে আমার পক্ষ থেকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।
আপনার কাছে আমার অনুরোধ, নারী দিবসের প্রাক্কালে আপনি নারীদেরকে কিছু কথা বলুন।
রিতু জাহান
নারীদের শুধু একটা কথাই বলব, কথা বলা শিখুন। আপনি নারী, আপনি মা, সর্বোপরি আপনি একজন মানুষ। প্রকৃতি আপনাকে যে মন মানসিকতা দিয়ে সৃষ্টি করেছে তার যথাযথ ব্যাবহার করুন। মন মেধা দিয়ে নিজেকে ও বিশ্বকে জয় করুন।
সংসারে বিরুপ পরিবেশ হলে প্রচন্ড জোরে একটা চিৎকার করুন।
আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা ভাইজু।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ প্রিয় আপু, সুন্দর বললেন।
আমার আরেকটি অনুরোধ, আমাদের ভাইয়া সম্পর্কে কিছু বলুন। 😆
রিতু জাহান
তিনি সকালে উঠে হিসেব করেন তার ব্রাশটা, তার সেভিং সরঞ্জাম যায়গামতো রাখা আছে তো! নাস্তাটা টেবিলে যথাসময়ে চাই। তা আমি যে কোনো কাজেই ব্যাস্ত থাকি না কেনো। প্রতিবেলা টেবিলে আমাকে বসতেই হবে।
সকালে হিসেব করেন, আজ কয়টা কথা বলবেন। আমি আগে মাঝে মাঝে ডায়রিতে লিখে রাখতাম, আজ তিনি এ কয়টা কথা বলেছেন।
বই পড়েন খুবই মনোযোগ দিয়ে। মাঝে মাঝে চুরি করে আমাদের ব্লগে ঢোকেন অফিসের ল্যাপটপ থেকে হেলাল ভাইর কবিতা পড়ে নাকি তার মাথা ঘোরে। আমার লেখার তীব্র সমালোচনা করেন মাঝে মাঝে। একদিন রেকর্ড করব ভেবেছি।
তবে বেশ ঠান্ডা একজন মানুষ। রাগ উঠলে তখন সারা বছরের হিসেব বুঝিয়ে দেয়🙄🙄
ইঞ্জা
😂😂😃😄
জিসান শা ইকরাম
ইতি পূর্বে সোনেলায় প্রকাশিত প্রচুর লেখা অনেক তথ্য সমৃদ্ধ ছিলো। বুঝাই যায় যে তুমি প্রচুর পড়াশুনা করো।
প্রশ্নঃ
১/ পড়াশুনার আগ্রহটা সৃষ্টির পিছনে কারো হাত আছে? নাকি নিজের জানার আকাঙ্ক্ষা থেকে এটি তৈরী হয়েছে?
২/ লেখা লেখির আগ্রহ হলো কিভাবে? কখন থেকে?
রিতু জাহান
পড়তে গিয়েই মোটামুটি লিখতে ইচ্ছে হয়েছে। খাতায় যা ভালো লাগতো লিখে ফেলতাম। আর তা নিয়ে পিটুনিও খেয়েছি। কারণ, মা মনে করেছিলো আমি হয়তো কাউকে ভেবেই লিখেছি। হায়রে! সে কি চেষ্টা স্বীকারোক্তির। এখন মনে পড়লে হাসি পায়।
তবে এখন লিখি পুরোটাই আমার বড় ভাই জিসান শা ইকরামের প্রচন্ড উৎসাহের কারনে। রুনা ভাবির সেই কথা যে,’বিছানার নীচে লেখাগুলো প্রকাশ করে ফেল।’ কি লিখি জানি না, তবে কোনো শব্দ পেলে তা নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করে।
জিসান শা ইকরাম
তোমার বড় ভাই জিসান, রুনা ভাবির সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দাওনা কেন? আমিও উৎসাহ পেয়ে লেখার চেস্টা করতাম 🙂
রিতু জাহান
আচ্ছা দিবনে।
তৌহিদ
আমিও জিসান ভাইয়া আর রুনা ভাবীর সাথে পরিচিত হতে চাই, সে সুযোগ হবে কি?
শুন্য শুন্যালয়
অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার সূত্র ধরে মনে পড়লো, জামাই এর পকেট থেকে টাকা চুরি করেছো কোনদিন?
রিতু জাহান
বহুবার তার হিসাব নাই। এইতো দুপুরেও চাঞ্চ একটা নিতেছিলাম। দেখি হে পিটপিট করে তাকাইতেছে।
তারপর ধরো, কম দামী জিনিস কিনে বলি বেশি দাম নিছে।
চলছে আর কি!!!
জিসান শা ইকরাম
ইহাকেই অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বলে!!!!
হা হা হা
শুন্য শুন্যালয়
গ্রেট। বাজারের কাজটা বেশিরভাগ সময় তুমিই নিবে। আর মেয়েরা যে ছেলেদের চাইতে বেশি ভালো বাজার করে তা সবজি টিপে টিপে বা চালে কাঁকড় দেখিয়ে প্রুফ করবে 😀
রিতু জাহান
আজ একুশ বছর ধরে এ কাজটা আমিই করছি। সে যখন বাজারে যায় তখন বাসায় আসলে আমি হাসতে থাকি। কারণ, তখন তার মুখটা দেখার মতো হয়।
সেও জানে, টাকা আমি মেরে দেই। যাবে তো যাবে কোথায় বলো,,,,,,
জিসান শা ইকরাম
আমি কিন্তু বেশ ভালই বাজার করতে পারি। সিম, করলা, বেগুন ইত্যাদি কিনলে মাত্র অর্ধেক নস্ট পাওয়া যায়, পুরোটা নয় 🙂
রিতু জাহান
আমি খুব ভালো বাজার করি। মরিচ, হলুদ, জিরা, গরম মশলা গুড়া করে নেই। তার দাম নেই তার কাছ থেকে। হি হি
সবজি নষ্ট কম হয় আমার।
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলায় বা মেঝ বেলায় ছেলেদের পিটানোর ইতিহাস আছে কোনো? থাকলে ইতিহাস জানতে চাই 🙂
রিতু জাহান
আছে কিছু ইতিহাস। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব!!
একটা বলি, আমি তখন ক্লাস নিউ টেনএ পড়ি। আমাদের এক ইয়ার আগের কিছু ছেলে ছিলো প্রচন্ড বেয়াদব। ওরা বাইরের ছেলেদের সাথে মিলে আমাদের ডিস্টার্ব করতো। একটা ছেলে ছিলো খুবই খারাপ। ওদের যেদিন বিদায় তার আগের দিন আমাকে শাসিয়ে বলতেছে,’মাইযা কালকে যদি ছবি না আনছো তবে তোমার খবর আছে!’ আমি খুব ভয় পেতাম ওদের উশৃংখলতায়। কিন্তু রাতে খুব সাহস আনলাম। পরের দিন স্কুল থেকে আমি আমার ঠিক করা রিক্সায় ফিরছি। ওরা দেখি সামনে থেকে চার পাঁচজনের একটা দল আসতেছে। হাতে ফুল। আমি জানতাম আমার চলন্ত রিক্সা ওরা থামায়ে দিবে। আমিও রেডি ছিলাম। যেই শয়তানটা কাছে এসছে অমনি বুকের মধ্যে এক জোরে লাত্থি বসায়ে দিছি। পরা ছিলাম সাদা কের্ডস্। ব্যাস ও চিতপটাং হয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়লো। সাথের গুলো দৌড় দিলো। আমিও রিক্সা থেকে নেমে দেখলাম সত্যিই বেহুশ। পাশেই ওদের বাড়ি। খবর দিলাম। বললাম যে আমি লাথি মারছি। ছেলেকে সাবধানে রাইখেন। নতুবা নৌবাহিনীর অফিসার দিয়ে মাইর খাওয়াব।
আর একটা ঘটনা না বললেই নয়, এস এস সি পরীক্ষার সময় আমি রাত জেগে পড়তাম। সন্ধ্যায় ঘুমাতাম রাতে পড়তাম। যেহেতু, আমাদের বাসাটা রাস্তার পাশেই ছিলো আর কোনো দেয়াল ছিলো না। খুব সমস্যা হতো তখন। হসপিটালের কোয়ার্টাও তখন রেডি হয়নি।
তো, প্রায়ই রাতে কে বা কারা যেনো এসে টোকা মারতো। একদিন কারেন্টের তার জুড়ে দিলাম জানলায়। ব্যাস, খুব জোরে একটা চিৎকার শুনতে পেলাম। এবং সে আসামিও ধরতে পারলাম। পরে তাকে আবারো খুব পিটুনি খাওয়াইছিলাম। তখন নৌবাহিনীর অফিসারদের কমপ্লেন করলে কাজ হতো। আমি করে দিতাম নিহে মারতাম, মাইরও খাওয়াতাম।
কলেজে প্রিন্সিপালের ছেলেকে কষে চড় দিছিলাম হাত ধরার জন্য।
মা রান্না করতো কাঠের চলা দিয়ে। তা তিয়ে একবার সাইকেল থেকে নামায়ে পিটাইছিলাম। দুইটা ছেলেকে। মা কিছুতেই আমাকে থামাতে পারতেছিলো না সেবার। খুব রেগে গেছিলাম সেবার। আমার রিক্সার পিছনে পিছনে আসতো সাইকেল নিয়ে। আর কি কি যে বাজে বাজে গান করতো!!
মাইরও দিছিলাম। এ ব্যাপারে আব্বার ছিলো পূর্ণ সাপোর্ট। আব্বারও একই কথা পিটায়ে আসো। মেয়েদের ডিস্টার্ব করবে হতেই পারে না।
জিসান শা ইকরাম
ইতিহাস পড়ে হাসতে হাসতে শেষ আমি,
তুমি দেখি চরম ছেলে পিটাতক 🙂
রিতু জাহান
কারেন্টে শক দেয়াটাতে খুব মজা পাইছিলাম।
ইঞ্জা
😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😂😃😃😃😃😃😃😃😄😄😄😄😄😄
তৌহিদ
আপনিতো ডেয়ারিং টাইপ লেডি আপু! ঘটনা পড়ে হাসতে হাসতে কান্না বের হলো!
শুন্য শুন্যালয়
আমি তোমার মন্তব্য পড়ে হাসতেই আছি অন্য কারনে। তুমি একবার জিসান ভাইকে নাকি বলছিলা, আমারে ভয় পাও। হাহাহা। আমার বোন হচ্ছে ভীষণ মুখরা, ছেলেরা টিজ করলে পালটা উত্তর দিতো, ভিড়ে গায়ে কেঊ হাত দিলে ঘুরে ঠাস করে একটা মেরে দিত, আর আমি পেছন থেকে বোনের জামা ধরে টানতাম ফিরিয়ে আনার জন্য। আর কিছু না বলার জন্য। খুবই ভীতু আর মিনমিনে ছিলাম। আর সেই আমাকে তোমার মতো এমন ডাকু আর দজ্জাল মেয়ে ভয় পায় শুনে হাসতেই আছি।
ইউ রক (y). একটা জিনিস বুঝেছি, যেসমস্ত ছেলেদের ব্যাকবোন নেই, তারাই দল বেঁধে মেয়েদের কাছে পুরুষত্ব দেখাতে আসে। সব মেয়েরা যদি সাহস করে এদের তোমার মত করেই একটা লাত্থি বসিয়ে দিতে পারতো, তবেই বোঝা যেতো এরা কত বীরপুরুষ। হ্যাটস অফ। নারীদের উদ্দ্যেশ্যে এটাই বলো, পুরুষের নামকে কলংকিত করা এদেরকে এভাবেই লাথি দিতে।
রিতু জাহান
শুন্য আর বলিও না, কি যে যন্ত্রণা ছিলো ওসব সহ্য করা। আমার নামও দিছিলো পোলাপান এজন্য। বৃটিশ। কারণ, আমি নাকি ওরকম শাসন করতাম তাই।
বর্তমানে একজনরে কইছি এখানকার ওরে পিটামু। হে তোমার ভাই সিনিয়র। বলছি রাস্তায় পিটামু। তাও পাবলিকের সামনে। আমার সাথে কথা বলার তার খুব ইচ্ছা।
হ, সত্যিই তোমারে ডরাই আমি। কারন আছে, যেখানে আমার মনের দুর্বলতা থাকে সেখানে আমি ভয় করি।
জিসান শা ইকরাম
বৃটিশ রিতু জাহান, হা হা হা
রিতু জাহান
@ জিসান ভাইয়া আপনার সাথে কথা নাই😏😏
মুই বৃটিশ না।😏😏
শুন্য শুন্যালয়
একদিন সারাদিন সুযোগ পেলে ঘুরে বেড়াবার, একা একা। কোথায় কোথায় ঘুরবে?
রিতু জাহান
এমন সুযোগ পেলে প্রথমেই খুব ভোরে উঠে চিলমারী চলে যাব। নৌকা করে নদী পার হব দুই ঘন্টা। শেরপুর চলে যাব। দুই পাহাড়ের মাঝে বসে কবিতা ও পছন্দের গান শুনব।
আর যদি রাতটুকুও পাই, তবে সমুদ্রে যাব। পুরো একটা জীবন পার করে ফিরে আসব সেখানে। সারা রাত জেগে থাকব সমুদ্রের বুকে।
মাহমুদ আল মেহেদী
আপনার সবচাইতে পছন্দের লেখক কে? আর কি ধরনের লেখা পড়তে আপনার ভালো লাগে? আর বই পড়ার ভিতরে আনন্দ বা মজা কিভাবে আনেন? আর এত সুন্দর করে মন্তব্যের উত্তর কি করে দেন?
রিতু জাহান
পছন্দের লেখক কে এটা আসলে নির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। আমি একসময় উপন্যাস পড়তাম,বুদ্ধদেবের, সমরেশ মজুমদারের, সুনিলের, রবীন্দ্রনাথ এর, তারপর অন্যান্য লেখকদের। এখন পড়ি জরাসন্দের, শংকরের, প্রবীর ঘোষের, জালাল উদ্দিন রুমি, মার্ক টোয়েন। আসলে কোনো বই যদি আমাকে আটকে রাখতে পারে সে বই দুই তিনবার পড়ি।
আমি যখন বই পড়ি তখন ফোন সাইলেন্ট রাখি। নেটও অফ রাখি। বই পড়ে তা নিজের সাথেই আলোচনা করি। সাথে একটা ডায়রি রাখি। টুকে রাখি কিছু শব্দ ও লাইন, কিছু উক্তি। এটা আমার বেশ লাগে।
আর মন্তব্যের উত্তর!!
এটা আপনার শ্রদ্ধাবোধ। এমন করো পাশে থাকুন ভাই।
তৌহিদ
একজন গুনি পাঠক আপনি আপু।
তৌহিদ
‘আয়না ‘ এমন একটি বিষয় সোনেলায় শুরু হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। শুন্য শুন্যালয় আপু দারুন এক লিখনিতেতে যেন আড়মোড়া ভাঙালেন আমাদের সবার। নামকরণটাও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ জানবেন শুন্যালয়।
এবার আসি রিতু আপুর কাছে। আপু আসলেই অনেক জনপ্রিয় একজন লেখক। তার সাথে ব্লগে পরিচয় সাত আট মাস হবে। আমি দেখেছি তার লেখাগুলিতে সমসাময়িক বিষয় যেমন থাকে তেমনি বাস্তবতার নিরিখে লেখাগুলি পড়লে নিজে পাঠক হিসেবে যেমন খুশি হই তেমনি কিঞ্চিত হিংসাও হয় আমার। মনে হয় আহা আমি যদি এরকম লিখতে পারতাম!
রিতু আপু আপনার লেখায় এই যে বাস্তবতা, জীবনেযাপন আর সমসাময়িক বিষয় ফুটে উঠে এই আইডিয়া আপনি কার কাছ থেকে পেয়েছেন?
আর লেখালেখির ক্ষেত্রে সংসারের জীবন এবং লেখা এ দুটো বিষয়কে কিভাবে মেইনটেইন করেন?
আপনাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
তৌহিদ ভাই, আপনিও অনেক ভালো লেখেন।
অতি অল্প সময়ে সোনেলা পরিবারের একজন অপরিহার্য সদস্য হয় গিয়েছেন, সবাইকে আপন কর নিয়েছেন।
সোনেলার জন্য গঠন মুলক চিন্তা ভাবনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এটি সোনেলার প্রতি আপনার আন্তরিক ভালোবাসারই প্রমান।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং ।
রিতু জাহান
সত্যিই তাই, খুব অল্প সময়ে তৌহিদ ভাই সবাইকে খুবই আপন করে নিয়েছেন।
তৌহিদ
জিসান ভাই, সোনেলা আমাকে আপন করেছে বিধায় আমিও সোনেলাকে ভালোবেসেছি। এ কৃতিত্ব আপনাদের সবার। আর আমি যখন কোন কিছুকে মন থেকে ভালোবাসি তখন তার প্রতি একটা দ্বায়িত্ববোধ নিজের উপরে বর্তায় বলে আমি বিশ্বাস করি। ভালোবাসা জানবেন।
তৌহিদ
রিতু আপু, আমি খুব সহজেই মানুষকে আপন করতে পারি, এটা আমার গুন বলতে পারেন। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। স্বার্থ শেষে যারা আমায় ভুলে যায় তাদের আমি আর দেখতে পারিনা। এটা আমার বদ অভ্যাস। অনেকেই হয়তো মেইনটেইন করতে পারেন কিন্তু আমি এডজাস্ট করতে পারিনা আপু।
জিসান শা ইকরাম
আসুন সবাই মিলে সোনেলায় সোনালী ফসলের আবাদ করি @তৌহিদ ভাই,
রিতু জাহান
আমিও পারি না মেইনটেইন করতে। একবার কোনো কারণে মুখ ঘুরালে আর মুখ ফিরাতে পারি না।
রিতু জাহান
ছোটোবেলা থেকে প্রতিবাদী টাইপ আমি। স্পষ্ট করে তাৎক্ষণিক মুখের উপর বলে দিতাম। যারা খুব কাছের তাদের নরম সুরে বলতাম। আর দূরের হলে প্রথমে নরম করে বলি, না শুনলে বেশ কড়া করেই বলে ফেলি। অসংগতি বিষয়গুলো যন্ত্রণা দেয় আমাকে।
সংসারের কাজ তো করতেই হয়। বাচ্চাদের পড়াশুনা সব মিলায়ে বেশ ব্যাস্ত একটা জীবন সাংসারিক যে কোনো মানুষেরই। যেটুকু সময় পাই পড়ি। তার ফাঁকে ফাঁকে লিখি। আমি আসলে টিভিই দেখি না। রাতে খুব পড়ি। সবাই শুয়ে পড়লে এক দেড় ঘন্টা বই পড়ি।
আপনি কিন্তু চমৎকার লেখেন। আসলে থিম যে যখন মাথায় আনতে পারে। আপনি যখন নতুন কোনো থিম আনেন তখন মনে হয়, ইশ! এটা যদি আমি লিখতে পারতাম।
আমি তো বলব, প্রত্যোকেই পরিপূর্ণ লেখক। কারণ, ভাবনাটাকে কাগজের বুকে ছড়ানোটাও কম কথা নয়।
ভালো থাকুন ভাই। পাশে থাকুন
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু, জীবন থেকেই আপনার এ উপলব্ধি এসেছে তাহলে। তবে আপনার পড়ার অভ্যাস খুব অনুপ্রেরণা দিলো আমাকে। আমার কাঁচা হাতের লেখা আপনার ভালো লেগে জেনে কৃতার্থ হলাম।
রিতু জাহান
আপনি আসলেই ভালো লিখেন। আর কাচা হাতের লেখা কাচা রোদের মতোই স্নিগ্ধতা দিয়ে শুরু হয়।
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকেও ধন্যবাদ তৌহিদ। আয়োজনটা তখনই সফল হবে যখন সব ব্লগাররা এতে এংশ নেবে। এখনোও হাতে গুনে কএকজন কে ছাড়া অংশ নিতে দেখিনি। আমাদের কোথাও দাওয়াত বা প্রোগ্রাম থাকলে, তার জন্যে আলাদা সময় বের করে রাখি তাতে অংশ নিতে। সবাই যদি ঘন্টা দুএক, অথবা একটি ঘন্টাও রেখে দিতো আয়নায় অংশ নিতে তাহলে আরো অর্থপূর্ণ হতো। সময় আছে অবশ্য আজ সারাদিন, দেখা যাক।
আপনি ব্লগের একজন অপরিহার্য ব্লগার হয়ে উঠেছেন দিনে দিনে, ভালো লাগছে। ভালো থাকুন সবসময় আর লিখুন বেশি বেশি।
তৌহিদ
ধন্যবাদ শুন্যালয় আপু।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমাদের জন্য কোন পরামর্শ ? বিশেষ করে লেখা / বই পড়া বিষয়ে।
রিতু জাহান
আপনি একজন সনামধন্য কবির উত্তরাধিকারী। চমৎকার লেখেনও।
আপনি কি লিখবেন সে বিষয়টা নিয়ে আগে ভাবুন। তারপর লিখুন। লেখার পরে কয়েকবার পড়ুন। যদিও আমি কয়েকবার পড়ি না। তবে এখন পড়ব। তথ্যমূলক হলে তথ্য সংগ্রহ করে নিন। বই পড়ার বিষয়ে আসলে আমি বলব, জালাল উদ্দিন রুমির বই, জরাসন্দের বইটা পড়তে পারেন। প্রবির মিত্রের বইও পড়তে পারেন। খুব টানে আমাকে।
মনির হোসেন মমি
আসসালামুআলাইকুম কেমন আছেন আপু?আদরের ছেলেদের নিয়ে ভবিষৎ বিস্তারিত জানতে চাইছি
রিতু জাহান
আপনাদের অনেক ভালবাসায় বেশ ভালো আছি মনির ভাই।
হুম, ছেলেদের নিয়েই তো জীবন। ওদের গড়তে হবে একটু একটু করে।
আচ্ছা ভাই আসেন সময় সুযোগ মতো
ব্লগার সজীব
আপুউউউউউউউউ কেমন আছেন? আমি কে বলুনতো? 🙂
রিতু জাহান
পেশার কুকারেন সিটি!! আমি কেমন করে ভুলি?
আমাদের ব্লগের আর এক প্রাণ। কোথায় ছিলেন এতোদিন?
কাট্টিস জান, কথা নাই কোনো।
ব্লগার সজীব
কথা না বলে পারবেনই না? আমি আপনাদের কত্ত আদরের তা আমি জানি। দেশেই ছিলাম তবে খুব বিজি ছিলাম আপু। প্রতিদিন কিন্তু এসেছি সোনেলায়, উঁকি দিয়ে দেখেছি আপনাদের 🙂
রিতু জাহান
আর কোনো উঁকিঝুঁকি চলবে না। পুরোপুরি সামনে আসুন। নিয়মিত হোন।
জিসান শা ইকরাম
সজীব কই ছিলেন এতদিন?
ব্লগার সজীব
রিতাপু আপনার নাম তো ছিল মৌনতা রিতু ছিলো। মৌনতা কেন জাহান হলো?
রিতু জাহান
আমার এ নাম দিয়ে কেউ কেউ আইডি খুলেছিলো। রিপোর্টও করেছিলো ফেক বলে, তাই ডাক নামটা সবখানে দিলাম।
আপনি খুবই নিষ্ঠুর। এরকম করে কেউ পর করে বুঝি?
ব্লগার সজীব
নিজের নামে ফেক আইডির প্রচন্ড যন্ত্রনা। ভাল করেছেন নাম পরিবর্তন করে। পর করিনিতো আপু। আমাকে আপনি বলে 🙁 কাঁদবো কিন্তু।
রিতু জাহান
জানি তো। আমাদের সবার আদরের ছোটোভাই।
তাই তো স্নেহের দাবি নিয়ে কতো কতো খুঁজেছি। ভাইয়াকেও জিজ্ঞেস করেছি
এখন উঁকিঝুঁকি চলবে না। নিয়মিত ভাসমান দেখতে চাই। বোঝা গেছে?
ব্লগার সজীব
আপনার অনুসন্ধিৎসু, প্রতিবেদন মূলক লেখাগুলো যথেষ্ট উঁচু মানের ছিল। ইদানিং এমন লেখা লিখছেন না। লুকিয়ে লুকিয়ে কিন্তু দেখি আমি ঠিকই সোনেলাকে। আপনার ঐ ধরনের লেখাকে মিস করি। তেমন লেখা আবার কবে পাবো?
রিতু জাহান
ওরেএএএএ! আমারতো ময়ুরের মতো পাখনা মেলে নাচতে ইচ্ছে করছে। এটা কে? সজিব ভাই!!
আগে বলুন কেমন আছেন?
লিখেছি কতো কতো কিছু। আপনাকে যে কতোটা মিস্ করেছি তা জিসান ভাইয়া জানে। কতোবার জিজ্ঞেস করেছি! এভাবে কেউ পর করে?
রিতু জাহান
এখন আপনার জন্যই আবারও ওরকম লেখা লিখব। কথা দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
এবারে কী কী বই কিনলেন, আর কী কী পড়ে শেষ করে ফেললেন,
ঝটপট বলে ফেলুন।
রিতু জাহান
প্রবীর মিত্রের বই। সুমন্ত আসলামের বই, একসময়ের বিখ্যাত লেখক বার্ট্রাণ্ড রাসেলের একটা বই। কোলকাতা থেকে বেশ কিছু বই আনাইছি। জ্যাক লন্ডনের দ্যা আইরন হিল, ও হোয়াইট ফ্যাঙ।
আরও কিছু টুকটাক বই।
বুক রিভিউ শুরু করব।
পড়ছি এখন প্রবীর মিত্রের বই।
তবে আরজ আলী মাতব্বরের বইটা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, আপনার রিভিউ এর অপেক্ষায় রইলাম।
শুন্য শুন্যালয়
সুপ্রভাত। রাগ কনট্রোলের উপায় জানো? একজন লেখক কে হাজার হাজার সমালোচনা নিতে হয়। নেগেটিভ সমালোচনাগুলোকে কিভাবে ম্যানেজ করো?
রিতু জাহান
শুভ সকাল
রাগ কন্ট্রোলের উপায় কম জানি। খুব রেগে গেলে ইদানিং চুপ থাকি। নেগেটিভ সমালোচনা অবশ্যই নেয়া উচিৎ। এবং তাকে টেকনিক্যালি সামলানো উচিৎ। কিন্তু মন্তব্য যদি লেখায় না হয়ে নিজের অস্তিত্বের উপর এসে পড়ে তবে সেখানে রাগ ঝাড়ি।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি অভিভূত! সুন্দর একটি আয়জনের জন্য। আপনাকে তপ্তবালুকাময় অগ্নিসিটে বসিয়ে প্রশ্নবানে জর্জরিত ,অত্যাচার করছে এতে আপনার অনুভুতি কেমন???
রিতু জাহান
অত্যাচার তো মনে হচ্ছে না ভাই!
বরং সবার ভালবাসায় আমি কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। যদিও অন্য লেখা পগতে পারছি না। আমার মাইগ্রেনের ব্যাথা এমন যে অনেকক্ষণ আলোর দিকে তাকাতে পারি না। তাই অনলাইনে লেখা একটানা পড়তে পারি না।
মাঝে মাঝে এসে খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছি আমার জন্য কোন প্রশ্ন অপেক্ষা করে আছে। আমি তো খুব এক্সাইটেড।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ, সবার সাথে মনের আদান-প্রদানে তৃপ্তি আছে। আর মাইগ্রেনের ব্যাপারে সতরক থাকুন। শুভেচ্ছা রইল আপু।
বন্যা লিপি
অসংখ্য শুভেচ্ছা, শুভ কামনা, অভিনন্দন আপনাকে।একেবারেই নবাগতা আমি। আমার কি প্রশ্ন থাকতে পারে ভাবতে ভাবতেই দেখি ইতিমধ্যেই পেয়ে গ্যাছি জবাবের ভান্ডার। তবু আবারো দু/একটা প্রশ্ন আমি আমার মতো করতে চাইছি। আপনার পূর্ববর্তী দেয়া জবাবে বেশ বোঝা যায় একজন সফল ব্যস্ত নারী আপনি। এত ব্যস্ততার মাঝে কোন সময়টাকে আপনি বেছে নেন লেখালেখি’র জন্য?২/লেখা লিখির জন্য পারিবারিক অথবা সামাজিক প্রতিবন্ধকতাটুকু কিভাবে আপনি জয় করেছেন বলে আপনি মনে করেন? ৩/ কখনো কি মনে হয়েছে লিখতে গেলে এরকম লেখা, লেখা যাবেনা, কেউ ব্যাক্তি পর্যায়ে নেবে অথবা অযথা কোনো কোপানলে পরতে হতে পারে? ৪/ লেখালিখি করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্থির মন মনন। তা আপনি কিভাবে সামাল দেন?
আমাকেও শুনতে হয়েছে….. এই লেখালিখি কইরা হইবেডা কি? এর জবাব কি আছে?আপনার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
রিতু জাহান
আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা। শুভেচ্ছা জানবেন। এ উঠোনে আপনাদের পেয়ে আমি আসলেই ধন্য।
আমাকে অবশ্য বাসা থেকে এখন শুনতে হয় না। একসময় বেশ কড়াকড়ি ছিলো। বিশেষ করে আমার বাসা শশুরবাড়ি। কিন্তু যখন ১৪ সাল থেকে এখানে থাকা শুরু করেছি তখন থেকে ফেসবুক আইডি, তারপর ব্লগে লেখা শুরু করেছি। হ্যাঁ, কিছু জিনিস আছে যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে তেমন লেখা উপস্থাপন করা ঠিক না। তবে, এ কথাও সত্যি, এজন্য আমার আক্ষেপও কম নয়। কারণ, আমি মনে করি একজন লেখকের লেখার মাধ্যমেই সমাজের ও ব্যাক্তি ভ্রান্ত ধারনার অবসান হয়। এজন্য তো আমি বলি, আমরা এ দেশের পাঠক ও লেখক উভয়েই ভীতু প্রকৃতির।
আর, লেখালেখি করে কি হবে, এ প্রশ্নে বলব- মাঝে মাঝে যখন অসংগতি বিষয়গুলো নিয়ে লিখি আর তা যখন মনে হয়, এটা আসলে লেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ হয়তো। তখন মূলত আমিই আক্ষেপ করে বলি,’ লেখালেখি করে আসলে কিছু হয়না!’ কিন্তু এ কথা একেবারেই ভুল, লিখে আসলেই অনেক কিছু হয়। তাই লেখা উচিৎ।
আসলে সংসার মানেই ব্যাস্ততা। বাচ্চাদের পড়ানো থেকে শুরু করে প্রতিটা কাজ নিজে হাতে করতে হয়। মফস্বলের মতো যায়গাতে বিশেষ করে বাচ্চাদের পড়ানোর ব্যাপারটাতে আমাকেই দেখতে হয়। এর মাঝেই লেখালেখিটা আসলে নিজস্ব একটু সময়।
আমি যখন বড় কোনো পোষ্ট লিখি তখন তা মোটামুটি কিছু কাজ সেরে বসি। আর মন্তব্যের উত্তর দেই সাধারণত টুকটাক কাজের ফাঁকে ফাঁকেই।
ভালো থাকবেন।
প্রহেলিকা
এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়! সোনেলাকে মাতিয়ে রাখার এই ভিন্ন প্রয়াস সফল হবেই আশা করি। এজন্য উদ্যোক্তা শুন্য আপুকে ধন্যবাদ। প্রশংসা আরও একটু করি, শুন্য আপু এই উদ্যোগ গ্রহন করে আবারও ব্লগের প্রতি কতটুকু আন্তরিক তা প্রকাশ করলেন। উচু মানের লেখা, সমঝদার মন্তব্য, এবং নানান উদ্যোগের মাঝে দিয়ে তিনি এই ব্লগপ্রাণ হয়ে উঠেছেন। আপাতত এটুকুই!
শুন্য শুন্যালয়
এমন আয়োজন প্রহেলিকার অংশ ছাড়া অনেকটাই ফিকে ছিল, এবার বলুন কে ব্লগপ্রাণ? 🙂
রিতু জাহান
শুন্য তুমি আসলেই আমাদের ব্লগের প্রাণ।
প্রহেলিকা
আয়নায় প্রথমে এই প্রিয় লেখকে দেখে আনন্দিত! যদিও আমি লেট লতিফ তবু আন্তরিক অভিনন্দন জানবেন।
লেখার মাঝেই নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন আপনি, আপনার সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। তো যা জানার ছিল তা হলো, বাংলা ব্লগকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন? দ্বিতীয় প্রশ্ন সোনেলা কেন ভিন্ন?
রিতু জাহান
বাংলা ব্লগ মানে যেখানে আমি প্রাণখুলে মনের যতো ভাব আছে তা ঢেলে দিতে পারছি। যেখানে রাখঢাক নেই।
এই বাংলার কারনেই সোনেলার ভিন্নতার একটি অন্যতম কারণ।
এখানে সবার আন্তরিকতা তো আছেই। এক উঠোনে এক পাটিতে এক বাটি মুড়ি মাখা খাওয়ার মতো। বা ছোটোবেলায় মা যেমন কাঁসার প্লেটে দুধ কলা দিয়ে আমাদের বোনদের ভাত মেখে খাওয়াতো ওরকম একটা সম্পর্ক।
প্রহেলিকা
বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে কিছু বলুন। সাহিত্যের কোন বিভাগে নিজেকে বেশি নিবেদিত করেছেন এবং কেন?
রিতু জাহান
আমি মূলত কবিতা খুব ভালবাসি। কবিতায় ডুবে থাকতে পারি। একটা ভরাট কন্ঠের আবৃত্তি সে সব শব্দমালা আমাকে একটা ভাবের মধ্যে রেখে দিতে পারে। যেখান থেকে বের হতে বেশ সময় লাগে আমার।
আর বাঙলা সাহিত্য বলতে আমার প্রথমেই মনে হয়, বাঙলার মানুষের কথা যেখানে খুব চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে সে সব সাহিত্য।
যে সব লেখক বাংলার রূপ রসকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন খুব মমতা নিয়ে সে সব বই আমাকে খুব টানে।
যেমন আমি পুঁথি পড়ি। বাঙলা সাহিত্যের এটা একটা অন্যরকম দিক।
যেখানে আপনি হাজার বছরের জীবন গাঁথা পাবেন।
প্রহেলিকা
আমার প্রিয় বিষয় কবিতা, কবিতা নিয়ে জানতে চাই যে, কোন ধারার কবিতা আপনাকে বেশি টানে?
রিতু জাহান
কবিতা আমারও খুবই প্রিয়। আপনার আগের প্রশ্নে একটু বলেছি।
আমি কবিতা শুনতে খুব পছন্দ করি। যদিও জীবনে তেমন করে আবৃত্তি করতে পারিনি। আসলে হয়নি। এজন্য আক্ষেপ জীবনে।
যে কবিতায় প্রচন্ড প্রেম আছে জীবন আছে সে কবিতা আমাকে খুব টানে।
ছন্দ কবিতা আমার পড়া হয় না তেমন।
আপনি চমৎকার কবিতা লেখেন।
চমৎকার একটা ভাব থাকে। ইশ! আমি যদি আবৃত্তি করতে পারতাম তবে আপনার ও হেলাল ভাইর কবিতা আবৃত্তি করতাম।
প্রহেলিকা
শেষ প্রশ্ন হলো, সোনেলা ব্লগের মহারাজ কে? উনি কেন মহারাজ? মহারাজ সম্পর্কে আমার মতামত কী?
রিতু জাহান
মহারাজ জিসান ভাইয়া। কারণ, আমার ভাইয়া তাই😊😊
জিসান শা ইকরাম
@শুন্য পরবর্তী আয়নায় কে আসবে তা কি ঠিক হলো?
শুন্য শুন্যালয়
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম, এখানে জানাতে। আগামী মাসে একজন পুরুষ ব্লগারকে চাচ্ছি। আপনাকে দিয়েই শুরু করি, কাকে চান? নিজের নামও বলতে পারেন, আমরা কিছু মনে করবোনা 🙂
তৌহিদ
আমিও শুন্যালয় আপুর সাথে সহমত। জিসান ভাই এবার আপনি আসুন।
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো তৌহিদকে চাচ্ছি। আপনি নতুন একজন ব্লগার এখানের। আমিও দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলাম, তাই অনেক নতুনকেই এখনো সেভাবে জানা হয়নি। পুরনো এবং নতুন ব্লগারদের সমন্বয়টাও ঠিক থাকবে। আমার ভোট তাই আপনাকে 🙂
জিসান শা ইকরাম
@শুন্য, আপনার যুক্তি যুক্তিযুক্ত, তৌহিদ ভাইই পরবর্তি আয়নায় আসুক,
রিতু জাহান
আমিও তৌহিদ ভাইকেই চাচ্ছি।
মনির হোসেন মমি
তৌহিদ ভাইয়া।ওয়েলকাম।
তৌহিদ
মুরুব্বীরা কথা বললে আমি চুপ থাকি। তাই আপনাদের কথা মেনে নিলাম।
সত্যিই আমি সম্মানিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নাজমুল আহসান
@রিতু,
আমি সোনেলায় নিয়মিত আসি না। আপনার সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না বলে উপযুক্ত প্রশ্ন করতে পারছি না। আশা করি ভালো আছেন। আপনার জন্যে শুভকামনা।
@ব্লগ কর্তৃপক্ষ,
আমার মনে হয়, এই আয়না পর্বের আয়োজনটা একটু অন্যভাবে করলে ভালো হয়। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিবেন যে পরবর্তী আয়নায় কোন ব্লগার আসছেন। তারপর সেই ব্লগার নিজেই নিজের সম্পর্কে ব্যাসিক কিছু তথ্য দিয়ে পোস্ট দিবেন। এরপর বাকিরা মিলে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করবেন। আমার ধারনা, এতে জানাবোঝার ব্যাপারটা সহজ হবে।
একেবারেই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
সবাইকেউ একমত হবেন, এমনটা আশা করছি না।অটঃ আমি এই পোস্টের শততম মন্তব্যকারী সৌভাগ্যবান। আহা, জীবনে অন্তত একটা সেঞ্চুরি হল।
জিসান শা ইকরাম
নাজমুল, আপনার প্রস্তাবটা মনে ধরেছে। নিজের ব্যাক্তিগত কিছু তথ্য লিখে পোস্ট দিবেন নির্বাচিত ব্লগার। শিরোনামটা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে,
রিতু জাহান
আপনার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।
আপনি কেমন আছেন?
হুম, আপনার প্রস্তাবটি যুক্তিযুক্ত।
ব্লগার নিজেই তার সম্বন্ধে লিখে পোষ্ট দিতে পারে।
এতে তার সম্পর্কে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হবে হয়তো। না হলেও সমস্যা নাই। প্রশ্নের গাড়িতে চাপা দিতে আমি ওস্তাদ।
তৌহিদ
@ রিতু আপু, আপনি না আমার বোন? এর পরে কিন্তু আমার পালা। সহজ সরল প্রশ্ন করবেন আমারে ওকে? আইস্ক্রিম খাওয়াবো।
শুন্য শুন্যালয়
১। সবচেয়ে পছন্দের জায়গা কোনটা? কেন প্রিয় জায়গাটি?
২। প্রিয় সিঙ্গার, প্রিয় গান, প্রিয় সিনেমা?
৩। ফুটবল পছন্দ করো? ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা? 😉
৪। ছোটবেলায় কোন সুপার হিরোকে বিয়ে করতে চেয়েছিলে?
আসতেছি আরো প্রশ্ন নিয়ে। খাড়াও।
রিতু জাহান
সবচেয়ে পছন্দের যায়গা পাহাড়। কারন, আকাশটাকে খুব কাছে মনে হয়। নীল ছুঁয়ে আসতে পারব খুব সহজে।
সুযোগ থাকলে কোনো পাহাড়ি ছেলের সাথে প্রেম করতাম😉
প্রিয় শিল্পী মেহেদী হাসান।
প্রিয় গান- হাম তেরে শহরমে আয়ে হে মুসাফির কি তারাহ্
প্রিয় ফুটবল দল আর্জেন্টিনা
ছোটোবেলায় আমির খানকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম
উক্কে খাড়ালাম। আসো😊😊
শুন্য শুন্যালয়
পাহাড়ি ছেলের সাথে প্রেম করা বা সংসার করার কিছুদিন পর তোমার সমুদ্র ভালো লাগতো 🙂
মানুষ বৈচিত্র চায়, এজন্যেই পৃথিবীটা বিচিত্র আর সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
১। পশুপাখি কথা বলতে পারলে মানুষদের দেখে কী বলতো?
২। তোমার ফিমেল আইকন কে?
৩। ভূত বিশ্বাস করো?
৪। ইন্টারনেট কী জিনিস তোমার মতে? থাকলে ভালো নাকি না থাকলে? 😉
রিতু জাহান
তোমরা এমন মানুষ হইও না। তোমরা অনেক বেশি ভালো আছো। কারণ, তোমাদের মন নামক ব্যাথা বেদনা সহ্য করার অনুভূতি নেই।
আমার ফিমেল আইকন! এই মুহূর্তে তো তোমাকে দেখতে পাচ্ছি।
রুনা ভাবি। ভাবিকে আমি খুব মেনে চলি।
থাকলেও চলে না থাকলেও চলে।
তবে দরকার এটা।
শুন্য শুন্যালয়
রুনা আপু অনেক ব্যক্তিত্ববান একজন মানুষ, তাকে আমারও অনেক পছন্দ।
আরো অনেক প্রশ্ন করার ছিলো। আসলে এক সঙ্গে সবাই না এলে কেমন যেন ভাটা পড়ে যায়।
আপাতত ঘুমাতে যেতে হচ্ছে, অনেক রাত এখানে।
প্রথমবারের আয়োজনে তুমি অনেক ধৈর্য্য সহকারে উত্তর দিয়েছ। গ্রেট। ভালো থাকবে সারাক্ষণ।
রিতু জাহান
ভূত বিশ্বাস করি না। তবে, অস্বস্তিকর কিছু জিনিস আছে তার উপলব্ধিটা বিশ্বাস করি। যা কিছু নিজের সাথে ঘটে যায় এমন কিছু।
ছাইরাছ হেলাল
ভবিষ্যৎ সোনেলাকে কেমন দেখতে চান?
জিসান শা ইকরাম
সোনেলা ব্লগ আয়োজিত আয়নার প্রথম পর্ব, আয়নায় রিতু জাহান অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হলো। তবে কেহ ইচ্ছে করলে প্রশ্ন চালিয়ে যেতে পারবে।
বিভিন্ন মন্তব্য/মতামত বিশ্লেষন করে সোনেলা ব্লগ মডারেশন টিম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে-
১। আয়নার পরবর্তি পর্বে অংশ নেবেন ব্লগার তৌহিদ। যা ‘ আয়নায় তৌহিদ ‘ শিরোনামে প্রকাশিত হবে।
২। ‘ আয়নায় তৌহিদ ‘ পোষ্টটি দেবেন রিতু জাহান। পরবর্তি আয়না পোষ্ট দেবেন তৌহিদ ভাই। এভাবে যিনি সর্বশেষ আয়নায় থাকবেন তিনি পরবর্তি পোষ্টটি দেবেন।
৩। যিনি আয়নায় থাকবেন, তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী সোনেলার মডারেটর/ এডমিন গনের নিকট প্রেরন করবেন, পোষ্ট দাতা ব্লগারের নিকট সরবরাহ করা হবে।
জীবনীতে কোন কোন বিষয় থাকবে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
৪। আয়না প্রতি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রাত বারোটা থেকে শুরু করে শনিবার রাত বারোটা পর্যন্ত চলবে।
আয়নার প্রথম পর্ব সফল করার জন্য অংশ গ্রহনকারী সমস্ত ব্লগারগনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সোনেলার সাথে থাকুন।
#যেহেতু এই বিষয়টি সোনেলার জন্য নতুন। তাই একে আকর্ষনিয় করার জন্য যুক্তিযুক্ত পরামর্শ গ্রহন করা হবে।
আগুন রঙের শিমুল
দুই দিন চেষ্টার পর লগইন করতে পারলাম 😒😏 লেখেলেখি নিয়ে জীবন দর্শন নিয়ে সবাই প্রশ্ন কইরা ফেলছে। আমি অন্য প্রশ্ন করি 😁
ফেয়ার এন্ড লাভলী ব্যবহার করেন কি?
রিতু জাহান
হা হা। আসলেই করি না। সারা বছর একটা হালকা কোল্ডক্রিম ব্যাবহার করি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন ভাই সব সময়।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ ব্লগ টিম আমার দেয়া নামটি নির্বাচিত করায় ❤
রিতু জাহান
নামটা আসলেই সুন্দর হইছে।
এজন্য আপনার একটা শুভকামনা ও ধন্যবাদ পাওয়া উচিৎ।
খাওয়া টাওয়া সে না হয় দেশে আসলে হবে।
লেখা দিচ্ছেন না কেনো?
শুন্য শুন্যালয়
শিমুল ভাই এখন দেশেই আছে রিতূ ভাবী। খোঁজ দ্যা সার্চ মিশনে খুজে বের করে খাবার আদায় করো।
অলিভার
প্রশ্ন করতে দেরি হয়ে গেলো!! 😶😶
যাই হোক, প্রশ্ন রেখে গেলাম। উত্তর তো আবশ্যই আশা করি-
প্রিয় ব্লগার রিতু আপা, প্রশ্ন গুলো আপনার জন্যে-
– আপনার পছন্দের লেখক কে?
– কেন এই লেখককের লেখা আপনাকে আকৃষ্ট করে?
– কোন ধরণের লেখা পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন?
– এমন কোন লেখক আছে যার সাথে দেখা করবার আজন্ম ইচ্ছা/বাসনা রয়েছে?
– ‘ব্লগ’ জিনিষটাকে সংজ্ঞায়িত করতে হলে আপনি কিভাবে এর সংজ্ঞা দিবেন?
– ‘সোনেলা’ ব্লগকে কেন বেছে নিলেন?
হিজিবিজি টাইপের প্রশ্ন। আসলে কি ধরণের প্রশ্ন করা উচিৎ সেটাই বুঝতে পারছি না। আশা করি রিতু আপা প্রশ্নের উত্তর দিবেন 😊
এরপর আসি @শুন্য আপুর কাছে।
কিভাবে পারেন! এত আইডিয়া কোথা থেকে ধরে নিয়ে আসেন?
শুন্য শুন্যালয়
🙂 এরকম প্রশ্ন উত্তরের আইডিয়া কিন্তু নতুন নয় অলিভার। অন্যান্য ব্লগের হয় বোধহয়, যদিও আমি দেখিনি কখনো। ফেসবুকের সোনেলা গ্রুপে শুরুতে এই প্রশ্ন উত্তর আয়োজন শুরু হয়েছিল, একটিভিটি একটু কম ছিলো। আমি শুধু ব্লগে টেনে নিয়ে আসছি, আর কিছুনা।
নিত্য নতুন আইডিয়া তো আপনারা সবাই দিবেন, আমিতো অপেক্ষা করে আছি। কিভাবে সবার অংশহগ্রহন আরো আনন্দের করা যায় পরামর্শ দিন।
রিতু জাহান
আসলেই এমন একটা আয়োজসের প্রয়োজন ছিলো শুন্য। তোমার জন্য ভালবাসা।
রিতু জাহান
যখন যে লেখা আমাকে আকৃষ্ট করে তখন সে লেখক প্রিয় হয়ে ওঠে।
তবে সব সময়ের প্রিয় লেখক, লিও তলস্তয়, জরাসন্দ, সমরেশ, জাফর ইকবাল স্যার।
জীবন ভিত্তিক লেখা। রহস্য টাইপও ভালো লাগে।
ব্লগের লেখাগুলো গুগলে সার্চ দিলে চলে আসে। তখন যে কেউ আমার লেখাটা পড়তে পারে। আপনার মূল্যবান লেখাগুলো সকলের পড়ার জন্য ব্লগে লিখে রাখা উচিৎ। আর তা সকলের জন্যই উন্মুক্ত করা উচিৎ।
সোনেলার মাধ্যমেই আমার লেখার উৎসাহ ও হাতেখড়িও বলতে পারেন।
তবে, গতবছর চোখে ইনফেকশন হওয়ার পর থেকে একটানা পড়তে পারি না নেটে। চোখের পাতা ব্যাথা করে, পরে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
তবে যেটা পড়ি বোঝার চেষ্টা করি।
আপনার জন্য রইলো শুভকামনা ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
অলিভার
🌺🌺🌺
অপার্থিব
উদ্যোগ ভাল তবে আয়নার কথা মনে হলে হোরহে লুইসের একটা কৌতুক মনে পড়ে, থাক সেটা আর না বলি।
রিতু জাহান
বলেন ভাই,,,
অপার্থিব
প্রশ্ন ১ – মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কিভাবে দেখেন?
প্রশ্ন ২ – ব্লগ মডারেটর হলে ব্লগকে নান্দনিক করতে কি উদ্যোগ নিবেন?
প্রশ্ন ৩- প্রথম মানব হিসেবে শুধু আপনাকে মঙ্গলে যাবার সুযোগ করে দেওয়া হল, বেঁচে থাকার সব সুবিধা সহ তবে শর্ত একটাই পৃথিবীতে আর ফিরে আসা যাবে না। সেখানে আপনার কাজ গ্রহটাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাস যোগ্য করে তোলা। যাবেন?
রিতু জাহান
না। আমি এ পৃথিবী ছেড়ে যেতে চাই না। এ পৃথিবীর বুকে এ পৃথিবীর নীলে আমার কিছু কথা কিছু মায়া কিছু আলো ছায়া পড়ে আছে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি মন কিছু কথা যা যেনো অযৌক্তিক না হয়। আর তা যেনো কাউকে প্রচন্ড আঘাত না করে।
তিন নাম্বার প্রশ্নের উত্তর হলো, আমি প্রযুক্তির ব্যবহারে খুবই অজ্ঞ একজন মানুষ। এখনো ল্যাপটপ ব্যাবহার করতে পারলাম না। অথচ আমার কম্পিউটার ও ল্যাপটপ দুইটাই আছে।
তাই মডারেটরদের কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ যে তারা এতো চমৎকার করে ব্লগটিকে সাজিয়ে রেখেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
উত্তর দিতে দেরি হলো।