একটা পুরোনো পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ প্রাসাদ,
বিবর্ণ ধূলো ধুসরিত পলেস্তরা ছড়ানো ছিটানো ঘরময়।
একটা নৈঃশব্দ্যিক নির্জন নিরব নিকোনো উঠান,
শুনসান নৈস্বর্গিক নিস্তব্ধতা বিরাজমান চতুর্দিক।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ হওয়া এক বৃদ্ধা নারী
পরোনে তার গেরুয়া রঙের শাড়ি,
ধূলোমাখা দাওয়ায় বসা শূন্যে রয়েছে দৃষ্টি,
চোখ দুটো তার উত্তপ্ত ধূসর মরুভূমি,
অপেক্ষায় থাকা দু'চোখে পড়েছে ছানি
অস্পষ্ট ঝাপসা চোখে তবুও সে রয়েছে চেয়ে।
এই বুঝি কেউ আসবে কাছে, বসবে পাশে
দখিনা বাতাসে ঝরে পড়া শুকনো পাতার-
সংঘর্ষে সৃষ্ট মড়মড় শব্দে আঁতকে ওঠে বুক!
কে, কে ওখানে?
প্রতিউত্তরের অপেক্ষা না করে,
নিজেই নিজের সাথে অনর্গল কথা বলে।
তুমি এলে?
এতো দিন পর মনে পড়লো আমাকে!
কোথায় তুমি?
ঠিক করে দেখতে পাই না বলে-
লুকোচুরি করছো আমার সাথে!
কোথায় তুমি?
কী হলো কথা বলছো না কেনো?
তুমি আসোনি?
কারো কোনো সাড়া না পেয়ে,
হতাশায় নিমজ্জিত হয় ফিরে পাবার আশা।
তবুও সে দাওয়ায় বসে অপেক্ষা করে,
কেউ আসবে বলেছিল যে।

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ