ঐশ্বর্য রেখার আশেপাশে আসুরিকী কিছু মোহের বাস ওরা ভালোবাসতে জানেনা,
ভাবতে জানেনা এখনও উদারতা-নি:স্বার্থপরতা আছে।
চাই শুধুই চাই, যে কোনোকিছুর বিনিময়ে--
নয়তো ছিনিয়ে নিয়ে হলেও পেতে চাই।
কুকুরের জিহ্বার মতো লকলকিয়ে থাকে কতোগুলো প্রতিবাদ এবং আন্দোলন। একটি সত্যিকে মিথ্যে ভেবে, মিথ্যেকে সত্যি ভেবে কচকচে জীবনকে কামড়ে ধরি। পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের বাঁধনটা নড়বড়ে হয়ে পায়ের কাছে বসে চাটতে থাকে উচ্ছিষ্ট। সে রেখে যায়, কিন্তু তার হিসেব বড্ড পাকা। তিনি যে আলোর দূত, মহামানব। তার কাছে র্যাঁবো, গ্যাটো নান্দনিক, রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দ জীবনের সত্ত্বা। আর সাধারণের জন্যে হিসেব করা সময়, তার কাছে মুখোমুখি বসে থেকে বে-হিসেবী গল্প মনেই মৃত্যু। তাই আমি শুকিয়ে যাওয়া ফুলের সাথে, ম্লান হয়ে যাওয়া বৈষ্ণবপদাবলীর ছেঁড়া পাতায় অসীম-অনন্তকে মাখাই ঝালমুড়ির মতো। গ্লাস ভরে এলকোহলে ডুবিয়ে রাখি। তবুও আমি মাতাল হতে পারিনা। মেঘ-বৃষ্টি-রাতের সাথে সখ্যতায় প্রেত অমাবস্যাতিথিতে একলা বসে থাকে আমার দূষিত রক্তধারা। ওদিকে নিঃস্পৃহ আর নির্লিপ্ততায় সঙ্গ খুঁজে পেয়ে, একুশ শতকের 'ডোন্ট কেয়ার' ঘাড়ের উপর চাপিয়ে নিয়ে উনি বাজারে যান। হিসেব কষে মাছ-মুরগী-সব্জী কিনে নিয়ে আসেন চটের ব্যাগ ভর্তি করে। তারপর স্টাডি রুমে অপারেশন থিয়েটার পাতিয়ে ব্যবচ্ছেদ করা হয় সখ্যতার নিঃসঙ্গতা। লাঞ্চে চট ব্যাগ ভর্তি বাজারের মাছ-সব্জী চেটেপুটে খান। ওদিকে কবিতা পেয়ে আনন্দিত হন। আচ্ছা পুস্তকে যদি ক্ষিদে নিবারণ হয়, তাহলে উনুনে পোড়া খাদ্য কেন?
উনি জানেন না, এদিকে আজ আমার যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে, বলেছে হাতের পাতায় শুয়ে থাকা ওই ভাগ্য রেখা। যে মোহের সাথে আসুরিক ভাবনা যুক্ত হয়েছিলো, সে পথ দিয়ে হেঁটে আসার সময় এক অধরামৃত পান করেছিলাম আমি, মহামানব জানেন না। আমিও বদলাই, কারো কারো কাছে; দূর্গন্ধের অলি-গলি পার করে, মরুভূমির উত্তপ্ত বালুতে পা ফেলে আত্মবিসর্জন দিতে আসেনি 'আমি'। এক আভিজাত্য বিভার ঐশ্বর্যে আলো ছড়িয়ে জানিয়ে দিচ্ছি, এই যে শুনুন; আমি সেই ফিনিক্স, যে আগুণে পুড়ে ছাই হয়ে বৃষ্টির জলে জেগে উঠি। যে জলে ভিঁজে যায় আপনার অক্ষর, আর "মহামানব" এবং "পন্ডিত" উপাধিতে সজ্জ্বিত হয় আপনার মেঘ-রাত্রির কবিতা।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ইং।
**লেখাটির সাথে ভিডিওটি কোনোই মিল নেই। তবুও দিলাম। শুন্য শুন্যালয় আপুর জন্যে। আপুটা বারবার বলে, কিন্তু দেয়া হয়ে ওঠেনা। এখন হঠাৎ এই গানটি পেয়ে গেলাম একটা ফাইলে। শুন্য আপু তুমি যে গানটা গাইতে বলেছো, সেটা গাইবো আরেকদিন।
Thumbnails managed by ThumbPress
৬৬টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
নীল আপু গান শুনেই তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। লেখার কথা আর কি বলব।
তোমার গানের প্রতিভার কথা আজ জানতে পারলাম।
অনেক সুন্দর হয়েছে (3
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু গান তো নয়, এ যেনো ঝগড়ার প্রস্তুতি। নিজের গানে এখন নিজেই বিরক্ত। তবুও গাইতে হয় নিজেকে আনন্দ দেয়ার জন্যে।
আর লেখাটা অনেক বেশী খেটে লিখেছি। যে করেই হোক একটু বদল চাই। একধারা লিখতে লিখতে আমি বিরক্ত।
জানিনা কি যে মাথা-মুন্ডু লিখেছি! 🙁
অরুনি মায়া
ইশ এত সুন্দর গাইতে পারে অথচ গাইতে চায়না।
মোহ মোহ একটু খানি বুঝেছি। বেশি বুঝিনি 🙂 ।
তবে ভাল লিখেছ সেটা বুঝেছি,,,
নীলাঞ্জনা নীলা
সমাজে সাধারণ এবং অসাধারণ মানুষ আছে। যারা অসাধারণ তারা মহামানব কিংবা মহাপুরুষ। আর যারা সাধারণ তাদের কাছে আবেগটাই মুখ্য, ওই আবেগ দিয়েই বিচার করে। আসুরিকী মোহ মানে বোঝাতে চেয়েছি আমরা যারা সাধারণ তাদের রাগ-অভিমান আছে। ভিন্ন ভিন্ন আবেগে চলে। অস্থির-চঞ্চল।
আর অসাধারণ যারা তারা স্থির, কিন্তু আবেগপ্রবণ না(এটা আমার মত)। তাদের কাছে সময়ের দাম বেশী। রুটিনমাফিক চলে, খুবই ডিসিপ্লিনড। হিসেব রাখে সবকিছুর। এটাই আসলে তুলে ধরতে চেয়েছি।
আপু তুমি-আমি বড়ো সাধারণ। -{@ (3
অরুনি মায়া
আমিও আস্তে আস্তে অসাধারণ হয়ে উঠছি। এটা সত্য যে সময় টার সঠিক ব্যবহার আমি করতে পারছিনা। তবে আবেগ অনুভূতি নেই বললেই চলে। ওগুলো কে আমি দাফন দিয়েছি একটু একটু করে। আর যেটুকু প্রকাশ পাচ্ছে তা হয় ইচ্ছাকৃত নয়ত অভ্যাসবশত,, ,
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি তো অসাধারণ। আরে লেখা কি সব সত্যি হয়? রবীন্দ্রনাথ অসাধারণ তাই বলে কি তাঁর আবেগ নেই? এটা একটা লেখা মাত্র। গতকাল বিশাল কঠিন কঠিন কিছু লেখা পড়ছিলাম, ধারাবদলের জন্য। কি থেকে যে কি লিখলাম ঈশ্বরই জানেন।
মেহেরী তাজ
খালি শুন্য আপুর জন্য গান দিছে শুনবো না,লেখাও পড়বো না। ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে আমার পিচ্চি আপুমনাটা রে কাঁদেনা কাঁদেনা। অনেক আদর। উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মাআআআআ এই কিসি কিন্তু আর কাউকে দিইনা। হুম!
মেহেরী তাজ
এখন আবার ঘুস দেওয়া হচ্ছে না??? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
মোটেও না। ঘুস খাইনা, দিইও না।
সত্যিকারের আদর এটা। -{@ (3
মেহেরী তাজ
আচ্ছা তাইলে ঠিক আছে। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 (3
ছাইরাছ হেলাল
ইশশ, শুরু হয়ে গেল!!!!!!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কি শুরু হলো? কি বলতে চান কবিভাই?
শুন্য শুন্যালয়
গানের সাথে সাথে লাইভ চাঁদ, আর একদিকে নিজেদের বানানো আলো। কি বলবো, বলার ভাষা খুঁজে তারপরে বলবো। তুমি পারোনা কি? কতো সুন্দর একটা ছবি, মিষ্টি একটা কন্ঠ, আর লেখা!! উপরের চারটা লাইন থেকে বের হতে পারছিনা। খুব সহজ কিছু কথা, আজ যেন কেমন জ্বলজ্বল করছে।
পুরো লেখায় কেমন ক্রোধ, অন্যরকম। তুমি ভালো আছো আপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ভালো আছি। ভেবোনা। হুম কাল রাত জেগে লিখেছি। মনটা ভীষণ বিক্ষিপ্ত ছিলো। তবে অন্য কিছু নয়। লেখার ধারা বদলের একটা চেষ্টা বারবার হোঁচট খাচ্ছিলো। তারপর এলোমেলো পায়চারী। হেঁটে আসা সময়ের পথে কিছু মুখের মুখচ্ছবি ভেসে আসতেই লেখাটাকে শেষ করতে পারলাম। আমি না একসাথে না লিখলে ওই লেখা আর কোনোদিন শেষ করতে পারিনা। দেখছোনা তিরি-অহমকে নিয়ে আসতে পারছিনা?
গানটা যে কবে ভিডিও করেছি। আসলে আমি গুনগুন করতেই থাকি। সেদিন আকাশে সুপার মুন ছিলো। ওটার ভিডিও করতে গিয়ে অজান্তেই গান গেয়েছি আসলে। আসলে ভিডিওটা আমার বান্ধবীকে হোয়াটস আপে পাঠিয়েছিলাম। ওর সেদিন সুপারমুন দেখা হয়ে ওঠেনি। তাই।
আপু তোমার মধ্যে এতো আবেগ কেন? বলো তো? -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
ভালো নয় তা সবসময়, তা জানো? আবেগ আর ব্যক্তিত্বে বড়ই কন্ট্রাডিকশান চলে যে, যদিও ব্যক্তিত্বের সাথে কোন কম্প্রোমাইজ চলে না।
তুমিও আবেগী, কম নয়, বেশিই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু এটা ঠিক বলেছো ব্যক্তিত্ত্বের সাথে নো কম্প্রোমাইজ। (y)
হুম আপু আবেগটাই তো হাসায় আমায়। -{@ (3 😀
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার কথামালা ভাল লাগলো নীলা ডি।
গান্টি শুনতে পারলাম্না।
পরে শুনব।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ মজিবর ভাই। 🙂
গান যে কি গেয়েছি। শুধু সোনেলা আমার পরিবার বলে দিয়েছি, নইলে খবরই ছিলো।
মোঃ মজিবর রহমান
গান গানই শ্রতাকে ঠকানো শোভা পাই।
কাউকে গানের সহিত মুগ্ধ করা তৃপ্তি দেয় মানুষকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই আমার প্রতিটি মুহূর্তে সুর চাই। শুনি, গুনগুন করি। মানুষের নি:স্তব্ধতাকে সুন্দর করে সুর। আর ওটা নিয়েই আমার নি:শ্বাস।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল লাগলো আপু। গুন গুনিয়ে গান গাওয়আ মানুষের মন ভাল থাকার ভাল লক্ষন।
আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া তাইতো ভালো থাকি। ভালো থাকুন আপনিও। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপানার এ প্রতিভার কথা আমাদের জানিয়ে ভালই করেছেন।
মাঝে মাঝে আপনার অনুমতি ক্রমে জ্বালাতোন করা যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিভাই জ্বালাবেন কেন? বললেই হবে, গাইবো, গেয়ে শোনাবো।
আপনি কি জানেন, আজকের লেখার এই বদল আপনার কারণেই? আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। 🙂
আমার স্যার যিনি আমাকে প্রেরণা দেন, উনি আমায় বলেন ধারাবদল করতে।
স্যারকে এই লেখাটা পাঠাবো ভাবছি।
জিসান শা ইকরাম
ওরে রাগ
কার উপর ঝাড়লি? :D)
ঝাড়ি লেখা সমগ্রের মাঝে এটি সেরা লেখার পুরুস্কার পাবে।
লেখাটা ভালো হয়েছে খুব।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে আমার রাগ! তরুণের উপর। সত্যি বলতে কি গতকাল বেশ ঝগড়া করেছি। তারপর বেশ কিছু ভারী ভারী কলাম পড়লাম। আর তুমি জানো লিখলে আমার রাগ নেমে যায়। তারপর এই লেখা দেখিয়ে বলেছি ব্লগে দেবো আর নানাকে বলবো। 😀
আমায় বললো ঠিক আছে দিয়ে দাও। এও বললো, তুমি ওকেও নাকি জানো। :p
এমন শয়তান ব্যাটা। :@
জিসান শা ইকরাম
হুম জানি,লেখার মাঝে রাগ কমে তোর
লেখা দেখেই বুঝেছি যে এটা রাগ শীতলীকরণ প্রকল্পের একটি প্রচেষ্টা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এইটা ভালো বলেছো। রাগ শীতলীকরণ প্রকল্পের একটি প্রচেষ্টা। আজ মন খারাপ। তরুণ অন্য শহরে চাকরী পেয়ে চলে গেছে। নিউ ফাউন্ডল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে জব পেয়েছে। কেন যে কাল রাগ দেখালাম। 🙁
জিসান শা ইকরাম
ফোন দিয়ে স্যরি বল।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখন ফোন!!! ওর এখন রাত ৩ঃ১০ বাজছে।
অরুনি মায়া
ওওওওওওও তারমানে দাম্পত্য কলহের ফলাফল এই লেখা।
তা আগে বলবেন তো। ঝগড়া হলে যে এত সুন্দর সৃষ্টি হয় তা আগে জানতাম না 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু আরে ঝগড়া করে যে কোনোকিছু লেখো মন হাল্কা হয়ে যায়। ঝগড়া জানো মনকে ফিল্টারিং করে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ব্লগ তাহলে রাগ দমন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়!!!
জেনে ধন্য হলাম।
আমরাও চেষ্টা নেব এমন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কার উপর চেষ্টা নেবেন শুনি! :p
দেখুন বাপু আমার উপরে আবার রাগের চেষ্টা নেবেন না, তাহলে খবরই আছে। :@
আগেই বলে রাখলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার উপর কেন?
ধরুন দুধ ওয়ালা পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিল, রাগ উঠলে ব্লগে
ঝেড়ে দিলাম, আমিও নিরাপদ, দুধ ওয়ালাও নিরাপদ।
মজারে মজা।
নীলাঞ্জনা নীলা
হায়রে কপাল! বেচারা :p
লীলাবতী
উম,ঠিক আছে,এভাবেই স্ক্রু টাইট দিতে হয়। আমিও শিখছি কিভাবে টাইট দিতে হয়।আমি হতে চাই সেরা স্ক্রু টাইটওয়ালিনি :p
নীলাদি গানটি শুনতেই আছি 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি কি আর বলবো! বাজে ব্যবহার করে নিজেই তো আফসোস করছি এখন। যতোই স্যরি বলিনা কেন, বেচারা আসলেই ভালো। আমার রাগ আসলে খুব বাজে।
আর গান না বলুন Gun ^:^
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমি সেই ফিনিক্স, যে আগুণে পুড়ে ছাই হয়ে বৃষ্টির জলে জেগে উঠি। যে জলে ভিঁজে যায় আপনার অক্ষর, আর “মহামানব” এবং “পন্ডিত” উপাধিতে সজ্জ্বিত হয় আপনার মেঘ-রাত্রির কবিতা। -{@
আপনাদের লেখাগুলোর চেয়ে মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যগুলোর মাঝে নিরামিষ জীবনের আমিষ খুজে পাই (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই দূর্দান্ত এক মন্তব্য করলেন আপনি।
মন্তব্যর মধ্যে নিরামিষ জীবনের আমিষ খুঁজে পাওয়া। আমিও তাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
রিমি রুম্মান
তবুও শুন্য আপুর কারনে গান শুনা হল, চাঁদ দেখা হল। রাগলে এতো ভাল লেখা বের হয়ে আসে কীবোর্ডে … জেনে রাখলাম। এমন করে চেষ্টা করবো ভাবছি। 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু ভালো হয়েছে বুঝি? তবে রাগলে আমি লিখি যা মন চায়। আপনি রাগ করতে জানেন বলে মনে হয়না। অভিমানী যারা তারা রাগ করতে পারেনা। -{@
সীমান্ত উন্মাদ
আপু আপনিতো অনেক সুন্দর গান গান। চাঁদের হাঁসি বাঁধ আসলেই ভেঙ্গেছে।
লিখাটা যেমন দারুন, গানটাও গেয়েছেন অনেক অনেক সুন্দর। অফুরন্ত ভাললাগা রেখে গেলাম।
শুভকামনা নিরন্তর।
নীলাঞ্জনা নীলা
সীমান্ত ভাইয়া ঠাট্টা করছেন? গান গাওয়া ভুলে গেছি। এখন যা করি, সে শুধু আপনজনদের জন্যে। আপনারা আমার আপন বলেই দিয়েছি, কারণ জানি অবহেলিত হবে না এটি।
অফুরান ভালোবাসা। নিজেকে যত্নে রাখুন। -{@
ইমন
খুব ভালো হয়েছে লেখাটা ,সাথে বোনাস চাঁদ এবং গান (3
নীলাঞ্জনা নীলা
সুপারমুন কিন্তু ওটা। আমার রুমের জানালা দিয়ে চাঁদের আলো জ্যোৎস্না বিলায়। বুঝেছেন ইমন?
অরুণিমা
জামাই বাবু অজ্ঞান হয়ে যাবেন এই লেখা পড়লে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
তাইতো ভাবছি দেখতে দেবোনা। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তো আমারই মরণ। :p
শুন্য শুন্যালয়
তুমি মাতাল হও না হও, আমি পুরাই টালমাতাল হয়ে গেছি তোমার এই লেখা পড়ে। ক্রোধ নয়, বাচ্চা একটা নীলাপু কলাবেনী ঝুলিয়ে মন খারাপ করে আছে, এমনই মনে হয়েছে। তবে কি জানো? লেখাটা দূর্দান্ত হয়েছে। তোমাকে এরপর থেকে রাগিয়ে দেব নাকি আমি? যদিও জানি তুমি আমার উপর রাগ করতেই পারবেনা। ভালোবাসি আপু তোমাকে। এবার আমার গানটা শোনাও, আমি যে অনেক লোভী। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস মাতাল যে কবে হবো! নেশার ব্র্যান্ড বদল যে করতে পারছিনা শুন্য আপু। শোনো শোনো আসলেই আমি প্রচন্ড রাগী। বড়ো বাজে রাগ আমার। আমার মন খারাপ হয়না, হলেও স্থায়িত্ব খুবই কম। আর এজন্যই অনেকেই ভাবে আমি কৃত্রিম আবেগ দেখাই। মজা লাগে বেশ।
শোনাবো গান। আমি যে তোমারও গান শুনতে চাই। কবে শোনাবে তোমার কন্ঠ? ;? -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আমার কন্ঠ শুনলে চাঁদ ডুবে যাবে আপু। অই রিস্ক নেয়া যাবেনা।
প্রচন্ড রাগীদের মধ্যে একটা ব্যাপার আছে, রাগ পড়ে গেলে অপরাধবোধে ভোগে, দেখেছি অনেককে। এটা কিন্তু একদম খারাপ না। আমি মোটামুটি রাগি, আমার রাগ থেকে যায় ভেতরে। পরে এমন কিছু একটা বের হয় যা ভালো নয় মোটেই।
তুমি তোমার মতই থাকবে, এমনই থাকবে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কিচ্ছু বুঝিনা। আমি শুনতে চাই। চাঁদ ডুবলে ডুবুক, আমি থাকবো ভেসে। ঠিক আছে? বলে রাখলাম। হুমকি, আব্দার যা কিছু ভাবতে পারো।
আর আমার রাগ এ জীবনে ফুরোবে না। সে জানি। তবে লিখে ফেললেই আমার রাগ শেষ। বদল যা হবার হয়ে গেছি, আর হবোনা কথা দিচ্ছি তোমায়। কিন্তু আমার রাগ নিতে হবে, পারবে নিতে? 😀 -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
দুদিন ধরে উঁকি দিয়েই পালাচ্ছো, সব কিন্তু দেখতে পাই, হুম্মম্মম্ম।
আমাকে রাগ দাও, কিন্তু কাকে যে দেখাবো বুঝতে পারছিনা।
ব্লাস্ট হয়ে যাবেটাবে নাকি আবার ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু সেলফোনে অন হয়ে যায় কিভাবে জানি। কিচ্ছু বুঝিনা। কয়েকদিন থেকে এমন হচ্ছে। আর রাগ দেবো, এভাবে লিখে লিখে রাগ দেয়া যায় নাকি? ;?
ছাইরাছ হেলাল
জীবন কাব্যের মনচিত্রে কত আঁক কত বাঁক, হয়নি দেখা-ছোঁয়া, দেয়নি ধরা। হে বিস্ময় শিশু বড় হও, কবে হবে আরও বড়? বোঝা নেবে, দেবেও। পথ তো সামান্য ই বাকী পাথুরে পথের শেষ পথে। বোকারাম, বোঝে না সে বোঝেনা অবিরাম। দ্বিধার দ্বন্দ্ব ঝেড়ে যাও, ছোট এবং ছোটাও। পথের শেষেও পথ আছে। দেখার শেষেও দেখা থাকে, দেখো দেখাও।
নীলাঞ্জনা নীলা
মাথা ঘুরছে। এখানে শিশু কে? কবি ভাই আপনার এখনকার মন্তব্যে আমার অবস্থা কেরোসিন। বুঝিয়ে দিন, উদ্ধার করুন। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই বাস করে একটি শিশু মন, হয়তো আমাদের জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে।
আমারা সঠিক পরিচর্যায় তাকে তুলে ধরতে পারলে আমাদের উপকার, একি সাথে দেশ ও জাতির।
আরে না, এতে কেরোসিন, পেট্রল বা মবিলের কিছু করার নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি কিন্তু শিশু নই। আবার বুড়ীও নই। :p
অনিকেত নন্দিনী
নীলাদি, এত রাগ আর ক্ষোভ কতদিনের পুঞ্জিভূত অভিমান?
নীলাঞ্জনা নীলা
নন্দিনী দিদি সে তো সেই মুহূর্তে উঠলো, আর তখুনি শেষ। সাধে কি তরুণ এতো নির্ভয়ে থাকে? 😀
নুসরাত মৌরিন
মুগ্ধ।
শব্দ খুঁজছি।কি লিখবো ভাবছি…।
আপু ফিনিক্স পাখি হয়ে আপনি আকাশ ছাড়িয়ে অন্য আকাশে যান, নিজেকে ছাড়িয়ে যান।
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌরিন আপু অন্য আকাশ নিরাপদ নয়। তাই এখানেই এই খাঁচাতেই থাকি। 😀
কি সুন্দর মন্তব্য তোমার। -{@
অরণ্য
আনমনে গাওয়া গানের মজা একটু আলাদা।
আমরা নিজেরা ধরতে গেলেই একটু অবশ্য চেঞ্জ হয়ে যায়। প্রকৃতি পায় আসল টা।
কিন্তু অল্পতেই শেষ হয়ে গেল। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আর গান! একেবারেই গাইতে পারিনা। শ্বাস আটকে আসে। তখন বুঝি বয়স বাড়ছে। তবে গান ছাড়া নি:শ্বাস ভাবতে পারিনা।
গানের পোষ্ট দিন, এভাবে অপেক্ষায় রাখা ঠিক না কিন্তু। -{@