শুধু হিন্দু কেন পুড়ে ছাই?
আজকাল যা কিছু হচ্ছে, সব ঠিক হচ্ছেনা। বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে এতো জঘণ্য রকমের খেলা চালাচ্ছে। ভয়ে কিছুই বলতে পারছি না দেশের বাইরে থেকেও। আর কিভাবে খুব সাধারণ একজন রসরাজ দাসের সাহস হলো ফেসবুকে ইসলামকে অবমাননা করার? দেশের কোনো হিন্দুদের সেই সাহসেই কুলাবে না ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিজনক কোনো কিছু লেখার কিংবা মুখে বলার। এই যে আমি দেশের বাইরে আছি, কতো ধরণের অসঙ্গতিপূর্ণ কথা শুনি, কতো বাজে রকমের মন্তব্য হিন্দুদের নিয়ে তাও লেখার কথা ভাবতেই পারিনা। নিজের জন্য ভয় পাইনা, ভয় করে আত্মীয়-স্বজন, প্রিয় মানুষ যারা দেশে আছে, তাদের জন্য। সেখানে কিভাবে একজন রসরাজ দাসের সাহস হবে ফেসবুকে কাবাশরীফের উপর শিবের মূর্তি দিয়ে ছবি পোষ্ট করার? এক বাবরী মসজিদ ভেঙ্গেছিলো ভারতের লোকজন, তার জন্য কোপ খেলো বাংলাদেশের হিন্দুরা, আর ধর্ষিত হলো শিশু থেকে নারীরা। তারপর থেকেই শুরু হলো প্রকাশ্যে মন্দির ভাঙ্গা, মূর্তি ভাঙ্গা। এতোদিন জানতাম বিএনপি-জামায়াতরা এসব করছে। এখন তো দেশে আওয়ামী লীগের সরকার। কই উনারা? আর কি দরকার রেখে আমাদের? মালাউনদের এই ৩% ভোটব্যাঙ্ক রেখে কি করবেন? তারচেয়ে একসাথে পিটিয়ে বের করে দিলেই তো পারেন। দেশের ইসলামধারী মহান মনিষীরা এক হউন এবং একেকজন মালাউনদের উচিৎ শিক্ষা দিন। জানিয়ে দিন বাংলাদেশ মালাউনদের জন্য নয়। হে ধর্ম প্রেমিকেরা যারা দেশকে ভালোবাসেন, বড়ো বড়ো কথা বলেন তাদের কাছে আবেদন এসব মালাউনদের একেবারে মুক্তি দিন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ বাংলাদেশের হিন্দুগুলোর কোনো কূলই নেই। চৌকির তলা আর আগরতলা একই। কিছু বললেই শুনতে হয় ভারতেও তো মুসলমানদের নিয়ে এরচেয়ে অনেক বেশী হয়! তার মানেটা কি! কি বলতে চান সবাই? ভারতে মুসলমান মার খেলে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর দিয়ে প্রতিশোধ নেয়া হবে? ভারতে যে পরিমাণ মুসলমান সে পরিমাণ তো বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানেও নেই। ভারত নিয়ে মাথা ঘামাই না আমি। আমার বাবা-মা ভারতের না, আমার জন্ম ভারতে না। আমি সুযোগ পেয়েও ভারতে গিয়ে থাকিনি। এমনকি আমার বাবা-মা-বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজনেরাও না।
Thumbnails managed by ThumbPress
৩২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
যথার্থ লিখেছেন আপু এর বেশি কিছু বলার দরকার নেই শুধু বলি সহমত আপনার সাথে আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া সহমত বুঝলাম। কিন্তু এই সহমত থেকে কোনো কি লাভ হয়েছে? বলুন তো আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ এমন কি করেছেন যাতে বাংলাদেশের হিন্দুরা লাভবান হবে? আমি আমার বন্ধু্র মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্যে লিখেছিলাম, এভাবেই আরোও ঘটবে। তখনও এভাবেই ফেসবুকে ঝড় উঠবে। কিছু হিন্দুরা পোষ্ট দেবে স্ট্যাটাসে। প্রোফাইলের ছবি সরিয়ে শোকের কালো ছবি রাখবে। আর কিছুই হবেনা। তাও প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক করবে শুধুই হিন্দুরা। অন্যরা না।
অনেক ক্ষোভ জমে আছে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ইঞ্জা
আপু পারলে আমার টাইমলাইন ঘুরে আসুন, আর শুধু আমি না অনেকেই অনেকেই প্রতিবাদ করছে,জানি এতে কিছু হবেনা এরপরেও বলতে চাই অন্য সকল ধর্মের সকল ভাই বোনদের সাথে আমরা আছি থাকবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া ঘুরে আসতে হবেনা, মানুষের মন চেনা যায়। আপনার অনেক বড়ো মন।
কিন্তু ১% ভালোর কাছে বাকী ৯৯% জয়ী হয়ে যায়। একটি পঁচা আম ১০ টি ভালো আম নষ্ট করে দেয়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর আমাদের জানা নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই তার মানে বলতে চান এমন ঘটনা আগামীতে আরোও ঘটবে?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমি নির্বাক,নির্বাক আরো সরকারের নীরবতাতো বটেই এক মন্ত্রীর কান্ডজ্ঞানহীন কথায় আরো স্পষ্ট হলো সরকারের ব্যার্থতা।দিদি অপ্রিয় হলেও সত্যি যে সে দিন নাসিরাবাদের ঘটনায় কিছু মুসলমানও প্রতিরোধ করেছিল কিন্তু প্রশাসন কি করেছে? তাদের নাকের ডগায় একের পর এক হামলা করছে অথচ প্রতিরোধের কোন দৃষ্টান্ত তাদের নেই।সুতরাং রাষ্ট্রকে আগে সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে।কেননা এখনো জনগণের মাঝে অসাম্প্রদায়িকতার লেস আছে যা সরকারের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমার মনে হয় এ সব ঘটনায় কোন না কোন যড়যন্ত্র কাজ করছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই খুব সত্যি একটা কথা বাংলাদেশের ১% মানুষ হিন্দুকে বাংলাদেশী হিসেবে ভাবে। যদিও এটা আমার মত। আর এই ১% এর জন্যই এখনও ৩% হিন্দু টিকে আছে। তবে সবচেয়ে বড়ো সত্য স্বাধীন দেশ হলো, কিন্তু হিন্দুরা কখনোই বাংলাদেশী হতে পারলোনা। এদেরকে মালাউন শুনতেই হয়েছে, আর এখনও আমাদের বলা হয় ভারতের চামচা। অথচ আমার পুরো পরিবার যুদ্ধের পরে ভারতে থেকে যাবার সুযোগ পেয়েও থাকেনি। বাপি দার্জিলিং চা’ বাগানে এসিট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরী পেয়েছিলো। পুরো যুদ্ধের সময় বাপি নিজেদের রেশন মুক্তিযোদ্ধাদের সাপ্লাই করেছিলো। ধরা পড়তে পড়তে কোনোক্রমে বেঁচে যায়। তারপরেও আমরা বাংলাদেশী হতে পারিনি। সবসময়ই শুনতে হয়েছে সুযোগ পেলেই নাকি ভারত চলে যাবো।
যে ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, মরছি তো আমরা।
ধন্যবাদ মনির ভাই।
অপার্থিব
// তনু, খাদিজাদের নিয়ে অনেক আন্দোলন হলো, ছোট্ট পুজা কি তাহলে গণিমতের মাল//
আজকাল পত্রিকা খুললেই অনেক ধর্ষণের খবর চোখে পড়ে, তার মধ্যে অনেক শিশুও আছে তবে ছোট্ট পুজা স্রেফ তার হিন্দু পরিচয়ের কারণে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে এমন কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি আমার জানা মতে কাজেই এটাকে অন্য শিশু ধর্ষণের সাথেই তুলনা করা উচিত । আসলে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম যতদিন থাকবে ততদিন অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন কখনো সফল হবে না। এই সংখ্যাগরিষ্ঠের শক্তি তথা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এই সব দাঙ্গাকারীর জন্য এক ধরনের মনস্তাত্বিক সুরক্ষার জায়গা তৈরী করে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুনুন অপার্থিব অনেক শিশুও আছে, হুম আছে। কিন্তু সব খবরে আসেনা। যা যা আসে, তার ভিত্তিতেই আমরা আন্দোলন করি। যেমন তনু-খাদিজা এসেছে, পুজারও খবর এসেছে খুব ছোট্ট করে। আমি কোনো ধর্ষণেরই পক্ষে নই। বহু তনু-খাদিজা এমনভাবে আক্রান্ত হয়েছে, খবর হয়েছে কিন্তু তনু-খাদিজারই। তাহলে পুজার জন্য কেন নয়?
রাষ্ট্রধর্ম এ জীবনেও বদলাবে না। জানেন ১৯৮৫ সালে ঢাকা নিউমার্কেটে গেছি মা এবং মাসীদের সাথে। তখন ছিলো রোজা মাস। আমার সবকিছু মনে আছে। কেনাকাটা করতে গেছি, বড়ো মাসী বললো ওই শাড়ীটা দেখান। দোকানদার বললো ওটা আপনাদের জন্য না। মাসী বললো বুঝলাম না। কাদের জন্য? কেউ অর্ডার দিয়েছে? দোকানদার তারপরে বললো জ্বি ওটা অর্ডারের। যাক দোকান থেকে বের হয়ে এলাম। অমনি শুনছি দোকানদার বলছে, “শালার মালাউনের জাত, এগুলা এই রোজামাসে আসে ক্যান? পুজার সময়ও জ্বালায়, রোজার সময়ও।” বড়ো মাসী এসে বললো তখন, “মুখ সামলে কথা বলবেন। এই যে বললেন কথাটা আপনারা বড়ো করে লিখে রাখুন দোকানে রোজার সময় মুসলমান ছাড়া আর কারো প্রবেশ নিষেধ।” বড়ো মাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় ফার্ষ্ট ক্লাশ পাওয়া মেয়ে, জানতে চেয়েছিলাম মালাউন মানে কি? মাসী শুধু বললো “বড়ো হও, তারপর জানবে।”
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পুঁজাকে এদেশের ধর্মান্ধ একটা গ্রুপ এমন ভাবতে পারে কিন্তু এই পুঁজাই আজ সাধারণ মায়েদের মাঠে নামিয়েছে। পুঁজাকে কেন্দ্র করে যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে সেটা থেকেই ‘Safe Women’ নামের একটা গ্রুপের সৃষ্টি। গ্রুপটি মাঠে নেমে এসেছে। আমি নিজে এটাতে কাজ করছি। আমার দুটো পোস্ট সোনেলা’য় পড়লেই বুঝতে পারবেন। পুঁজাদের কেউ কেউ গনিমতের মাল, বিত্তহীন রাস্তার মেয়ে মনে করলেও যারা সত্যিকারের মানুষ তাদের বিবেক নাড়া খেয়েছে এবং এ সংখ্যাটাই বেশি।
নামুন, নেমে আসুন। ‘Safe Women’ এখন থেকে এ নিয়ে কাজ করবে। ‘Safe Women’ কাজের পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই রাস্তায় আপনাদের সহযোগিতা চাইবে গণসচেতনতা জাগিয়ে তোলার প্রয়োজনে। সরকারকে, প্রশাসনকে, বিবেককে নাড়াতে হবে। মানুশকে জাগাতে হবে।
অই কতোগুলো পাষণ্ড ধর্মান্ধদের কারণে নিজেদের দুর্বল ভেবে পিছপা হবেন না। এদেশ আমার আপনার সকলের। যে দেশকে ভালোবাসবে দেশটি তারই।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা’পু পুজাকে কেন্দ্র করে ‘Safe Women’ গ্রুপের সৃষ্টি, সে কথা আমার জানা ছিলোনা। তবে ওই কতোগুলো পাষন্ডদের কেউ কি চেনেনা, জানেনা? যদি গুটিকয়েকই হয়ে থাকে কেন তাদেরকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছেনা? বারবার মার খাচ্ছি আমরা, কতো কথা যে শুনতে হয়েছে। তারপরেও কখনো সাম্প্রদায়িক হিংস্রতা দিয়ে মনকে জড়াইনি। সেই বাবরি মসজিদ থেকে আজকের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেদিন নয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার ছিলোনা, আজ কিনা সেই দলেরই মন্ত্রী বলে মালাউনের বাচ্চা। তারপরেও ওই মন্ত্রী টিকে আছে। আজ বলছি রুবা’পু অনেকবার শুনতে হয়েছে আমরা বাংলাদেশে আছি কেন? অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যাইনি। কেন যাইনি? ভালোবাসি বলে যাইনি। কারণ বাংলাদেশ আমাদের দেশ। কিন্তু আসলেই কি আমাদের?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কষ্ট পাই রে দিদি এমন আক্ষেপ শুনলে। নিজের দেশ অথচ কেবলে সংখ্যার বিবেচনায় আক্রান্ত। মনুষ্য জাতিও যখন পশুদের মতো সংখ্যার বিবেচনায় ক্ষমতার দম্ভে অনাচার করে তখন নিজেকে মনুষ্য প্রজাতির একজন ভাবতে কেমন অস্বস্তি লাগে।
আর দেখো ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় আমেরিকায় মুসলমানরা এখন আতঙ্কে। এখানে বাংলাদেশে হিন্দুরা, আর ওখানে….তবুও কি বোধোদয় ঘটবে মানুষের?
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা’পু আমি মনে করিনা ট্রাম্প জয়ী হওয়াতে মুসলমানেদের কোনো ক্ষতি হবে। ক্ষতি তাদেরই হবে যারা অবৈধভাবে আমেরিকায় আছে এবং যারা সন্ত্রাসী। আর সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, এ কথা তো আমরা সকলেই বলি। যদিও এ কথাও সত্য, “নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”—উত্তর তার না। এসব সন্ত্রাসীদের মারতে গিয়ে অনেক সৎ মানুষেরও ক্ষতি হবে জানি। ট্রাম্প পলিটিশিয়ান না, আমাদের দেশে এভাবে যদি কেউ একজন আসতো, দেশটা অনেক দূর এগিয়ে যেতো।
মিষ্টি জিন
আপু . কোন উত্তর নাই…
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু কেন উত্তর নেই? তার মানে আবারও এমন ঘটবে? আর এভাবেই লিখেই যাবো?
মিষ্টি জিন
আপু কেন উত্তর নাই তা বলতে গেলে অনেক কথা হবে কিন্তু কোন সমাধান হবে না।তবে আমরা চাই এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটুক।এই দেশ সবার। সব ধর্ম্বাম্বলির। ভাল থেকো । এ টাইট হাগ ফর ইউ।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু তুমিও ভালো থেকো।
থ্যাঙ্কস ফর ইওর ওয়ার্ম হাগ।
নাসির সারওয়ার
জানিনা এর উত্তর কার কাছে আছে। তবে এভাবে চলতে পারেনা। অপেক্ষা শুধু থেমে যাবার ক্ষন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ উত্তর আমি জানি। এমন আরোও হবে। সবাই এভাবেই লিখবেন, বলবেন গুটিকয়েকের জন্য এসব ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাংলাদেশের হিন্দুরা নিজেদের আস্ত জীবন দিয়ে দিলেও তাদেরকে মালাউন বলেই গালি দেবে আর মাটিতে মিশে গেলেও ভারতের চামচাই বলবে।
ভাইয়ূ এই যে এমন একটা ঘটনা ঘটলো, প্রতিবাদস্বরূপ আপনি কি কিছু করেছেন?
ভালো থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি এই সরকারের নিলজ্জতা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারিনা। এর উত্তর এই সরকার বেহায়া ।
আপনার পস্টের সংগে সহমত সহত নিলজ্জ একটি শব্দ ছাড়া কিছুই দিতে পারছিনা ক্ষমা করুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই এই সরকার বেহায়া নাকি হায়া আমার মোটেও জানার ইচ্ছে নেই। দেশের জনগণ চাইলেই সরকার বদল করতে পারে, এতোটাই শক্তি। আজ যদি সবাই মিলে এই ঘটনার প্রতিবাদ শুধু নয়, পাশে এসে দাঁড়াতো, তাহলে এতোকিছু হতোনা। এই শুনি মন্দির ভাঙ্গে, এই মুর্তি। যতো ইচ্ছে হয় ভাঙ্গুক। কিন্তু কেন মানুষের ঘরে এসে ভাঙ্গচুর করবে? কেন? হিসেবের খাতায় জমা হচ্ছে, পাপ বাপকেও ছাড়েনা।
অনেক ক্ষোভ জমেছে মজিবর ভাই। তাই বললাম আপনাকে।
মোঃ মজিবর রহমান
কাকে আনবেন দেশে এই দুই দল নতুন কোন নেতৃত্বও হতেই দেবেনা। আর এখন মানুসের মাঝে জেল জুলুম সহ্য করে মানব সেবা করার মানবিক গুনই বা ইচ্ছা দেখছিনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই অনেক ছোটবেলায় গল্পে শুনেছি কলিকালে কি কি হয়। মনে পড়ে আমার দিদিমা গল্প করতো, অন্যায়ের বিপক্ষে কোনো ন্যায় স্থান পাবেনা, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হবে। সবই হচ্ছে।
হায়রে কলিকাল
ছাগলে চাটে বাঘের গাল।
সঞ্জয় কুমার
আমি আপনার ভাই হতে পারি , বন্ধু হতে পারি ।
তবুও দিন শেষে আমার একটাই পরিচয় ।
আমি মালাউন
হ্যাঁ এটাই সত্যি !!!! চরম অপ্রিয় সত্যি এটাই । সেটা আপনি মানেন আর না মানেন ।
আমি সত্যিই অভিশপ্ত !!! নয়তো বাংলাদেশে জন্মাব কেন ?
আমার ফেসবুকের টাইম লাইনে লিখেছি ।
এসব ঘটনায় বেশিরভাগ নিরব থাকেন । আপনারা জানেন না । আপনাদের নীরবতা আমাদের কতটা কাঁদায় । হৃদয় টা কতখানি ক্ষতবিক্ষত করে । আপনারা নিরব থাকেন বলেই ওরা সাহস পায় ।
আপনাদের নিরব সম্মতি ওদের আরও উৎসাহ যোগায় । প্লিজ আমাদের বাঁচতে দিন । আমরা এদেশ ছেড়ে যেতে চাই না ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে দয়াভিক্ষা চাইলে দয়া করবে না। কারণ তাদের মনে যদি দয়া-মায়া থাকতো, তাহলে এমন করতো না।
দেশে এখন যা সব চলছে, ভয় হয় একদিন না আরেক আফগানিস্তান হয়ে যায়।
সঞ্জয় কুমার
হলেও অসম্ভব নয় ।
মুসলিম রা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে । শুধু হিন্দুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সমাধান অসম্ভব
নীলাঞ্জনা নীলা
সে তো অবশ্যই। ৩% হিন্দু কি আর করতে পারবে?
আর সত্যি বলতে গেলে বাংলাদেশের হিন্দুরা শক্ত মনের নয়।
অরুনি মায়া অনু
ইসলাম কখনোই বলেনি অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর অত্যাচার করতে। এরপরেও যারা করে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধী। আর একজন মুসলমান হিসেবে আমি অন্যায়কে সমর্থন করিনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মানব ধর্মের কাছে জন্মগত ধর্ম বড়ো হয়ে গেছে।
আর তাই দেশটার আজ এই অবস্থা।
ব্লগার সজীব
এমন দেশ আমরা চাইনি দিদি, ১৯৭১ এর স্বাধীনতার যুদ্ধ এমন দেশের জন্য হয়নি। কি বলবো কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা দিন দিন পালটে যাচ্ছি। স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি, প্রতিরোধ করতে পারছি না।
হিন্দুদের মন্দির ভাংলে ধর্মীয় চেতনায় আঘাত লাগে না। যত চেতনা সব মুসলিমদের।
এর কি শেষ নেই?
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া মন্দির ভাঙ্গুক, কেন মানুষগুলোর ঘর ভাঙ্গে? কি অপরাধ তাদের, জন্মসূত্রে হিন্দু?
অনেক হিন্দু সুযোগ পেয়েও ভারত গিয়ে থাকেনি। কারণ তারা সত্যিই এই দেশটাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমরা শুধু মালাউন হয়েই রইলাম, বাংলাদেশী হতে পারলাম না। দুঃখ এখানেই। বাংলাদেশী বললে এখন বেশীরভাগ মানুষ কেমন একটা চোখে তাকায়, আপনি ভাবতেও পারবেন না।
না ভাইয়া এর শেষ নেই। আবারও হবে। এভাবেই হয়তো আমি নয়তো আর কেউ লিখবে।
যতোদিন না দেশ থেকে সব মালাউনের মৃত্যু হবে, ততোদিন চলতেই থাকবে।