আমি-প্রভু-সকিনা বেশ্যা

পাগলা জাঈদ ২৫ অক্টোবর ২০১৬, মঙ্গলবার, ১১:৪৪:২৪পূর্বাহ্ন কবিতা ৯ মন্তব্য

কাইল রাইতে প্রভু আইছিল
মালের কি বেদম পিনিক
আমার তো খেয়ালই নাই যে হে আমারে বানাইছে
আমি ক্যাল ক্যাল কইরা হাসতাছি
আর তিনারে মাল সাধতাছি।

অনেকগুলান সাদা ইঁন্দুর হাতে নিয়া তিনি গইর্জা উঠলেন-
'বেআদব, তোকে আমি মৃত্যুর পর নরকে পাঠাবো'

আমিও গর্জন দিয়া হাইসা উইঠা মুখে হাত চাপা দিলাম
(মুখে তো মালের গন্ধ)
তেনারে কইলাম-
'হে প্রভু, আপনে তাইলে কইতে চান অহন আমি দোযখে নাই?

আপনে তো জানেন সকিনা অহনো পাপ করে
হেতি আমার বউ কিন্তুক রোজ রাইতে নয়া বেডার লগে যায়
বহুত ট্যাকা কামায়
হেই ট্যাকা দিয়া পোলারে ইস্কুলে পাডায়
আমার কাইট্টা পরা হাতের চিকিৎসা করায়
রোজ হাইঞ্জা কালে আমারে এক বোতল মাল কিন্না দেয়
তারপর আবার নয়া বেডা।

হেইদিন কি কইল জানেন প্রভু ?
কইল- পরাণের বাপ, আইজ যে এক মাইনষে কি করা করল গো
এই তের বছরেও তুমি হেমুন করতে পারনাই
ব্যাডা একখান যব্বর পুরুষ।

আবার কি কয় জানেন প্রভু ?
কয়- ও পরাণের বাপ, আমারে খানিক বিষ দিতে পারো না
আর তো সইজ্য অয়না, আর পারিনা এই পাপকাম করতে।

হে হে হে
প্রভু- এক চুমুক মাল খান
পিনিকে পিনিকে
হেইর পর নাইলে ভাইবেন আমারারে কই পাডাইবেন
দোযখে নাকি সোর্গে।

0 Shares

৯টি মন্তব্য

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    লেখাটায় সেই কবি আবু জাঈদকে পাওয়া গেলোনা।
    অবশ্য এ আমার মত।
    যদিও সমাজের বিভিন্ন স্তরে এমন ঘটনা হর-হামেশাই ঘটে চলছে। কিন্তু তবুও কি একটা অভাব যেনো কবিতার ছত্রে ছত্রে। বুঝে উঠতে পারছিনা।

    আমার একটা দোষ কড়া সমালোচনা করি এবং আমার গুণ সঠিক সমালোচনা নিতেও পারি।

  • অনিকেত নন্দিনী

    লেখায় ধার আছে বটে!
    আগেও আপনার লেখা পড়েছি কিনা মনে পড়ছেনা। সকিনারা সমাজের যে স্তরে থাকে সেখানে এমনটিই হয়। সকিনারা রোজকার রোজগার করতে হাজারবার মরে।

  • মৌনতা রিতু

    আমার উনার চাকরিসূত্রে বিভিন্ন যায়গা ঘুরি। বর্তমানে যেখানে আছি সেখানে আমার বাসার পাশেই এক ভদ্রমহিলা আছেন। স্বামী মারা গেছে আজ পনেরো বছর। রেখে গেছে চার সন্তান। কিন্তু সহায় সম্বল ঐ এক খন্ড ভিটের উপর টিনের দুই রুমের বাড়ি ছাড়া কিছুই নেই। কেউ তেমন মেশে না তার সাথে। তাকে শুনিয়ে বলবে হাজারও কটু কথা। অথচ সাহায্য করবে না ওক মুঠো ভাত তার শিশু সন্তানদের। একদিন আলাপ করি তার সাথে। আমার যেচে কথা বলাতে আবেগে আপ্লুত হলো। যেচে বলল অনেক কথা। হ্যাঁ, তার ঐ শরিরই বাঁচিয়ে রেখেছিল কয়েকটা মুখ। এখন সে মুক্ত। ভদ্র পাড়ার নারীদের স্বামীরুপি পুরুষটিও যেতো একটু আলাদা শরীরের গন্ধ নিতে। কিন্তু দোষের ভাগি এই সব অবহেলিতরাই। আমি এসব বারবনিতার সাথে এক কাপ চা খেতেও রাজি কিন্তু রাজি নই দুর্নিতিগ্রস্থ উঁচু পাড়ার মানুষের সাথে বসতে।
    কবিতায় ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে। তবে নীলাআপুর সাথে একমত। আরো যেন কিছু বাকি ছিল।
    অনেক ধন্যবাদ।

    • আবু জাঈদ

      আসলে ওদের কষ্ট এত তীব্র যা পঙতি তে ফোঁটে না, তাই যতই লিখিনা কেন মনে হবে আরো কিছু বাকী, কি যেন নেই।

      আপনার সাহসী কথা খুবই ভাল লাগলো, ঢাকায় ভাসমান পতিতার অভাব নেই, আমি প্রায়ই রাতে ঘুড়ে বেড়াই, ওদের দেখলে যদি কথা বলতে হয় তো বইনা বলে ডাকি, অনেক সময় নিজে থেকেই জিজ্ঞেস করি ‘কিরে বইনা কেমন আছস’ এইটুকু ওদের এত ভাললাগে যা নিজের চোখে না দেখলে কেউ বুঝবে না

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ

Thumbnails managed by ThumbPress