
আমি তোমার জন্য এসেছি- (পর্ব-৫৭)
মা আপনার মিতুকে নিয়ে খেতে চলেন বলেই রুমে ঢুকলেন ফরিদ সাহেব।বড় মামী প্রিয়ার মতামত জানতে চাইলেন, আঙ্কেল আপনি কেন কষ্ট করছেন। আমি রোহানকে বলে দিয়েছে টেবিল খালি হলে আমরা সব মেয়েরা একসাথে যাব।
আঙ্কেল দুটো টেবিল লাগবে আমাদের জন্য মহিলা ২৫-৩০জন হবে বলেই হাসল প্রিয়া।প্রিয়ার কথায় সবাই খুশি হলো, আচ্ছা মা আমি রোহানের সাথে কথা বলে আপনাদের ডেকে পাঠাব।বেয়াইন সাহেবা আপনাদের কষ্ট ফেলছি দুঃখিত, বেয়াইন সাহেবা ক্ষমা করবেন।ফরিদ সাহেবের সাহেবের এমন কথায় মিরা চমকে ওঠল বেইন সাহেবা মানে! মানে আমরা বুঝি কিছুই না…
জ্বী মানে! কিসের জ্বী মানে আমি মিতুর একমাত্র ফুপিমনি আমি সে খেয়াল আছে সারাদিন বড় ভাবীর খোঁজ নিচ্ছেন।হা হা হা হা বুঝছি, আচ্ছা চলুক আড্ডা বলেই তিনিও মিরার সাথে গল্পে যোগ দিলেন।এবার মিতুর মা বললে ভাই সাহেব ও মিরা আমার একমাত্র ননদী, প্রিয়ার মম।আরে বাহ্ প্রিয়া আপনার মেয়ে,বেশ লক্ষী একটা মেয়ে গর্ভে ধরেছেন বোন খুব ভালো।আলহামদুলিল্লাহ্ আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন, অবশ্যই দোয়া করি প্রিয়া যে পরিবারে যাবে সেটাই স্বর্গ হয়ে যাবে।
মেয়ের প্রশংসায় মিরা আপ্লুত হলো সত্যি আমার মেয়েটা লক্ষী আল্লাহ্ যেন ওর মনের সব আশা পূর্ণ করে দেন।মিরা, বেগম শেখর,মেজ মামী,প্রিয়া, পিংকি, মাধবী সবাই একসাথে বসে গল্প করছে।মিষ্টি আন্টি তুমি আসছো “আমি তোমার জন্য এসেছি” বলেই ছোট্র অমি দৌঁড়ে প্রিয়ার কোলে চড়ে বসল।
প্রিয়া যেন আবার আরাফের মাঝে হারিয়ে গেল, সে এই কথাটা আরাফ ছাড়া কারো কাছেই শোনতে চায় না। সবাই অবাক হয়ে চেয়ে আছে ব্যাপার কি! মিতুর প্রশ্ন করলো আপ্পি, অমি তোমাকে চিনে কিভাবে?আরে নাহ্ গত পরশু তোর বিয়ে বাড়িতে পরিচয় তারপর একটু কথা হয়েছিলো।ও আচ্ছা।মিষ্টি আন্টি তুমি খুব সুন্দর বলেই অমি হেসে দিল, অমির কথায় রুমের সবাই হাসলো।
পাকনা ছেলে একটু খুব দুষ্ট হয়েছো, আমি সুন্দর তোমাকে কে বলছে?আমি জানি তো তুমি সুন্দর জানো মিষ্টি আন্টি আমার মমও খুব সুন্দর।তাই নাকি! হ্যাঁ আপ্পি অমির বাবা মা দুজনেই খুব সুন্দর।ভালো তো, মাধবী তুই যাকে দেখে ফিদা হয়ে গেছিলে ওনি অমির বাবা বলেই হাসলো পিংকি।
মিতু বললো আপ্পি জানিস অমির বাবার নাম আরাফ আমি ওনাকে যতবার দেখেছি ততবার তোমার বন্ধু গুন্ডা ছেলেটাকে ভেবেছি।প্রিয়া চমকে ওঠে মিতু বাদ দেও সে তো জাপান চলে গেছে বিয়ে করে সংসার করতেছে।তারপর অমি তুমি খেয়েছো? হ্যাঁ খেয়েছি ছোট্র অমি জবাব দিল মিষ্টি আন্টি তুমি খাবে না?খাব তো একটু পরে।
রোহানদের বিশাল পুরনো বাড়ি শহরে বর্তমানে এত বড় বাড়ি চোখে পড়ে না। ফরিদ সাহেব বলছিলেন রোহানের দাদার আমলে বিশাল বাড়িটা নির্মান করা হয়েছিলো। প্রিয়া শোনতে পেল পাশের রুমে বড় মামার গলার আওয়াজ মানে মুরব্বিরা কথা বলতেছে। অন্য রুমে রোহান বন্ধু-বান্ধব, মিতুদের বাড়ির কম বয়সি ছেলেরা খাওয়ার শেষে বসে আড্ডা দিচ্ছে।আরাফ ডেকোরেটরের ভিতরে সবার খাওয়া ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না,তাদের আসা- যাওয়া, কারো কোন সমস্যা হচ্ছে কি না সব পর্যাবেক্ষন করছিলো।ভাইয়া মিতুর ফুপাত বোন আসছে ওনারা বাড়ির মহিলারা সবাই এক সাথে খাবেন প্লীজ তুমি যদি দুটো টেবিল খালি করে দিতে!
খুব ভালো সিদ্ধান্ত তুমি ভিতরে যাও টেবিল খালি হলে আমি তোমাকে জানাব।আচ্ছা।ধন্যবাদ ভাইয়া রোহান চলে গেল, আরাফ কাজে মন দিল।মিষ্টি আন্টি আস আমার মম এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বলেই প্রিয়ার হাত ধরে ঢানতে শুরু করলো ছোট্র অমি।দাদুভাই মিষ্টি আন্টি তো এখনো খায় নাই, আগে খেয়ে নিক পরে পরিচিত হবে, আচ্চা দাদুমনি বলেই অমি বিছানা ছেড়ে নেমে চলে গেল।চাচীমা ভিতরে আসতে পারি.?
হ্যাঁ আস।চাচীমা রোহান ভাইয়া বলছে দুটো টেবিল খালি হয়েছে মহিলারা যারা খেতে যাবেন এখন যেতে পরের সিরিয়ালে পুরুষ খাবে।আচ্ছা তুমি যাও, আমরা আসছি বলেই বেগম ফরিদ প্রিয়াকে ডাকলো।
অমি ঘুরতে ঘুরতে ডেকোরেটরের ভিতরে গেল পাপা নেই বলেই ফিরে আসবে। আরাফ পিচন থেকে ডাকলো অমি আমাকে খোঁজছো? অমির মুখে হাসি ফুঁটে ওঠল হ্যাঁ পাপা তুমি নতুন পাঞ্জাবী পড়বে না? সবাই তো সেজেগুজে ঘুরছে আর তুমি রান্না করতেছো।হা হা হা হা বোকা ছেলে আমি রান্না করবো কেন! আমি বাবুচ্ছিদের রান্নার কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। তারপর এখানেও কাজ করছো পাপা আমার কষ্ট হচ্ছে,তুমি আমাকে।অভিমানের সুরে কথা গুলো বললো ছোট্র অমি। আরাফকে অমিকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করলো, ফরিদ সাহেব পাশের চেয়ারেই বসা ছিলো।আঙ্কেল আমি একটু বাসায় যাচ্ছি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে ১ খানেক পরে আসবো।আচ্ছা বাবা যাও সারাদিন অনেক পরিশ্রম করছো,রোহানেরা এদিকে দেখবো।
সত্যি অমি এখানে নতুন পরিবেশে এত তাড়াতাড়ি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে আমি চিন্তা করি নাই।আপনারা সবাই চলে আসুন প্লীজ প্রিয়ার কথা শোনে একে একে ২০ জন মহিলা ডেকোরেটর এর ভিতরে ঢুকে গেল।মহিলা আসছে দেখে আরাফ চলে গেল খাবারের দ্বায়ীত্ব নিয়েছে রোহানের চাচাত,মামাত ভাই আর বন্ধুরা।খাবার মেনু বেশ ভালো মানসম্মত গরু,খাসি, মুরগি,ডাল,মাছ,খাবার শেষে দই রাখা হয়েছে।ভাইজান এবার আমাদের বেরিয়ে পড়া উচিত বিকাল ৩ টা বাজে বলেই আজাদ শেখর সাহেবকে তাড়া দিলেন।
আরে না বেয়াইন আজ আর ছাড়ছি না কাল সকালের নাস্তা করে তারপর বাসায় ফেরার কথা ভাববেন। না ভাই সাহেব পুরো বাসা খালি ফেরতে হবে, আত্মীয় সস্পর্ক তো ১ দিনের জন্য না। সারাজীবনের জন্য তাই আমাদের মাঝে আসা যাওয়াটা সব সময় থাকবে ইনশাল্লাহ্।তা তো অবশ্যই আচ্ছা আপনারা বিশ্রাম করুন, আসর নামাজের পর রওনা হবেন বললেন ফরিদ সাহেব।শোন বলেই বেগম শেখ ডাকলেন! বলো সবাই তো একসাথে যাব না আফাতত বাস ছেড়ে যাক।।রাস্তায় এই সময় জ্যাম কম থাকে তুমি জিসানকে বলো ওদের পাঠিয়ে দিতে আমরা একটু পরে যাই।
বেগম শেখরের কথাটা শেখর সাহেবের মন মতো হলো আচ্ছা বলেই শেখন সাহেব বাইরে গেলেন।বড় ভাবী তুমি ঠিকই বলছো বাইরে প্রচুর রোদ একটু পরেই বের হই।ফুপিমনি আমরা মাইক্রোবাসে যাব রোদ লাগবে না বলেই জিসানের বউ হেসে দিল।
আরাফ আজ ফিরোজা রঙের পাজ্ঞাবী পড়েছে, অমিও সেইম পড়ছে। শ্রেয়াও কম যায় না সেও ফিরোজা রঙের শাড়ী পড়েছে।
শাড়ীটা রোহানের বিয়ে উপলক্ষে আরাফ কিনে দিয়েছিলো সাথে সব কসমেটিকস ও সবকিছু আরাফের পছন্দে।
প্রিয়ার প্রিয় রং টা কখন যে আরাফ প্রিয় হয়ে গেল সেটা গত ১২ বছরেও বুঝতে পারে নাই।
তবে কিছু ভালোবাসার কোন মানে হয় না,কোন অর্থ খোঁজে পাওয়া যায় না।। আরাফের জীবনের তেমনি একটা অধ্যায় জুড়ে প্রিয়ার বসবাস জানিনা কতদিন এই কষ্টটুকু বয়ে বেড়াতে হবে।
শেখর সাহেব বাড়ির বাইরের রুমের সোফায় বসে গল্প করছিলেন রোহানের মামা রোকন সাহেবের সাথে।আঙ্কেল আপনাদের মনের মতো আপ্যায়ন করতে পেরেছি কিনা জানি না ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।
আরে কি যে বলো না বাবা যে বাড়িতে তোমার মতো একজন মানুষ আছে সেখানে না খেলেও পেট ভরে যাবে।
আলহামদুলিল্লাহ্ খুব ভালো খেয়েছি, আরাফ বাবা রোহানের সাথে আমার বাসায় বেড়াতে যেও।
জ্বী আঙ্কেল অবশ্যই যাব, আমার জন্য দোয়া রাখবেন বলেই আরাফ পাশের সোফায় বসে পড়ল।
বিকাল হয়ে গেল এবার বিদায় নেবার পালা শেখর সাহেব, বড় মামী মিতুকে ছেড়ে যাবে ভেবে কেঁদেই শেষ।
প্রিয়ার চোখেও পানি সে চোখ মুছল, মেজ মামীকে দেখে মনেই হয় না এত মায়াবতী। অথচ মিতুকে জড়িয়ে ধরে বিয়ের দিন কি কান্নাটা না কাঁদলো আজও কেঁদেই চলছে। মিরা নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না কেঁদেই বলছে তারও একটা মেয়ে আছে সেটা প্রিয়া।তাকেও এভাবে পরের ঘরে পাঠাতে হবে..
……চলবে।
২১টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালোই ঘুরাচ্ছেন আমাদের প্রিয়া-আরাফের দেখা না করিয়ে। এটা ঠিক না একদম। শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল দিদি ভাই।
আমিও চাই খুব তাড়াতাড়ি আরাফ প্রিয়াকে সামনা সামনি আনতে, সেই ব্যবস্থা চলছে।
এক-দুই পর্বেই মধ্যেই দেখা হবে বাকিটা ওদের মুখেই শোনে নিবেন।
দিদি ভাই আমি চাচ্ছি উপন্যাসের শেষে ওদের মিলন ঘটাতে তাই অনেকটা দেরি হয়ে গেল। আর অপেক্ষা করতে হবে না ওদের দেখা হবে দর্শক তা জানতে পারবে। জানিনা সবার মনের মতো করে লিখতে পারছি কিনা, তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত।
আমার উপন্যাস লেখার শুরু থেকে সুপায়ন বড়ুয়া দাদা, আর আপনি সুপর্ণা ফাল্গুনী দিদি ভাই আমার লেখার নিয়মিত দর্শক। ইকরাম জিসান ভাইজান নিয়মিত উৎসাহ্ তুমি ভালো লিখো আরো অনেকেই শ্রদ্ধেয়ভাজন আছেন যারা নিয়মিত আমার লেখা পড়েন।আমি সবার নাম লিখতে পারছি না এই মানুষ গুলোর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকবেন দিদি ভাই,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ফয়জুল মহী
অকৃত্রিম ভালোবাসা কোন কিছুই মানে না।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইজান।
সুন্দর মন্তব্যে আপ্লুত হলাম, সত্যি অকৃত্রিম ভালোবাসা কিছুই মানে না” দারুন বলছেন।
কৃতজ্ঞতা জানাই ভাইজান আমার উপন্যাসের সব গুলো পর্ব পড়ার জন্য।।পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল..
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল ভাইজান।
নিতাই বাবু
হ্যাঁ দিদি, ঠিকমতোই এগিয়ে যাচ্ছেন। এই পর্বটাও খুবই ভালো লেগেছে। তো কত পর্ব পর্যন্ত আপনার লেখা “আমি তোমার জন্য এসেছি” গল্পটা শেষ হবে?
নিতাই বাবু
আর হ্যাঁ, প্রত্যেক পর্বে লেখার উপরে নিচে পর্বের লিংক সংযোজন করে দিলে ভালো হয়। এতে আপনার পাঠকের পর্বগুলো পড়তে সুবিধা হবে।
সুরাইয়া নার্গিস
আচ্ছা দাদা পরের পর্বে চেষ্টা করবো।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ রইল শ্রদ্ধেয় দাদা।
এত্তো সুন্দর মন্তব্য দেখে সত্যি কমেন্টস করে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা পাই না ভাইজান।
সত্যি আমি আবেগ আপ্লুত আপনার মতো শ্রদ্ধাভাজন গুনীজন মানুষ আমার লেখা নিয়মিত পড়েন।
এটা ব্লগ জীবনের আমার সেরা পাওয়া, আপনাদের স্নেহের হাত আমার মাথার উপর থাকলে ইনশাল্লাহ্ আরো ভালো লেখার অনুপ্রেরনা পাব।
শ্রদ্ধেয় দাদা পুরোটা লেখা শেষ হয়নি লিখতেছি, তবে ৬৩ পর্বে মনে হয় শেষ করতে পারবো।
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল, দোয়া রাখবেন আমার জন্য।
ভালো থাকবেন দাদা,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
আলমগীর সরকার লিটন
ভাল লেখছেন আপু
সুরাইয়া নার্গিস
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমার লেখা নিয়মিত পড়ে মতামত দিবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।।আপনাদের সবার উৎসাহে আমার প্রথম লেখা উপন্যাসটা আজ ৫৭ পর্ব লেখার সাহস পেলা।
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল দাদা।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আরে না বেয়াইন আজ আর ছাড়ছি না কাল সকালের নাস্তা করে তারপর বাসায় ফেরার কথা ভাববেন। না ভাই সাহেব পুরো বাসা খালি ফেরতে হবে, আত্মীয় সস্পর্ক তো ১ দিনের জন্য না। সারাজীবনের জন্য তাই আমাদের মাঝে আসা যাওয়াটা সব সময় থাকবে ইনশাল্লাহ্।—–সম্পর্কগুলো মজবুত আর দৃঢ় হোক। শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইজান।
এত্তো সুন্দর মন্তব্য দেখে সত্যি কমেন্টস করে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা পাই না ভাইজান।
সত্যি আমি আবেগ আপ্লুত আপনার মতো শ্রদ্ধাভাজন গুনীজন মানুষ আমার লেখা নিয়মিত পড়েন।
এটা ব্লগ জীবনের আমার সেরা পাওয়া, আপনাদের স্নেহের হাত আমার মাথার উপর থাকলে ইনশাল্লাহ্ আরো ভালো লেখার অনুপ্রেরনা পাব।
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল, দোয়া রাখবেন আমার জন্য।
ভালো থাকবেন ভাইজান,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
” আমি তোমার জন্য এসেছি ” আরাফের মুখ থেকে কবে শুনবো এই কথা! প্রিয়ার কথা জানতে জানতেই সব গুলো পর্ব খেয়ে ফেললাম, আরাফ তবু্ও মুখ খুললো না।
চলুক, পড়তে থাকি।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ মিষ্টি আপু।
অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে আবেগ আপ্লুত হলাম মিষ্টি আপু।
আমিও চাই খুব তাড়াতাড়ি আরাফ প্রিয়াকে সামনা সামনি আনতে, সেই ব্যবস্থা চলছে।
এক-দুই পর্বেই মধ্যেই দেখা হবে বাকিটা ওদের মুখেই শোনে নিবেন।
আপু আমি চাচ্ছি উপন্যাসের শেষে ওদের মিলন ঘটাতে তাই অনেকটা দেরি হয়ে গেল। আর অপেক্ষা করতে হবে না ওদের দেখা হবে দর্শক তা জানতে জানিনা সবার মনের মতো করে লিখতে পারছি কিনা।
মিষ্টি আপু আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আপনার প্রথম দিকের একটা মন্তব্য আমাকে পুরো উপন্যাসটা লেখার উৎসাহ্ দিয়েছে।
আর সুপায়ন বড়ুয়া দাদা, সুপর্ণা ফাল্গুনী দিদি ভাই আমার লেখার নিয়মিত দর্শক। ইকরাম জিসান ভাইজান নিয়মিত উৎসাহ্ তুমি ভালো লিখো আরো অনেকেই শ্রদ্ধেয়ভাজন আছেন যারা নিয়মিত আমার লেখা পড়েন।আমি সবার নাম লিখতে পারছি না এই মানুষ গুলোর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকবেন মিষ্টি আপু,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
তোমার লেখা অত্যন্ত ভালো তাতে কোনো সন্দেহ নেই আলিফ। তবে বিস্মিত হই তোমার সাহস দেখে। সোনেলায় তুমিই সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্লগার, অথচ কতো সুন্দর গোছানো এক উপন্যাস লিখে যাচ্ছো! এমন করে বিস্তারিত লিখতে অনেক সিনিয়র ব্লগারদেরও হিমসিম খেতে হয়। একনিষ্ঠ অধ্যাবসায়, লেখার প্রতি এমন আবেগ-আগ্রহ দেখে তোমার লেখক জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি।
আমি নিয়মিত কমেন্ট দিতে পারছি না। দৈনন্দিন ব্যস্ততা আমাকে নিয়মিত হতে দিচ্ছে না। কিন্তু তুমি জানো আমি তোমার কোনো পর্বই মিস করিনি 🙂
খুব, খুউউব ভালো থেকো।
ভালোবাসা নিরন্তর ❤❤
সুরাইয়া নার্গিস
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা অভিরাম মিষ্টি আপু।
সত্যি বলতে এমন উৎসা,অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যের জবাব কি লিখে দিতে হয়,আমার জানা নেই।
মিষ্টি আপু আপনার কমেন্টস পড়ে আবেগে আপ্লুত হলাম, আনন্দে চোখে পানি চলে আসল।
আমার ব্লগার জীবনের সেরা প্রাপ্তি ও সেরা অর্জন হয়ে থাকবে আপনার এই কমেন্টসটা।
ভালো থাকবেন আপু।
দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
পর্তুলিকা
৫৭ পর্ব চলছে! আমি মাত্র একটা পর্বই ভাগে পাইলাম!
আহারে, এখন আবার শুরু থেকে পড়া লাগবে 😭
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ আপু।
কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার নজরে আমার লেখা গিয়েছে, শুকরিয়া আপু পর্বটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। সমস্যা নেই আপু ফ্রি সময় আগের পর্ব গুলো পড়ে নিবেন, পরের পর্ব গুলো পড়ার অনুরোধ রইল।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
পর্বের শেষটা মেয়েদের বাপের বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে সেই চিরন্তন সত্যটা মনে করিয়ে দিলেন। ভালো লাগা অশেষ। প্রিয়ার চোখেও পানি সে চোখ মুছল, মেজ মামীকে দেখে মনেই হয় না এত মায়াবতী। অথচ মিতুকে জড়িয়ে ধরে বিয়ের দিন কি কান্নাটা না কাঁদলো আজও কেঁদেই চলছে। মিরা নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না কেঁদেই বলছে তারও একটা মেয়ে আছে সেটা প্রিয়া।তাকেও এভাবে পরের ঘরে পাঠাতে হবে……
শুভেচ্ছা রইল।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
গল্পে বাস্তব জীবনের বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
প্রতিটা মেয়েই মায়াবতী প্রিয়ার মেজ মামীএ তাদের একজন,কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক।
কৃতজ্ঞতা রইল শ্রদ্ধেয় ভাইজান আমার উপন্যাস নিয়মিত পড়ে আমাকে উৎসাহ্ দেওয়ার জন্য।
কতটা ভালো লিখতে পারি জানি না তবে আপনাদের মতো গুনীজনদের মন্তব্যে আবেগ আপ্লুত হই।
দোয়া রইল ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
গল্পে বাস্তব জীবনের বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
প্রতিটা মেয়েই মায়াবতী প্রিয়ার মেজ মামীএ তাদের একজন,কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক।
কৃতজ্ঞতা রইল শ্রদ্ধেয় ভাইজান আমার উপন্যাস নিয়মিত পড়ে আমাকে উৎসাহ্ দেওয়ার জন্য।
কতটা ভালো লিখতে পারি জানি না তবে আপনাদের মতো গুনীজনদের মন্তব্যে আবেগ আপ্লুত হই।
দোয়া রইল ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।