-কেমন আছো আরাফ..?
-জ্বী ভাবি ভালো আছি।
রন্টি,রনি আসে নাই ভাবি,
নাহ্! আমরা রাতেই ফিরবো তাই সাথে আনি নাই।
-ওহ্।
-ওদের পড়াশোনা আছে রন্টির স্যার রাতে পড়াতে আসবে তাই ওদের মায়ের কাছেই রেখে আসছি।
-ওহ্ স্যরি।
-আন্টি কেমন আছেন ভাবি.?
-মায়ের শরীরটা বেশি ভলো না, ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছি কাজ হচ্ছে না। বড় ভাইয়েরা অস্টেলিয়া থাকেন ওখানে আম্মা চলে যাবে, তারপর অস্টেলিয়া ভালো ডাক্তার দেখাবে চিকিৎসা করাবে।
-বেশ ভালো! বলেই আরাফ থামল।

-বসো আরাফ বলেই আরমান মায়ের পাশেই সোফায় বসতে ইশারা করলো, বড় ভাইয়ের আদেশ পেয়েই আরাফ মায়ের পাশেই বসলো।আরাফ এতক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলো কারন এখানে সবাই তার বয়সে বড় বায়োজৈষ্ঠ মানুষ, অনুমতি না পেলে বড়দের সামনে বসা উচিত নয়।
এটা ছোটবেলা মা-বাবা শিখিয়ে ছিলেন। পারিবারিক শিক্ষা গুলো আরাফ ভালো ভাবেই মনে রেখেছে, কারন পরিবার একটা শিশুর প্রথম স্কুল।

বাবা, মা, ভাইয়া, ভাবি বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়ে আলোচনা প্রায় শেষ করলো, আরমান রিতার দিকে তাকাল।
-এভাবে কতদিন চলবে নিজের দ্বায়ীত্বটা বুঝে নেও বিয়েটা তো করতে হবে বড় ভাবির এমন কথায় আরাফ কিছুটা লজ্জা পেল।
-আচ্ছা তোমার নিজের কোন পছন্দের মেয়ে আছে..?
থাকলে বলো আব্বা কথা বলবে না থাকলে আমাদের কষ্ট করে পাত্রী খোঁজতে হবে, কথা গুলো বলেই থামলেন বড় ভাবি।
-হ্যাঁ। বাবা তোমার কোন পছন্দ থাকলো বলো। সে যে পরিবার বা আর্থিক অবস্থা যাই হোক মেয়েটা ভালো হলে আমাদের কোন আপত্তি নেই বললেন মনোয়ারার।
-নাহ্ মা।
আমার কোন পছন্দ নেই আমি আফাতত বিয়ে নিয়ে ভাবছিনা না। বিয়ের বিষয়ে পরে জানাব বলেই আরাফ মাকে থামিয়ে দিলেন কারন প্রিয়ার এখনো মতামত পায়নি ওর সাথে কথা বলে পরে জানানো যাবে।

-শোন আরাফ বাবা মায়ের বয়স হচ্ছে বিয়েটা ফরজ আমরা চাই তোমার বিয়ে দিয়ে সংসারী দেখতে, ঘরে নাতি,নাতনির মুখ দেখতে চাই তোমাকে সুখি দেখতে চাই।
-আরমান তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখছে সেটা নিয়ে কথা বলার জন্যই তোমাকে ডাকা হয়েছে। আকরাম সাহেব কথা শেষ আরাফ মনযোগ দিয়ে সবার কথা শোনছিলো। বড় ভাইয়া বলতে শুরু করলেন আমার অফিস কলিগ মেজর শফিক সাহেবকে তো তুমি চিন?
ওই যে স্বাস্থ্য একটু বেশি ভালো, তাই সবাই মোটা শফিক বলে ক্ষেপায়

আরামানের এমন কথায় রুমের সবাই হাসতে শুরু করলো।

-জ্বি ভাইয়া আমি মেজর শফিককে চিনি কিছুদিন আগে সস্ত্রীক আমার সাথে দেখা হয়েছিলো। তোমার পরিচয় দিলাম তারপর তো কথায় নেই, অনেক গল্প করলেন। ওনাদের গাড়িতে আমাকে পৌঁছে দিলেন বললো আরাফ।
ওহ্! তাই নাকি তাহলে আরো ভালো। তোমরা পরিচিত হয়েছো! শোন শফিক সাহেব তোমাকে খুব পছন্দ করেন ওনার মেয়ে নাম তানিয়া। ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করছে বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছে।
মেজর শফিক সাহেবের বাসা ঢাকা মাহাখালিতে স্বপরিবারে থাকেন।

  • আমি তানিয়াকে দেখেছি বেশ সুন্দর লম্বা...

.....চলবে।

সুরাইয়া নার্গিস আলিফ।

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ