বন্ধুরা, আমায় তোমরা ঘৃণা করো
ডেকোনাকো আমাকে আর তোমাদের আসরে।
কি লিখি, কি গাই
দেখো না, শুনোনাকো আর
খুঁজোনাকো মিল আর কোনকিছুরই।
আমায় তোমরা ক্ষমা করো প্লিজ।
এক অসুস্থ হৃদয়ের লেখা পড়ো নাকো আর।
আমি অসুস্থ
আমি উন্মাদ
আমি হতচ্ছাড়া
এদের লেখা পড়োনাকো আর!
তোমরাই বলো কিইবা দেয় এরা?
তোমার ক্ষতে কুসুম গরম উষ্ণতা নিয়োনাকো আর।
এ সাময়িক, মেকি
এ ভুল, এ বিলাপ।
বন্ধুরা, এরা ভোলেনা, এরা অবুঝ
পরিপূর্ণ মানুষ এরা হয় কি করে?
আমি নিজেই নিজেকে এখন ঘৃণা করি
নিজেই নিজেকে বলি “ছিহ্”!
আমি চাই সবাই মিলে তোমরাও
আকাশ বাতাস ভারি করে
দীর্ঘ প্রতিধ্বনি-অনুরনন মিলিয়ে
একসাথে সবাই বলে ওঠো
“ছিহ্”!!!
আমি তখন লজ্জায়, ঘৃণায় ভাংতে ভাংতে
মিলিয়ে যাই ঐ ধুলিকণার স্রোতে।
আমায় তোমরা ঘৃণা করো।
১৯টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘৃনা কিভাবে করতে হয়? শিখিয়ে দিতে হবে -{@
অরণ্য
না আপু ঘৃনা শিখতে নেই। বরং শেখা যেতে পারে পুঞ্জিভুত ঘৃনা কিভাবে শক্তিতে রূপান্তর করা যায় অনেকটা ডিনামাইটের ব্যবহারের মত। তবে আপনার যেন তা না হয়। ভালোবাসার শক্তি সেও অসীম। সেটির দিকে নজর দেয়াই স্বাভাবিক মানুষদের কাজ। আপনার যেন তাই হয়।
আবির
ঘৃণার সংজ্ঞা জানি না, ঘৃণা কিভাবে করতে হয়?
অরণ্য
খুবই ভালো কথা। ও আপনাকে শিখতে হবে না। না শিখেই যেন আপনাকে জীবন পার করে দিতে হয়। একটা গল্প বলি আপনাকে। কোন এক জাতি চুরি শব্দের সাথে পরিচিত ছিল না। কোন এক ভদ্রলোক (?) সেখানে গিয়ে এক লোককে বলল যাও ঐ যে ছাগলটা মাঠে চরছে ওটা চুরি করে নিয়ে এসো। মানুষটি জিজ্ঞেস করল চুরি কি? ভদ্রলোকের (?) উত্তর – ঐ ছাগলটা কি তোমার? ওটা অন্যের তাই না? ওটা যে তুমি ওর মালিককে না বলে নিয়ে আসবে এবং আমরা রান্না করে নিয়ে খেয়ে ফেলব এটাই চুরি। মানুষটির উত্তর – তা দরকার কেন, ওকে বললেই তো ছাগলটা আপনাকে দিয়ে দিতে পারে।চুরি করতে হবে কেন? চুরি ঢুকে গেল ঐ জাতিতে। আপনাকে ঘৃণা শিখতে হবে না। ভালোবাসার সংজ্ঞা ভাল করে জানা থাকলে ঘৃণা না জানা কখনই অপরাধ হবে না। আপনার জন্য শুভ কামনা।
মামুন
ঘৃনার বদলে ” আমায় তোমরা ভালোবাসো” এটা হলে কেমন হয়?
অরণ্য
মামুন ভাই, আমি আমার ঘৃণা থেকেই ভালোবাসার জন্ম দেব ভাবছি। ঘৃণা কাঁচামালের একটু ঘাটতি আছে। ওটুকু আরেকটু জমলেই বোধহয় তা হয়ে যাবে। তখন আর মনে হয় বলা হয়ে উঠবে না “আমায় তোমরা ভালোবাসো”। না বললেও ভালোবাসা পেয়েই যাব তখন, কি বলেন?
খেয়ালী মেয়ে
সবাই ভালোবাসা চায়-আপনি ঘৃনা চাচ্ছেন- এটা কি সবার বিপরীতে থাকার ইচ্ছে?
অরণ্য
খেয়ালী মেয়ে, আপনার মন্তব্যে পুরোনো দুটি লাইন মনে পড়ল।
“সকলের মাঝে আজ হতেছি আলাদা
আজ আমার চোখেই শুধু ধাঁধা।”
ইন্টেনশানালি নিজেকে আলাদা করার জন্য এ লেখা নয়।
ছাইরাছ হেলাল
ঘৃনা-ফৃনা করতে পারব না। আপনি নিজে নিজে করে নিয়ে আমাদের ফলাফল
জানিয়ে দিলেই হবে।
অরণ্য
ছাইরাছ ভাই, আসলে আমার নিজেকে ভাঙ্গা দরকার আমি টের পাচ্ছি, কিন্তু কেন জানি পুরোটা ভাংতে পারছিনা। ভালোবাসা, মোহ এগুলোর শক্তি আছি আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি ঘৃণারও শক্তি যে অনেক। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। আমাকে ভাংতে অনেক শক্তি চাই। না ভাংলে যে আর গড়তে পারছি না ভাই!
শুন্য শুন্যালয়
যন্ত্রণা যখন লেখায় ফুঁটে ওঠে, তখন সমবেদনায় হয়তো বলবো মন ভালো হয়ে যাক। ঘৃনা করতে বলছেন? সেতো খুব সহজ, এখন থেকেই শুরু করতে পারি। আমাদের ভালোবাসার ক্ষমতাই শুধু হারিয়ে গেছে ঘৃণার নয়। সাময়িক, মেকি, ভুল ও আমাদের সয়ে গেছে, চিন্তা করবেন না। ভালো থাকুন সবসময়।
অরণ্য
আপনি তো দেখছি আমাকেও ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন – “আমাদের ভালোবাসার ক্ষমতাই শুধু হারিয়ে গেছে ঘৃণার নয়”। নিয়মিত ভালোবাসার এক্সারসাইজ করুন।ভালোবাসা, বিশ্বাস – এদেরও কিছু এক্সারসাইজ আছে। Love life. Love yourself. Believe yourself. ভালো থাকবেন।
অরণ্য
শুন্য শুন্যালয়, উপরের মন্তব্যটি আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঘৃণা তার উপর আপনাকে।এ অসম্ভব এতো সুন্দর করে লিখেন যেখানে জীবন্ত মনে হয়। -{@ -{@ ঘৃণা নয় অভিনন্দন এবং বিজয়ের শুভেচ্ছা। -{@
অরণ্য
মনির ভাই, বিজয়ের শুভেচ্ছা আপনাকেও। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় আসলে কি লিখছি, কেন লিখছি? আদৌ কি আমার লেখার কথা ছিল এ রকম করে?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ ভাবনাটা সবার মাঝে আসে না, খুব কম লোকই এমনটি ভাবেন।অয়েল ডান প্রিয়। -{@
অরণ্য
মনির ভাই, আপনার ফিরতি মন্তব্য পেয়ে মনটাতে কোথায় যেন একটা ভালোলাগা হিম হিম হাওয়া বলে গেল। খুব রিফ্রেশিং। থ্যাঙ্কস্।
লীলাবতী
আচ্ছা,বন্ধুর অনুরোধ রক্ষা করা কর্তব্য। ভালো লিখেছেন।
অরণ্য
ধন্যবাদ লীলাবতী। মানুষ নামের আমরা যন্ত্রগুলো কম্পিউটার থেকেও অনেক জটিল আর ডাইনামিক। আবার সুন্দরও।