মহামারি ঘাতক করোনাকালে দেশের নিম্নাঞ্চলে বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত অবস্থায়ও গত হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উৎসব। তো সোনেলা ব্লগের সম্মানিত ব্লগারবৃন্দ কে কোথায় কোন অবস্থায় আছেন, তা আমার অজানা। তবুও ইসলাম ধর্মাবলম্বী সহ-ব্লগার ভাই ও বোনদের সবাইকে গত হওয়া পবিত্র ঈদ-উল-আজহা'র প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্লগ ব্লগিং ও ব্লগে মন্তব্য নিয়ে কিছুক্ষণ বকবক করতে চাই। আশা করি কেউ বিরক্ত না হয়ে আমার এই নগন্য লেখার সাথে থাকবেন এবং আমার দেখা ব্লগ ব্লগিং ও ব্লগে মন্তব্যের বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা জেনে নিন।
বর্তমানে মোবাইল ফোন হাতে-হাতে ছড়াছড়ি। ঘরে ঘরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ওয়াই ফাই নামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। একসময় কারোর হাতে মোবাইল ফোন দেখলেই, সামনে গিয়ে উঁকি মেরে দেখতাম। আর ভাবতাম, কী দিয়া যে তৈরি করলো এই মোবাইল! ঈশ! যদি আমি একটা কিনতে পারতাম!
এভাবে ভাবতে ভাবতে ২০০৬ ইং সালে নোকিয়া ১১১০ মডেলের ৩৬০০ টাকা দিয়ে একটা মোবাইল সেট নিজেই কিনে ফেললাম। সাথে ৫৫০ টাকা দিয়ে একটা বাংলালিঙ্ক সিম কার্ডও কিনলাম। এরপর থেকে শুরু করলাম, নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা অপরের সাথে কথা বলা এবং মেসেজের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে বার্তা পাঠানো।
এরপর ২০০৭ ইংরেজি সালে নোকিয়া N-73 মডেলের পুরাতন একটা মোবাইল সেট কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকি। তখনকার সময়ে নেটওয়ার্কভিত্তিক ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল GPRS সার্ভিস। GPRS এর পূর্ণরূপ হলো, General Packet Radio Service. সেসময় নোকিয়া বাটন মোবাইলের সেটিং থেকে কনফিগারেশন সেটিং করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হতো। নিজেও সেভাবেই সেটিং করে ইন্টারনেট ব্যহার করতাম। অনেক সময় নিজে নিজে কনফিগারেশন সেটিং করেও যখন ইন্টারনেট সংযোগ পেতাম না, তখন সরাসরি ব্যবহার করা নেটওয়ার্ক কোম্পানির হেল্পলাইন 121- এ কল করে কনফিগারেশন সেটিং পাঠাতে বলতাম। তখন তাঁরা অটোমেটিক কনফিগারেশন সেটিং পাঠালে, তা মোবাইলে সেভ করে নিতাম। এরপর বুকেরপাটা টান করে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করতাম। এটাই ছিলো আমার নিয়মিত অভ্যাস।
কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর মোবাইলটি আর ভালো লাগছিল না। ভালো না লাগার করণ ছিলো শুধু একটাই। তাহলে নোকিয়া N-73 মডেল মোবাইলে বাংলা লেখা যেতো না। আবার মোবাইল স্ক্রিনেও বাংলা লেখা প্রদর্শিত হতো না। এটাই ছিল ভালো না লাগার কারণ!
এরপর ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে নোকিয়া C-3 দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। তাতেও বাংলা লেখা যেতো না। মনের আক্ষেপ আর আফসোস শুধু থেকেই যেতো। তারপরও বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সার্চ করা ছিল আমার প্রতিদিনের রুটিনমাফিক কাজ। সেসব কাজের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ব্লগে উঁকি মারা সহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া-সহ আরও অনেককিছু। তবে বেশকিছু অনলাইনভিত্তিক দিনলিপি বা ব্লগে সময়টা বেশি ব্যয় করতাম। বিভিন্ন ব্লগ সাইটে ব্লগারদের লেখাগুলো পড়তে খুবই ভালো লাগতো। এই ভালো লাগা থেকে নিজের লিখতে ইচ্ছে করতো।
একসময় নোকিয়া বাটন মোবাইল C-3 দিয়ে এক ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। কিন্তু নোকিয়া C-3 মোবাইলে তো বাংলা লেখা যায় না। কোনরকমভাবে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে স্বল্পসংখ্যক শব্দের একটা লেখা জমা দিলাম। ব্লগে লেখা জমা দিয়ে বেশকিছুদিন আর ব্লগে প্রবেশ করিনি।
এরপর প্রায় দুই তিনমাস পর অনেক কষ্ট করে মনের স্বাদ মেটানোর জন্য সিম্ফনি W-82 মডেল-এর একটা মোবাইল কিনলাম। মোবাইলটা কিনেই, সেইদিনই ব্লগে প্রবেশ করলাম। উদ্দেশ্য হলো, আমার জমা দেওয়া লেখাটার অবস্থা দেখা। দেখি সম্মানিত মডারেটর লেখার শিরোনাম বাংলায় দেওয়ার জন্য বলছে। সিম্ফনি এন্ড্রোয়েড মোবাইলে বাংলা লেখা যেত। লেখার শিরোনাম দিলাম, “আমিও মানুষ”। লেখার শিরোনাম বাংলায় লিখে, ব্লগে জমা দিয়ে আবার কিছুদিনের জন্য গা-ঢাকা দিলাম। গা-ঢাকা দেওয়ার প্রায় কয়েকমাস পর আবার ব্লগে প্রবেশ করলাম। দেখি আমার লেখায় কয়েকজন সম্মানিত লেখকদের মূল্যবান মন্তব্য। সেসব মন্তব্যের উত্তর দিতে গেয়েই, আজ অবধি ব্লগ আর ব্লগিংয়ের মাঝেই আটকা পড়ে আছি। ব্লগে লিখছি, পড়ছি, দেখেও যাচ্ছি। অনেক সম্মানিত লেখক/লেখিকাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও গড়েছি। শুরু থেকে এপর্যন্ত ব্লগ, ব্লগিং এবং ব্লগের পোস্টের মন্তব্য বিষয়ে সামান্যতম ধ্যানধারণাও মোটামুটি অর্জন করতে পেরেছি বলেও মনে হয়।
ব্লগ: আমার জানা মতে ”ব্লগ” শব্দটি ইংরেজী (Blog), এর বাংলা প্রতিশব্দ৷ যা এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি (Blog) শব্দটি আবার (Weblog) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যেটুকু জানা যায়, এই ব্লগের ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী ১৯৯৭ ইংরেজি সাল থেকে শুরু হয়ে অদ্যাবধি চলছে। প্রায় ব্লগই মূলতঃ লেখায় আকিন, কিছু কিছু আছে শিল্প(আর্টব্লগ), ছবি(ফটোব্লগ)। ডিসেম্বর ২০০৭এর হিসাবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন “টেকনোরাটি” প্রায় এগারো কোটি বার লাখের ও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।
ব্লগার: যারা আমার আগে থেকে ব্লগে লিখেন, তাঁরা অবশ্যই ব্লগ বিষয়ে আমার চেয়ে ভালোই জানেন। তা আর নতুন করে নতুন কিছু উপস্থাপন করার কোনও দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। তবে আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করছি, সবাই জানি যিনি ব্লগে লিখেন; তাকে “ব্লগার” বলে। তবে সহ-ব্লগারগণ একে অপরকে লেখক লেখিকা বলেই বেশি সম্বোধন করে থাকে, করিও। যেহেতু একই প্লাটফরমে একে অপরের সাথে লেখা শেয়ায় করছে, তাই। তারপর পছন্দ অপছন্দের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যাঁর যাঁর মনের ভাব জানান দিচ্ছে। লেখা কেমন হয়েছে, তাও মন্তব্যের মাঝে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লেখার মাঝে কোনও বানান ভুল থাকলে তাও সহ-ব্লগারগণ জানিয়ে দিচ্ছে বা দেয়ও।
ব্লগিং: যিনি যেকোনো অনলাইনভিত্তিক দিনলিপি ব্লগে নিবন্ধিত হয়ে ব্লগে পোষ্ট করেন, তাকে বলে "ব্লগার"। আর ব্লগে পোস্ট করা বা লেখালেখি করাই হচ্ছে “ব্লগিং”।
মন্তবব্যের মাঝে সুসম্পর্ক: ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের পছন্দের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন। আর পাঠক সেখানে লেখার উপর ভিত্তি করে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। মন্তব্য দানকারী পাঠককে অবশ্যই ব্লগের নিবন্ধিত পাঠক হতে হবে। মানে হচ্ছে, একজন ব্লগারের লেখনীয় পোস্টে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার আগে তাকে সেই ব্লগে লগইন করতে হবে। নিবন্ধিত সদস্য ছাড়া কিছুতেই মন্তব্য করতে পারবে না, পারেও না। ব্লগের পোস্টে আর ব্লগার অথবা লেখক-লেখিকার লেখায় মন্তব্য হলো একরকম চুম্বকের আকর্ষণের মতন। চুম্বক যেমন লোহাকে কাছে টানে, তেমনিভাবে মন্তব্যকারীকে পোস্টদাতা বা লেখক-লেখিকা ভালোবেসে ফেলে। তারপর একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাব গড়ে উঠে এবং খুব অল্পদিনের মধ্যেই সুসম্পর্কও গড়ে উঠছে।
সহ-ব্লগারদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে, একমাত্র একে অপরের লেখায় বা পোস্টে গঠনমুলক মন্তব্যের কারণে। এটা আমরা অনেকেই বুঝি, আবার অনেকেই বুঝেও বুঝি না। শুধু নিজের পোস্টে অন্যের করা মন্তব্যেগুলোর দায়সারা মন্তব্য "ধন্যবাদ, শুভকামনা, সাধুবাদ, ভালো থাকবেন" ইত্যাদি লিখেই সরে যাচ্ছি। এরপরও যদি কোনও ব্লগার প্রত্যুত্তর মন্তব্য করে থাকেন,সের মন্তব্যের আর জবাব দেওয়া হয় না। এতে সম্মানিত মন্তব্যকারীর মনে খুব কষ্ট পাওয়া ছাড়া শান্তি পাচ্ছে না বলেই আমার মনে হয়। তাই ব্লগের ব্লগারদের উচিৎ নিজের লেখা পোস্ট-সহ সহ-ব্লগারদের করা মন্তব্যের দিকে বেশি নজর দেওয়া এবং যথাসময়ে মন্তব্যের জবাব দেওয়াটাই ভালো বলে আমি মনে করি। অনেক সময় নিজেও কারোর পোস্টে মন্তব্য করা মন্তব্যের জবাবের অপেক্ষায় থাকি।
ব্লগ পোস্ট: সাম্প্রতিক কালে অনলাইনে থাকা বেশিরভাগ ব্লগ সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল ব্লগার নিজের এলাকার সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক লেখা ব্লগে আপডেট করেন বা পোস্ট করে থাকেন। অনেক সময় কোন খবরের শিরোনামের উপরও ব্লগার তার মতপোষন করে লিখে ব্লগে পোস্ট করে থাকেন। আবার কেউ কবিতা লিখেন। কেউ ইতিহাস লিখেন। কেউ সাহিত্য নিয়ে লিখেন। কেউ আবার ছোটগল্প ও রম্য লিখে ব্লগে পোস্ট করেন। যে যা-ই লিখুক-না-কেন, ব্লগে পোস্ট প্রকাশ হলেই সেটাকে বলে ব্লগপোস্ট।
সোনেলা ব্লগে আমি: তবে আমার মনে হয়, আমাদের এই স্বনামধন্য সোনেলা ব্লগের জন্মকাল ১ অক্টোবর ২০১২, সোমবার। ব্লগে প্রথম পোস্ট করেছিলেন, সম্মানিত লেখক "জিসান শা ইকরাম।" পোস্টের শিরোনাম ছিলো, "বলিষ্ঠ ভাবে বলতে পারিনা……!" এরপর পোস্ট করেন, সম্মানিত ব্লগার "নাজমুল আহসান"। সম্মানিত ব্লগার "নাজমুল আহসান"-এর লেখার শিরোনাম ছিলো, "আমাদের বীরেরা, আমাদের মীর জাফরেরা।" এপর্যন্ত সোনেলা ব্লগে পোস্টের সংখ্যা ১১৭০৪ এর-ও উপরে।
ব্যক্তিগত: আমি এই স্বনামধন্য সোনেলা ব্লগে নিবন্ধিত হয়েছি, ২০১৭ ইং সালের মার্চ মাসের মাসের ২ তারিখ। লেখার শিরোনাম ছিল, "সোনেলা ব্লগ ডটকম এর সকল ব্লগার/লেখকবৃন্দকে নমস্কার!" ১৮+১৮+১=৩৭ টি। আমার নগণ্য লেখনীয় পোস্টে ১৮ জন সম্মানিত লেখক-লেখিকার করা মন্তব্যের উওর দিয়ে গিয়েই হয়তো এই স্বনামধন্য সোনেলা ব্লগে মায়াজালে আটকা পড়েছি। মনে হয় আর কখনো সোনেলা ব্লগ থেকে নিজেকে আড়াল করা যাবে না।
দুঃখ আমার: আমার চেয়েও হৃদয়বান সম্মানিত ব্লগার এই সোনেলা ব্লগে আরও অনেক আছে। তাঁরা প্রতিদিন নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে সোনেলা ব্লগে পোস্ট করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি অধম শুধু সময়ের অভাবে এই স্বনামধন্য সোনেলা ব্লগে নিয়মিত হতে পারছি না। কারণ, আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ, তাই। তবে আমার হাতে থাকা ব্যবহারিক মোবাইল থেকে প্রতিদিন কয়েকবার ব্লগে উঁকি দিই। সবার পোস্ট ফলো করি। সময়ের অভাবে পোস্টে মন্তব্য করতে বা দিতে পারি না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত! এতে যদি কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে হাতজোড় করে মিনতি করছি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য। পরিশেষে সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ, সবাই সবার লেখা পড়ে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে সহ-ব্লগারকে আরও বেশি বেশি লিখতে উৎসাহিত করবেন বলে আশা করি।
৩৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা দারুন বলেছেন। সেইসময়কার মোবাইল, নেট ঘাঁটাঘাঁটি, বাংলা টাইপিং নিয়ে যা বললেন তা অতীব বাস্তব। আমি ও c-3 ব্যবহার করেছিলাম। কত কষ্ট করে নেট চালাতাম, বাংলা বোঝা যেতোনা । আর এখন স্মার্ট ফোন এসে সবার হাত চালু করেনি শুধু মুখের ভাষা ও সহজলভ্য আর নোংরা করে দিয়েছে। ব্লগিং নিয়ে যা বললেন সত্যিই এটা হওয়া উচিত। কিন্তু সময়ের অভাবে সবাই সমান ভাবে এক্টিভ থাকতে পারে না। আবার কেউ মন্তব্য করে দায়সারা গোছের যেটা যেকোনো লেখকের জন্য কষ্টদায়ক। ভালো থাকুন। শুভ কামনা অবিরাম
নিতাই বাবু
ব্লগে লিখেন যাঁরা, মানে ব্লগাররা ব্লগে লেখা পোস্ট প্রকাশ করেই সহ-ব্লগারদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের আশায় থাকে। আমিও থাকি। সবাই চায় লেখার বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা হোক। লেখা ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে তা সব ব্লগার/লেখক/লেখিকা সবাই জানতে চায়। এই নিয়ে সবাই অপেক্ষায়ও থাকে। তো আমার উচিৎ সহ-ব্লগারদের লেখা বা পোস্ট পড়ে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে সম্মানিত সহ-ব্লগারকে উৎসাহিত করা। তা না করে যদি নিজের পোস্ট নিয়ে বসে থাকি, তা কেমন যেন বেমানান দেখা যায়। তাই আমি সবসময়ই যখন ব্লগে অ্যাক্টিভ থাকি, তখন নিজের লেখার মন্তব্যের জবাব দেরি করে দিয়েও সহ-ব্লগারদের লেখা পড়ে মন্তব্য করতে মন চায়। তাই অনেক সময় নিজের পোস্টে সহ-ব্লগারদের করা মন্তব্যের জবাব দিতে সত্যি দেরি হয়ে যায়। পরিশেষে বলতে চাই, প্রাণের সোনেলা ব্লগের সবাই যেন সবার লেখা পড়ে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে আরও বেশি বেশি লিখতে উৎসাহ দিয়ে উৎসাহিত করে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পুরোপুরি সহমত আপনার সাথে দাদা। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো
নিতাই বাবু
আপনিও ভালো থাকবেন আশা করি।
ফয়জুল মহী
সমৃদ্ধ চিন্তার লেখা । মনোযোগ দিয়ে পড়লাম । মুগ্ধ হলাম লেখায়
নিতাই বাবু
মনোযোগ সহকারে পড়েছেন শুনে আমি অত্যন্ত খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
পুরইতিহাস নিতাই দা স্যালুট জানাই
শুভ হোক ব্লগিং —————–
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি লিটন দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
দাদা ব্লগ নিয়ে এত স্মৃতি মধুর ঘটনা গুলো তুলে ধরার জন্য কৃতার্থ। সাথে সোনেলা ইতিহাস।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
গুরুমশায় সব পড়তে পারিনি। আবার একবার পড়ে আসব খন।
নিতাই বাবু
ব্লগিং এর দিক দিয়ে আপনিও কিন্তু আমার গুরু। কারণ, আমার অনেক আগে থেকেই আপনি বিভিন্ন ব্লগের ব্লগিং জগতে। সে হিসেবে আপনিও আমার গুরু ব্যক্তি।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
দাদা আপনার মত৷ খুরধার লেখা আমি লিখতে পারিনা। মহান শ্রষ্টা আপনাকে লিখার মত শক্তি দিয়েছে। তার জনুও শুক্রিয়া দাদা।
নিতাই বাবু
একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু সবকিছু নিজের আয়ত্তে চলে আসে দাদা। আপনিও পারবেন বলে আমার মনে হয়।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
খাদিজাতুল কুবরা
এতো সুন্দর করে সোনেলা ব্লগ এবং ব্লগিং এর আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন দাদা।
অনেক ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদের সাথে আপনাকে গত হওয়া পবিত্র ঈদ-উল-আজহা’র প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
লেখকগণ কেমনে গায় গান
আমি বুঝিনি সেই সেই জন্মকাল
নাহত পারিলাম পাঠক,না পারিলাম হতে লেখক
পচাধচা মন্তব্যকারী ও হলাম সেইই লেখক
যা পাঠে রচেনা মন আমারই এখন।
আপনার লিখার একজন পাঠক আমি আপনার কিছু কবিতা ও গল্পে আমি অতিশয় মুগ্ধ হয়েই পড়েছি। ও বুঝার চেষ্টআ করেছি।
তবে আপনার আরো ব্লগিং জিবনের কাহিনী বলা উচিত।
ধন্যবাদ দাদাভাই।
নিতাই বাবু
না দাদা, এখানে এপর্যন্তই থাক! আপনি সাথে আছেন তো? এতেই চলবে। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় মজিবর দাদা।
ইঞ্জা
ব্লগ নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট আমার ব্লগ-ব্লগার-ব্লগিং লেখাটিকেও ছাড়িয়ে গেছে বলেই মনে করি, ব্লগার ওস্তাদ আমার পরে সোনেলাতে এলেও ব্লগিং জগতে আপনি সত্যি আমার ওস্তাদ, অসাধারণ লেখাটি সকল ব্লগারকে আরও উৎসাহিত করবে বলেই মনে করি।
লেখাটি খুব ভালো হয়েছে ওস্তাদ।
ভালো থাকবেন।
নিতাই বাবু
আপনি আমার অনেক আগে থেকে ব্লগিং জগতে। সেই হিসেবে আপনিই কিন্তু আমার ওস্তাদও ব্লগের শিক্ষক। তো সমস্যা নেই ওস্তাদে ওস্তাদে ভাই ভাই। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় ওস্তাদজী।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন দাদা
নিতাই বাবু
আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
তৌহিদ
শুরু থেকে শেষপর্যন্ত এককথায় দারুণ লিখেছেন দাদা যা সবার জন্যই শিক্ষণীয়। আমরা কাজের মাঝে একটু সময় নিয়ে ব্লগে আসি সকলেই। তবে নিয়মিত আসা উচিত বলে মনে করি। অনেকেই নিজের লেখা দিয়ে চলে যান আর খবর নেই এটা কাম্য নয়।
আপনাকে ধন্যবাদ বিস্তারিত জানানোরর জন্য। ভালো থাকুন দাদা।
নিতাই বাবু
আমি জানি একটা মন্তব্য মানে একটা দেনা। এই দেনা যেকোনো অবস্থাতেই পরিশোধ করতে হয়ে। তাই ব্লগে এসেই আগে দেখি অদেখা মন্তব্যের তালিকা। তারপর নেমে পড়ি দেনা শোধ করার জন্য প্রত্যুত্তরে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, শ্রদ্ধেয় দাদা।
শুভকামনা থাকলো।
মনির হোসেন মমি
দারুণ লিখেছেন দাদা। অনেকেই ব্লগ ব্লগিংটাকে সহজ মনে করেন,অনেকে আবার হেডান দেখান-মুই কত বড় হনুরে,,আসলে অনেক কিছুই তার অজানা।যাক চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
লেখাটি পড়েছেন শুনে আমি অত্যন্ত খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় মনির দাদা। যে যা ভাবার ভাবুক! তবে হ্যাঁ, আমরা কিন্তু সত্যি কিছুই হয়ে যাইনি। এখনও ব্লগ বিষয়ে অনেককিছুই অজানা।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় মনির দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
যথার্থ বিষয় তুলে ধরেছেন দাদা।
এসব আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।
আর আপনার এমন লেখা নিশ্চয় সকলকে উৎসাহ জাগাবে।
.
শুভ ব্লগিং।
শুভকামনা আমাদের সবার প্রিয় ব্লগ সোনেলার জন্য।
নিতাই বাবু
আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো, শ্রদ্ধেয় “প্রদীপ চক্রবর্তী দাদা”। আশা করি ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
পেছন ফিরে দেখতে খুব-ই ভালো লাগে, তা যদি আপনি লেখেন।
সে এক গভীর ইতিহাস! এখন কার সময়ে দাঁড়িয়ে অনেক কিছুই কল্প-ভাবনা বলে মনে হয়।
আপনার আন্তরিকতা ব্লগের প্রতি প্রশ্নাতীত, ব্যাপার না, কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় আপনি দিচ্ছেন
সেটি চালু থাকলেই অনেক হবে।
নিতাই বাবু
সোনেলা ব্লগের আবির্ভাব ইতিহাস আমার অজানা, শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ। সেটা ব্লগের বিষয় হয়ে থাকুক। আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য একটা স্বনামধন্য দিনলিপি পেয়েছি, এটাই আমার গর্বের বিষয়। তো সবসময়ই নিয়মিত হতে চাই। কিন্তু সাংসারিক ঝামেলার কারণে ঠিকমতো সময়ই দিতে পারছি না।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ।
আরজু মুক্তা
শিক্ষণীয় পোস্ট। ব্লগের গতি বাড়াতে মন্তব্যের বিকল্প নাই
নিতাই বাবু
আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো। আশা করি ভালো থাকবেন, নিশ্চয়!
জিসান শা ইকরাম
বাটন মোবাইলের কথা মনে করিয়ে দিলেন। কত কষ্ট করে যে বাংলা লিখতাম তা বর্তমানে যারা এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করেন, তারা বুঝতেই পারবেন না।
অত্যন্ত সুন্দর একটি পোষ্ট। আপনি নিজেকে সোনেলার একজন একনিষ্ঠ ব্লগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
তবে কিছুটা কষ্ট পাই, ফেইসবুকে আপনার প্রফাইল দেখলে। আপনার প্রফাইলে অনেক ব্লগের নাম লেখা থাকলেও আমাদের সোনেলার নাম নেই। নাম উঠানোর মত অবস্থানে হয়ত সোনেলা ব্লগ যেতে পারেনি এখনো 🙂
সোনেলা নিয়ে কিছুটা তথ্য বিভ্রাট আছে আপনার পোষ্টে। সোনেলার জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ সনে। ঐ তারিখেই প্রথম অনলাইন দুনিয়ায় সোনেলার আগমন। প্রথম পোষ্ট দিয়েছিলেন নাজমুল আহসান। শিরোনাম এবং পোষ্টে দুটো শব্দের পোষ্ট। ” টেস্ট পোষ্ট “। এই টেস্ট পোস্টের মন্তব্যেই বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধান, বিভিন্ন অপশন যুক্ত করা এবং অন্যন্য অনেক বিষয় আলোচনা করেছি আমি, ছাইরাছ হেলাল এবং নাজমুল আহসান। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত টেস্ট চলেছে সোনেলা সাইটের। সবকিছু ঠিক হবার পরে আমি পোষ্ট দেই “বলিষ্ঠ ভাবে বলতে পারিনা……!” এরপর নাজমুল আহসান পোষ্ট দেন। শিরোনাম ছিলো, “আমাদের বীরেরা, আমাদের মীর জাফরেরা।”
যেহেতু প্রথম পোষ্ট ‘ টেস্ট পোষ্ট ‘ এর কয়েকশত মন্তব্যে সোনেলার অনেক গোপন বিষয় ছিল, তাই ঐ পোষ্টটি মুছে দেয়া হয়েছিল।
সোনেলা ব্লগ – স্বপ্নের শুরুটা যেভাবে
শুভ জন্মদিন সোনেলা
শুভ কামনা,
শুভ ব্লগিং
নিতাই বাবু
“সোনেলার জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ সনে। ঐ তারিখেই প্রথম অনলাইন দুনিয়ায় সোনেলার আগমন। প্রথম পোষ্ট দিয়েছিলেন নাজমুল আহসান। শিরোনাম এবং পোষ্টে দুটো শব্দের পোষ্ট। ” টেস্ট পোষ্ট “। এই টেস্ট পোস্টের মন্তব্যেই বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধান, বিভিন্ন অপশন যুক্ত করা এবং অন্যন্য অনেক বিষয় আলোচনা করেছি আমি, ছাইরাছ হেলাল এবং নাজমুল আহসান। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত টেস্ট চলেছে সোনেলা সাইটের।”
শ্রদ্ধেয় দাদা, একটি প্রতিষ্ঠানের গড়ে ওঠার পেছনে অনেক ইতিহাস থাকে। ওইসব ইতিহাসগুলো শুধু তাঁরাই জানে, যাঁরা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিল। যা সোনেলা ব্লগ গড়ে ওঠার পেছনেও ওইরকম আরও কিছু-না-কিছু ইতিহাস লুকিয়ে আছে। যা আমাদের জনার জানার অধিকার নেই, যদি আপনারা না জানাতে চান। তো আমি শুধু ব্লগে প্রথম পোস্টটাকেই ব্লগের শুরু ধরে নিয়েছিলাম। এই কারণেই এখন আপনার সুলিখিত মন্তব্যে ব্লগের ইতিহাস পুরোপুরি লিংক-সহ জানিয়ে দিলেন। এতে আমি গর্বিত আনন্দিত!
আর আমার ফেসবুক প্রোফাইলে এই প্রাণের সোনেলা ব্লগেরও লিংক দেয়া আছে বলেই আমি জানি দাদা। যদি না থাকে, তাহলে অতি শীঘ্রই আমি আমার ফেসবুক প্রোফাইলে সোনেলা ব্লগের লিংক সংযোজন করবো।
আর হ্যাঁ, আমি দাদা, এখনো সোনেলা ব্লগের একনিষ্ঠ ব্লগার হতে পারিনি। তবে চেষ্টায় করে যাচ্ছি, ব্লগের প্রতিটি ব্লগের হৃদয়ে স্থান পেতে। যদি এই সোনেলা ব্লগের সোনালী মানুষগুলোর হৃদয়ে আমি স্থান না পাই, তাহলে আমি নিজেকে ব্যর্থ বলে মনে করবো। আশীর্বাদ প্রার্থী।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
জিসান শা ইকরাম
আপনি আমাদের প্রিয় মানুষ।
নিজের চোখের সমস্যার কারনে আপনার জীবনী পড়তে পারছি না, খারাপ লাগছে খুব।
তবে পড়বো নিশ্চিত।
ভাল থাকুন দাদা।
নিতাই বাবু
মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে ধন্য হলাম। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা-সহ সোনেলার দীর্ঘায়ু কামনা করি।