এইটা হল আমার দাদির কবর!
ঐ হল আমার দাদা, শুয়ে আছে!শহরের মর্গ না!বা বৃদ্ধাশ্রম!আর এই যে সবুজের মায়ায় জড়ানো রোদের হাসিতে,হিজল-পলাশ-শিমূলের কোলে,দোয়েল নাচে
কোয়েল আমার দাদির গান গায়!
দাদা,অলক্ষ্য বাতাচে মুচকি হাসে,
ফিঙে শোনে আর বাবুই দাদির নকশীকাঁথা বোনে!

এই হল আমার স্বর্গ,কল্লোলিনী কংসাবতীর আঁচলে ঢাকা সবুজ বাঁশ বাগানে!

দাদা নাকি দাদির জন্য কৃষনচূড়ার ডালে,
গভীর প্রেমসিক্ত ফুল পাঠাতো!
জুম্মার নামাজের পর বাড়ি ফিরে
আব্বা এটাই দাদির কাছে বলতো!
থাকতে না পেরে দাদি,খোলা পালকিতে করে
সবার চোখে অশ্রু দিয়ে গেল!পেছনে পেছনে,
ফুম্মা গেল!কবে ফিরবে কে জানে

দীর্ঘল যুবতী শিমূল,ফাল্গুনী বাতাসে ছেড়াঁ ছেড়াঁ তুলোয় করে, প্রেম পত্র পাঠায়, দাদা-দাদির প্রেমের কথা মনে পড়ে!প্রেম কথাটি কে না জানে।সারা জাহান জানে!ইভ!আমার মা বাংলা জানে!

পূর্ব আকাশে মা নাম্জের পাটি পাতে, আর তখন আমি অনুকূলের মন্দিরের ওঁ শুনি,কুয়াশায় মোড়া পুষ্প বনে, পাই না আমি রক্তে মাখা ভূস্বর্গের মানে!

চাই না আমি হেভেন বা শহর!পাই যেন পুস্পে ভরা এই গ্রামের ক্ষেতে আমার কবর!

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ