তহন,বাঁশির কড়া সুর কান্দে,চিরায়ত চৈত্রের রইদ কান্দে;কাইন্দা উডে গঙ্গাধারের পূর্ণিমা।
আহা!কতো বিয়ালে,সোহাগ কইরা তো’র প্রসস্থ নাভীতে গুইজা দেইনা—চন্দ্রমল্লিকা ফুল।আইজ গরমের আগ্রাসনে,তোরে সামনে বসাইয়া তালপাতার পাংখা দিয়া;বাতাস খাইলে আমার গতরখানা জুড়াইয়া যাইতো।আমার এহনও মনে আছে—তোরে বিয়া কইরা,ডাটে আমার চোখ উঠছিলো কপালে;আমরা পাতছিলাম—”একজোড়া কইতরের সংসার”।তোর কোল জুইড়া জন্ম নিছিলো-আমার বাপজান;বংশের লাডি বাড়লো ঠিকই,তবে,তোর লগে আমার পরতিকদিনের কাইজ্জা—’কবে থিকা-সাঁঝেরবেলায় কুঁপি জ্বালাইয়া আমগো রাজকইন্যার মুখ দেখুম’? এইডা লইয়া।

 

হেদিন-আছিলো;বছরের পরথম দিন—
হারাদিন জাল বাইয়াও,একটা ইলশা পাই নাই।
হালকা গোঁসা কইরা কইছিলি—’মাছের বদলে কি শিউলি পড়া শিশির ভেজা দুইচোখ নিয়া আইছো মনার বাপ’?সংসারের নানান কাম কইরা;যহন তুই ভেজায় কাহিল।জিড়ান নিতি ঘরের ধারের ঐ দৈত্যের মতোন—অর্জুন গাছটার তলে,আর আমি পিছন থিকা তোর খোপায় বাইধা দিতাম টুপটুপা জ্যোতস্নার মালা!

 

আমার এহনও চোখে ভাসে বউ;
ঐডা আছিলো আমগো শেষ বইশাখি বটমেলা।
নাগরদোলার ক্যাচর-ক্যাচর শইব্দে—তোর শ্যামল চেহারার মাইঝে দেখতে পাইছিলাম উজ্জ্বল পোক্ত বাসনা!

 

ঐ রাইতেই বাড়ে,তো’র প্রসব ব্যাথা;
তোর চিক্কুর শুইন্না—আমার পাজরের হাড় ভাইঙা যাইতাছিল।
‘পেটের পটে আঁকছিলি আমগো ছোট্ট পরীর ছবি’;তবে,[ব্রাত্য থাকার অভিমানে আজাইর হইলি চিরতরে]!

 

মেলাবার শুনছি—
সুয়ামির আগে—পত্নী মরলে নাকি সুয়ামি যায় সগগে।”আমার সগগো চাইনা বউ”।
ক্ষণে ক্ষণে আমি তোর বুকে— ফুল হইয়া ফিরবার চাই।
আমার কথা কি তোর,একবারও মনে পড়েনা —বউ?