যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তবে সাফল্য আসবেই।পৃথিবীর যত খ্যাতিমান ব্যাক্তি আছেন তাদের সাফল্য হঠাৎ করেই আসেনি।অনেক সাধনা ত্যাগ তিথিক্ষার ফলেই তাদের জীবনে সাফল্য এসেছে।তবে যে কোন সাফল্যের পিছনে লক্ষ্য থাকতে হবে নিদিষ্ট তবেই সাফল্য এসে ধরা দিবে।তবে হ্যা শুধু লক্ষ্য নিদিষ্ট থাকলেই সাফল্য এমনি এমনি আসবে না।লক্ষ্যে সাফল্য আনতে প্রতিভাও থাকতে হবে নতুবা লক্ষ্যচ্যুত হবার সম্ভাবনাই বেশী।যদি প্রতিভা তবে এর বিকাশ ঘটবেই।
আজকের আলোচ্য বিষয় বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে তেমনি এক জন প্রতিভাবান ব্যাক্তি যাকে কয় দিন আগেও সঙ্গীত জগতে কেউ চিনতো না, তার নামটি পর্যন্তও জানতো না।আজ সে এপার ওপার দুই বাংলার সঙ্গীত পিপাসুদের মাঝে এক বিষ্ময়কর সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আর্বিভুত হলেন। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের চ্যানেল জি বাংলা’র গানের রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পা’র এর এক জন জন প্রিয় প্রতিযোগী যাকে নিয়ে দুই বাংলার মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহলের যেন শেষ নেই।তাকে নিয়েই আজকে আমার আলোচ্য বিষয়।
তার সঙ্গীত জগৎ এবং পরিচিতি:
পুরো নাম মাইনুল আহসান । ১৯৯২ সালের ৭ নভেম্বরে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যাবসায়ী বাবার কারনে জীবনে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন আর সে জন্য তাকে প্রায় প্রতি বছরই স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছিল।শৈশবে তার লেখা পড়ার জীবনে তাকে একেই ক্লাশে একাধিক বারও লেখা পড়া শিখতে হয়েছিলো।

সঙ্গীতে তার কোন শিক্ষাঙ্গন নেই তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যখন থেকে ছোট ছোট আঙুলে তিনি কড় গুনতে শিখেছেন, তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো তার সঙ্গীত চর্চা।সাধারন শিক্ষায় বার বার স্কুল পরিবর্তন করায় তার বিরক্তি এসে যায়। এক একটি ক্লাসে এক একটি নতুন স্কুল। কোন এক দিন ঝগড়া করে স্কুল থেকে টিসি নিয়ে বিদায় নিয়ে চলে যান পদ্মা পেরিয়ে পশ্চিম বঙ্গে। সেখানে দার্জিলিং এর কার্শিয়াং এ  হিমালি বোর্ডিং স্কুলে ক্লাস নাইনে আবারো ভর্তি হন। এরপর কলকাতার হাজরার একটি স্কুলে আবারো ভর্তি হন।আর সেই সময় তার প্রথম গিটার ক্রয় করা এবং বন্ধুদের সাহায্যে আবারো শুরু করলেন তার গানের চর্চা।

এক সময় বার বার স্কুল পরিবর্তন এবং গদ বাধানো শিক্ষায় তার বিরক্তি এসে যায় যা অবশেষ ২০১৪ সালে তারঁ পরিবার মা বাবাকে সাফ জানিয়ে দেয় সে আর লেখা পড়া করবে না, সঙ্গীতকে নিয়ে তার ক্যারিয়ার গড়বেন। মা বাবার আপত্তি থাকার পরও সে সঙ্গীতে জেমস হতে না পারলেও নোবেল হবেন বলে পণে অটল থাকলেন।এক সময় বাংলালিংক কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশের ইউটিউবারদের  নিয়ে একটি অনুষ্ঠিত নেক্স টিউবার প্রয়াত আয়ুব বাচ্চুর  গান গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।কিন্তু রুচিহিন জাযমেন্ট এর কারনে নানা বিষয়ে অযোগ্য দেখিয়ে সেখান থেকে তাকে বাদ দেয়া হয় ।


এরপর জি টিভির একটি সঙ্গীত বিষয়ক প্রতিযোগীতা সারেগামাপা তে অডিশন দিলে সে টিকে যায়।তার সাথে বাংলাদেশ থেকে আরো যারা ছিলো তারা হলেন -অবন্তী সিঁথি, মন্টি সিনহা, আতিয়া আনিছা, মেজবাহ বাপ্পী সহ প্রমুখ। তবে তাদের মধ্যে নোবেল বেশ আলোচনায় ছিলেন।

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত "আমার সোনার বাংলা সহ মা’কে নিয়ে জেমস এর সেই জনপ্রিয় গান নোবেলের কণ্ঠে যেন আরো জীবন্ত হয়ে উঠল।মঞ্চে উপস্থিত সবাইকে ভাবিয়ে তুলে তার কণ্ঠের কারিশমা।আলবিদা সহ বাস্তবধর্মী গানের শিল্পী নচিকেতার বৃদ্ধাশ্রম গানটিতে মঞ্চে এবং বাহিরে যে ভক্ত কুলে আবেগের ঝড় তুলে ছিলেন তা ছিলো অভাবনীয়।বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কারার ঐ লৌহ কপাট সহ এ সব গানগুলো  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতি মতো ভাইরাল হয়ে পড়েছিল।এছাড়াও রঞ্জণা, বাবা , সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে, হতেও পারে, পালতুলে দে  অনুপম রয়ের একটি ভাল জনপ্রিয় গান সহ অসংখ্য গানের জনপ্রিয় নোবেল শেষ পর্যন্ত জি বাংলার সারেগামাপাতে চ্যাম্পিয়ণ হতে পারলেন না।এটা একটা আক্ষেপ থাকলেও তার মতে সেখানে আমি চ্যাম্পিয়ণ হতে যাইনি, শিখতে গিয়েছিলাম।

সারেগামাপাতে অংশ গ্রহন সময়টি তার জীবনে এক অনন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে আরেকটি কারনে আর তা হল তার দাদীর পরলোক গমন।যিনি কলকাতায় গিয়ে নাতির অনুষ্ঠান দেখেছেন দর্শক আসনে বসে। সেদিন নোবেল গেয়েছিলেন "ফৌজা মেরে ফৌজা" গানটি। গান শেষ করে এসে দাদির পা ছুঁয়েও সালাম করেছিলেন।সেই দাদীর মৃত্যু তার জীবনে চির স্বরণীয় হয়ে থাকবে।সেই দিন সে সারেগামাপাতে গেয়েছিলেন প্রয়াত জনপ্রিয় শিল্পীর আইয়ুব বাচ্চুর সেই কালজয়ী গান…রূপালী গীটার ছেড়ে।

‘সা রে গা মা পা’র ফাইনালে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন আমাদের বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল। ২০১৯ সাল ২৯ জুন শনিবার রাতে শুটিং হওয়া গ্র্যান্ড ফিনালেতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অঙ্কিতা, প্রথম রানার আপ গৌরব আর দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন নোবেল।ফাইলানের এমন বিপর্যয় রেজাল্ট শুনে দর্শক হতাশ।তার কণ্ঠ,পারফরম্যান্স, বন্ধু সুলভ কথাবার্তা, এপার ওপার দুইপারের ভক্ত কুলের পছন্দের ঢেউকে পিছিয়ে ফেলেও সে কেন দ্বিতীয় রানার আপ হবেন তার কোন যুক্তিই ভক্ত কুলের মাঝে মনপুত হচ্ছে না।সন্দেহের তীর ছুড়েছেন বিচারক ও জি-বাংলার কর্তৃপক্ষের দিকে।বিচারক সুরকার শান্তনু মৈত্রও ফলা ফলে অবাক হয়ে বললেন-নোবেল একজন লম্বা রেসের ঘোড়া তাইতো সারেগামাপা এর মঞ্চেই গেয়ে ফেলেছেন শান্তনুর একটি মৌলিক গান।এ ছাড়াও নোবেলের প্রথম মৌলিক প্লেব্যাক প্রখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ভিঞ্চি দা’ সিনেমার জন্য করা এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন আমাদের নোবেল।‘তোমার মনের ভেতর’ শিরোনামের গানটির কথা  ও সুর করেছেন হালের জনপ্রিয় অনুপম রায়।যা গানটি এখন পুরোদমে প্রচারিত হচ্ছে।

সারেগামাপা এর ফাইনাল রাউন্ডটি কি ভাবে শেষ হল তা একটু জেনে নেই...

যদিও এখনো জি-টিভিতে এর ফাইনাল পর্বটি প্রচারিত হয়নি কিন্তু ফাইনালের রেকর্ডিংটি হয়ে যাওয়াতে অনেকে এর রেজাল্ট সম্পর্কে অবহিত আছেন।কিন্তু যাকে নিয়ে এতো হৈচৈ সেই নোবেল নিজেও এখনো অস্বীকার করেছেন যে ফাইনাল এখনো হয়নি অথচ সে ফাইনাল এর রেকর্ডিং কাজটি করে ফেলেছেন।এ ছাড়াও কলকাতার বহু সেলিব্রিটিদের মোবাইলে ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম পেজ কিংবা টুইটার হ্যান্ডেলে আলামত পাওয়া যায়।

দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার বরাত দিয়ে জানা যায়,এবারে জি বাংলা সারেগামাপা এর গ্র্যাণ্ড ফিনালের অনুষ্ঠানটি ছিলো পুরো অ-ব্যাবস্থাপনায় ভরপুর।অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া বা আমন্ত্রিত অতিথীদের হোয়াইট ড্রেস কোড পরিধানের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা অনেকেই মানেননি।অনুষ্ঠানে প্রত্যাক প্রতিযোগীর পিতা মাতাদের মত নোবেলের বাবা অসুস্থ থাকার পরও ছেলের ফাইনাল পারফরম্যান্স সরাসরি সামনে বসে দেখবেন তাই এসেছিলেন কনভেনশনে।তাকে কনভেনশন সেন্টারের সামনে টেক্সি ক্যাব হতে নামতে দেখা যায়।সাথে ছিলেন নোবেলের ব্যান্ড দল ও কলকাতার তন্ময় প্রামানিক।

প্রচুর ভীড় ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করা ছিলো বেশ কষ্টকর।প্রবেশের সময় কর্তৃপক্ষ বলে দেয় অনুষ্ঠান রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে।অনুষ্ঠান শেষে রাতের খাবারটা বাসায় গিয়ে খাবেন।এখানে রাতের কোন খাবার দেয়া হবে না।সব চেয়ে দুঃখজনক হল যে,অনুষ্ঠানে যারাই খাবার নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলো তাদের সমস্ত খাবার বাহিরে একটি নিদিষ্ট স্থানে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

যদিও অনুষ্ঠানটি বেলা তিনটায় শুরু হবার কথা ছিলো কিন্তু মুল অনুষ্ঠান শুরু হতে বিকেল ৫.৩০ মিনিট লেগে যায়। ফাইনালের মুল আনুষ্ঠিকতা প্রথম রাউন্ডে মঞ্চে সিরিয়ালে প্রতিযোগীদেরকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রত্যাক প্রতিযোগীর সাথে একজন করে সহ শিল্পী থাকলেও কিন্তু নোবেলের ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায় যা বরাবরের মতন সবার শেষে মঞ্চে উপস্থাপন করান একা।এখানেও জি-টিভির স্ট্যান্ডবাজি।এ সময়ে অনুমপের সাথে নোবেল প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর-“সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে” গানটি পরিবেশন করেন।

এরপর অতুল প্রসাদ এর 'আমি বাংলার গান গাই' এই গানটি গেয়ে নোবেল দর্শক বিচারকদের তাক লাগিয়ে দেন । এসময় তার ফ্যানবেজ যার যার আসন থেকে প্ল্যাকার্ড এবং মোবাইল ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে হাত নাড়াতে নাড়াতে তাকে অভিবাদন জানান। গানের শেষে বিচারক শান্তনু মৈত্র মঞ্চে এসে নোবেলকে জড়িয়ে ধরেন। অতিথি বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকা বলিউডের সুখ বিন্দর সিং বলেন,'আমি তোমার বাংলা গানের ফ্যান হয়ে গেলাম।

নোবেলের চ্যাম্পিয়ন সম্ভাবনার আরো একটি নিদর্শন হল ফাইনালে গোন্ডেল গীটার প্রেস বাটনের এর ইউজ থাকার কথা ছিলো না তবুও নোবেলের ক্ষেত্রে হয়েছে।বিচারকদের কথা হল গান যদি বেশী ভাল লাগে তবে গোন্ডেল গীটার বাটনে প্রেস করা হয়।এর মধ্যে বিচারকরা সকলের দেওয়া মার্কস খামে ভরে বাক্সে জমা দিলেন। এর পর ফাইনালের দ্বিতীয় রাউন্ড এর পারফরম্যান্স শুরু হবার অপেক্ষা এবং রাতের খাবারের জন্য কনভেনশন হতে অনেকে বের হতে লাগলেন।

আয়োজকরা আমন্ত্রিত অতিথীদের রাতের খাবারের জন্য কোন রকম ব্যাবস্থা না রাখায় নিজ খরচে তাদের বাহিরে গিয়ে খেয়ে আসতে হয়েছে।এ সময় আমন্ত্রীত অন্যান্য অতিথীদের মতই নোবেলের বাবা সহ তার নোবেল ব্যান্ড দলও দীর্ঘ লাইনে রিলিফ নেয়ার মতন খাবার নেয়ার সিরিয়ালে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বৃষ্টি আসাতে বেধে যায় বিপত্তি আর ছুটাছুটি।এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের পারফরম্যান্স শুরু হয় রাত ১১.৪৫ মিনিটে।এ পর্বেও নোবেলকে পারফরম্যান্স করতে দেয়া হয় সবার শেষে।
এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দ্যেশ্যে কিছু কথা বলেন এবং তার ফ্যান বেজদের অনুরোধে আইয়ুব বাচ্চুর “বাংলাদেশ” গানটি পারফরম্যান্স করেন।এ সময় উপস্থিত দর্শক বিচারক সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং করতালীতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থিত শ্রোতা ও বিচারক মন্ডলীদের তখন রাত ২.৪০ মিনিট।

এর কিছুক্ষণ পর ফাইনালিষ্টদের মঞ্চে ডাকা হয় এবং প্রতিযোগীতার চুড়ান্ত পর্বের ফাইনাল এর চ্যাম্পিয়ণসীপ ও অন্যান্য ফলাফলগুলো এক এক করে ঘোষনা করেন। মঞ্চে যখন প্রীতমকে দ্বিতীয় রানারর্স আপ এবং যখন বলা হল শুধু প্রীতমই নন যৌথ ভাবে আরো একজন হচ্ছেন দ্বিতীয় রানার্স আপ তিনি হলেন বাংলাদেশ হতে আসা নোবেল।তখন পুরো অডিটর জুড়ে ছিলো নিস্তব্ধ নীরবতা। নোবেলের এ রকম রেজাল্ট হবে কেউ ভাবতে পারেননি তাইতো সেই মুহুর্তে কোন করতালির শব্দই হয়নি। এ যেন এক ভুতুরে পরিবেশে ভুতুরিদের ম্যাজিকের খেলা।মঞ্চে উপস্থিত বাংলাদেশী  দর্শক ছিলো হাতে গোনা মাত্র কয়েক জন,বাকিরা সবাই ছিলেন কলকাতার। তারাও সবাই হয়তো ভেবে নিয়েছিল নোবেল কিছু একটা ভালো পজিশনে যাবে। এমন দুঃখজনক পক্ষ পাতিত্ব রেজাল্ট শুনে তারাও হতাশ হয়েছিলেন।মনে কতটা আঘাত পেলে একটি জমজমাট গানের আসর হঠাৎ স্তব্ধতা নীরবতায় গ্রাস করে তা অনুমেয়।নোবেল নিজেও রেজাল্ট শুনে কেপেঁ উঠেছিলেন, যেখানে সর্বো ক্ষেত্রে কণ্ঠে, পারফরম্যান্স, বিচারকদের ভলবাসা এবং সারা কলকাতা বাংলাদেশ জুড়ে দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা তার ফাইলান রেজাল্ট এমন হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।অঙ্কিতা প্রথম করে গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎকে করা হয়েছেন  ১ম রানার্স আপ।অঙ্কিতা ও স্নিগ্ধজিতের এ রকম ফলাফলে উপর চোখে পড়ার মত প্রভাব ছিলো বলিউডের সিঙ্গার সুখ বিন্দর সিং এর। অন্যদিকে নোবেল এর রেজাল্টের সময় পুরো স্টেজ ফাকাঁ হয়ে গিয়েছিলো।

আসছে ২৮ শে জুলাই জি-টিভি বাংলাতে সন্ধ্যা ৭টায় প্রচারিত হবে এ অনুষ্ঠানের ফাইনাল পর্বটি তার আগে সারেগামাপা এর পক্ষ থেকে সিঙ্গার ও আমন্ত্রীত অতিথীদের পুরোপুরি সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যেন অনুষ্ঠানটি প্রচার হওয়ার আগেই কেউ যেন মুখ না খোলেন।তবে আশ্চর্যের বিষয় হবে টিভিতে ফাইলান শোটি যারা দেখবেন তারা হয়তো দেখতে পাবেন জি-টিভিতে সারেগামাপা এর ফাইনালের একটি জমজমাট অনুষ্ঠান।কারন অনুষ্ঠানটি দেখানো হবে এডিটিং করে।বলাবাহুল্য যে যারা সিনেমার সুটিং দেখেন তারা হলে গিয়ে সেই সিনেমাটি দেখেন অবাক হবেন এটাই স্বাভাবিক।

নিউজ ৭১ হতে জানা যায় ফাইনাল অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত থেকে ফাইনালের বিতর্কীত রেজাল্ট দেখে অবাক হয়েছেন তাদের মধ্যে অনুপম রায় খুব আক্ষেপ করে নোবেলকে শান্তনা দিয়ে বললেন,-প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করা একটি বিষয় আর মানুষের মনের মণি কোঠায় জায়গা করে নেওয়া আরো একটি বিষ্ময়কর বিষয়। বাংলাদেশের গর্ব নোবেল তার প্রতিভা দিয়ে এই দ্বিতীয় কাজটি করে নিয়েছেন। আর তাইতো সে দুই বাংলায় আজ অধিকাংশ মানুষের মনে তার স্থান অর্জন করে নিয়েছেন।

গায়িকা লোপামিত্র নোবেল এর ফ্যান ক্লাবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটি রিয়েলিটি শো কখনো একজন প্রতিযোগীর গুণাগুণ পরিমাপের আসল প্লাটফ্রম হতে পারে না।অরিজিৎ সিং এর গান আমরা এখন শুনি খুব মন দিয়ে কিন্তু এই অরিজিৎ সিং ও একটি রিয়েলিটি শো থেকে বাদ পড়েছিলো সেটা আমরা সকলেই জানি এবং আমি নিজের কথা বলতে পারি আমাদের এখানে স্টেট লেভেল এর একটি কম্পিটিশন হতো সেখানে আমিও চান্স পাইনি।তাই বলে আমাদের প্রতিভা জনপ্রিয়তা কিন্তু থেমে যায়নি।নোবেল নিঃসন্দেহে একজন গুণি সঙ্গীত শিল্পী সেও একদিন আমাদের মতই নাম করবে সঙ্গীতাঙ্গনে।

কলকাতা ও বাংলাদেশের নোবেল ভক্তদের নোবেলের নিকট প্রত্যাশা ফলাফল যাই হোক বা হয়েছে এটাই যেন শেষ নয়।তার গায়কীর মাধুর্যতা দিয়ে ভক্তদের মনে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবেন এটাই হোক চাওয়া।অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হলে যদি ফলাফলের  কোন পরিবর্তন আসে তবে ভাবতে হবে তা হয়েছে অনেকের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

নোবেলে যে গানগুলো কলকাতা ভারত সহ দেশের লক্ষ কোটি মানুষদের ভালবাসা পেয়ে ধন্য হয়েছেন সেই গানগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি গান শুনতে এখানে ক্লিক করুন।

 

তথ্য সহযোগিতা
দৈনিক কালের কণ্ঠ
নিউজ ৭১
oneindiabangoli.com

0 Shares

৩৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ